দ্য 7 হ্যাবিটস অব হাইলি ইফেকটিভ টিনেজার্স
পৃষ্ঠা ১ থেকে ১৫
পৃষ্ঠা:০১
অভ্যাস করো ওরা তোমাকেতৈরি করবে কিংবা ভেঙেফেলবে:
স্বাগতম! আমার নাম শন এবং আমি এ বইটি লিখেছি। জানি না বইটি তুমি কীভাবে জোগাড় করেছো। হয়তো তোমার মা তোমাকে দিয়েছেন, যাতে তুমি নিজেকে গড়ে তুলতে পারো কিংবা তুমি নিজের টাকা দিয়েই বইটি কিনেছো এর শিরোনামে তোমার চোখ আটকে গিয়েছিল বলে। যেভাবেই বইটি তোমার হাতে আসুক না কেন, আমি সত্যি খুশি যে তুমি এটি পেয়েছো। এখন তোমার দরকার বইটি পড়ে ফেলা। অনেক কিশোর ছেলেমেয়েই বই পড়ে, তবে আমি তাদের মতো ছিলাম না। (আমি অবশ্য অনেক নোটবুক সামারি পড়েছি।) তো তোমরা যদি আমার মতো হও তাহলে হয়তো বইটি না পড়েই তাকে রেখে দেবে। তবে এমন কিছু করার আগে আমার কথাটি শোনো। তুমি যদি কথা দাওবইটি পড়বে, আমি প্রতিশ্রুতিদিচ্ছি, এটিকে আমি অ্যাডভেঞ্চারে পরিণত করবো। বইটি মজার করে তোমার জন্য এতে কার্টুন আছে, দারুন দারুন আইডিয়া রয়েছে, অসাধারণ সব কোটেশন বা উক্তি দিয়েছি এবং সারা বিশ্বের সত্যিকারের টিনএজারদের দুর্দান্ত সব গল্পও রেখেছি…এছাড়াও কিছু সারপ্রাইজ রয়েছে। তাহলে কি বইটি তুমি একবার পড়ে ফেলার চেষ্টা করবে? ঠিক আছে? ঠিক আছে! এখন বইতে ফিরে আসা যাক। এ বইটি রচিত হয়েছে আরেকটি বইয়ের ওপর ভিত্তি করে। আমার বাবা বহু বছর আগে ‘দ্য সেভেন হ্যাবিটস অব হাইলি ইফেকটিভ পিপল’ নামে একখানা বই লিখেছিলেন। আশ্চর্যজনকভাবে সেই বইটি সর্বকালের সেরা বেস্ট সেলারের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। এই বইয়ের সাফল্যের জন্য তিনি আমাকে এবং আমার ভাই-বোনদেরকে ক্রেডিট দিয়েছেন। তবে যাই হোক, তোমরা বুঝতেই পারছো আমরা ছিলাম তাঁর গিনিপিগ। তিনি আমাদের ওপর তাঁর সকল সাইকো এক্সপেরিমেন্টগুলো করতেন এবং সেজন্য আমার ভাই- বোনদের বড় বড় ইমোশনাল প্রবলেম হয়েছিল (আরে না, ঠাট্টা করলাম ভাইবোনরা, তবে সৌভাগ্যক্রমে আমি ওসব থেকে রেহাই পেয়ে যাই।)তাহলে আমি এ বইটি কেন লিখলাম? কারণ টিনএজারদের জীবন আর
পৃষ্ঠা:০২
দেলার মইনাহ। হাইবে বাদের জন্য একটি রাক্ষণ অপেক্ষা করছে। আমি যদি থিত বার করে বার, তাহলে এ বইটি তোমাদের জন্য কম্পাসের মতো কাজ কারে যাঁর বিশাল সিংহ। আমার বাবা তাঁর বইটি লিখেছিলেন বড়দের জন্য মেয়ে মতে বইটি তাই পড়তে বিভিই নাগতো) কিন্তু আমি লিখেছি মূলত শের বাধায় যেন হয় কিশোর নই, তবে কিশোর বয়সটির কথা আমার। পরিক্ষার মান আছে। হেপিভোগ সময়ে আমাকে একটা ইমোশনাল রোলার রোগীরে চাপতে হয়েছে। পেছন ফিরে তাকালে ভাবতে অবাকই লাগে যে, আছি শ্রীকে দিয়েছিলাম। তাই রখনোই ভূলতো না, তেরো বছর বয়সে যখন নিকোল মচে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম সেই কথা। আমি আমার বন্ধু বেনকে হলেইলাহ, মাই নিতোলতে পন্থন করি। (মেয়েদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে এমন লাগতো যে, লোহার সাহাজ নিতে হতো আমাকে)। বেন তার ‘হেই শন, চাম নিয়োগকে বলেছি তুমি ওকে পছন্দ করো।’ ‘ এ জবাবে তা বলো?’ দ্বিত ধিক করে হাসি আমি। কালো, ‘ওওওর, শন। ও তো মোটকু।’ হেসে ওঠে কেন। মামি একনম্ন ভেঙে পড়ি। ইচ্ছে করছিল একটা গর্তের মতো ঢুকে যাই এবং তার কোনোদিন কোনো মেয়েকে পছন্দ করবো না। তবে সেওগ্যক্রমে মমর শরীরের হরমোন জিতে যায় এবং আমি মেয়েদেরকে অথারও পন্থল করতে শুরু করি। অমর ধারণা কিছু টিনএজার যাদের অভিজ্ঞতা আমার মতোই ছিল, তাদের মতো কাজ পড়ে মায়ে কিন্তু সময়ের বড্ড অভাব। আমাকে স্কুলে যেতে হবে, হোমওয়ার্ক করার হবে, অন্যান্য কাজ, পার্টি এবং সবার ওপরে রয়েছে পরিবার। আমি শেষ হয়ে গেলাম, মামাকে বাঁচাও!’ ‘আমি নিজেকে নিয়ে কী করে সন্তুষ্ট হবো যখন কোনো কিছুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছি না? তেমিরেই তাকাই দেখতে পাই, সবাই আমার চেয়ে স্মার্ট, সুন্দর কিংবা জনপ্রিয়। আমি মনে মনে ভাবি, ‘আমি যদি ওর মতো চুল পেতাম, ওর মতো জামাকাপড় পরতে পেতাম, ওর ব্যক্তিত্ব, ওর বয়ফ্রেন্ড, সব যদি আমি পেতাম ভাঙলে আমি খুশি চতাম। নিজেকে প্রায়ই মনে হয় জীবন যেন চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।” আমার পরিবারটাই বাজে। যদি বাবা মাকে ছাড়া থাকতে পারতাম তাহলে জীবনটা উপভোগ্য হতো। ওরা সারাক্ষণ আমার সঙ্গে ঘ্যানঘ্যান করেই যাচ্ছেন, হনে হয় না কোনোদিন তাঁদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারবো।’জানি যেভাবে উচিত সেভাবে আমি জীবন যাপন করছি না। আমি দেশ্য করি, মদ খাই, সেক্স করি কী না করি? তবে যখন বন্ধুদের সঙ্গে থাকি তখন আমি এসব বাদ দিয়ে অন্য সবাই যা করে, আমিও তাই করি।’আমি আরেকটি ডায়েটিং শুরু করেছিলাম। এটি এ বছরের প্রথম প্রয়াস। আমি সত্যি বদলে যেতে চাই, তবে নিষ্ঠার সাথে এর সঙ্গে লেগে থাকতে পারি না। যখনই ডায়েট শুরু করি মনে অনেক আশা থাকে। কিন্তু কিছুদিন পরে আর ডায়েট করি না। তখন বভড বিশ্রী লাগে।” স্কুলে এ মুহূর্তে ভালো রেজাল্ট করতে পারছি না। ভালো গ্রেড না পেলে তো জীবনেও ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবো না।’ “আমি খুব মুডি এবং প্রায়ই হতাশায় ভুগি। জানি না কী করবো।” ওই সমস্যাগুলো বাস্তব আর তুমি বাস্তব জীবনকে এড়িয়ে যেতে পারো না। আমিও সে চেষ্টা করবো না। বরং তোমাকে কিছু পরামর্শ দেবো, যা বাস্তব জীবনে তোমার কাজে লাগবে। বী সেগুলো? টিনএজার বা তোমাদের জন্য সাতটি অভ্যাসের কথা বলবো, যে বৈশিষ্টগুলো বিশ্বজুড়ে সুধী এবং সফল টিনএজাররা ধারণ করে আছে। তোমরা হয়তো ভাবছো এগুলো কী? তোমাদেরকে আর রহস্যের মধ্যে না রেখে বলেই দিচ্ছি। নিচে খুব সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা হলো এগুলো সম্পর্কে। অভ্যান ১। প্রোঅ্যাকটিভ হও। তোমার জীবনের দায়িত্ব নাও। অত্যান ২। শেষটা দিয়ে শুরু করো। জীবনের জন্য তোমার মিশন এবং লক্ষ্য স্থির করো।অভ্যাস ৩। আগের কাজ আগে করো। সবচেয়ে জরুরি কাজগুলো আগে করো। অভ্যাস ৪। জেতার চিন্তা করো সবসময় ক্রেতার চিন্তা করবে। অভ্যাস ৫। আগে বুঝবার চেষ্টা করো, তারপর নিজেকে অন্যদের কাছে সেভাবে তুলে ধরো। লোকের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। অভ্যাস ৬। এঐকতান
পৃষ্ঠা:০৩
হোমওয়ার্ক সবসময় পরের দিনের জন্য তুলে রাখো। অর্থাৎ আগের কাজটা করো সবার পরে। অভ্যাস ৪। জেতা এবং হারার কথা ভাবো তোমরা জীবনকে দুটি প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখো। তোমার ক্লাসমেট তোমার পেছনে লেগেছে, তো তুমি দ্বিগুণ উৎসাহে তার পেছনে লেগে যাও। কাউকে সফল হকে দিতে চাও না, কারণ তুমি ভাবছো, সে সফল বলে তুমি হেরে যাবে।অভ্যাস ৫। কথা বলতে চাও আগে তবে পরে শোনার ভান করো তুমি জন্মেছো একটি মুখ নিয়ে, কাজেই এটির ব্যবহার তো করতেই হবে। তুমি প্রচুর কথ্য বলো। যখন তোমার কথা সবাই শোনে, তারপর তুমি অন্যদের কথা শোনার ভান করো মাত্র। আরও কিছু অর্জন করতে একসঙ্গে কাজ করো। অয়্যাস ৭। করাত ধারালো করো। নিজেকে প্রতিদিন নতুদের মতো করো। সেভেন হ্যাবিটস অব হাইলি ডিফেক্টিভ টিনেজার্স আজাদ ১: প্রতিক্রিয়া যারা হাইলি ডিফোক্টড টিনএজার তারা সমস্ত দোষ চাপিয়ে দিতে চাও তোমার বায়া-মা, শিক্ষক, পরশী, তোমাদের বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড, সরকার কিংবা অন্য কারও ওপর। তোমার ভিক্টিম হও। জীবনের কোনো দায়িত্ব নিতে চাও না। জয়- জানোয়ারের মতো হয়ে ওঠে তোমাদের অন্তরণ। ক্ষিদে পেলে গবগব করে খেরে থাকো। কেউ চিৎকার করলে পাল্টা চেঁচামেচি করো। অন্তান ২। মনে কোনো ভাবনা থাকে না ডিজেক্টিভ টিনএজারদের কোনো পরিকল্পনা থাকে না। যে কোনো উপায়ে লক্ষ্যে এগয়ে যাও। কাব্যে মাগামীকালের কথা ভাবো না। তোমার কাজের পরিণতি। কী হবে জা নিয়ে কেন ভাবছো? বর্তমান মুহূর্তের জন্য বাঁচো। ঘুরে বেড়াত, দুর্নীৎ, পার্টি করে, কারণ আগামীকাল তো আমরা মরেও যেতে পারি। অভ্যান ৩: আগের কাজ পরে প্রমের তোমাদের জীবনের সবচেয়ে জরুরি কাজগুলো ঠিকঠাক মতো কখনোই করো ন, যেন এবং দ্বাচ্চবেছিতে সময় কাটাও, ইন্টারনেটে ব্যস্ত থাকো। অভ্যাস ৬। সহযোগিতা করো না তুমি অন্যদেরকে অদ্ভুত ভাবো তাই পাত্তা দিতে চাও না। ভালো একসঙ্গে মিলে কবজ করে কুকুরের দল। যেহেতু তুমি ভাবো সবচেয়ে ভালো আইডিয়াটি তুমিই বের করেছো, কাজেই নিজেই সব করতে চা অভ্যাস ৭। নিজেকে ক্লান্ত করে তোলো জীবন নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকেন যে, নিজের উন্নতি করা বা নতুনভাবে গড়ে তোলার সময়ই পাও না। তোমরা পড়াশোনা করো না। নতুন কিছু শেখো না। ভালো বই থেকে দূরে থাকো। দেখতেই পাচ্ছো ওপরে যে অভ্যাসগুলোর কথা বলা হলো, তা তোমাদেরকে ফাংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তবু এ অভ্যাসগুলো আমাদের অনেকেই অনুশীলন করে চলেছি। এ কারণেই জীবন মাঝে মাকে বড্ড নিরস লাগে। অভ্যাস আসলে কী? অভ্যাস এমন জিনিস, যা আমরা নিয়মিত চর্চা করি। তবে বেশিরভাগ সময় এ চর্চার বিষয়ে সচেতন থাকি না। এগুলো অটোপাইলটের মতো আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিছু ভালো অভ্যাস রয়েছে, যেমন। * নিয়মিত এক্সারসাইজ করা পরিকল্পনা করে রাখো * অন্যদেরকে সম্মান প্রদর্শন
পৃষ্ঠা:০৪
রথে অভাসেন চেয়ে তুমি অনেক বেশি শক্তিশালী, তাই এগুলো বদলাতে পারবে। তুমি আয়নায় তাকিয়ে বলতে পারো, ‘হেই, আমার মধ্যে অমুক অমৃত যে জিনিসগুলো হয়েছে তা আমার পন্থা নয়।’ তখন তুমি তোমার বদভ্যাসগুলো বাদ দিয়ে পরার তাজী সবসময় সহজ না হলেও করা সম্ভব। এ বাইরে যেসব অাইডিয়ার কথা বলা হয়েছে, সবই যে তোমার কাজে লাগবে এমন নয়। তবে ফলায়না পারার জন্য তোমাকে যে একদম নিখুঁত হতে হবে এমনটিও না। কিছু অভাসের সঙ্গে বসবাস মাঝে মাঝে তোমার জীবনের অভিজ্ঞয়াকে এমনভাবে বদলে দেবে, যা কখনো সম্ভব নয় বলেই তোমার মনে৭টি অভ্যাস যেভাবে তোমাকে সাহায্য করতে পারে। তোমার জীবনে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসবে। * বস্তুলের সঙ্গে তোমার সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে। * বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে। * বাবা-মার সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করবে। তোমার আ্যালুজ সমারত করে জাগবে তোমার মন, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কোনটি। * কম সময়ে কাজ সারতে সাহায্য করবে। * ঘুম, কাজ, বন্ধু-বান্ধবসহ অন্য সবকিছুর সঙ্গে ভারসাম্য তৈরি করবে। শেষ একটি কথা। বইটি তোমার জন্য লেখা। কাজেই এটি ব্যবহার করো। পেন্সিল, কলম কিংবা মাইলাইটার নিয়ে বসে যাও। দাগ দাও। আন্ডারলাইন করতে ভয় পেয়ো না। তোমার প্রিয় আইডিয়াগুলো চাইলাইট করো অথবা বৃত্ত এঁকে দাও। মার্জিনে নোট নাও। যে গল্পগুলো তোমাকে অনুপ্রাণিত করেছে সেগুলো আবার পাড়া। যেসব কোটেশন তোমাকে আশার বাণী শুনিয়েছে, সেগুলো স্মরণ করো। তো আর চী। এখন ধরটি নিয়ে বসে যাও।
প্যারাডাইম এবং নীতি তুমি যা দেখবে, তুমি তাই পাবে।
পৃষ্ঠা:০৫
নিচে যে সেটটমেন্টের তালিকা দেয়া হলো, তা বহু বছর আগে এ বিষয়ে এক্সপার্টরা বলে গেছেন। এক সময় বলা হতো এগুলো খুব বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য। পরে প্রমাণ হয় এসব নির্বোধের উক্তি। সর্বকালের সেরা ১০ নির্বোধ উক্তি ১০. সবার বাড়িতে একটি করে কম্পিউটার থাকার কোনো মানেই হয় না।’ -কেনেথ ওলযেন, ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশদের সস্নাপতি এবং প্রতিষ্ঠাতা, ১৯৭৭ ৬৯ ‘এরোপ্লেন চিত্তাকর্ষক খেলনা, তবে এগুলোর কোনো সাধারণ মূল্য নেই।’ -মার্শাল ফার্দিনান্দ ফয়, ফরাসী সামরিক কুশলবিদ এবং ভবিষ্যৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কমান্ডার, ১৯১১ :০৮. বিজ্ঞানের মতই উন্নতি হোক না কেন, মানুষ কোনোদিন টানে পৌছাতে পারবে না। -ড. লিডি ফরেস্ট, অডিওন টিউবের আবিষ্কর্তা এবং রেডিওর স্নানক, ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ ০৭. ‘চালু হওয়ার ছয় মাস পরেই টেলিভিশন কোনো বাজার ধরে রাখতে পারবে না। লোকে প্রতিরাতে একটি প্লাইউডের বাক্সের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ক্লাজ হয়ে যাবে। “ডেবিল এফ, বানুক, টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি মন্ত্রের প্রধান, ১৯৪৬ ০৬, ‘ওদের শব্দ আমাদের পছন্দ হয়নি। গিটারের গ্রুপের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’ ১৯৬২ সালে দ্য বিটলসকে প্রত্যাখ্যানের পরে ডেকা রেকর্ডস। ৩৫. ‘বেশিরভাগ মানুষের জন্য তামাক একটি মঙ্গলজনক প্রভাব রাখবে “ড. আয়ান জি, ম্যাকডোনাল্ড, লস এঞ্জেলেস সার্জন, ১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর নিউইয়র্ক পত্রিকায় এ মন্তব্য করেন। ০৪. ‘এই টেলিফোন’ যন্ত্রটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে। এটির আমাদের কাছে কোনো মূল্য নেই।’ “ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ইন্টারভ্যাল মেমো, ১৯৭৯ ০৩. ‘পৃথিবী ব্রহ্মায়ের কেন্দ্রবিন্দু।’
পৃষ্ঠা:০৬
-টাংমি, প্রখ্যাত মিশাইয় জ্যোতির্বিদ, দ্বিতীয় শতক। ০২. আছে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই ঘটেনি।’ -প্রজা তৃতীয় বার্ড, ৫ জুলাই ১৭৭৬ (আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস)। ৪১. তা আবিষ্কার হওয়ার সব প্রবিষ্কার হয়ে গেছে।” কারাদি এইচ জুয়েল, ইউএস কমিশনার অব প্যাটেন্ট, ১৮৯৯। এগ্রোক্ষণ এ লেখাগুলে পড়লে। এবার তোমাদের মতো সতি টিনএজাররা যেসব স্টেটমেন্ট করেছো, সেগুলোর একটি তালিকা এখদেও স্বাক। এরা কথা হয়তো তোমরা আগেও শুনেছো এবং এগুলো যায় ভাবিভটের মতোই হাস্যকর। আমার পরিবারের কেউ কোনোদিন ইউনিভার্সিটিতে যায়নি। আমি ভাবীও ভর্তি হতে পারবে ভাবাটাই তো পাগলামী।’ ‘কোনো লাভ হবে না। আমার সৎ বাবার সঙ্গে আমার কোনোদিনই মিসহ না। কারণ আমরা দু’জনে একদমই আলাদা। স্মার্ট হওয়া মুখের কথা নয়।’ ৩ দেখতে এতো সুন্দরী-বাজি, ও প্রচন্ড অহংকারী। সঠিক মামুটির সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তুমি জীবনে সামনে এগোতে পরা ‘অমি? যোগা হয়ে গেছি? ঠাট্টা করছো? আমার গোটা পরিবার মোটা যন্ত্রা * এখানে চাকরি পাওয়া অসন্তুব, কারণ কেউ এ এলাকায় টিনেজারদেরকে যা নিয়ে মায় না।’ প্যারাডাইম কী জিনিস? স্টেটমেন্টের যে দুটি ডালিকা দেয়া হলো, তাতে মিল কোথায়? মিল আ প্রথম মিল রয়েছে তাদের পারসেপশন বা উপলব্ধিতে। দ্বিতীয় মিলটি আই উক্তিগুলো সঠিক নয় কিংবা অসমাপ্ত। যদিও যারা বেসব কথা বলেন, উর্তে ধারণা তাঁরা ঠিক কথাটিই বলেছেন। পারসেপশনের সমার্থক আরেকটি শব্দ হলো প্যারাডাইম। প্যারাডাইম হা তুমিও দেখছো, তোমার দৃষ্টিওক্তি, তুমি যা বিশ্বাস করছো ইত্যাদি। বা উদাহরণ। দৃষ্টান্ত কিছু সীমাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। যেমন, তোমার ধারণা তুমি তোমার করেছেন, পৃথিবীই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের জেমারা। আরপর যরো ওই কিশোরীটির কথা যে আবছে, তার সৎ বাপের সঙ্গে তার কোনোদিন মিল মহকরত হবে না। এটা তার প্যারাডাইম, সে কি আদৌ কখনো মিল মহব্বতের চেষ্টা করেছে? সম্ভবত নয়, কারণ মনের ওই বিশ্বাসই তাকে বাধয়াস্ত করেছে। প্যারাডাইম চশমার মতো। তুমি যদি জীবনে অসমাপ্ত দৃষ্টান্ত বা উদাহরণ গ্রহণ করো সেটি হবে ভুল উপলব্ধির চশমা পরার মতো। এই চশমার কাচ তুমি যা দেখতে চাইবে তাই দেখাবে। তুমি যদি মনে মনে নিজেকে বোকা ভাবো, তবে মনের বিশ্বাসই তোমাকে বোকা বানিয়ে ছাড়বে। তুমি যদি মনে করো তোমার বোন একটি বোকা টাইপের মেয়ে, নিজের বিশ্বাসকে সমর্থন করতে তুমি প্রমাণ চাইবে, পেয়ে যাবে এবং সে তোমার চোদে বোকাই থাকবে। আবার নিজেকে স্মার্ট ভাবলে এ বিশ্বাস তোমাকে স্মার্ট করে তুলবে। ক্রিস্টি নামে এক কিশোরী একবার আমাকে বলেছিল, সে পাহাড়-পর্বত খুব ভালোবাসে। একদিন যে তার চোখের ডাক্তারের কাছে গেল এবং জানলো, তার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। নতুন চশমা দিল সে এবং নতুন একটা জগত খুলে গেল আর সামনে। যেসব জিনিস আগে খুঁটিয়ে দেখতো না, সেগুলোও চমৎকার দেখতে পেত। ব্যাপারটি এরকমই। আমরা আমাদের প্যারাডাইম গুলিয়ে ফেলি বলে বুঝতে পারি না, কতোকিছু মিস করছি অনবরত। আমাদের নিজেদের ব্যাপারে, অন্য লোকদের ব্যাপারে এবং জীবন দিয়ে আমাদের দৃষ্টান্ত রয়েছে। একবার চোখ বুলানো যাক।
পৃষ্ঠা:০৭
নিজের হ্যাপারে প্যারাডাইম/দৃষ্টান্ত বিয়েতে গ্রন্থ করে তোমার নিজের প্যারাডাইম কি তোমাকে সহয় আছে বাকি তোমাকে পেছনের দিকে ঠেসে নিয়েজ? সিয়েছিল। করে তার ক্লাসমেট লিন্ডা প্রতিযোগিতায় ন দিতে চাইছিল না। গিস্টে হোমর নামে দেখো, পিতা’ বললো রেবেকা। ‘মা. হামি প্রতিয়োগিতায় পারবো না।’ হতে পারবে। অনেক মজা হবে দেখো। মা, মাটি আসসে এ প্রানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মতো মেয়ে না। অফশ্যই তুমি এ ধরনের মেয়ে। তুমি খুব ভালো করবে, দেখো!’ কলে যে সহ অন্যরা বিয়াকে উৎসাহ যোগাতে লাগলো যাতে সে প্রতিযোগিরঃ। এই সাত বছর পরের ঘটনা। লিন্ডর কাছ থেকে একখানা চিঠি দে। আসেনা। তারে সে প্রতিযোগিতায় নাম দেয়ার দিনটির কথা উল্লেখ গ্য লিখেছে, সেদিন তার মনের মধ্যে কতো দ্বিধাদ্বশ কাজ করছিল এবং রেবেকাস বন্যহদে দিল তার ফেতরের ভূলিঙ্গ প্রজ্জ্বলিত করার জন্য, যে আলো ও জীবনটাই বদলে দেয়। পিতা জানায়, স্কুলে সে তার সেলফ ইমেজ নিয়ে ব্যা শাড়িখা বারতো এবং এই প্রতিযোগিতার জন্য রেবেকা তার নাম দিতে বল সে ইতিমত চমকে গিয়েছিল। রেবেকাসহ অন্যদের জোরাজুরি থেকে চো পেতে ভরদের যে ডালিকায় নাম দিতে রাজি হয়। লিয়া বলে, প্রতিযোগিতাটি নিয়ে সে এমন অস্বস্তিতে ছিল যে, প্রতিদিন সংগঠকের কাছে গিয়ে তালিকা থেকে নিজের নামটি বাদ দিতে বলে। যা রেবেকার মরো নংগঠকও বলে, নিভা যেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।অবশেষে অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজি হয় লিভা। তবে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সাহস দেখিয়ে বিভা মিল ভেতরে নতুন একটি আংলো দেখতে পায়। পরে সে রেবেকাকে এবার জানিয়েছে অন্তরের অন্তস্থল থেকে, তার চোখ থেকে বিকৃত চশমাটি খুলে গো সেটা মাছড়ে চেত্রে নতুন একটি চশমা পরার অনুরোধ করার হানা। এই প্রতিযোগিতায় লিপ্তা যদিও কোনো পুরস্কার জিততে পারেনি, থবেগ একটি বাধা তার সামনে থেকে অপসারিত হয়ে যায়। নিজের সম্পর্কে নিচু ধারণা। আর তার উদারগণ অনুসরণ করে তার ছোট দুই বোনও পরের বছরগুলোয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। পরের বছর লিভা পরফেক্ট হয়ে ওঠে প্রতিযোগিতার জন্য, সে হয়ে ওঠে প্রাণোচ্ছল এবং হাসিখুশি। লিন্ডা যে অভিজ্ঞতার মাঝ দিয়ে গিয়েছে আকে বলে ‘প্যারাডাইম শিল্পটি। এর অর্থ হলো, হঠাৎ করে সবকিছু তুমি নতুন চোখে দেখতে শুরু করবে, মন্ত্রন নতুন পথ খুলে যাবে তোমার সামনে, যেন একটি নতুন চশমা পরেছো চোখে। নেতিবাচক সেলফ প্যারাডাইম/দৃষ্টান্ত আমাদের ওপর সীমাবদ্ধতা এনে দিতে পারে। ইতিবাচক সেলফ-প্যারাডাইম/দৃষ্টান্ত নিয়ে আসে আমাদের সেরাটা। উদাহরণ হিসেবে নিচের গল্পটি বলা যায়। এ গল্প ফ্রান্সের রাজা বস্তুদশ দুই-০৫। রাজা দুইয়ের কাছ থেকে সিংহাসন কেড়ে নিয়ে তাঁকে কারাবন্দি করা হয়। ভার তরুণ যুবরাজ পুত্রকেও রাজার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা বন্দি করে। তারা ভেবেছিল, রাজার ছেলে যেহেতু রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী কাজেই তাঁকে নৈতিকভাবে ভাংদ করা না গেলে তিনি কখনও বুঝতে পারবেন না, নিয়তি তার জন্য কী নিয়ে এসেছে। তা যুবরাজকে অনেক দূরে নিয়ে যায় এবং নানাভাবে অত্যাচার করতে থাকে। দামী দামী খাবার খাওয়ার লোভ দেখাতো। সারাক্ষন নিয়োসের মধ্যে তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতো। তাকে অপমান এবং অসম্মান করতো। দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা পাহারা দিয়ে রাখতো। টানা ছয় মাস তাঁর সঙ্গে এরকম বিশ্রী আচরণ করা হয়। কিন্তু তরুণ যুবরাজ এক মুহূর্তের জন্যেও ভেঙে পড়েননি। শেষে তারা তাঁকে প্রশ্ন করে-তিনি কীভাবে মনোবল অটুট রেখেছেন। তাঁর কামনা-বাসনা পূরণ করার জন্য সুন্দরী নারীদেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু যুবরাজ ভাদের দিকে ফিরেও তাকাননি। জবাবে তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে যেসব কাজ করতে বলেছিলে তা আমি করতে পারিনি। কারণ, এসব আমাকে মানায় না, আমার জন্যই হয়েছে রাজা হওয়ার জন্য এবং আমি রাজকীয় আচরণ করতেই অভ্যাস্ত। যুবরাজ লুই নিজের দৃষ্টান্তের বিষয়ে অত্যন্ত দৃঢ় ছিলেন বলে কোনোকিছুই তাঁকে টলাতে পারেনি। আর বাস্তব জীবনে তুমি যদি বিশ্বাস করো, ‘আমি এ কাজটি করতে পারবো’ তাহলে নিশ্চয় পারবে।
পৃষ্ঠা:০৮
SORRY, GUYS, WE CAN’T DO EVERYTHING TOGETHER! এ পর্যায়ে তুমি ভাবতে পারে আমার নিজের দৃষ্টান্ত যদি দোমরান মেস্তড়ানো অবস্থায় থাকে, তাহলে আমি এটি ঠিক করবো কীভাবে?এর একটি উপায় আছে। তুমি এমন করে সময় কাটাবে যে, তোমারে বিশ্বাস করে, তোমার ওপর আস্থা রাখে এবং তোমাকে গড়ে তুলতে সহম করবে। আামার মা আমার জন্য এরকম একজন মানুষ ছিলেন। বড় হওয়ার কথা আমার ওপর সবসময় বিশ্বাস রাখতেন আমার মা। বিশেষ করে যখন নিয়ো ব্যাপারে সন্দীহান হয়ে উঠতাম। তিনি সবসময় বলতেন, ‘শন, তোমার অবশা ক্লাস ক্যাপ্টেন হওয়া উচিত।’ এবং ওকে অনুরোধ করো। আমি নিশ্চিত তোমার সঙ্গে বাইরে যেতে পছন্দ করবে।’ আমার যবনই মান ইতিবাচক ধারণা জাগ্রত হওয়ার প্রয়োজন পড়তো মা’র সঙ্গে কথা বলতাম এবং তিনি আমার চশমার কাচ পরিষ্কার করে দিতেন। যে কোনো সফল মানুষকে জিজ্ঞেস করো, তিনি বলবেন তাঁর এমন কোন সঙ্গী ছিলেন যিনি উকে বিশ্বাস কররেন। সেই লোকটি হতে পারেন শিক্ষক, বা বাক-মা, কোনো গার্ডিয়ান, বোন, দাদীমা যে কোনো একজন লোক হলেই হলে এবং গ্রিন কে তা সুধা ন্য, এ লোকটিকে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই এই জন্য ঘর থেকে কিছু শিখতেও দ্বাপরি দেন না থাকে। এদের কাছে পরমণের জন্য শুও। তাঁর তোমাকে যেগ্রাবে দেখেন, সেভাবে নিজেকে দেখার এর করো। নতুন চশমা পরলে সরাকন্তু যেমন বদলে যায়! একদা একজন বলেছিলেন ঈশ্বর তোমাকে যা বানতে চেয়েছেন সেটি যদি তমি কল্পনা করছে। পারো, তাহলে তুমি উঠে গাঁড়াতে পারবে এবং আর আগের মতো থাকবে না। মাঝে মাঝে সঙ্গী হিসেবে হয়তো কেউ জুটবে না। তখন একাই চাতে হবে পথ। এরকম যদি হয়ে থাকে তাহলে পরের অধ্যায়টি মনোযোগ সহকারে পাঠ করো। তোমার সেলফ-ইমেজ গড়ে তুলতে এটি সাহায্য করবে। অন্যদের দৃষ্টান্ত নিয়েদের ব্যাপারেই শুধু আমাদের প্যারাডাইম/উদাহরণ নেই, অন্যদের বিষয়ের রয়েছে। বেকি আমাকে তার প্যারাডাইম/দৃষ্টান্ত শিফট সম্পর্কে গল্প বলেছে। ক্লাস সিস্তে পড়ার সময় আমার একটি বন্ধু ছিল কিম নামে। খুব ভালো মানুষ ছিল। কিন্তু সময় গড় বয়ে যেতে লাগলো অতই সে যেন কেমন বদলে যেতে থাকলো। একটুতেই সে অপমানিত বোধ করতো এবং রেগে যেত। ও হয়ে উঠেছিল মুডি এবং ওর সঙ্গে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছিল। ফলে ওর সঙ্গে আমার এবং আমার বন্ধুদের ক্রমে একটি দূরত্ব তৈরি হয়ে যাচ্ছিল। একসময় আমরা তাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো পর্যন্ত বন্ধ করে দিই। এই বছর গরমের ছুটি বাড়ি কাটিয়ে স্কুলে ফিরেছি, আমার এক ভালো বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলাম। সে আমাকে স্কুলের সমস্ত খবরাখবর দিচ্ছিলো। নানান গসিপ, কে কার সঙ্গে ডেট করছে ইত্যাদি। হঠাৎ সে বলে উঠলো, ‘আচ্ছা, তোমাকে কি কিমের কথা বলেছি? আজকাল খুব কঠিন সময় যাচ্ছে তার, কারুণ ওর বাবা-মা’র ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। তাই কিমের খুব মন খারাপ।’ এ কথা শোনার পরে কিমের ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গি একদম বদলে যায়। ভর আচরণে বিরক্ত হওয়ার বদলে ওর জন্য আমার খুব মায়া হতে থাকে। মনে হয় ওর প্রয়োজনের সময় আমি ওকে ত্যাগ করেছি। শুধু এই ছোট্ট একটি তথ্য জানার পরে কিমের প্রতি আমার সমস্ত অ্যাটিটিউডের পরিবর্তন ঘটে। এটি ছিল প্রকৃত অর্থেই একটি চোখ খুলে দেয়া অভিজ্ঞতা। আসলে আমরা অনেক সময়ই লোকের সম্পর্কে কিছু না জেনেই উল্টাপাল্টা ভেবে বসে থাকি। জীবনের দৃষ্টান্ত নিজেদের এবং অন্যদের উদাহরণ ছাড়াও সাধারণভাবে পৃথিবীকে নিয়েও আমাদের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। নিজেকে প্রশ্ন করেই তুমি তোমার উদাহরণ সম্পর্কে জেনে নিয়ে পারো। আমার জীবনের চালিকা শক্তি কী?’ ‘আমি কী ভেবে আমার সময় কাটাই?’ অথবা ‘কে বা কী আমার অবসেশন?’ তোমার কাছে
পৃষ্ঠা:০৯
কচয়ে যেটি হরুত্বপূর্ণ সেটিই হতে পারে তোমার দৃষ্টান্ত বা তোমার পাইত বেশীর। বিশোর-বিশ্যেরীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লাইফ সেন্টার হয়ে বাবলা, খেলাধুয়া, শখ ইরানি। এখলের প্রতিটিস হলো পাণ্যে রয়েছে, তবে এগুলো এক বা অন্য কোনোকতা এরপূর্ণ বোন যেয়ে পরে এবং আমি তোমাদেরকে সেটাই দেখাবে গে, ৩ মোমেনা বোমদের জীবন এসবের ওপর পুরোপুরি কেন্দ্রীভূত করে, তাহলে স ভালগোণ পালিয়ে যেতে পারে। একদা বন্ধু শারার মতো মায়ামার আর কিছু নয় এবং সবচেয়ে বাজ ব্যাপার যদি এক যত্নে বারতে হয়। বন্ধুরা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তাই বলে কখনও বন্ধু-কেন্দ্রিক হ্যায় পড়ো না। কেন? কারণ মাঝেমধ্যেই তারা বদলে যাং বন্ধুত্বের প্রতি অনুগত থাকে না। কখনও বা দেখা যায় তারা জুয়া। মাঝেময়ে প্রায় আড়ালে তোমাকে নিয়ে সমালোচনা করে, অথবা নতুন কারও সঙ্গে বন্ধ্য গড়ে তুলে তোমার কথা ভুলে যায়। এদের মতিগতির বালাই নেই। বিশ্বাস হলো বা নাই করে, এমন একটা দিন আসবে যখন বন্ধুরা তোমা জীবনের সবচেয়ে সেরা হিসেবে থাকবে না। স্কুল জীবনে আমার খুব ভাল একটি বস্তুর নল ছিল। আমরা সবকিছুই একসঙ্গে করতাম। এদেরকে আমি ভালোবাসতাম। যমে হতো এ দোয়ী কছু ভাঙবে না। কিন্তু খুব হেরে ওন্য আরেক জায়গায় যাওয়ার পরে অবাক হয়ে বন্ধ কয়েছি, আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে খুব কমই দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। আমরা দূর থাকতাম, নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, নতুন চাকরি এবং পরিবারের পেছনে সম যায় ইতাদি আমাদের দিনগুলোকে কেড়ে নিচ্ছিল। কিশোর বয়সে এসব নিয় বুচতেই পারিনি। যত ইচ্ছে বন্ধু গড়ে তোলো, তবে ওদেরকে কেন্দ্র করে নিজের জীবন গড়ে তুলে ন. এটি একটি অস্থিতিশীল চিত্তিমূল। মার মতে অমর পৃথিবীকে দেখি ভোগ্যপণ্যের চশমা দিয়ে। আমনা এমন একটি যায়টরিয়াল জগতে বাস করি, যেখানে ভোগ্যপণ্যটাই আসল উ উঠেছে। অময় সবচেয়ে দ্রুতগামী গাড়ির মালিক হতে চাই, চাই সবমেয়ে গুণ হায়দার, সেটও স্টেরিও, সেরা ঘোরস্টাইলসহ আরও অনেক বিষ্ণু য আমাদের জন্য এনে দেবে সুখ। ভোগাপণ্য ভোগ করতে কোনো দোষ নেই। তবে আমাদের জীবন যেন ভোগ্যপণ্যকেন্দ্রিক হয়ে না ওঠে। শেষ পর্যন্ত এসবের কিন্তু কোনোই মূল্য থাকে না। আমাদের আত্মবিশ্বাস আসা উচিত ভেতর থেকে, বাইরের জিনিসপত্র দেখে না। আমি একটি মেয়েকে চিনতাম, সে খুব সুন্দর সুন্দর এবং দামী জামাকাপড় পরে স্কুলে আসতো। খুব কমই তাকে একই জামা দু’বার পরতে দেখেছি। আমি তাকে ভালো করে লক্ষ্য করে বুঝতে পারি, তার সমস্ত মাহবিশ্বাসের মূল এই ভামী দামী পোশাক। সে কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বললে আপাদমস্তক খুঁটিতে দেখতো যে, তার মতো সুন্দর এবং দামী জামা পরেছে কিনা মেয়েটি। এর ফলে মেয়েটির মধ্যে একটি সুপিরিয়রিটি কমপ্লেজ গড়ে ওঠে। যে ছিল ভোগ্যপণ্য কেন্দ্রিক। এ কারণে এ মেয়েটিকে আমার মোটেও পছন্দ হতো না। বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেডকেন্দ্রিক কোনো ছেলে বা মেয়েই বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্দকেন্দ্রিক হয় না? ধরো, চোমসের জীবন ভার গার্লফ্রেন্ড নাতাশাকেন্দ্রিক। এখন দেখা যাক নাতাশা জেমসের জীবনে কীরকম প্রভাব রাখছে। নাকাশার কর্মকাণ্ড
১. একটা নির্ভুত মন্তব্য করে বসলো ২. জেমসের বেস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে ফ্লার্ট করলো আমার দিনটাই গেল মাটি হয়ে।’ ‘আমার সঙ্গে বিট্রে করেছে। আমি আমার বন্ধুকে ঘেন্না করি। “আমার জীবন শেষ।
৩. আমার মনে হয় আমাদের অন্য কারও সঙ্গে ডেট করা উচিত জেমসের প্রতিক্রিয়া তুমি আমাকে আর ভালোবাসো না।’ মজার ব্যাপার এই যে, তুমি যতই একজনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে ততই ওই মানুষটি তোমার প্রতি আকর্ষণ হারাতে শুরু করবে। কীভাবে সেটা? প্রথমত, তুমি যদি ব্যাক্তিকেন্দ্রিক হয়ে ওঠো, তাহলে তুমি অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে উঠবে। দ্বিতীয়ত, বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর যে, একজন মানুষ তার গোটা ইমোশ- নাল নাইফ তোমাকে ঘিরে তৈরি করে রেখেছে। যেহেতু এদের নিরাপত্তার বিষয়টি তোমার কাছ থেকে আসছে, গুদের ভেতর থেকে নয়, কাজেই তারা তোমার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আমি যখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে ডেটিং করতাম, তখন যে বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে আকর্ষণ করতো তা হলো, সে তার জীবন আমার ওপর চাপিয়ে দিতে
পৃষ্ঠা:১০
এইতো না। একবার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ডেটে সে যায়নি। স্রেফ হেসে এবং কোলোরের কথা আমাকে প্রত্যাখান করেছিল। আমার কাছে। বেগেছিল। ও ছিল ভক্তিত্বসম্পন্ন এবং বাঁয়ান। নিচের কথা হলে চলতো। বিশ্বাস ক্যাং, তুমি চলো ব্যক্রেতা এবং গার্লফ্রেন্ড হতে পারবে যদি তোমার পানিয়রেন্ডির নল হয়। কারও ওপর নির্ভর করব চেয়ে স্বাধীনভাবে চলা অনেক জল্যে। বাছাড়া কারও ওপর খুব বেশি ঝুঁকে গেলে তার মানে এই নয় যে, তুমি তার প্রতি দেশি বেশি ভালোবাসা দেখারো। আদলে তুমি তার ওপর নির্ভরশীদ হয় ইন্দ্রে বাগ্রেড-গার্লফ্রেন্ড বাদার, শুধু তাদেরকে নিয়ে মোহাচ্ছন্ন হয়ে নন পড়লেই হলো। কারণ তারা যতই অন্যরকম হোক না কেন, সাধারণত এসব স্কুলকেন্দ্রিক কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায়, তাদের জীবন হয়ে পড়েছে স্কুলকেন্দ্রিক। ফুল কেন্দ্রিক জীবন হওয়ার জন্য লিসার আফসোসের সীমা নেইলে বলেছে। আমি মামা বেশি উন্নকোলজী এবং স্কুলকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছিলাম যে, কিশোর জীবনটাকে উপভোগ ক্যাডই পারিনি। এতে আমি অনেকটা স্বার্থপর হয়ে উঠি, কারণ সারাক্ষণ শুধু নিজেকে আয় নিজে কী করেছি তা নিয়ে ভাবতাম। তেরো বছর বয়সে আমি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার মতো কঠোর পরিশ্রম করতাম। আমি হতে চেয়েছিলাম শ্রেন সার্জন। কারণ মনে হয়েছিল এটি সবচেয়ে কঠিন বিষয়। আমি প্রতিদিন সকাল ছয়টর ঘুম থেকে উঠতাম এবং রাত দুটোর আগে ঘুমাতে যেতাম না। সারাক্ষণ পড়াশোনা করতাম। ভাবতাম মামার লক্ষ্য অর্জন করতেই হবে। আমার মনে হতো আমার শিক্ষক এবং ক্লাসমেটরা আমার কাছ থেকে এরকমটাই আশা করতো। আমি পরীক্ষায় ভালো নম্বর না পেলে তারা অবাক হতো। আমার বাবা-মা আমাকে পড়াশোনার জন্য চাপ দিতেন না, তবে আমার প্রত্যাশা ছিল অসীম। এখন বুকতে পারছি, আমি যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তার জন্য অত কঠোর পরিশ্রম না করলেও চলতো এবং আমি জীবনটাকে খানিক উপভোগ করতেও পারতাম। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য পড়াশোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটির অগ্রাধিকার দেয়া উচিত সবার ওপরে। তবে পড়ালেখা যেন আমাদের জীবনটাকেই গ্রাদ না করে ফেলে। স্কুলকেন্দ্রিক কিশোর কিশোরীরা পরীক্ষায় ভালো নম্বর তুলবার জন্য এমন মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে যে, তারা ভুলে যায় স্কুলে আস্যর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল কিছু শেখা। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে প্রমাণ করেছে, স্কুলে খুব ভালো ফলাফল করেও একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা বাবা-মা-কেন্দ্রিক বাবা-মা তোমাদের জীবনের স্নেহ-ভালোবাসা এবং গাইডেন্সের শ্রেষ্ঠতর উৎস হতে পারেন এবং তোমরা বাবা-মাকে অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মান করো, তাই বলে জীবনটাকে ধাবা-মা-কেন্দ্রিক করে ফেলো না এবং শুধু তাঁদেরকে খুশি করার জন্য জীবন যাপন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে। (একথা আবার তোমাদের বাবা-মাকে বলতে যেয়ো না। তাহলে তাঁরা হয়তো বইটি তোমাদেরকে পড়তেই দেবেন না… আরে না, ঠাট্টা করছিলাম) বাবা-মা-কেন্দ্রিক হওয়ায় একটি মেয়ের জীবনে কী ঘটেছিল তা তার জবানীতেই শোনা যাক। আমি সবসময় কঠোর পরিশ্রম করতাম। জানতাম তাতে আমার বাবা-মা খুব খুশি হবেন। আমি ছয়টি পরীক্ষায় ৪০ পেয়েছিলাম, একটিতে শুধু ৪০। এতেই আমার বাবা-মা’র চোখে ঘনিয়ে আসে আঁধার। তাঁরা জানতে চান, কেন
পৃষ্ঠা:১১
আটে ৪৮ পেলাম, ১০ নয়। আমি তখন বহুকষ্টে কাড়া আটকেছি। এঁরা আমার পরবর্তী দুই বহর আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করি যাদা-মাকে খুশি করাঃ জল। আমি নেটবল খেলতাম যাতে তাঁরা খুশি হন–কারণ তাঁরা আমাকে কখবে খেলাধুলা করতে দেখেননি। আমি ক্লাসের সেরা ড্যই ছিলাম। সবদদ্ধ ১০ পেমেছি যেমনটা তাঁরা আশা করেছিলেন। আমার ইংবা ছিল কলেজের পড়াশোনা শেষে টিচার হবো। কিন্তু ওতে বেতন কম বলে বাবা-মা রাজি ছিলেন না। তাঁরা চাইতেন আমি অন্য কিছু বরি। আমি যে সিদ্ধান্তই নিভাস, মনে প্রশ্ন জাগতো বাবা-মা কি আমাকে এটা করায় দেবেন্য যাঁরা কি এ নিয়ে গর্ববোধ করতে পারবেন? ওরা কি আমাকে ভালোবাসেন? হবে আমি যাই করেছি তা যথেষ্ট ছিল না। আমি আমার গোটা জীবন খেলব লক্ষ্য অর্জনের জন্য বয়ে চলেছি, বাবা-মা’র পছন্দই হয়েছে কিন্তু আমাকে তা সন্ত্রই করতে পারেনি। আমি দীর্ঘদিন ধরে শুধু আমার বাবা-মাকে খুশি করেই গিয়েছি। কিন্তু নিজেকে মনে হয়েছে মূল্যহীন, অপদার্থ, অকিঞ্চিৎকর অবশেষে আমি বুঝতে পারি, যদি নিজের মতো করে চলতে না পারি, নিরের মতামতকে গুরুত্ব না দিই, স্রেফ কাসে হয়ে যাবো। তারপর থেকে আমি নিজের মতো করে চলতে হক করি। এখন আমি অনেক ভালো এবং সুখে আছি। বাবা-মাও তাঁদের ভুল বুঝতে পেরেছেন, আমাকে এতদিন চাপে রেখেছিলেন বলে তাঁরা ক্ষমা চেয়েছেন। মনে পড়ে না আমার আঠারো বছরেও আগে বাবা কখবে আমাকে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ তথাটি বলেছেন কিনা। তবে এটি তিনি যেদিন হললেন, মনে হলো এরচেয়ে মধুর বাক্য পৃথিবীতে নেই। আমি এখনও আমার বাবা-মায়ের মতামতের মূলা নিই, তবে নিজের জীবনের সমস্ত দায়দায়িত্ব নিজেই নিয়ে নিয়েছি এবং নিজেকেই সবার আগে খুশি ক্যার চেষ্টা করি।
আরও কিছু বিষয়: স্পোর্টসকেন্দ্রিক, ডরেকেন্দ্রিক, শত্রুকেন্দ্রিক, আত্মকেন্দ্রিক, এরকম আগে কিছু বিষয় রয়েছে, যা টিনেজারদের চলার পথে বাবার সৃষ্টি করে। কেউ কেউ আছে খেলাধুলায় এতো বেশি হজে যায় যে, এটা ছাড়া অন কিছু চিন্তাই করতে পারে না। কেউ হয় হিরোকেন্দ্রিক। হয়তো তুমি তোমার জীবন গড়ে তুললে কোনো রক তারকা, বিখ্যাত অ্যাথলেট বা
প্রভাবশালী: রাজনীবিদের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তাঁরা যখন মারা যাবেন তখন কী হবে? তোমার স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটবে। কেউ আছে শত্রুকেন্দ্রিক। সারাক্ষণ চিন্তা করে তার চারপাশের সবাই শত্রু, সবাই তাকে ঘৃণা করে। অনেকটা ক্যাপ্টেন হুকের মতো, গায় সারাজীবন কিনা কেটেছে পিটারপ্যানকে ঘৃণা করে। অনেকেই আত্মকেন্দ্রিক হয়। এরা ভাবে জীবন এবং পৃথিবী শুধু তাকে নিয়েই ঘুরছে। তোমরা যদি আত্মকেন্দ্রিক হও, দেখবে সারাক্ষণ নিজেয় এ অবস্থা নিয়ে দুশ্চিতায় আছো। এসব ‘কেন্দ্রিকতা’ খুব বাজে জিনিস। এতে জীবনে কোনো স্থিতি আসে না। বলছি না যে আমাদের কোনো কিছুতেই দক্ষ হওয়ার প্রয়োজন নেই, কিংবা বন্ধুবান্ধব অথবা বাবা-মা’র সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তোলার দরকার নেই। অবশ্যই আছে। তবে নিজের গোটা অস্তিত্ব এবং প্যাশন বা আবেগের মধ্যে একটি ফারাক রাখা দরকার। এবং এ সীমারেখাটি আমাদের কারোরই ডিঙানো উচিত নয়।
নীতিকেন্দ্রিক-আসল জিনিস: আমরা শূন্যে বল ছুড়ে মারলে সেটি মাটিতে এসে পড়বে। এটি প্রকৃতির আইন বা মূলসূত্র। এরকম অসংখ্য আইন বা নীতি রয়েছে যা ফিজিক্যাল পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছে, মানুষের দুনিয়া। এসব নীতি কোনো ধর্মীয় বিষয় নয়। তারা নয় আমেরিকান কিংবা চাইনিজ। তারা তোমার বা আমার নয়। এ নীতি বা আইন ধনী গরীব, রাজা-প্রয়ৎ, পুরুষ-নারী সকলের জন্য সমান। একে কেনা বা বিক্রি করা যায় না। তুমি নীতি নিয়ে চললে শ্রেষ্ঠতর হবে, নীতিভ্রষ্ট হলে ব্যর্থ হবে। যেমন ধরো-সততা একটি নীতি। সেবা একটি নীতি। ভালোবাসা একটি নীতি। কঠিন পরিশ্রম একটি নীতি। সম্মান, কৃতজ্ঞতা, সংযম, বিশ্বস্ততা, দায়িত্ব ইত্যাদি সবই নীতি। এরকম বহু নীতি রয়েছে। এগুলোকে চেনা কঠিন নয়। কম্পাস যেমন সবসময় উত্তর দিকে দিক নির্দেশ করে তোমার অন্তরও প্রকৃত নীতিগুলো চিনে নিতে পারবে।
নীতি কখনো ব্যর্থ হয় না: নীতি নিয়ে বসবাসের জন্য মনে বিশ্বাস রাখতে হয়, বিশেষ করে তুমি যখন এমন এক পৃথিবীতে বাস করছো, যেখানে চলছে মিথ্যাচার, ঠকবাজি, শোষণ ইত্যাদি।
পৃষ্ঠা:১২
ও বোধহয় এতক্ষণে মারা গেছে, বললেন অফিসার। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এর লাগ নিয়ে আামাতে যাওয়ার কোনো মানে হয় কিন্তু ছেলেটি বার বার আকুতি মিনতি করলে অফিসার শেষে তাকে অনুমতি নিলেন। তবে দৈনিকটি ভাইকে কাঁধে ফেলে নিজের কোম্পানিতে ফিরে আসার সময় সে মারা গেল।দেখলে,’ বললেন অফিসার, ‘তুমি খামোকা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছো। মা’ জবাব দিল টিম। ‘আমার ভাই আমার কাছ থেকে যা আাশা করেছিল আমি তাই করেছি’। এবং সেই পুরস্কারও পেয়েছি। একে যখন আমি কাঁধে তুলে নিচ্ছিলাম ও এখন ফিসফিল করে বাছিলো, টম, জানতাম তুই আসবি, বারবার মনে হচ্ছিলো তুই ফিরে আসবি।’ সততার নীতি গ্রহণ করো তুমি হাদি মস্ত কোনো মিথ্যাবাদী হও, সততাকে হয়তো পাশ কাটিয়ে যাবে। তবে একটা সময় ঠিকই দেখবে মিথ্যাবাদীরা জীবনে খুব কমই সফল হয়েছে। বিখ্যাত পরিচালক সেদিক হি হেমিল তাঁর ক্ল্যাসিক ছবি ‘দ্য টেন কমান্ডমেন্টস’ এ বলেছেন মমানের পক্ষে মাইন ভাঙা অদপ্তর। শুধু আইনের বিরুদ্ধে আমরা নিজেদেরকে ভাঙতে পারি। যে নীতির কথা বলা হলো তা কখনও তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে বা। তুমি সেক নীতি নিয়ে এগিয়ে চললে অবশ্যই জীবনে সফল হবে। কাজেই সিদ্ধান্ত নাও মাড় থেকে এই উলতিকেন্দ্রিক হবে তোমার জীবন। যেখানে সমস্যা সেবায়, নীতি খুঁজবে। বেরিয়ে আসরে সমস্যার সমাধান। তুমি মনে চারা জীবনের কাছে তুমি পরচিত, তাহলে ভারসাম্যর নীতি গ্রহণ করো। যদি দেখো কেউ তোমাকে বিশ্বাস করছে না, সততার নীতি তোমাকে এ সমস্যা থেকে উদ্ধার করবে। নিচের গল্পটিতে মনুগয়া বা বিশ্বস্ততা নীতির কথা বলা হয়েছে। ফ্রাঙ্গে একই বর্মিনীয়ে দুই ভাই যুদ্ধ করছিল। একজন জার্মানদের বুলেটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। যে ভাইটি পালিয়ে বেঁচে এসেছিল সে তার অফিসারের কাছে অনুমতি চায় তার ভাইকে নিয়ে আসার জন্য।
ছোট ছোট পদক্ষেপ: আমি তোমাদেরতে প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে ছোট ছোট পদক্ষেপের কথা বলবো যা অনুসরণ করা তোমাদের জন্য সহজ হবে তোমরা এতক্ষণে পড়েছো তারই নির্যাস আামলে থাকবে এ ছোট পদক্ষেপগুলোয় এগুলোই একসময় শক্তিশালী অগ্রে পরিণত হয়ে বড় লক্ষা পরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কাজেই চলেনা, কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হাত। ১। পরেববার যখন আয়নায় নিজেকে দেখবে নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক কোনো ২ ) আহই কারও দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করো। বলো, ‘বাহ। তোমার আইডিয়াটি তো বেশ কাজের। ৩) নিয়ের কোনো সীমাবদ্ধ দৃষ্টান্তের কথা চিন্তা করো, যেমন ‘আমি বহির্গামী নই।’ এখন এই দৃষ্টান্তের একদম বিপরীত কিছু একটা করো। ৪) কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কথা ভাবো, যে সম্প্রতি একটু উদ্ভট আচরণ করছে। তারপর এ আচরণের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করো। যখন তোমার কোনো কাজতকর্ম থাকে না তখন বা চিন্তা করো? মনে রেখো, তোমার আছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও কিন্তু তোমার প্যারাডাইম/দৃষ্টান্ত বা নিবনকেন্দ্রিক হতে পারে। আজ থেকে অন্যদের সঙ্গে এমন আচরণ শুরু করো, যেমনটি তাদের কাছ
পৃষ্ঠা:১৩
অপরের ভাহ থেকে প্রত্যাশিত আচরন পাবে না। ৭) একটি তিনি জায়গা খুঁজে বের করো। ভালো তোমার কাছে ক ৮) যে বার শুন ঘন ওদয়ো দেবোর কথাও মনোযোগ দিয়ে শোনো। তুমি কার প্রীতিতে বিশ্বাস করো তার দকে গানের কথাগুলো যায় কি? ৯) স্বপন বাড়ির বাম করবে, যেটা রুংসের কাজ হোত বা ঘরের কাজ, কটু পরিশ্রম করার নীতি মেনে চলবে। ১০) পরবর্তীতে যখন কঠিন কোনো অবস্থায় পড়বে এবং বুঝতে পারছে। করণীয় রী, নিপ্লেকে নিয়োগ করো, “তী নীতি আমি প্রয়োগ করবো? সোহ জলেবাস, নিশ্চয়তা, কঠোর পরিশ্রম বৈধা ইত্যাদি)। তখন এই ইরিয়া অনুসরণ করো এবং আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।
দ্বিতীয় খণ্ড
ব্যক্তিগত বিষয়: ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আয়নার মানুষটির সঙ্গে শুরু করো। অভ্যাস-১ প্রোঅ্যায়িত হও আমিই শক্তি অভ্যাস-২ শেখের থেকে শুরু করো নিজেই নিজের নিয়তি নিয়ন্ত্রণ করো, নতুবা অন্য কেউ করবে অভ্যাস-৩ আগের কাজ আগে ইচ্ছা শক্তি এবং ভাবনা’র শক্তি
পৃষ্ঠা:১৪
ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জীবনের পাবলিক অ্যারেনায় জিতবার আগে তোমাকে নিজের কিছু ব্যক্তিগত লড়াইয়ে জয়লাভ করতে হবে। সকল পরিবর্তন শুরু হবে তোমাকে নিয়ে। নিজেকে তোমার ব্যাংক অ্যাকাউনী ভাবতে কেমন লাগবে? ধরো এটা তোমার পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। (IBA) অনেকটা সঞ্চয়ী বা চলতি হিসাবের মতো, যেখানে তুমি অর্থ সঞ্চয় করতে পারো এবং প্রয়োজনে টাকাও ভুলতে পারো। খরো, আমি যখন কোনো প্রতিশ্রুতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকি, নিজেকে নিয়ন্ত্রিত মনে হয়। এটা হলো একটা ডিপোজিট বা সঞ্চয়। আর যখন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করি তখন হতাশা বোধ করি। এটি হলো ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন। তো তোমাকে একটা প্রশ্ন করি। তোমার PBA-র অবস্থা কী? নিজের ওপর তোমার কতোটা আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে? তুমি কি খুব চাপে আছো নাকি দেউলিয়া হয়ে গেছো? নিচের তালিকা তোমার নিজেকে মূল্যায়নের ব্যাপারে সহায়তা করতে পারে। একটি দুর্বল PBA বা পার্সোনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট * চাপে পড়লে তুমি সহজেই নিজেকে গুটিয়ে ফেলো। ডিপ্রেশন এবং হীনমন্যতার সঙ্গে তোমাকে লড়াই করতে হয়। * লোকে তোমাকে নিয়ে রী ভাববে, তা নিয়ে সবসময় শংকিত থাকো। নিজের নিরাপত্তাহীনতাগুলোকে আড়াল করতে তুমি হামবড়া ভাব দেখাও। * * মাদক, পর্নোগ্রাফি, গুন্ডামি ইত্যাদির কারণে তুমি নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে * তুমি সহজেই ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে ওঠো, বিশেষ করে কাছের কোনো মানুষ সফল হলে। একটি স্বাস্থ্যকর PBA-র লক্ষণ * তুমি নিজের দুর্বলতাগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারো। * জনপ্রিয় হওয়া নিয়ে তোমার কোনো মাথাব্যথা নেই।
পৃষ্ঠা:১৫
জেরিনকে ভূমি ইতিবাচক বহিতে দেখো।* নিজের ওপর হোমের আস্থা রয়েছে। প্রথদের সফলো তোমাম চোখ টাটায় না বরং খুশি হও। হেয়ার পর্নোলে হাতে আকাউন্টের অবস্থা নিম্নগামী হলেও হাস হওয়ার কিছু নেই। মহাজ থেকেই ওখানে দশ-বিশ টাকা রাখতে শুরু করল একাগ্য স্টীরে পরে বিয়ের আত্মবিশ্বাস। মোট ছোট সন্ধায় একসময় হোয়া বাড়িপর যার বাজটিগীকে তরে তুলবে। প্রঋিচ্ছ টিনেজ দলের সহায়তায় আমি ছয়টি প্রধান ডিপোজিট বা সঞ্চয়ে একই রাগিতা করেছি, যা তোমার P’BA গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। বয় এডিট ডিপোজিটেরই সমান এবং বিপরীত উইথড্রয়াল (টাকা তুলে দো PBA উইথড্রয়াল নিজের প্রতিশ্রতি ভদ নিজের প্রতিকৃতি রথা ছোট ছোট দয়ালু কাজ করা * নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলা নিজের মধ্যে ডুবে থা নিজেকে অত্যাচার করা অসৎ হওয়া নিজেকে বাংস করা নিজের প্রতিভাকে অবহেলা দর নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা তোমার এমন কোনো বন্ধু আছে যে কথা দিয়ে কথা রাখে না? ফোন কর বলে আসবে কিন্তু মাদে না। তারা প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু তা রক্ষা করে য। এরকম বস্তুদের একটা পর্যয়ে আর বিশ্বাস করা যায় না। তাদের প্রতিশ্রুতি কোনো সমই গংকে না। একই ঘটনা তোমার ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে যদি তুই নিজের কাড়ে দেয়া প্রতিমা নিয়েই ভঙ্গ করো। যেমন ‘আমি কাল সকাল ছয়টা তুম থেকে উঠবো’ অথবা ‘বাড়ি ফিরেই আমার চোম ওয়ার্ত করে ফেলছে। এসব প্রতিজ্ঞা তুমি রক্ষা করতে না পারলে একটা সময় নিজের প্রতিই হারিয় বদরায়া। নিজেদেরকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিই এই অনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিলে তাও অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। যদি হতো শ্রীবদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছো, তাহলে গেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তার ওপর নজর দাও নিজের ওপর। নিজেকে প্রতিজতি সাও এবং তা রক্ষা করো। ছোট ছোট প্রতিজ্ঞা করো, যা রক্ষা করতে পারবে। এটা অনেকটা মাটির ব্যাংকে পাঁচ- দশ টাকা জন্মানোর মতো। তুমি জানো এভাবে অল্প অল্প সন্ধায় করলে একসময় হ্যাংক হরে যাবে। ছোট ছোট দয়ালু কাজ করো একবার এক মনোবিজ্ঞানীর লেখায় পড়েছিলাম, তুমি যদি খুব হতাশ বোধ করতে থাকো আহলে কারও কিছু উপকার করো। দেখবে মন আলো লালবে, কেটে যাবে হতাশা। একবার আমি এয়ারপোর্টে বলেছিলাম। অপেক্ষা করছিলাম আমার ফ্লাইটের জন্য। আমার মনে খুব ভূর্তি, কারণ ফার্স্টক্লাসের টিকিট পেয়েছি। প্রথম শ্রেণীর আসনগুলো বেশ বড়, খাবার অনেক সুস্বাদু আর ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরাও অনেক যত্ন নেয়। তাছাড়া গোটা প্লেনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সিটখানাও মামার ভাগ্যে জুটেছে। সিট “A”। প্লেনে ওঠার আগে লক্ষ্য করলাম, এক ভদ্রমহিলা অনেকগুলো লাগেজ নিয়ে এসেছে, সঙ্গে শিশু সন্তান। সে ভারস্বরে কাঁদছে। আমার নিতেক তখন আমাকে ধাতানি দিল, ‘ওরে গর্দভ, তোর টকিটটা ওই মহিলাকে দিয়ে দে। আমি একটু দোনামোনা করে শেষে মহিলাকে বললাম, ‘এককিউজ মি, আমার মনে হয় এই ফার্স্ট ক্লাসের টিভিউটি আমার চেয়ে মাপনার বেশি দরকার আমি জানি বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্লেন ভ্রমণ কতো বক্রির। আপনার টিকিটটা আমাকে দিন।’ আর ইউ শিওর?” ওর, ইয়াহ। আই রিয়েলি ডোন্ট মাইক। তাছাড়া প্লেনে বলে সারাক্ষণ আমাকে কাজ করতে হবে।’ অনেক ধন্যবাদ। আপনার অনেক দয়া। মহিলার সঙ্গে আমি টিকিট বিনিময় করলাম। প্লেনে ওঠার পরে নিয়ের কাছেই অবাক লাগছিলো, মহিলাকে আমার সিটে বসতে দেখে আমার ভালো লাগছিল বলে। মহিলার সিট নম্বর ১৬৪। তবে এ আসনে বসতে আমার মোটেই খারাপ লাগছিল না। ফ্লাইটের এক পর্যায়ে আমি চিন্তা করলাম, একবার টু মেরে আসি তো, দেখি মহিলা কী করছে। আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। চলে এলাম ফাস্টক্লাস সেকশনে। যে পর্দাটি ফার্স্টক্লাস থেকে ইকোনমি ক্লাসকে আলাদা করে রেখেছে সেটি একটু ফাঁক করে ভেতরে
পৃষ্ঠা ১৬ থেকে ৩০
পৃষ্ঠা:১৬
হলে প্রায়শর মেতে মাছ এ ধানের কাজ করে আসছি। এর পড়শী মেয়ে ছিল। খুব গরিব। যে তার বাবাকে নিয় মহলে ফ্লাটে তেরো ৩৫ ছিন বছর ধরে আমি তাকে আমার জামালনী দিয়ে হালাই। তাই হতে আামার জামা দেয়ার পরে বলতাম, ‘এ ড্রেসটায় জেমকে বেশ মজাহে’ কিংবা ‘এটা পরে দেখো তো কেমন লাগে।’ একে যেন অমার দেয়া ড্রেস পরতো, আমার খুব ভালো লাগতো। সে শুনা তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’ আমি জবাব দিতাম, ‘এ শ্রীতে তোমাতে দারুণ লাগায়ে। আমি সবসময় লক্ষ্য বনরতাম ও যেন অমন্ত্র জেনে কথায় মনে আঘাত না পায় কিংবা না ভাবে, ওরা গরিব বলে অর্ড রদেরকে জামাকাপড় দিগ্রি। ও আমার জামাকাপড় পরে আনন্দে আছে বঙ্গে হাব, তেমন চেনা বা জানা সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষটিকে গিয়ে হ্যাল বলে। যে তোমার জন্য কিছু করেছে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে চিঠি লেখো।
নিজের প্রতি নম্নে হও: নম্ন হওয়ার অনেক মানে আছে। এর অর্থ এই নয় যে, কাল সকালেই তোমাকে একজন পারফেক্ট মানুষে রূপান্তরিত হতে হবে। তুমি যদি তোমার ভুলটি দেরিতে বুঝতে পারো, তোমার বিকাশ হদি হয় দেরিতে, সমস্যা নেই, আমাদের মধ্যে অনেকেই তাই। কাজেই ধৈর্য বরো এবং নিজেকে বিকশিত করতে, ভুল সংশোধনে সময় দাও। নগ্ন হওয়া মানে তুমি এখন কিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলেছো, দোটার জন্য নিজেকে ওথা করতে শেখা। আর আমরা তো ভুল থেকেই শিখি। তবে যা গেছে গেছে, তা নিয়ে ভেবো না। শুধু চিন্তা করো ভুলটা কী ছিল এবং কেন এটা হলোহ প্রয়োজনে ত্রুটিমুক্ত করো নিজেকে। তারপর এটার ভাবনা জ্বলে গিয়ে সামনে
সৎ হও: সততা বিষয়টির নানান রূপ থাকতে পারে। প্রথমেই মাসে সেলফ অনেস্টি বা আত্মসততার তথা। আমি জানি আমি ভুয়া একজন লোক কিন্তু দেখাতে চেষ্টা কবি আমি তা নই। কাটা আত্ম সরতার বিপরীত চিত্র। সততার পরিচয় দিতে হবে কাচেরমে। তুমি কি স্কুলে বা তোমার বাবা-মা’র সঙ্গে সংহ যদি অতীতে তুমি অসৎ এতে থাকো, যেটি আমরা কমবেশি সবাই, সেক্ষেত্রেও বলবো সৎ হওয়ার চেষ্টা করো। এবং দেখতে কেমন অনুভূতি জাগছে মনে। মনে রেখো অন্যায় বা ভুল কিছু করলে কিন্তু মন সবসময় খচখচ করবে। আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, আমার ক্লাসে তিনটে ছেলে ছিল যারা মাকে ছিল কাঁচা। আর আমি অংক খুব ভালো পারতাম। ওদেরকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার জন্য পরীক্ষা পিছু নাঁড় পাউন্ড করে নিতাম। পরীক্ষার প্রশ্ন হতো মালটিপল চয়েদে, কাজেই ছোট এক টুকরা কাগজে সমস্ত প্রশ্নের জবাব লিখে নিয়ে আমি ওদেরকে দিতাম শুরুতে ভাবতাম কটে করে পয়সা কামাচ্ছি। মন্দ কী? কিন্তু তখন ভেবে দেখিনি এটি আমাদের সবাইকে আধ্যত করতে পারে। পরে বুঝতে পারি এ কাজটা আমার করা উচিত হচ্ছে না। কারণ, আমি তো আসলে ওদেরকে কোনো সাহায্যই করছি না। স্রেফ নকল করতে সাহায্য করছি। ওরা শিখছে না কিছুই ফলে গুবা পড়ালেখায় ভালো করতে পারবে না। এই যে নকলবাজি, এটা কিন্তু আমার মনে একটুও সুখ দেয়নি।
পৃষ্ঠা:১৭
তোমার চরণকে অণেক চিতবার দেখবে। এদের মধ্যে সৎ হয়ে থাকতে লাখের ডিপেটিট বসরা করছো এবং একে তোমার শক্তি তৈরি হচ্ছে। প্রথাস হয়ে সরাই সর্বোত্তম পন্থা। নিজেকে নতুনের মতো তৈরি করো সিঙ্গেতে নতুনো হাসা তৈরি করতে তোমার সময় লাগবে। যদি তা করতে ব্যর্থ হন তার জীবনের আনন্দই হারিয়ে ফেলবে। তোলা হয়তো ফ্রান্সিস হজসন বারগোটের ‘দ্য সিক্রেট গার্ডেন’ বছ পড়েছে, নিবে নাম কালছো। এটি হেরি নামে এক বিশ্বেরীর গল্প। বার বার মা দুর্ঘটনশায় মারা গেলে যে তায় ধনখান চাচার বাড়িতে যায় থাকার জন্য। হান্ন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর পথে খুবই গন্ধীর হয়ে গেছেন। কারও সঙ্গে মেশেন না, কথাটবর হেমন বলেন না, সকলের দঙ্গে তাঁর আচরণ শীতল। তিনি অতীত জীবন ঘোরে •গ্রহাই পেতে বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। তাঁর এক ছেলে ছিল। বেচারার টীবন বড়ই দুঃখের। সে লবসময় অসুস্থ থাকে এবং হুইল চেয়ারে ছাড়া চলাফের করতে পারে না। বিরাট প্রাসাদের একটি অন্ধকার জায়গায় থাকতো ছেলেটি। এই নিতান্তই নিঃসঙ্গ পরিবেশে কিছুদিন কাটানোর পরে মেরি প্রাসাদের কাছে একটি সুন্দর বাগান আবিষ্কার করলো। এ বাগানটির ফটক বহুদিন খায় অলাবদ্ধ ছিল। তবে মেরি এখানে প্রবেশের একটি গোপন পথ পেয়ে যায় এবং নিজের গুমোট পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে সে প্রতিদিন এ বাগানে আসতে থাকে। এটি হয়ে ওঠে তার অাশ্রয়স্থল, তার গোপন বাগিচা। কিছুদিন পরে মেরি তার পঙ্গু চাচাত ভাইটিকেও এ লাগানে নিয়ে আসতে শুরু করে। বাগানটির অপূর্ব সৌন্দর্য যুদ্ধ করে তোলে ছেলেটিকে। সে আবার ইটিতে শেখে এবং চিরে পায় সুখ। একদিন, মেরির রাশভারী চাচা, দেশ হাজা শেষে বাড়ি ফিরে শুনতে গান কেউ নিষিদ্ধ বাগানটিতে খেলা করছে। তিমি রেগে ওখানে ছুটে যান। অবাক হয়ে দেখেন তাঁর ছেলে হুইল চেয়ার বাদ দিয়ে নিষি হেঁটে বেড়াচ্ছে বাগানে আনন্দিত চিরে। এ দৃশ্য তাঁকে যেমন অবাক করে যের তেমনি আনন্দে চোখে এনে দেয় অশ্রু। তিনি বহু বছর পরে পুত্রকে অবিঙ্গা করেন। বাগমটির রূপ এবং জাদু পরিবারটিকে আবার মিলিত করে। মো আসলে আমদের দবতই এরকম একটি বাগান দরকার, যেখানে আমার অশ্রেয় নিতে পারবো, আমাদের শক্তি নতুন করে ফিরে পাবো। তবে এ সুখব আদর্শ পেতে হলে গোলাপ বাগিচা, পাহাড়চূড়া কিংবা সমুদ্র সৈকত না হলেও চলবে। এটি হতে পারে বেডরুম কিংবা বাথরুমও, শুধু যেখানে একটু একা হওয়া যায়। খিও নামের কিশোরটি ভার লুকানো আস্তানার বিষয়ে বলেছে। ‘যখন আামার খুব মন খারাপ হয় কিংবা মানসিক চাপে থাকি অথবা যাবা। মা’ত সঙ্গে ঝগড়া হয়, আমি চলে যাই বেসমেন্টে। ওখানে রয়েছে একটি হকি মিটক, একটি বল এবং একটি নগ্ন কংক্রিটের দেয়াল, যেখানে আমায় হতাশা ঝাড়তে পারি। আমি আধঘণ্টা বহু ছুড়ি দেয়ালে তারপর তারা মন নিয়ে ফিরে যাই ওপরে। বেসমেন্টে বসে হকি প্রাকটিস করতে গিয়ে আমার খেলায় উন্নতি হয়েছে সন্দেহ নেই, তবে তারচেয়েও বেশি ছিল আমার বাবা-মা’র সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন।’ অ্যালিসন তার নিজের বাগানটি খুঁজে পেয়েছিল আমার বাবা কারখানায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। তখন আমি ছোট। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমার জানা নেই, কারণ মাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করতে ভয় পেতাম। আমি আমার মনের মধ্যে বাবার একখানা ছবি তৈরি করে নিয়েছিলাম, যেটি আমি কোনোদিন পরিবর্তন করতে চাই না। আমার চোখে আমার বাবা একভন যথার্থ মানুষ, যিনি এখানে উপস্থিত থাকলে আমাকে সবরকম বিপদ থেকে রক্ষা করতেন। তবে আমার ভাবনায় তিনি সবসময়ই আছেন এবং আমি কল্পনা করি, বাবা এখানে থাকলে আমাকে কীভাবে সাহায্য করতেন।
পৃষ্ঠা:১৮
কেন আমারা হয় আছি স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের খেলার মটর বাইক বাড়াই। কেন জানি হলে হব সবচেয়ে বড় এ জায়গাটিতে একে করতে আমি অনুভব করতে পারবো। এই আনি প্রাইমের মাথায় উঠে ওশানে আর বাকি। আমি মনে হতে বাজার সঙ্গে কথা বলি এবং মনে হয় তিনিও আহহ ঘরে করা বলছেন। আমি চাই তিনি আমাকে স্পর্শ করুন। যদিও জানি এটি দুর এর। যখনই জোতে কিছু নিয়ে আমার খুব মন খারাপ হয় আমি চলে স্বপ্ন এখানে। আমার বেদাটা বাবার সঙ্গে শেয়ার করে যেন নিজেকে হালকা করি। বিজের মদের যোথা হালকা করার হায়গা খুঁজে পাবার পাশাপাশি আরও অনেক রাঙা আছে, যেখানে তুমি নিগ্রোকে নতুনভাবে তৈরি করতে পারবে এবং নিরপি করতে পারবে তোমার FBA. এজন্য এক্সারসাইজ করতে পারো। যেমন ইরাইটি, দৌড়, নাচ অথবা কোনো ব্যাগে পাঞ্চিং বা ঘুষোঘুষি করা। কোনে টিনেজার মন খারাপ কাটাতে পুরানো দিনের সিনেমা দেখে, কোনো মিউজিক ইনস্ট্রুমেন্ট বাজিয়ে, ছবি এঁকে অথবা বস্তুর সঙ্গে কথা বলে যারা উৎসাহ দিতে নিজের প্রতিভাকে উজ্জীবিত করো প্রতিভার খোঁজ পেয়ে তার উন্নয়ন সাধন, শখ কিংবা বিশেষ কিছুতে অল্পহ হতে পারে তোমার 11A – জন্য সবচেয়ে বড় সঞ্চয়। উরসেন্ট যা প্রতিভায় কথা প্রবনেই আমরা কেন ট্রাডিশনাল হাই প্রোফাইল টালেন্টদের কথা চিন্তা করি, বুঝি না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আাগলেট, নৃত্যশিল্পী কিংবা পুরষার বিজয়ী ফোনো শক্তিও। তবে সত্য এই যে, ট্যালেন্ট আসে বিভিন্ন পাকেজে। ছোট চিন্তা কোরো না। তোমার হয়তো বই পড়ত অভ্যাস আছে কিংবা লিখতে পারো অথবা তুমি সুবক্তা। তুমি হয়তো একজন সৃষ্টিশীল মানুষও। খুব দ্রুত কিছু শিখে নেয়ার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে তোমার। কিংবা যে কাউকে সহজেই গ্রহণ করতে পারো। তুমি হয়তো একজন ভালো সংগঠন, রয়েছে নেতৃত্বদানের গুণ। তোমার প্রতিতা লুকিয়ে থাকতে পারে দাবা খেলায়, নাটকের অভিনয়ে কিংয় প্রজাপতি সংগ্রহে। তবে সেটি যে-ই হোক, যখন ভূমি এ করনের কিছু কাজ করছো, এটি নিঃসন্দেহে উৎফুল্ল হওয়ার মতো বিষয়। এটি হলো নিজেকে প্রবাশের একটি রূপ। আমার শালক এইস বলেছিল, সে প্রতিভার উন্নয়ন ঘটিয়ে নিজের মহাবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পেরেছে, একটি ক্যারিয়ার খুঁজে পেয়েছে, যা তর জীবনে এনে দিয়েছে জিন্নতা। যে বাস করতো আমেরিকায় এবং তার গল্প গড়ে উঠেছে টেটন পর্বতমালাকে ঘিরে। এ পতিমাগার অবস্থান আইডাহো এবং ইওমিংয়ে। যেয়ন পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গ্রান্ড ঢেডন, সমুদ্র সমতল থেকে ১৩.৭৭৯ ফুট উঁচুতে। কিশোর বয়সে খুব ভালো বেসবল খেলতো ব্রাইস। কিন্তু একটি দুর্গটিনা তার হরকিছু বরবাদ করে দেয়। একদিন সে একটি বন্দুক নিয়ে খেলা করছিল, হঠাৎ বন্দুক থেকে গুলি তার চোখে বিদ্ধ হয়। অপারেশন করলে চোখটা চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে ডাক্তাররা যার গুলিটি বের করেননি। মাস কয়েক পরে ব্রাইস বেসবলে দিতে এনেও আগের মতো আর খেলতে পারছিল না। কারণ তখন তাকে মাত্র একটি বন্ধুর ওপর নির্ভর করে খেলতে হচ্ছিলো। সে এনেছে, এক বছর আগেও আমি তারকা খেলোয়াড় ছিলাম, কিন্তু এখন আমি বলই মারতে পারি না। আমি বুঝতে পারছিলাম আমি মার কিছুই করতে পারবো না। আমার আত্মবিশ্বাসের জন্য এটি ছিল মস্ত মাগার। ব্রাইসের দুটি বড় ভাই ছিল। নানা কাজে পারদর্শী ছিল ভায়া, ব্রাইস ভাবতো এক চোখ নিয়ে সে এখন আর কিইবা করতে পারতে। টেটন পর্বতমালার বাতে তার বাড়ি ছিল বলে সে সিদ্ধান্ত নেলা পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করবে। তাই সে স্থানীয় আর্মি স্টোরে গিয়ে নাইলনের রশি, ক্যারাবাইদার, চক, পিটনসহ পাহাড় বাইবার জন্য আনুযদিও যা যা দরকার সব কিনে অথেলো। সে পাহাড় চড়ার ওপরে বইপত্র পড়লো, শিখলো কীভাবে রশিতে গিট্টু বাঁবতে হয়, হারানদ পাথরের গায়ে আটকাতে হয় ইত্যাদি। প্রথমে সে গ্রান্ট টেউনের ছোট ছোট পাহাড়ে ওঠা শুরু করলো। প্রাইস শিল্পি অাবিষ্কার করল্যে, যে পাহাড় বাইবার ওস্তাদ। তার শরীর যুগঠিত, হালকা যা পাহাড়ে চড়ার জন্য খুবই উপযোগী। বেশ কয়েকবার ট্রেনিং শেষে ব্রাইস গ্রান্ড টেটনের শৃঙ্গে আরোহণ করল্যে। পাহাড় বাইতে তার সময় লাগলো দুইদিন। চূড়ায় পৌছে তার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেল। পাহাড় বাইবার পার্টনার পাওয়া কঠিন ছিল, তাই ব্রাইস একাই ট্রেনিং নিতে লাগল। একটা সময় গ্রান্ড টেটনে আরোহন তার কাছে ডালভাতে পরিণত হলো। একদিন তার বন্ধু কিম থাকে বললো, ‘তুমি গ্রান্ড টেটনে ওঠার রেকর্ডটি পারলে জন গিডেন নামে এক লোক মাত্র চার ঘণ্টা এগারো মিনিটে গ্রান্ড টেটনে আরোহণ করে রেকর্ড গড়েছেন, ব্রাইসকে জানালো কিম।
পৃষ্ঠা:১৯
একই প্রাবল্যে প্রাইস। ‘এ লোকটির সঙ্গে একদিন দেখা করতে হবে।’ হতে রাইস পড়াতে চাড়ার অভ্যাস চাপিয়ে গেল। সে দৌড়ে এখন পাহাড়ে বই এ রথে। হায়ে তার দৌড়ের গতি দ্রুততর হয়ে বললো, ‘তুমি রেকর্ডটি ভাঙার চেষ্টা করো। একদিন পাহাড় বাইরে দিয়ে এক স্নিহেনের সঙ্গে সাক্ষাত হয়ে গেল। প্রইলেন। সে এবং প্রিয় জবের উাঁবুতে বসেছিল, কিম, যে নিজের একজন প্রাধনাম রাইখ্যা, করতে লাগে, ‘এই পোত আপনার রেকর্ড ভাঙতে চাই। স্বর তাললেন গ্রইসের ১২৫ পাউর ওজনের কাঠামোর দিকে। তাঁর ডাইনিয়ে তারিণা। ব্রাইন অপমান যোগ করলেও সামলে নিল নিজেকে। তবে কিম আরে সাহস যুগিয়েই চললো, আমি জানি তুমি এটা পারবে।’ ১৯৬১ সালের ২৬ আগসী মোরবেলা, কমলা রঙের ছোট ব্যাকপ্যাক পিঠে ঝুলিয়ে, হালকা ভাবেট গায়ে দিয়ে ব্রাইস দৌড়ে গ্রান্ড টেউনের চূড়ায় উঠল তিন ঘণ্টা সরচল্লিশ মিনিট চার সেকেন্ডে। সে এ আরোহন পর্বে কেবল দু’বার থেমেছে একবার জুতোর ভেতর থেকে পাথরখণ্ড বের করতে এবং চূড়ায় উঠে রেজিস্ট্রারে সই করতে যে সে এখানে এসেছিল। দারুণ লাগছিল ব্রাইসের। কারণ যে সত্যি রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তবে হ্রাইদের এ রেকর্ডও ভেঙ্গে ফেলা হয়। ক্রেইটন কিং নামে এক লোক তিন ঘণ্টা বিশ মিনিট নয় সেকেন্ডে পাহাড় চূড়ায় ওঠে। এর দুই বছর পর ১৯৮৩ সালের ২৬ আগস্ট ব্রাইস আবার টেটন পর্বতে যায় তার শিরোপা উদ্ধার করতে। এবারে সে মাত্র এক ঘন্টা তেজান্ন মিদিটে পাহাড় চূড়ায় আরোহণ করে। তবে এবারের আরোহন এবং অবরোহন পর্ব দুটিও তার জন্য খুব কষ্টের ছিল। অক্সিজেনের অভাবে তার চেহারা বেগুনি হয়ে গিয়েছিল। দে নামার সময় আাহতও হয়েছে। তবে এতো অল্প সময়ে পাহাড়ে চড়তে পারার জন্য হ্রাইসের নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে পরিচিতি পায় বিশ্বের সেরা পর্বতারোহী হিসেবে। ‘এটি আমাকে একটি পরিচয় দিয়েছে,’ বলেছে ক্রইস। সবাই কিছু না কিছুর জন্য পরিচিত হতে গাং, আমিও চেয়েছিলাম। পাহাড়ে চড়তে পেরে আমার আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিপ্লেকে আমি এভাবেই প্রকাশ করেছি।’ আজ গ্রাইস অভান্ত সফল একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি। কোম্পানিটি পরাত্রোইদের জন্য ব্যাকপ্যাক তৈরি করে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ব্রাইস যে কাজটি করতে ভালবাসতো, সেষ্টি করেই জীবিকা নির্বাহ করছে এবং নিজের প্রতিভার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাইসের-এ রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। কাজেই বন্ধুগণ, তোমাদের দরকার আত্মবিশ্বাস। নিজের PBA-তে আজ থেকেই আত্মবিশ্বান সন্ধ্যা শুরু করো। এর ফলাফল পেয়ে যাবে অচিরেই। তবে ডিপোজিট তৈরির জন্য পাহাড়ে চড়ার দরকার নেই। এরচেয়ে অনেক নিরাপদ এবং বহু সহজ রাস্তা রয়েছে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করো ১) যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলে সেভাবে পরপর তিনলিস ঘুম থেকে উঠে পড়ো। ২) এমন সহজ কোনো কাজ বেছে নাও, যেটি অনেকের মধ্যেই করা সম্ভব। যেমন জামাকাপড় ধোয়া, ইংরেজি হোমওয়ার্ক করার জন্য বই পড়া। তুমিই দিদ্ধান্ত নাও কখন করবে কাজটি। এখন প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজটা করে ৩) আজ কোনো ‘থ্যাংক ইউ’ নেটি লিখে ফেলো। অথবা বাড়ির আবর্জনা পরিষ্কার করো। ৪) নিজের চারপাশে তাকিয়ে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করো। যেমন বুড়ো কোনো মানুষকে সাহায্য করলে অথবা যে পড়তে পারে না তাকে কিছু পড়ে শোনাও। নিজের প্রতিভাকে উজ্জীবিত করো ৫) এ বছরে নিজের কী কী প্রতিভার উন্নায়ন ঘটাতে চাও, তার একটা তালিকা বানিয়ে ফেলো আমি যে ট্যালেন্টটির উন্নতি ঘটাবো এ বছর। কীভাবে সেখানে পৌছাবো- ৬) অন্যদের মধ্যে যেসব প্রতিভা তুমি দেখতে পেয়েছো তার একটি তালিকা করে ফেলো। যে ট্যালেন্টের আমি প্রশংসা করি নিজের প্রতি নম্র হও ৭) এমন একটি ক্ষেত্রের কথা ভাবো, যেখানে নিজেকে বড় হীনমনা লাগে। এখন বড় করে দম নিয়ে বলো। ‘এটাই পৃথিবীর শেষ নয়।
পৃষ্ঠা:২০
নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলো: ৮) একট পুরে দিন কোথেরন নেতিবাচক চিন্তা করাবে না। নেতিবাচক উদ্ধা মাথায় এলে তা ঠেলে সরিয়ে দিয়ে ইতিবাচক ভাবনা ভাবো। ৯) এমন কোনো মহার কাজের কথা ভাবো যা তোমার স্পিরিট বাড়িয়ে তুলবে। যেমন মিউজিক চালিয়ে নাচতে পারো। ১০) আলস্য লাগছে? এখনই উঠে পড়ে রাস্তা দিয়ে একটু হেঁটে এলো। ১১) পরেকবার যোমার বাবা-মা যখন জানতে চাইবেন তুমি কী করছো, সত্যি কথাটাই বলবে। কোনোরকম প্রতারণার আশ্রয় নেবে না। ১২) অদ্ভুত একটা দিন অতিরঞ্জিত যা অলংকার করে কিছু বলো না।
অভ্যাস-১ প্রো-এ্যাকটিভ হও
পৃষ্ঠা:২১
বাড়িতে বসবাস আমার জন্য ক্রমে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছিল। কেন? কারণ, আমার জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন, সবকিছুর জন্য বাবা আমাকে দায়ী আমি যদি বলতাম, ‘ড্যাম, আমার গার্লফ্রেন্ডও আমাকে পাগল বানিয়ে নিয়ে।’ তিনি বলতেন, ‘শোনো শন, কেউ তোমাকে পাগল বানাতে পারে না, হদি তুমি নিজে পাগল না হও। ইটস্ ইয়োর চয়েস। তুমি আদলে নিভেই পাগল বকে চেগেছো। অথবা যদি আমি ধলতাম, ‘আমার নতুন বায়োলজি টিচারটা একদম ভালো না। এর কাছ থেকে আমি কিছুই শিখতে পারবো না। তিনি বলতেন, ‘তুমি তোমার টিচারের কাছে গিয়ে তাঁকে কিছু পরামর্শ। দিলেই পারো? অথবা টিচার বদনাও। প্রয়োজনে অন্য আরেকয়ন শিক্ষক নাও। তুমি যদি বায়োলজি শিখতে না পারো, শন, সেটা তোমার ব্যর্থতা। টিচারের বাবা সবসময় আমাকে চ্যালেঞ্জ করতেন। বলতেন, কারও উপর দোষ চাপানো ঠিক না। তবে আমার মা আবার অন্যদের ওপরে দোষ চাপাতে দিতেন। আমি প্রায়ই চিৎকার করে বলতাম, ‘তুমি ভুল বলছো, ড্যাড। আমি কেন পাগল হতে যাবো? ওই মেয়েটা আমাকে পাগল বানিয়েছে। পাগল। আমাকে আর জ্বালিয়ো না। স্রেফ একটু একা থাকতে দাও।’ তুমি তোমার জীবনের জন্য দায়ী, একজন কিশোর হিসেবে বাবার এ শক্ত ঔষধটি আমার পক্ষে গলাধকরণ করা কঠিন ছিল। তবে অন্যদিকে তাঁর কথায় শিক্ষনীয় একটি ব্যাপারও ছিল। তিনি আমাকে শেখাতে চেয়েছিলেন, পৃথিবীতে দুই ধরনের লোক আছে-প্রো-এ্যাকটিভ এবং বি-এ্যাকটিভ- একদল নিজেদের জীবনের দায়দায়িত্ব নেয়, অপরদণ এ জন্য অন্যকে দায়ী করে। অভ্যাস ১, লো-এ্যাকটিভ হও। এটি অন্য সকল অভ্যাসের তালা খোলার মণিকাটি। ১নং অভ্যাস বলে, ‘আমিই শক্তি। আমিই আমার জীবনের চালক। আমি আমার আংটিটিউড বাছাই করতে পারি। আমার সুখ কিংবা নিরানন্দের জন্য আমিই দায়ী। আমি আমার নিয়তির গাড়ির চালক, যাত্রী নই।’
পৃষ্ঠা:২২
এর-এজেটিভ হত অথবা ডি-এ্যাকটিভ পুরোটাই তোমার ইচ্ছা এই স্কুলের বিধানে যেয়ে যেতে পারে, তুমি পর্বীতায় ফেল করতে পার ইয়াট। তো এনথো নিয়েছে তা করবে তুমি? সর্বকিছুর বিরুদ্ধে প্রতিনিয় জগতে বারি প্রো-এ্যাগটিও হবে। তা একান্তই তোমার ইচ্ছা। চি-এফটির লোকজন থেকে বা আবেগের বশে কাজ করে ফেলে। বেক্ষন পরে পায়। কিন্তু বো-এ্যাকটিভ মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে কাজ করে। কিছু প্রারাটিড আর আগে াবে। তারা জানে তাদের জীবনে যা কিছু ঘটছে কা নিজণ করা গহব নয়। প্রো-এ্যাকটিভরা হয় শান্ত, বীর এবং নিয়ন্ত্রিত। তুমি আড়াল থেকে শুনতে গেলে, তোমায় বেস্ট ফ্রেন্ডটি একটি দলের কাছ তোমাকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলছে। সে তো আর জানে না যে, তুমি য়ঃ কথা ধনে জেগেছো। অথচ মাত্র পাঁচ মিনিট আগে এ বন্ধুটিই মিটি করে তোমা বঙ্গে কথা বলেছে। তুমি স্বভাবতই কষ্ট পাবে তার এহেন আচরণে। রি-এ্যাকটিক চয়েস * ওকে গিয়ে চড় করাতে পারে। * গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হতে পারো, বন্ধু তোমাকে আজেবাজে কথা বলেছে * সিদ্ধান্ত নিতে পারো বস্তুটি দু’মুখো সাপ এবং তার সঙ্গে দুই মাস কথা কলা বন্ধ রাখতে পারো। * বন্ধুত্ব দিয়ে ভূমিও গুজব ছড়াতে পায়ে, যেহেতু যে একই কাজ করেছে। প্রো-এ্যাকটিভ চয়েস এতে খল করে দেবে। * এর মুখোমুখি হয়ে বলবে, তুমি ওর আচরণে কতোটা আঘাত পেয়েছো। * বিষয়টি পায় না দিয়ে ওকে দ্বিতীয় আরেকটি সুযোগ দেবে। ভাববে প্রায় তোমার মতো ঘূর্ণপয়া রয়েছে। ভূমিও তো ওর অলক্ষে তর ব্যাপারে মাঝেমধে দু’একটা বাজে কথা বলেছো।
দৃশ্য দুই: তুমি প্রায় বছরখানেক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে একটি দোকানে কাজ করছো। তিন মাস পরে ওখানে নতুন আরেকজন যোগ দিল। সম্প্রতি তাকে ছন্দিত শনিবার বিকেলের শিফটে কাজ দেয়া হলো, যে শিষটি তোমার কাজ করার খুব ইচ্ছে ছিল।। রি-এ্যাকটিভ চয়েস * তোমার কর্মঘন্টার অর্ধেক সময়টাই ব্যয় করবে সবার কাছে নালিশ করে যে, সিদ্ধান্তটি কতোটা অন্যায্য ছিল। * নতুন লোকটির ওপর শোন নজর রাখবে এবং তার যাবতীয় দুর্বলতা খুঁজে বের করবে। * তোমার মনে এ ধারনা বন্ধমূল হবে যে, তোমার সুপারভাইজার তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং তোমাকে চাকরিচ্যুত করার ফন্দি আঁটছে। * তুমি আগের মতো আর আন্তরিকভাবে কাজ করবে না। যো-এ্যাকটিভ চয়েস * তোমার সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবে নতুন লোকটি কেন ভালো শিফটে কাজ পেল। * আগের মতোই কঠোর পরিশ্রম করে যাবে। * নিজের কাজের আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় তা শিখবে।
পৃষ্ঠা:২৩
*তোমার হদি মনে হয়, এ চারদিকে কোনো ভবিষ্যত নেই তাহলে অন্য গায় এক-একড়ি এবং ডি-এাকাতি লোকদের ভায়া দুই রকম। সেলে তারা বলতে চাইছে, কাছিক চারী এই আমি বদলাতে পারবো না। আমি এয়ারে এমন উদ্ভট না হতো, তাহলে সবকিছু ভিন্নরকম হতো। সমস্ত সমস্যার জন্য দায়ী, আমিনই। খারেজম গট তুমি আমার সনটির বারোটা বাজিয়ে দিলে তারা কলন্ত তে পারবো না। তুমি করো গিে ভালো বন্ধু-বাজর গেতাম, আরো বেশি টায় হায় করতে পারতাম, মনারকম একটি ফ্ল্যাটে থাকতে পারতাম, মামার বাছের থাকতো, মামি সুখী হতে পারতাম আসলে তারা বলছে, আমি আমার দুধ নিম্নের করতে পারন জিনিসপত্রা পারে। আর সুখা হতে হলে এর। রি-এ্যাকটির ভাষ আমি গ্রেই আমি এরকমই আমার শেষ করে For an ining tist’s diam st প্রো-অ্যাক্টিভ মানুষরা যেমন হয়প্রো-এ্যাকটিভ ভাষা আমি এটা করবো আমি এরচেয়ে ভালো করতে পারার ড়ে তা দেখা যাক। কেনো না কোনো উপায় থাকবেই তোমার খারাপ মুডের দায় আমি নেবো নানেই এবা-এ্যাকটিভ মানুষদের ভিন্ন জাতের মানুষ বলা যায়। তারা। নিজেদের পছন্দ অপঞ্চদের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে কাজ করার আগে ভাবে হাতাশ কিছু ঘটলেও তারা পিচ পা হয় না, ফিরে আসে। ভরতময় কোনো বিকল্প বাড়া খুঁজে বের করে তারা যা করতে পারবে তার ওপর মনোযোগ দেয় এবং যা করতে পারবে না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে ন আছি নতুন একটি চাকরি করতাম। সেখানে অ্যান্ড্র নামে এক লোক ছিল জানি না তার সমস্যা তী, কোনো এক কারণে সে আমাকে পন করতো না বো তা প্রকাশ করতে দ্বিধাও করতো না আমার সঙ্গে প্রশ্চামচনত কথা বলতো। সবসময় আমার বিরুদ্ধে কুৎসা এটিয়ে। করতো, অনাদেরকে যুক্তলাতো, যাতে তারা অমোর বিরোধিতা করে একবার ছুটি আমায় কাজে ফিরেছি, আমার এক বন্ধু বললো, ‘শন লোক, অনেক আজেবাজে কথা বলবে। ওর ব্যাপারে সাবধান। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হতো ব্যাটিাকে রবে কড়কে দিই অর রাখতাম। ভাবতাম এসব মারামারির মধ্যে যাওয়ানি হাসান করলাম ও যতই আমাকে অপমান করুক, আমি রাগ করবো না এবং এর সঙ্গে। ভালো ব্যবহার করবো। আমার বিশ্বাস ছিল ওতে কাজ হবে। সত্যি বলতে কী অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফল পেতে দেখলো যে, প্রকে আমাকে ২৩ই অপমান করে এই কমে বরং হেসে হেসে কথা বলি। একদিন সে আমাকে বলেই বসলো, ‘তোমাকে আমি হাত অপমান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু দেখলাম তুমি পায়েই মাখছো না? বছরখানেক পরে আমরা দু’শুনে বন্ধু হয়ে গেলাম আমি ধনি ওর হামলার প্রতিবাদে প্রত্যাঘাত করতাম তাহলে আর এ বন্ধুত্বটা হতো না। বন্ধুত্ব করতে হলে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়, সহ্য করতে হয় তুমি এ পর্যায়ে আমাকে চিৎকার করে বলতে পারো, ‘ভাজাটা এতো সহজ নহু, শন। তোমার সঙ্গে আমি এক করবো না রি-এ্যাকটিভ হওয়া অনেক সহজ। মেজাজ হারাতেই পারো। নালিশও করতে পারো। তবে একটা কথা মনে রেখো, গ্রামাকে পারফেক্ট হতে কেউ বলছে না। বাস্তবে তুমি না আমি কেউই পুরোপুরি প্রো আকটিক বা রি এ্যাকটিভ নই, দুটোর মাঝামাঝি আাসলে গো এংকেটিভ হওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে আসে পাইলটে তুমি চলতে পারো এবং এ নিয়ে আর ভাবতে না হয়। তুমি যদি প্রতিদিন ১০০০০ বারের মধ্যে ২০ বার প্রো-এ্যাকটিভ হওয়ার চিন্তা করো, তাহলে ১০০ বারের মধ্যে ৩৬ বার এটি হওয়ার কথা ভাবো। তারপর ৪০ বার। ছোট
পৃষ্ঠা:২৪
ছোট পরিবর্তন স্ত্রী বিশাল পরিবর্তন ঘটাতে পারে তা ভাবতেও পারবে য জমেই ছোট পরিবর্তনগুলোকে অবহেলা করো না। আমরা শুধু একটা বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সোমাদের জীবনে যা ঘটছে, তার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে সর না। আমরা আমাদের লয়ের এও বদলাতে পারবো না, কে এফএ কাপ জিইয়ে তা বলতে পারবো না, আমরা যেখানে জনেছি বা আমাদের বাবা-মা ফিরে অবলো আমদের প্রতি আচরণ কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। তবে একই জিবিদ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। আমাদের জীবনে যা ঘটছে তার প্রতি কীভাবে আমরা সাড়া দেবো। এবং এটাই অদল করা। এ জন্যেই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষ্যাগুলো নিয়ে দুপিরা না করাই উচিত। চিন্তা করা দরকার, যা আমরা করতে পারবো তা নিয়ে। আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তা হলো নিজেদেরকে, আমাদের আটিটিউড ইত্যাদি। আর যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে থাকলে জীবনের সুখ-শান্তিই খাবে নষ্ট হয়ে। ধরো, তোমার বোন তোমাদে জ্বালিয়ে মারে এবং এ জন্য তুমি ক্রমাগত নালিশ করে যাচ্ছো। এতে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। গ্রে-এ্যাকটিভরা এক্ষেত্রে অন্যদিকে মনোযোগ দেয়। যেটি তাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এতে তাদের মনে শাস্তি থাকে এবং জীবনকে আরও বেশি LOOK AT THIS AS AN OPPORTUNITY TO GROW তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তারা দুশ্চিড়াকে পাত্তা দেয় না। অনেক কিছুই হয়তো তাদের পছন্দ হয় না, তবে জানে এ নিয়ে রাতের ঘুম হারাম করার কোনো মানেও বাধা-বিপত্তিকে সাফল্যে পরিণত করো জীবনে চলার পথে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়, এর বিরুদ্ধে ীভাবে সাড়া দেবো সেটি আমাদের বিষয়। যতবার বাধা আসবে, এটিকে সাফল্যে পরিণত করার সুযোগ কিন্তু আমাদের রয়েছে। ব্রাড দেমণি প্যারেড পত্রিকায় এক কোটিপত্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘তোমার জীবনে যা ঘটছে তা মুখ্য নয়, তুমি কী করছো সেটাই মুখ্য।” এই কোটিপতি অর্থাৎ ডব্লিউ মিচেল একজন সেলফ-মেড মিলিওনেয়ার, সাবেক মেয়র, রিভার র্যাফটার এবং স্কাই-ডাইভার। এবং এসবই তিনি অর্জন করেছেন দুর্ঘটনার পরে। মিচেলকে দেখলে তোমাদের বিশ্বাস হবে না, এ লোকটি এতো কিছু পারেন। দুর্ঘটনায় তাঁর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বানান চামড়া লাগানো হয়েছে। দুই হাতের আঙুলই বেশ কয়েকটি কাটা পড়েছে, তিনি পঙ্গু বলে হাঁটাচলাও করতে পারেন না। বাইক চালানোর সময় একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি মারাত্মক আহত হন। পেট্রোল বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ভবে কাছের পার্কের এক লোক একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নিভিয়ে মিচেলের জীবন বাঁচান। তারপর থেকে মিডেলের মুখখানা পোড়া, আঙুল পুড়ে বাঁকা হয়ে গেছে, পায়ের মাংসের জায়গায় দগদগে ঘা। অ্যাক্সিডেন্টের পরে তাঁর বীভৎস চেহারা দেখে অনেকেই অম্লান হয়ে গিয়েছিল। তিনি দুই সপ্তাহ অচেতন ছিলেন। তারপর জ্ঞান ফিরে পান। এ অ্যাক্সিডেন্ট ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ১৯ জুন। দুর্ঘটনা পরবর্তী চারমাসে মিচেলকে ১৩ বার রক্ত দেয়া হয়, ১৬ বার স্ক্রিন গ্রাফট অপারেশন করাসহ নানান সার্জারী করা হয়। চার বছর রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে কাটানোর পরে, নতুন পঙ্গু জীবন যখন মেনে নিয়েছেন মিচেল, ওই সময় ঘটে যায় এক অভাবনীয় ঘটনা। হাসপাতালের জিমনেশিয়ামে উনিশ বছরের এক তরুণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। এ ছেলেটি ছিল পবর্তারোহী। পাহাড়ে চড়তে গিয়ে পড়ে গিয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। সে স্কি-ও করতো। পঙ্গু হওয়ার পরে সে ভাবতো তার জীবন শেষ। মিচেল এই তরুণের কাছে গিয়ে বলেন, ‘আমার জীবনে দুর্ঘটনা ঘটার আগে
পৃষ্ঠা:২৫
১০,০০০ টায় দিল হা হাটি করতে পারতাম। এখন আছে ৯.০০০। ১০০০ কাজ নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারি কিন্তু আমি ৯০০০ কত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওয়েলের চলার পথেষ্ট ছিল নটি। প্রথমত তিনি তাঁর বন্ধু-বান্ধব এই এবং পাহলে পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়াও হাড়িপর একটি বপন, যা তিনি শিখেছেন বিভিন্ন সূত্র থেকে। কিপারদের মনেতো তাঁতংনা বাধা-বিপত্তি হয়তো মিচেগের মতো এজে পরীক্ষায় কেন করতে পারো, কেউ তোমাকে ধরে পেটাতে পারে, খুব অসুস্থ হ্যা পররর স্যাকণ রয়েন্ত্রে। মাশা করি তুমি বো-এ্যাকটিভ হবে এবং এসব সমা আংবল না। হবে তুমি তোমার গণগ্রেডের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পহে যৌন নির্ধারনকে ঠেলে দাঁড়াও মনব জীবনের হয় বাধাবিপত্তি আছে, তার অন্যতম হলো যৌন নির্যাতন। আমি সেই সকালটির বথা কোনোদিন ভুলবো না, যেদিন একদল কিশোরী বা আসে তাসের যৌন নিপীড়ন বা অবমাননার অভিজ্ঞতার কথা বলেছিল। এদেরকে শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবে অবমাননা করা হয়েছিল। হিলরের মুষ থেকে তার গড়টি শোনা যাক। আাম চৌন বছর বয়সে যৌন অধমাদনার শিকার হই। তখন একটি মেলায়। গিয়েছিলাম। স্কুলের একটি ঢেলে এসে আমাকে বলে, ‘তোমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে। আমার সঙ্গে একটু আলো।’ ও মামার বন্ধু ছিল বলে ওকে একটুও যথো করিনি। মার আামার সঙ্গে ও সবসময় ভালো ব্যবহার করতো। ও আমাকে অনেকখাদি পর হাঁটিয়ে দিয়ে স্কুলের খেলার মাঠে চলে আসে। ওখানে নিয়ে যে মামাকে ধর্ষণ করে। ও আমাকে বলছিল, ‘এ কথা তুমি কাউকে বললেও কেউ বিশ্বাস করবে না। তাছাড়া তুমি তো এরকম কিছুই চেয়েছিলে।’ সে আরও বলে, এ ঘটনা আমা বাবা-মা জানতে পারলে লজা। তাদের মাথা কাটা যাবে। আমি ঘটনাটি প্রায় দুই বস্তুর গোপন রেখেছিলাম। জনশেষে একদিন একটি য়ের সেশনে আমি যাই। ওখানে মেয়েরা তাদের আমার সঙ্গে একদম মিলে যায়। ছেলেটির নাম বলে সে। ওই একই গেছে জীবন বাংই বলছিল। একটি মেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে তার কাহিনী শোনায় আমাকেও ধর্ষণ ছটি মোট ওই ছেলেটির কাছে দর্থিতা হয়েছে। হিনার এখন তার মানসিক বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। সে একটি টিনেজ দলের সদস্য, যাদের কন্দ্রে যৌন অবমাননার শিকার কিশোরীদের সাহায্য করা। এ দলটির সদস্য হতে পেরে নিজের মধ্যে নতুন শক্তি ফিরে পেয়েছে হিদার। কেউ যদি তোমাকে যৌন অবমাননা করে সেটি তোমার দোষ নয়। মার সত্য কথা অবশ্যই প্রকাশ করে নিতে হবে। এসব ঘটনা গোপন রেখো না। কারও সঙ্গে শেয়ার করলে তোমার সমস্যাটি অর্ধেক করে ফেলতে পারবে। কোনো বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করবে, অথবা হেল্প সেশনে যাবে, কিংবা কোনো পেশাদার থেরাপিস্টের কাছে। প্রথমে মার সঙ্গে ঘটনাটি শেয়ার করলে তার কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেলে হতাশ হয়ো না-এমন কাউকে খুঁে বের করো, যে তোমার সমস্যাটি বুঝতে পারবে। প্রো-এ্যাকটিভ হও। এজন্য হ যা প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নাও। এ বোঝা বইবার কোনো দরকার নেই। একজন পরিবর্তনশীল প্রতিনিধি হও একবার একদল কিশোর-কিশোরীকে জিজেদ করেছিলাম, তোমাদের রোল মডেল কে? এক মেয়ে বললো তার মায়ের কথা। আরেকজন তার ভাইয়ের নাম উল্লেখ করলো। এভাবেই অনেকেই যে যার রোল মডেলের কথা বললো। একজনকে নিশ্চুপ দেখে জানতে চাইলাম, সে তাকে সবচেয়ে পছন্দ করে। ছেলেটি শান্ত গলায় জবাব দিল ‘আমার কোনো রোল মডেল নেই। বোল মডেল। থাকতেই হবে এসবে সে বিশ্বাসী নয়। অনেক টিনেজারদের ক্ষেত্রেই এরকমটি দেখা যায়। তারা এমন বিশৃঙ্খল পরিবার থেকে আসে, যেখানে কাউকে রোল মডেল ভাবার অবকাশ নেই।উদ্বেগের বিষয় যৌন নির্যাতন, মদ্যপানের অভ্যাস ইত্যাদি বদ গুণগুলো বাবা-মার কাছ থেকেই অনেক সময় তাদের সন্তানরা পেয়ে থাকে। ফলে অস্বাভাবিক পরিবারের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায় সমাজে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যে ছোটবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, বড় হয়ে সে-ও কারও উপর যৌন নির্যাতন করে শোধ তুলতে চায়। কখনও কমনও এরকম সমস্যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে। তবে এ বৃত্তটি খামানো সম্ভব। যদি তুমি প্রো-এ্যাকটিভ হও তাহলে এ বদ্যাস দূর করতে পারবে। তুমি হতে পারবে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধি। তুমি তোমার সন্তানের জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে পারবে সু-অভ্যাস।
পৃষ্ঠা:২৬
চিলল নামে এক নছোড়বান্দ্য কিশোরী আমাকে তার গল্প বলেছিং ইয়ারে সে তার পরিবারে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধির ভূমিকা পালন করেছিল। তার বড়িতে কেউ পড়াশোনার ধার ধারতো না। চিপড়া বলেছে, আহার না কারখানায় সেলাই-ফোঁড়াইয়ের কাজ করতেন। খুব বাথাও ছবি আমার বেয়নের একটি কেক্ষ্যে মধ্যে প্রায়ই টাকা পয়সা দিয়ে ফগড়া হতো। তাঁরা টেনশনে থাকবেন কাঁজতে বাড়ি ভাড়া শেষ ভরকেন? আমার বাবা-মা পনেরো বছর বয়সে স্কুলের পাট চুকিয়ে ফেলেন। হল ইগ্রহমি পারছেন না বলে হিলডাকে পড়াশোনায় কোনো সাহায্য করা কবে হতো না। কলে বেচারীর খুব কষ্ট হতো। হিলারা যখন সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রী, ওই সময় তার বাবা-মা আদিজোনিয়া থেকে মেক্সিকো চলে যান। হিলতা শিমি বুঝতে পারে এখাদে পড়ালেখার মরকাশ তার জন্য খুবই কম। সে বাবা-মাকে অনুরোধ করে আমেরিকায় তার খাগর বাড়িতে যেতে চায় পড়াশোনার জন্য। পরবর্তী কয়েক বজর স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে হিলডাকে। আমার গলাতো বোনদের সঙ্গে একটি রুমে গাদাগাদি করে বদতে হয়েছে আমার,’ বলেছে সে। বিছানায় জাবলিং করতে হতো এবং কাজ করতাম আমি রুম ভাড়া ও স্কুলের বেতন পরিশোধের জন্য। তবু পড়াশোনাটা যে চালিয়ে যেয়ে পারছিলাম সেটাই ভাগ্য। ‘অল্প বয়সেই আমার বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু আমি স্কুল ছাড়িনি এবং পড়লো শেষ করার জন্য কাজও চালিয়ে গেছি। আমার বাবা বলতেন, আমাদের পরিবারের কেউ কোনোদিন পেশাজীবী হতে পারবে না। আমি তাঁর কথা ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছি।’ হিপড়া ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়েছে। সে চায় তার বাচ্চারাও পড়ালেখ করে মানুষ ঢ্যেক। সে তায় বাচ্চাকে ইংরেজি এবং স্প্যানিশ শেখাচ্ছে। বলেছে ‘আমি আর ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা জমাচ্ছি। একদিন যখন ভায় হোমওয়ার্কে সহায্যের প্রয়োজন হবে, আমি তাকে সাহায্য করতে পারবো। শেন নামে যোল বছরের এক কিশোরের সাক্ষাতকার নিয়েছিলাম আমি। বে-ও তার পরিবারে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছে। শেন এক মফস্বদে বাস করতো। বাবা-মা একসঙ্গে থাকলেও নিত্যদিন ভগড়াঝাটি ছিল তাদের সঙ্গী। তার বাবা দরী চাগাতো এবং বাড়িতে রাতের বেলা ফিরতো না। মা তার বারো বছরের ছোট বোনের সঙ্গে গাঁজা টানতো। বড় ভাই স্কুল ছেড়েছিল অনেক আগেই। এক পর্যায়ে শেন সব আশা ভরসা হারিয়ে ফেলে। সে যখন ভাবছে তার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, ওই সময় স্কুলে ক্যারেক্টার ডেভেলপমেনী ক্লাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে শেন। দেখতে পায় নিজের জীবন নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ তার বয়েছে এবং নিজের জন্য অবিষ্যতও গড়ে তুলতে পারবে। শেনরা যে ফ্লাটে বান করতো তার মালিক ছিলেন তার দাদু। দোকলা’র একটি কামরা সৌভাগ্যবসত ভাড়া পেয়ে যায় শেন মাসিক ১০০ পাউন্ডে। সে ডালাসে চলে যায়। তখন তার একটি নিজস্ব আশ্রয়স্থণ হয়েছে এবং নিচের ফ্রেগরে যা কিছুই ঘটুক তা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারছে। শেন বলেছে, ‘এখন আমার জন্য জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। নিজেকে সম্মান করতে পারছি। আমার পরিবারের কারোরই কারও প্রতি কোনো সম্মানবোধ নেই। আমার পরিবারের কেউ কোনোদিন কলেজে যায়নি। কিন্তু আমি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আমি এখন যা করছি সবই আমার ভবিষ্যতের জন্য। আমার ভবিষ্যৎ হবে ভিন্নরকম। আমি জানি আমি আমার বারো বছরের মেয়ের সঙ্গে বসে গাঁজা খাবো না।’ তোমাকে যা কিছুই চাপা দিয়ে রাখুক না কেন, তা ঠেলে সরিয়ে উঠে জীড়াবার ক্ষমতা তোমার রয়েছে। তুমি যতই বিপাকে পড়ো না কেন, তুমিও হতে পারবে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধি এবং নিজের জন্য একটি নতুন জীবন সৃষ্টি করতে পারবে। তুমিও পারবে প্রো-এ্যাকটিভ হওয়ার অর্থ দুটো। প্রথমত, তুমি তোমার জীবনের দায়িত্ব নিচ্ছো। দ্বিতীয়ত, তোমার রয়েছে ‘পারবো’ ভাবার দৃষ্টিভঙ্গি। ‘পারবো যারা ভাবে ‘পারবো না’ যারা ভাবে যা করতে পারবে তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে সমাধান এবং বিকল্পের কথা ভাবে কাজে নেমে যায় অপেক্ষা করে তাদের জীবন অলৌকিক কিছু ঘটবে সে জন্য। বাধা ও প্রতিবন্ধকতার কথা চিন্তা করে পরামর্শ বা ইংগিতের জন্যঅপেক্ষা করে
পৃষ্ঠা:২৭
টে তুই ভবে পারবে এবং তুমি সৃষ্টিশীল ও নাছোড়বান্দা, তোমর উদ্ধারেই নেই আসলে তুমি কী করে ফেলতে পারবে।জীবনের বন্ধো পৌছতে হলে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তোমাকে কেই বিছু করতে বলছে না বলে হাদি গুন থারাপ করে বসে যাবো, তাহলে চলবে না। গেমস্থলে হয়ে বা তোকে নেমে পড়ো কাজে। লোকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। রচেনতে উছেন করতে পারো বী করা যায়?তোমার কোলের মধ্যে বাজ বা চাকরি চলে আসবে এমনটি রেবো না। কজের পেছনে লওয়া করো। তোমার সিভি পাঠিয়ে দাও, ভলান্টিয়ার হিসেবে জেখার দ্রি কস্তর করে দিতে পারো।’কোনো সেভানে যদি দেখো সহকারী দরকার, দোকানী তোমার খোঁজ করবে, সেই অপেক্ষায় না থেকে নিজেই তার কাছে চলে যাও।যারা পারবে স্নালোকে হতে হয় সাহসী, নাছোড়বান্দা এবং স্মার্ট। পিয়ায় কথাই ধরো যে আমার সহকর্মী ছিল। যদিও গল্পটি অনেক আগের। কিন্তুআমি তখন ইউরোপের একটি বড় শহরের এক তরুণী সাংবাদিক।ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালে ফুলটাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করি। আমি উলাম অনভিজ্ঞ এবং সরদময় এ কথা ভেবে নার্ভাস থাকতাম, বাঘা বাঘা পুরুষ। সাংবাদিকদের তুলনায় আমি কিছুই করতে পারবো না। ওই সময় বিটলস বদ আমানের শহরে আসছিলেন এবং বিস্মিত হয়ে জানলাম, আমাকে আঁদের বপর স্টেরি করতে হবে। (মামার সাম্পাদকের বোধহয় কোনো ধারণা ছিল না তাঁর করো বিরাটা। বিটলসরা এইসময় ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ছিলেন। শত শত মেয়ে তাঁদেরকে সামনা সামনি একনজর দেখলেই অজ্ঞান হয়ে যেত। আর আমি কি-না এই মানুষগুলোর সংবাদ সম্মেলন কভার করবো।সংবাদ সম্মেলনটি দারুণ হয়েছিল। আমি ওখানে যেতে পেরে যারপরনাই উল্লসিত। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম, সবার গল্প একইরকম হবে। আমি চাইছিলাম ভিন্ন কিছু লিখতে, যা পত্রিকার প্রথম পাতায় স্থান পাবার যোগ্য। আর সে সুযোগটি আমি হারাতে চাইনি। সংবাদ সম্মেলন শেষে অভিম সাংবাদিকরা এরে এতে সংটে চলে গেলেন যে যার নিপোর্ট লিখতে, বিটৎসরা ফিরে গেলেন তাঁদের রুমে। আমি কোথাও গেলাম না। মামার মতলব এই মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা করা। এবং নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে ছিল না। আমি যোটেল লবিতে গেলাম। হাউস ফোন তুলে ডায়াল করলাম পেন্থহাউসে। অনুমান করেছিলাম ওটাই হবে তাঁদের আস্তানা। ফোন ধরলেন তাঁদের ম্যানেজার। “আমি পিয়া জেনসেন বলছি ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল থেকে। আমি একটু বিটলসদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে চাই। আধবিশ্বাসের সাথে কথাগুলো বললাম।(আমার হারাবার কী আছে? আমাকে অবাক করে দিয়ে ম্যানেজার বললেন, ‘চলে আসুন।’ আমি যেন পটারির টিকিট জিতে গেলাম। কাঁপতে কাঁপতে ঢুকলাম এলিভেটনে এবং হোটেলের রয়াল লুইটে চলে এলাম। বিশাল পেন্থহাউস-গোটা একটা ফ্লোর ছুড়ে। ওখানে সকলে বসেছিলেন-রিঙ্গো, পল, জন এবং জর্জ। আমি আমার অনভিজ্ঞতা এবং নার্ভাসনেসকে গিলে ফেলে বিশ্বমানের। সাংবাদিকের মতো আচরণের চেষ্টা করলাম। পররর্তী দুটো ঘণ্টা তাদের সঙ্গে কাটলো হাসি-ঠাট্টা-আনন্দে। তাদের কথা শুনলাম, লিখলাম। আমার জীবনের সেরা একটি সময় কেটে গেল। তাঁয়া আমার মঞ্চে অত্যন্ত মার্জিত আচরণ করছিলেন এবং তাঁদের পূর্ণ মনোযোগ আমার প্রতিই ছিল। পরদিন সকালে আমার স্টোরিটি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকার ফ্রন্ট পেজে ছাপা হয়।। এবং বিটলসদের প্রত্যেকের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, তা বিশ্বের বেশিরভাগ কাগজে পরবর্তী কয়েকদিনে প্রকাশিত হয়েছে। এরপরে রোলিংস্টোন দল যখন শহরে এসেছিল, তখন কাকে তাদের ইন্টারভিউ নিতে পাঠানো হয়েছিল, জানেন? আমাকে, এক তরুণ, অনভিজ্ঞ নারী সাংবাদিককে। আমি শামি বুঝতে পারি স্রেফ নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকলে আমি যে কোনো কাজ উদ্ধার করতে পারি। আমার মনে একটা ছক এঁটে যায় এবং আমার মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, যে কোনো কিছুই করা সম্ভব। বিটিলসদের এ ইন্টারভিউ আমার সাংবাদিকতার করাবিয়ারটাকেই ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বিশ্বখ্যাত নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, ‘লোকে সবসময় তাদের পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে নালিশ জানায়। আমি পারিপার্শ্বিকতায় বিশ্বাসী নই। আমি পরিবেশ তৈরিতে বিশ্বাসী।’ ছোট ছোট পদক্ষেপ ১) কেউ তোমার সঙ্গে বৈরি আচরণ করলে তুমি তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে। ২) তুমি কী বলছো ভালো করে খেয়াল করবে। গুণে নিও কতোবার রি-এ্যাকটিভ ভাষা ব্যবহার করেছো।
পৃষ্ঠা:২৮
৫) সেই বারট আলই সেরে ফেলো, যেটি সবসময় করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু করতে পারনি।জাবোটী পেশাটা ইন নেট বিখে তা আয়নায় সাঁটিয়ে রাখো কিংবা তোমন্ত্র মহেটিতে রাখো। নোটটি হতে পারে এরকম, আমি আর সিদ্ধান্তহীনতায় স্বপয়ে ।৫) পাটরে দেয়ালের রোমা খেয়ে বসবে না এবং অপেক্ষা করবে না যে, কেউ তোমাকে দেখে তারপর হল্লোড়ে ঢেকে দেবে। নিজেই এগিয়ে গিয়ে, পরির ৬) পরেরবার পীিক্ষায় ভালো ফলাফল করতে না পারলে মন খারাপ করবে না। উভয়ের সঙ্গে ম্যাপয়েন্টমেন্ট করে বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করে। দেখো, কী শিখতে পারো।গ) বস্তুবান্ধব বা ধারা-মা’র সঙ্গে ওপড়া হলে তুমিই আগ বেড়ে ক্ষমা চাইরে।৮) নিজের মধ্যে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করো, যা ভূমি নিয়ন্ত্রণ করার পারছো না। এখন সেটা থেড়ে ফেলে দাও মন থেকে।৯) কারও সঙ্গে করিডোরে ধাক্কা লেগে গেলেও ঝগড়া করতে যেয়ো না। নিজেই এগিয়ে সরি বলো, এতে অন্যরা তোমার প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করবে।১০) নিজের আত্মসচেতনতাকে জিজেস করো ‘আমার সবচেয়ে বাজে অভ্যাধ কী?’ তারপর এ অভ্যাসটা দূর করার চেষ্টা করো।
অভ্যাস-২ শুরুটা করো প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজের নিয়তি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করো নতুবা অন্য কেউ করবে
পৃষ্ঠা:২৯
তোমাকে একটি জিগণ পায়ল সাজাতে বলা হয়েছে। তুমি আগেও এসব ঐধার রহস্য সমাধান করেছো বলে এ কাজটি করতে উত্তেজিত বোধ করছো। তুমি পায়সের ১০০০ টুকরোর পুরোটাই বড় একখানা টেবিলে ঢেলে দিলে। তারপর বাজের ঢাকনা তুলে দেখলে ওগানে কী রাখবে। কিন্তু দেখলে ভেতরে কোনো ছবি-টবি নেই। একদম খালি। কিন্তু পাবলটা কেমন হবে, না দেখে কিভাবে ধাঁধাটা সাজাবে? তোমার কাছে কোনো তুই নেই শুরু করার জন্য। তখন নিজের জীবন নিয়ে এবং তোমার ১০০০টি টুকরো নিয়ে চিন্তা করো। তুমি আজ থেকে এক বছর পরে কী হতে চাও, সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার ধারণা আছে তোমার? কিংবা পাঁচ বছর পরে? নাকি তোমার কাছে কোনো তু-ই নেই? ২নং অভ্যাসের শুরু মনের প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এর অর্থ তুমি জীবন দিয়ে কোন দিকে ধাবিত হতে চাও, তার একটি পরিষ্কার চিত্র অংকন করো। তার মানে তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তোমার মূল্যবোধগুলো কী এবং রক্ষাগুলো কী? ১নং অভ্যাস বলছে, তুমি তোমার জীবনের চালক, যাত্রী নও। ২নং অভ্যাস বলছে, যেহেতু তুমি চালক কাজেই ঠিক করো কোথায় যাবে এবং সেখানকার একটি মানচিত্র তৈরি করো। ‘এক মিনিট, শন,’ তুমি বলতে পারো। ‘আমি জানি না আমার মনের চিন্তার শেষ কোথায়, জানি না বড় হয়ে আমি কী হতে চাইছি?’ আমি কিন্তু বলছি না তোমায় ভবিষ্যতের প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে, যেমন তোমার ক্যারিয়ার বা কাকে বিয়ে করবে এসব। আমি বলছি, আজকের পরে কী ভাববে এবং সিদ্ধান্ত নেবে কোন দিকে নিয়ে যেতে চাও তোমার জীবন? কাজেই যে পদক্ষেপই নাও না কেন সেটি যেন সঠিক হয়। শুরুটা করো প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তুমি হয়তো কথাটি বুঝতে পারনি। তবে সবসময় কাজটি করে আসছো। তুমি কোনো ধাড়ি তৈরির আগে তো তার একটা নকশা করো। কেক বানাবার আগে রেসিপি পড়ো। রচনা লেখার আগে আউটলাইন তৈরি করো। এটাই জীবনের অংশ।
পৃষ্ঠা:৩০
প্রত্যক্ষ দীরতি নিয়ে একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যাক হেড বল্পতাপন্ডিত্র সাহয্যে। এমন একটা নির্জন জায়গা খুঁজে বের করো, যেখানে য়ো তোমাকে বিরক্ত করবে না।এখন মন থেকে সবকিছু যেড়ে ফেলে দাও। স্কুল, বন্ধ-বান্ধব, পরিষ্য কোনো কিছু নিয়েই ভাষবে না। শুধু আমার প্রতি মনোযোগ দাও, গভীর দর বা তোমায় হদের চোখে কাউকে কল্পনা করো, যে আধা ব্লক দূর থেকে ত্রি আসছে ডোমার দিকে। প্রথমে তুমি বুঝতে পারছো না কে সে? তবে গেম্বা কজন আরও কাছিয়ে এলো, হঠাৎ বুঝতে পারলে সে আর কোট নয়, তুমি স্বয়ং। তবে এ আজকের ভূমি নও। আজ থেকে এক বছর পরের ভূমি।এখন গভীরতাছে চিন্তা করো। তুমি গর বহরে তোমার জীবন নিয়ে কী করেছো? তুমি তোমার ভেতরে কীরকম অনুভব করছো? তুমি দেখতে কেমন?
তোমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কী কী? এখন তুমি বাস্তবে ফিরে আসতে পারো। তুমি হয়তো এ এক্সপেরিমেন্সে মাধ্যমে নিজের গভীর সত্তাকে স্পর্শ করতে পেরেছো। বুঝতে পেরেছো তোমা হনা গুরুত্বপূর্ণ কী এবং আগামী বছরে কী করতে চাও? একেই বলে প্রয়াগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মনের শুরু। একটি অতি ভালো ছাত্র তার অভিজ্ঞতা থেকে যা বলছে, তোমার হায়রে কজে লাগতে পারে। আমি জীবনে কোনো কিছু পরিকল্পনা করে করিনি। যেমন মন চেয়েছে তেমন করেছি। একজনের শুরুর জন্য প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত, এটি আমা মাথাতেই আসেনি। তবে বিষয়টি শিখবার অভিজ্ঞতাই ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। বাল হঠাৎ আবিষ্কার করি, আমি গভীরভাবে কিছু চিন্তা করতে পারছি। এখন প্রতি আমার পড়লেখা নিয়ে শুধু প্ল্যানই করছি না, আমার বাচ্চাকাচ্চাদের কীভাবে রা করতে তা-ও ভাবছি। ভাবছি কীভাবে আমার পরিবারকে শেখাবো, আমলে বাড়িটি কীরকম হবে ইত্যাদি। এখন আমি নিজেই নিজের দায়িত্ব নিয়ে নিঙ্গ আর হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছি না। মন নিয়ে প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকাটা জরুরি কেন? এর দুটি কারণ রয়ের। প্রথমত তুমি রয়েছো তোমার জীবনের জাটল ক্রস রোডে, এবং তুমি তখন যে রাস্তায় যাবে, সেটি তোমার ওপর সারাজীবনের জন্য প্রস্তাব রাখতে পারে। দ্বিতীয় হলো এখনই যদি নিজের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা না করো, অন্য কেউ সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করবে। জীবনের ক্রস রোড রজীবনের ক্রস রোড মানে হলো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের কাল। তুমি এখনও বয়সে তরুণ। তুমি যুক্ত। তোমার সামনে পড়ে রয়েছে গোটা জীবন। জীবনের ক্রস বোয়ে দাঁড়িয়ে আছো তুমি। এখন নিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন রাস্তায় যাবে? তুমি কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাও? জীবনের প্রতি তোমার দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে? তুমি কি ওই ফুটবল নলে থাকতে চাও? কী ধরণের বন্ধু তুমি চাও? কোনো দলে যোগ দেবে? কার সঙ্গে ডেট করবে? বিয়ের আগে সেক্স করবে কী না? তুমি কি সিগারেট, মন পান করো, নেশা করো? কী ধরনের মূল্যবোধে তুমি বিশ্বাসী? পরিবারের সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক তুমি চাইছো? তুমি ওপেন বন্ধুত্বে বিশ্বাসী কি না? তুমি আজ যে পথ বেছে নেবে, সেটি তোমাকে চিরকালের জন্য গড়ে দিতে পারে। তরুণ বয়সে আমরা কতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, এ ভাবনাটি একদিকে যেমন চিত্তাকর্ষক, অন্যদিকে তেমনই ভীতিকরও বটে। কিন্তু জীবন তো এরকমই। আট ফুট লম্বা একটি রশির কথা চিন্তা করো, যেটি বিছিয়ে আছে তোমার সামনে। প্রতিটি ফুট রশি তোমার জীবনের একেকটি বছর। কৈশোরকালের ব্যপ্তি সাত বছর, তবে এ সাত বছরের প্রভাবই থাকতে পারে একষট্টি বছর পর্যন্ত, ভালো অথবা মন্দভাবে। বন্ধু বন্ধুরা তোমার ওপর অনেক প্রভাব রাখতে পারে। যদিও বন্ধু নির্বাচনে অনেক সময় আমাদের ভুল হয়ে যায়। তবে ফুল বন্ধু বাছাই করার চেয়ে
পৃষ্ঠা ১৬ থেকে ৩০
পৃষ্ঠা:১৬
হলে প্রায়শর মেতে মাছ এ ধানের কাজ করে আসছি। এর পড়শী মেয়ে ছিল। খুব গরিব। যে তার বাবাকে নিয় মহলে ফ্লাটে তেরো ৩৫ ছিন বছর ধরে আমি তাকে আমার জামালনী দিয়ে হালাই। তাই হতে আামার জামা দেয়ার পরে বলতাম, ‘এ ড্রেসটায় জেমকে বেশ মজাহে’ কিংবা ‘এটা পরে দেখো তো কেমন লাগে।’ একে যেন অমার দেয়া ড্রেস পরতো, আমার খুব ভালো লাগতো। সে শুনা তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’ আমি জবাব দিতাম, ‘এ শ্রীতে তোমাতে দারুণ লাগায়ে। আমি সবসময় লক্ষ্য বনরতাম ও যেন অমন্ত্র জেনে কথায় মনে আঘাত না পায় কিংবা না ভাবে, ওরা গরিব বলে অর্ড রদেরকে জামাকাপড় দিগ্রি। ও আমার জামাকাপড় পরে আনন্দে আছে বঙ্গে হাব, তেমন চেনা বা জানা সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষটিকে গিয়ে হ্যাল বলে। যে তোমার জন্য কিছু করেছে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে চিঠি লেখো।
নিজের প্রতি নম্নে হও: নম্ন হওয়ার অনেক মানে আছে। এর অর্থ এই নয় যে, কাল সকালেই তোমাকে একজন পারফেক্ট মানুষে রূপান্তরিত হতে হবে। তুমি যদি তোমার ভুলটি দেরিতে বুঝতে পারো, তোমার বিকাশ হদি হয় দেরিতে, সমস্যা নেই, আমাদের মধ্যে অনেকেই তাই। কাজেই ধৈর্য বরো এবং নিজেকে বিকশিত করতে, ভুল সংশোধনে সময় দাও। নগ্ন হওয়া মানে তুমি এখন কিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলেছো, দোটার জন্য নিজেকে ওথা করতে শেখা। আর আমরা তো ভুল থেকেই শিখি। তবে যা গেছে গেছে, তা নিয়ে ভেবো না। শুধু চিন্তা করো ভুলটা কী ছিল এবং কেন এটা হলোহ প্রয়োজনে ত্রুটিমুক্ত করো নিজেকে। তারপর এটার ভাবনা জ্বলে গিয়ে সামনে
সৎ হও: সততা বিষয়টির নানান রূপ থাকতে পারে। প্রথমেই মাসে সেলফ অনেস্টি বা আত্মসততার তথা। আমি জানি আমি ভুয়া একজন লোক কিন্তু দেখাতে চেষ্টা কবি আমি তা নই। কাটা আত্ম সরতার বিপরীত চিত্র। সততার পরিচয় দিতে হবে কাচেরমে। তুমি কি স্কুলে বা তোমার বাবা-মা’র সঙ্গে সংহ যদি অতীতে তুমি অসৎ এতে থাকো, যেটি আমরা কমবেশি সবাই, সেক্ষেত্রেও বলবো সৎ হওয়ার চেষ্টা করো। এবং দেখতে কেমন অনুভূতি জাগছে মনে। মনে রেখো অন্যায় বা ভুল কিছু করলে কিন্তু মন সবসময় খচখচ করবে। আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, আমার ক্লাসে তিনটে ছেলে ছিল যারা মাকে ছিল কাঁচা। আর আমি অংক খুব ভালো পারতাম। ওদেরকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার জন্য পরীক্ষা পিছু নাঁড় পাউন্ড করে নিতাম। পরীক্ষার প্রশ্ন হতো মালটিপল চয়েদে, কাজেই ছোট এক টুকরা কাগজে সমস্ত প্রশ্নের জবাব লিখে নিয়ে আমি ওদেরকে দিতাম শুরুতে ভাবতাম কটে করে পয়সা কামাচ্ছি। মন্দ কী? কিন্তু তখন ভেবে দেখিনি এটি আমাদের সবাইকে আধ্যত করতে পারে। পরে বুঝতে পারি এ কাজটা আমার করা উচিত হচ্ছে না। কারণ, আমি তো আসলে ওদেরকে কোনো সাহায্যই করছি না। স্রেফ নকল করতে সাহায্য করছি। ওরা শিখছে না কিছুই ফলে গুবা পড়ালেখায় ভালো করতে পারবে না। এই যে নকলবাজি, এটা কিন্তু আমার মনে একটুও সুখ দেয়নি।
পৃষ্ঠা:১৭
তোমার চরণকে অণেক চিতবার দেখবে। এদের মধ্যে সৎ হয়ে থাকতে লাখের ডিপেটিট বসরা করছো এবং একে তোমার শক্তি তৈরি হচ্ছে। প্রথাস হয়ে সরাই সর্বোত্তম পন্থা। নিজেকে নতুনের মতো তৈরি করো সিঙ্গেতে নতুনো হাসা তৈরি করতে তোমার সময় লাগবে। যদি তা করতে ব্যর্থ হন তার জীবনের আনন্দই হারিয়ে ফেলবে। তোলা হয়তো ফ্রান্সিস হজসন বারগোটের ‘দ্য সিক্রেট গার্ডেন’ বছ পড়েছে, নিবে নাম কালছো। এটি হেরি নামে এক বিশ্বেরীর গল্প। বার বার মা দুর্ঘটনশায় মারা গেলে যে তায় ধনখান চাচার বাড়িতে যায় থাকার জন্য। হান্ন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর পথে খুবই গন্ধীর হয়ে গেছেন। কারও সঙ্গে মেশেন না, কথাটবর হেমন বলেন না, সকলের দঙ্গে তাঁর আচরণ শীতল। তিনি অতীত জীবন ঘোরে •গ্রহাই পেতে বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। তাঁর এক ছেলে ছিল। বেচারার টীবন বড়ই দুঃখের। সে লবসময় অসুস্থ থাকে এবং হুইল চেয়ারে ছাড়া চলাফের করতে পারে না। বিরাট প্রাসাদের একটি অন্ধকার জায়গায় থাকতো ছেলেটি। এই নিতান্তই নিঃসঙ্গ পরিবেশে কিছুদিন কাটানোর পরে মেরি প্রাসাদের কাছে একটি সুন্দর বাগান আবিষ্কার করলো। এ বাগানটির ফটক বহুদিন খায় অলাবদ্ধ ছিল। তবে মেরি এখানে প্রবেশের একটি গোপন পথ পেয়ে যায় এবং নিজের গুমোট পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে সে প্রতিদিন এ বাগানে আসতে থাকে। এটি হয়ে ওঠে তার অাশ্রয়স্থল, তার গোপন বাগিচা। কিছুদিন পরে মেরি তার পঙ্গু চাচাত ভাইটিকেও এ লাগানে নিয়ে আসতে শুরু করে। বাগানটির অপূর্ব সৌন্দর্য যুদ্ধ করে তোলে ছেলেটিকে। সে আবার ইটিতে শেখে এবং চিরে পায় সুখ। একদিন, মেরির রাশভারী চাচা, দেশ হাজা শেষে বাড়ি ফিরে শুনতে গান কেউ নিষিদ্ধ বাগানটিতে খেলা করছে। তিমি রেগে ওখানে ছুটে যান। অবাক হয়ে দেখেন তাঁর ছেলে হুইল চেয়ার বাদ দিয়ে নিষি হেঁটে বেড়াচ্ছে বাগানে আনন্দিত চিরে। এ দৃশ্য তাঁকে যেমন অবাক করে যের তেমনি আনন্দে চোখে এনে দেয় অশ্রু। তিনি বহু বছর পরে পুত্রকে অবিঙ্গা করেন। বাগমটির রূপ এবং জাদু পরিবারটিকে আবার মিলিত করে। মো আসলে আমদের দবতই এরকম একটি বাগান দরকার, যেখানে আমার অশ্রেয় নিতে পারবো, আমাদের শক্তি নতুন করে ফিরে পাবো। তবে এ সুখব আদর্শ পেতে হলে গোলাপ বাগিচা, পাহাড়চূড়া কিংবা সমুদ্র সৈকত না হলেও চলবে। এটি হতে পারে বেডরুম কিংবা বাথরুমও, শুধু যেখানে একটু একা হওয়া যায়। খিও নামের কিশোরটি ভার লুকানো আস্তানার বিষয়ে বলেছে। ‘যখন আামার খুব মন খারাপ হয় কিংবা মানসিক চাপে থাকি অথবা যাবা। মা’ত সঙ্গে ঝগড়া হয়, আমি চলে যাই বেসমেন্টে। ওখানে রয়েছে একটি হকি মিটক, একটি বল এবং একটি নগ্ন কংক্রিটের দেয়াল, যেখানে আমায় হতাশা ঝাড়তে পারি। আমি আধঘণ্টা বহু ছুড়ি দেয়ালে তারপর তারা মন নিয়ে ফিরে যাই ওপরে। বেসমেন্টে বসে হকি প্রাকটিস করতে গিয়ে আমার খেলায় উন্নতি হয়েছে সন্দেহ নেই, তবে তারচেয়েও বেশি ছিল আমার বাবা-মা’র সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন।’ অ্যালিসন তার নিজের বাগানটি খুঁজে পেয়েছিল আমার বাবা কারখানায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। তখন আমি ছোট। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমার জানা নেই, কারণ মাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করতে ভয় পেতাম। আমি আমার মনের মধ্যে বাবার একখানা ছবি তৈরি করে নিয়েছিলাম, যেটি আমি কোনোদিন পরিবর্তন করতে চাই না। আমার চোখে আমার বাবা একভন যথার্থ মানুষ, যিনি এখানে উপস্থিত থাকলে আমাকে সবরকম বিপদ থেকে রক্ষা করতেন। তবে আমার ভাবনায় তিনি সবসময়ই আছেন এবং আমি কল্পনা করি, বাবা এখানে থাকলে আমাকে কীভাবে সাহায্য করতেন।
পৃষ্ঠা:১৮
কেন আমারা হয় আছি স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের খেলার মটর বাইক বাড়াই। কেন জানি হলে হব সবচেয়ে বড় এ জায়গাটিতে একে করতে আমি অনুভব করতে পারবো। এই আনি প্রাইমের মাথায় উঠে ওশানে আর বাকি। আমি মনে হতে বাজার সঙ্গে কথা বলি এবং মনে হয় তিনিও আহহ ঘরে করা বলছেন। আমি চাই তিনি আমাকে স্পর্শ করুন। যদিও জানি এটি দুর এর। যখনই জোতে কিছু নিয়ে আমার খুব মন খারাপ হয় আমি চলে স্বপ্ন এখানে। আমার বেদাটা বাবার সঙ্গে শেয়ার করে যেন নিজেকে হালকা করি। বিজের মদের যোথা হালকা করার হায়গা খুঁজে পাবার পাশাপাশি আরও অনেক রাঙা আছে, যেখানে তুমি নিগ্রোকে নতুনভাবে তৈরি করতে পারবে এবং নিরপি করতে পারবে তোমার FBA. এজন্য এক্সারসাইজ করতে পারো। যেমন ইরাইটি, দৌড়, নাচ অথবা কোনো ব্যাগে পাঞ্চিং বা ঘুষোঘুষি করা। কোনে টিনেজার মন খারাপ কাটাতে পুরানো দিনের সিনেমা দেখে, কোনো মিউজিক ইনস্ট্রুমেন্ট বাজিয়ে, ছবি এঁকে অথবা বস্তুর সঙ্গে কথা বলে যারা উৎসাহ দিতে নিজের প্রতিভাকে উজ্জীবিত করো প্রতিভার খোঁজ পেয়ে তার উন্নয়ন সাধন, শখ কিংবা বিশেষ কিছুতে অল্পহ হতে পারে তোমার 11A – জন্য সবচেয়ে বড় সঞ্চয়। উরসেন্ট যা প্রতিভায় কথা প্রবনেই আমরা কেন ট্রাডিশনাল হাই প্রোফাইল টালেন্টদের কথা চিন্তা করি, বুঝি না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আাগলেট, নৃত্যশিল্পী কিংবা পুরষার বিজয়ী ফোনো শক্তিও। তবে সত্য এই যে, ট্যালেন্ট আসে বিভিন্ন পাকেজে। ছোট চিন্তা কোরো না। তোমার হয়তো বই পড়ত অভ্যাস আছে কিংবা লিখতে পারো অথবা তুমি সুবক্তা। তুমি হয়তো একজন সৃষ্টিশীল মানুষও। খুব দ্রুত কিছু শিখে নেয়ার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে তোমার। কিংবা যে কাউকে সহজেই গ্রহণ করতে পারো। তুমি হয়তো একজন ভালো সংগঠন, রয়েছে নেতৃত্বদানের গুণ। তোমার প্রতিতা লুকিয়ে থাকতে পারে দাবা খেলায়, নাটকের অভিনয়ে কিংয় প্রজাপতি সংগ্রহে। তবে সেটি যে-ই হোক, যখন ভূমি এ করনের কিছু কাজ করছো, এটি নিঃসন্দেহে উৎফুল্ল হওয়ার মতো বিষয়। এটি হলো নিজেকে প্রবাশের একটি রূপ। আমার শালক এইস বলেছিল, সে প্রতিভার উন্নয়ন ঘটিয়ে নিজের মহাবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পেরেছে, একটি ক্যারিয়ার খুঁজে পেয়েছে, যা তর জীবনে এনে দিয়েছে জিন্নতা। যে বাস করতো আমেরিকায় এবং তার গল্প গড়ে উঠেছে টেটন পর্বতমালাকে ঘিরে। এ পতিমাগার অবস্থান আইডাহো এবং ইওমিংয়ে। যেয়ন পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গ্রান্ড ঢেডন, সমুদ্র সমতল থেকে ১৩.৭৭৯ ফুট উঁচুতে। কিশোর বয়সে খুব ভালো বেসবল খেলতো ব্রাইস। কিন্তু একটি দুর্গটিনা তার হরকিছু বরবাদ করে দেয়। একদিন সে একটি বন্দুক নিয়ে খেলা করছিল, হঠাৎ বন্দুক থেকে গুলি তার চোখে বিদ্ধ হয়। অপারেশন করলে চোখটা চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে ডাক্তাররা যার গুলিটি বের করেননি। মাস কয়েক পরে ব্রাইস বেসবলে দিতে এনেও আগের মতো আর খেলতে পারছিল না। কারণ তখন তাকে মাত্র একটি বন্ধুর ওপর নির্ভর করে খেলতে হচ্ছিলো। সে এনেছে, এক বছর আগেও আমি তারকা খেলোয়াড় ছিলাম, কিন্তু এখন আমি বলই মারতে পারি না। আমি বুঝতে পারছিলাম আমি মার কিছুই করতে পারবো না। আমার আত্মবিশ্বাসের জন্য এটি ছিল মস্ত মাগার। ব্রাইসের দুটি বড় ভাই ছিল। নানা কাজে পারদর্শী ছিল ভায়া, ব্রাইস ভাবতো এক চোখ নিয়ে সে এখন আর কিইবা করতে পারতে। টেটন পর্বতমালার বাতে তার বাড়ি ছিল বলে সে সিদ্ধান্ত নেলা পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করবে। তাই সে স্থানীয় আর্মি স্টোরে গিয়ে নাইলনের রশি, ক্যারাবাইদার, চক, পিটনসহ পাহাড় বাইবার জন্য আনুযদিও যা যা দরকার সব কিনে অথেলো। সে পাহাড় চড়ার ওপরে বইপত্র পড়লো, শিখলো কীভাবে রশিতে গিট্টু বাঁবতে হয়, হারানদ পাথরের গায়ে আটকাতে হয় ইত্যাদি। প্রথমে সে গ্রান্ট টেউনের ছোট ছোট পাহাড়ে ওঠা শুরু করলো। প্রাইস শিল্পি অাবিষ্কার করল্যে, যে পাহাড় বাইবার ওস্তাদ। তার শরীর যুগঠিত, হালকা যা পাহাড়ে চড়ার জন্য খুবই উপযোগী। বেশ কয়েকবার ট্রেনিং শেষে ব্রাইস গ্রান্ড টেটনের শৃঙ্গে আরোহণ করল্যে। পাহাড় বাইতে তার সময় লাগলো দুইদিন। চূড়ায় পৌছে তার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেল। পাহাড় বাইবার পার্টনার পাওয়া কঠিন ছিল, তাই ব্রাইস একাই ট্রেনিং নিতে লাগল। একটা সময় গ্রান্ড টেটনে আরোহন তার কাছে ডালভাতে পরিণত হলো। একদিন তার বন্ধু কিম থাকে বললো, ‘তুমি গ্রান্ড টেটনে ওঠার রেকর্ডটি পারলে জন গিডেন নামে এক লোক মাত্র চার ঘণ্টা এগারো মিনিটে গ্রান্ড টেটনে আরোহণ করে রেকর্ড গড়েছেন, ব্রাইসকে জানালো কিম।
পৃষ্ঠা:১৯
একই প্রাবল্যে প্রাইস। ‘এ লোকটির সঙ্গে একদিন দেখা করতে হবে।’ হতে রাইস পড়াতে চাড়ার অভ্যাস চাপিয়ে গেল। সে দৌড়ে এখন পাহাড়ে বই এ রথে। হায়ে তার দৌড়ের গতি দ্রুততর হয়ে বললো, ‘তুমি রেকর্ডটি ভাঙার চেষ্টা করো। একদিন পাহাড় বাইরে দিয়ে এক স্নিহেনের সঙ্গে সাক্ষাত হয়ে গেল। প্রইলেন। সে এবং প্রিয় জবের উাঁবুতে বসেছিল, কিম, যে নিজের একজন প্রাধনাম রাইখ্যা, করতে লাগে, ‘এই পোত আপনার রেকর্ড ভাঙতে চাই। স্বর তাললেন গ্রইসের ১২৫ পাউর ওজনের কাঠামোর দিকে। তাঁর ডাইনিয়ে তারিণা। ব্রাইন অপমান যোগ করলেও সামলে নিল নিজেকে। তবে কিম আরে সাহস যুগিয়েই চললো, আমি জানি তুমি এটা পারবে।’ ১৯৬১ সালের ২৬ আগসী মোরবেলা, কমলা রঙের ছোট ব্যাকপ্যাক পিঠে ঝুলিয়ে, হালকা ভাবেট গায়ে দিয়ে ব্রাইস দৌড়ে গ্রান্ড টেউনের চূড়ায় উঠল তিন ঘণ্টা সরচল্লিশ মিনিট চার সেকেন্ডে। সে এ আরোহন পর্বে কেবল দু’বার থেমেছে একবার জুতোর ভেতর থেকে পাথরখণ্ড বের করতে এবং চূড়ায় উঠে রেজিস্ট্রারে সই করতে যে সে এখানে এসেছিল। দারুণ লাগছিল ব্রাইসের। কারণ যে সত্যি রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তবে হ্রাইদের এ রেকর্ডও ভেঙ্গে ফেলা হয়। ক্রেইটন কিং নামে এক লোক তিন ঘণ্টা বিশ মিনিট নয় সেকেন্ডে পাহাড় চূড়ায় ওঠে। এর দুই বছর পর ১৯৮৩ সালের ২৬ আগস্ট ব্রাইস আবার টেটন পর্বতে যায় তার শিরোপা উদ্ধার করতে। এবারে সে মাত্র এক ঘন্টা তেজান্ন মিদিটে পাহাড় চূড়ায় আরোহণ করে। তবে এবারের আরোহন এবং অবরোহন পর্ব দুটিও তার জন্য খুব কষ্টের ছিল। অক্সিজেনের অভাবে তার চেহারা বেগুনি হয়ে গিয়েছিল। দে নামার সময় আাহতও হয়েছে। তবে এতো অল্প সময়ে পাহাড়ে চড়তে পারার জন্য হ্রাইসের নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে পরিচিতি পায় বিশ্বের সেরা পর্বতারোহী হিসেবে। ‘এটি আমাকে একটি পরিচয় দিয়েছে,’ বলেছে ক্রইস। সবাই কিছু না কিছুর জন্য পরিচিত হতে গাং, আমিও চেয়েছিলাম। পাহাড়ে চড়তে পেরে আমার আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিপ্লেকে আমি এভাবেই প্রকাশ করেছি।’ আজ গ্রাইস অভান্ত সফল একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি। কোম্পানিটি পরাত্রোইদের জন্য ব্যাকপ্যাক তৈরি করে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ব্রাইস যে কাজটি করতে ভালবাসতো, সেষ্টি করেই জীবিকা নির্বাহ করছে এবং নিজের প্রতিভার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাইসের-এ রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। কাজেই বন্ধুগণ, তোমাদের দরকার আত্মবিশ্বাস। নিজের PBA-তে আজ থেকেই আত্মবিশ্বান সন্ধ্যা শুরু করো। এর ফলাফল পেয়ে যাবে অচিরেই। তবে ডিপোজিট তৈরির জন্য পাহাড়ে চড়ার দরকার নেই। এরচেয়ে অনেক নিরাপদ এবং বহু সহজ রাস্তা রয়েছে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করো ১) যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলে সেভাবে পরপর তিনলিস ঘুম থেকে উঠে পড়ো। ২) এমন সহজ কোনো কাজ বেছে নাও, যেটি অনেকের মধ্যেই করা সম্ভব। যেমন জামাকাপড় ধোয়া, ইংরেজি হোমওয়ার্ক করার জন্য বই পড়া। তুমিই দিদ্ধান্ত নাও কখন করবে কাজটি। এখন প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজটা করে ৩) আজ কোনো ‘থ্যাংক ইউ’ নেটি লিখে ফেলো। অথবা বাড়ির আবর্জনা পরিষ্কার করো। ৪) নিজের চারপাশে তাকিয়ে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করো। যেমন বুড়ো কোনো মানুষকে সাহায্য করলে অথবা যে পড়তে পারে না তাকে কিছু পড়ে শোনাও। নিজের প্রতিভাকে উজ্জীবিত করো ৫) এ বছরে নিজের কী কী প্রতিভার উন্নায়ন ঘটাতে চাও, তার একটা তালিকা বানিয়ে ফেলো আমি যে ট্যালেন্টটির উন্নতি ঘটাবো এ বছর। কীভাবে সেখানে পৌছাবো- ৬) অন্যদের মধ্যে যেসব প্রতিভা তুমি দেখতে পেয়েছো তার একটি তালিকা করে ফেলো। যে ট্যালেন্টের আমি প্রশংসা করি নিজের প্রতি নম্র হও ৭) এমন একটি ক্ষেত্রের কথা ভাবো, যেখানে নিজেকে বড় হীনমনা লাগে। এখন বড় করে দম নিয়ে বলো। ‘এটাই পৃথিবীর শেষ নয়।
পৃষ্ঠা:২০
নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলো: ৮) একট পুরে দিন কোথেরন নেতিবাচক চিন্তা করাবে না। নেতিবাচক উদ্ধা মাথায় এলে তা ঠেলে সরিয়ে দিয়ে ইতিবাচক ভাবনা ভাবো। ৯) এমন কোনো মহার কাজের কথা ভাবো যা তোমার স্পিরিট বাড়িয়ে তুলবে। যেমন মিউজিক চালিয়ে নাচতে পারো। ১০) আলস্য লাগছে? এখনই উঠে পড়ে রাস্তা দিয়ে একটু হেঁটে এলো। ১১) পরেকবার যোমার বাবা-মা যখন জানতে চাইবেন তুমি কী করছো, সত্যি কথাটাই বলবে। কোনোরকম প্রতারণার আশ্রয় নেবে না। ১২) অদ্ভুত একটা দিন অতিরঞ্জিত যা অলংকার করে কিছু বলো না।
অভ্যাস-১ প্রো-এ্যাকটিভ হও
পৃষ্ঠা:২১
বাড়িতে বসবাস আমার জন্য ক্রমে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছিল। কেন? কারণ, আমার জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন, সবকিছুর জন্য বাবা আমাকে দায়ী আমি যদি বলতাম, ‘ড্যাম, আমার গার্লফ্রেন্ডও আমাকে পাগল বানিয়ে নিয়ে।’ তিনি বলতেন, ‘শোনো শন, কেউ তোমাকে পাগল বানাতে পারে না, হদি তুমি নিজে পাগল না হও। ইটস্ ইয়োর চয়েস। তুমি আদলে নিভেই পাগল বকে চেগেছো। অথবা যদি আমি ধলতাম, ‘আমার নতুন বায়োলজি টিচারটা একদম ভালো না। এর কাছ থেকে আমি কিছুই শিখতে পারবো না। তিনি বলতেন, ‘তুমি তোমার টিচারের কাছে গিয়ে তাঁকে কিছু পরামর্শ। দিলেই পারো? অথবা টিচার বদনাও। প্রয়োজনে অন্য আরেকয়ন শিক্ষক নাও। তুমি যদি বায়োলজি শিখতে না পারো, শন, সেটা তোমার ব্যর্থতা। টিচারের বাবা সবসময় আমাকে চ্যালেঞ্জ করতেন। বলতেন, কারও উপর দোষ চাপানো ঠিক না। তবে আমার মা আবার অন্যদের ওপরে দোষ চাপাতে দিতেন। আমি প্রায়ই চিৎকার করে বলতাম, ‘তুমি ভুল বলছো, ড্যাড। আমি কেন পাগল হতে যাবো? ওই মেয়েটা আমাকে পাগল বানিয়েছে। পাগল। আমাকে আর জ্বালিয়ো না। স্রেফ একটু একা থাকতে দাও।’ তুমি তোমার জীবনের জন্য দায়ী, একজন কিশোর হিসেবে বাবার এ শক্ত ঔষধটি আমার পক্ষে গলাধকরণ করা কঠিন ছিল। তবে অন্যদিকে তাঁর কথায় শিক্ষনীয় একটি ব্যাপারও ছিল। তিনি আমাকে শেখাতে চেয়েছিলেন, পৃথিবীতে দুই ধরনের লোক আছে-প্রো-এ্যাকটিভ এবং বি-এ্যাকটিভ- একদল নিজেদের জীবনের দায়দায়িত্ব নেয়, অপরদণ এ জন্য অন্যকে দায়ী করে। অভ্যাস ১, লো-এ্যাকটিভ হও। এটি অন্য সকল অভ্যাসের তালা খোলার মণিকাটি। ১নং অভ্যাস বলে, ‘আমিই শক্তি। আমিই আমার জীবনের চালক। আমি আমার আংটিটিউড বাছাই করতে পারি। আমার সুখ কিংবা নিরানন্দের জন্য আমিই দায়ী। আমি আমার নিয়তির গাড়ির চালক, যাত্রী নই।’
পৃষ্ঠা:২২
এর-এজেটিভ হত অথবা ডি-এ্যাকটিভ পুরোটাই তোমার ইচ্ছা এই স্কুলের বিধানে যেয়ে যেতে পারে, তুমি পর্বীতায় ফেল করতে পার ইয়াট। তো এনথো নিয়েছে তা করবে তুমি? সর্বকিছুর বিরুদ্ধে প্রতিনিয় জগতে বারি প্রো-এ্যাগটিও হবে। তা একান্তই তোমার ইচ্ছা। চি-এফটির লোকজন থেকে বা আবেগের বশে কাজ করে ফেলে। বেক্ষন পরে পায়। কিন্তু বো-এ্যাকটিভ মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে কাজ করে। কিছু প্রারাটিড আর আগে াবে। তারা জানে তাদের জীবনে যা কিছু ঘটছে কা নিজণ করা গহব নয়। প্রো-এ্যাকটিভরা হয় শান্ত, বীর এবং নিয়ন্ত্রিত। তুমি আড়াল থেকে শুনতে গেলে, তোমায় বেস্ট ফ্রেন্ডটি একটি দলের কাছ তোমাকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলছে। সে তো আর জানে না যে, তুমি য়ঃ কথা ধনে জেগেছো। অথচ মাত্র পাঁচ মিনিট আগে এ বন্ধুটিই মিটি করে তোমা বঙ্গে কথা বলেছে। তুমি স্বভাবতই কষ্ট পাবে তার এহেন আচরণে। রি-এ্যাকটিক চয়েস * ওকে গিয়ে চড় করাতে পারে। * গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হতে পারো, বন্ধু তোমাকে আজেবাজে কথা বলেছে * সিদ্ধান্ত নিতে পারো বস্তুটি দু’মুখো সাপ এবং তার সঙ্গে দুই মাস কথা কলা বন্ধ রাখতে পারো। * বন্ধুত্ব দিয়ে ভূমিও গুজব ছড়াতে পায়ে, যেহেতু যে একই কাজ করেছে। প্রো-এ্যাকটিভ চয়েস এতে খল করে দেবে। * এর মুখোমুখি হয়ে বলবে, তুমি ওর আচরণে কতোটা আঘাত পেয়েছো। * বিষয়টি পায় না দিয়ে ওকে দ্বিতীয় আরেকটি সুযোগ দেবে। ভাববে প্রায় তোমার মতো ঘূর্ণপয়া রয়েছে। ভূমিও তো ওর অলক্ষে তর ব্যাপারে মাঝেমধে দু’একটা বাজে কথা বলেছো।
দৃশ্য দুই: তুমি প্রায় বছরখানেক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে একটি দোকানে কাজ করছো। তিন মাস পরে ওখানে নতুন আরেকজন যোগ দিল। সম্প্রতি তাকে ছন্দিত শনিবার বিকেলের শিফটে কাজ দেয়া হলো, যে শিষটি তোমার কাজ করার খুব ইচ্ছে ছিল।। রি-এ্যাকটিভ চয়েস * তোমার কর্মঘন্টার অর্ধেক সময়টাই ব্যয় করবে সবার কাছে নালিশ করে যে, সিদ্ধান্তটি কতোটা অন্যায্য ছিল। * নতুন লোকটির ওপর শোন নজর রাখবে এবং তার যাবতীয় দুর্বলতা খুঁজে বের করবে। * তোমার মনে এ ধারনা বন্ধমূল হবে যে, তোমার সুপারভাইজার তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং তোমাকে চাকরিচ্যুত করার ফন্দি আঁটছে। * তুমি আগের মতো আর আন্তরিকভাবে কাজ করবে না। যো-এ্যাকটিভ চয়েস * তোমার সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবে নতুন লোকটি কেন ভালো শিফটে কাজ পেল। * আগের মতোই কঠোর পরিশ্রম করে যাবে। * নিজের কাজের আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় তা শিখবে।
পৃষ্ঠা:২৩
*তোমার হদি মনে হয়, এ চারদিকে কোনো ভবিষ্যত নেই তাহলে অন্য গায় এক-একড়ি এবং ডি-এাকাতি লোকদের ভায়া দুই রকম। সেলে তারা বলতে চাইছে, কাছিক চারী এই আমি বদলাতে পারবো না। আমি এয়ারে এমন উদ্ভট না হতো, তাহলে সবকিছু ভিন্নরকম হতো। সমস্ত সমস্যার জন্য দায়ী, আমিনই। খারেজম গট তুমি আমার সনটির বারোটা বাজিয়ে দিলে তারা কলন্ত তে পারবো না। তুমি করো গিে ভালো বন্ধু-বাজর গেতাম, আরো বেশি টায় হায় করতে পারতাম, মনারকম একটি ফ্ল্যাটে থাকতে পারতাম, মামার বাছের থাকতো, মামি সুখী হতে পারতাম আসলে তারা বলছে, আমি আমার দুধ নিম্নের করতে পারন জিনিসপত্রা পারে। আর সুখা হতে হলে এর। রি-এ্যাকটির ভাষ আমি গ্রেই আমি এরকমই আমার শেষ করে For an ining tist’s diam st প্রো-অ্যাক্টিভ মানুষরা যেমন হয়প্রো-এ্যাকটিভ ভাষা আমি এটা করবো আমি এরচেয়ে ভালো করতে পারার ড়ে তা দেখা যাক। কেনো না কোনো উপায় থাকবেই তোমার খারাপ মুডের দায় আমি নেবো নানেই এবা-এ্যাকটিভ মানুষদের ভিন্ন জাতের মানুষ বলা যায়। তারা। নিজেদের পছন্দ অপঞ্চদের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে কাজ করার আগে ভাবে হাতাশ কিছু ঘটলেও তারা পিচ পা হয় না, ফিরে আসে। ভরতময় কোনো বিকল্প বাড়া খুঁজে বের করে তারা যা করতে পারবে তার ওপর মনোযোগ দেয় এবং যা করতে পারবে না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে ন আছি নতুন একটি চাকরি করতাম। সেখানে অ্যান্ড্র নামে এক লোক ছিল জানি না তার সমস্যা তী, কোনো এক কারণে সে আমাকে পন করতো না বো তা প্রকাশ করতে দ্বিধাও করতো না আমার সঙ্গে প্রশ্চামচনত কথা বলতো। সবসময় আমার বিরুদ্ধে কুৎসা এটিয়ে। করতো, অনাদেরকে যুক্তলাতো, যাতে তারা অমোর বিরোধিতা করে একবার ছুটি আমায় কাজে ফিরেছি, আমার এক বন্ধু বললো, ‘শন লোক, অনেক আজেবাজে কথা বলবে। ওর ব্যাপারে সাবধান। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হতো ব্যাটিাকে রবে কড়কে দিই অর রাখতাম। ভাবতাম এসব মারামারির মধ্যে যাওয়ানি হাসান করলাম ও যতই আমাকে অপমান করুক, আমি রাগ করবো না এবং এর সঙ্গে। ভালো ব্যবহার করবো। আমার বিশ্বাস ছিল ওতে কাজ হবে। সত্যি বলতে কী অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফল পেতে দেখলো যে, প্রকে আমাকে ২৩ই অপমান করে এই কমে বরং হেসে হেসে কথা বলি। একদিন সে আমাকে বলেই বসলো, ‘তোমাকে আমি হাত অপমান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু দেখলাম তুমি পায়েই মাখছো না? বছরখানেক পরে আমরা দু’শুনে বন্ধু হয়ে গেলাম আমি ধনি ওর হামলার প্রতিবাদে প্রত্যাঘাত করতাম তাহলে আর এ বন্ধুত্বটা হতো না। বন্ধুত্ব করতে হলে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়, সহ্য করতে হয় তুমি এ পর্যায়ে আমাকে চিৎকার করে বলতে পারো, ‘ভাজাটা এতো সহজ নহু, শন। তোমার সঙ্গে আমি এক করবো না রি-এ্যাকটিভ হওয়া অনেক সহজ। মেজাজ হারাতেই পারো। নালিশও করতে পারো। তবে একটা কথা মনে রেখো, গ্রামাকে পারফেক্ট হতে কেউ বলছে না। বাস্তবে তুমি না আমি কেউই পুরোপুরি প্রো আকটিক বা রি এ্যাকটিভ নই, দুটোর মাঝামাঝি আাসলে গো এংকেটিভ হওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে আসে পাইলটে তুমি চলতে পারো এবং এ নিয়ে আর ভাবতে না হয়। তুমি যদি প্রতিদিন ১০০০০ বারের মধ্যে ২০ বার প্রো-এ্যাকটিভ হওয়ার চিন্তা করো, তাহলে ১০০ বারের মধ্যে ৩৬ বার এটি হওয়ার কথা ভাবো। তারপর ৪০ বার। ছোট
পৃষ্ঠা:২৪
ছোট পরিবর্তন স্ত্রী বিশাল পরিবর্তন ঘটাতে পারে তা ভাবতেও পারবে য জমেই ছোট পরিবর্তনগুলোকে অবহেলা করো না। আমরা শুধু একটা বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সোমাদের জীবনে যা ঘটছে, তার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে সর না। আমরা আমাদের লয়ের এও বদলাতে পারবো না, কে এফএ কাপ জিইয়ে তা বলতে পারবো না, আমরা যেখানে জনেছি বা আমাদের বাবা-মা ফিরে অবলো আমদের প্রতি আচরণ কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। তবে একই জিবিদ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। আমাদের জীবনে যা ঘটছে তার প্রতি কীভাবে আমরা সাড়া দেবো। এবং এটাই অদল করা। এ জন্যেই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষ্যাগুলো নিয়ে দুপিরা না করাই উচিত। চিন্তা করা দরকার, যা আমরা করতে পারবো তা নিয়ে। আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তা হলো নিজেদেরকে, আমাদের আটিটিউড ইত্যাদি। আর যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে থাকলে জীবনের সুখ-শান্তিই খাবে নষ্ট হয়ে। ধরো, তোমার বোন তোমাদে জ্বালিয়ে মারে এবং এ জন্য তুমি ক্রমাগত নালিশ করে যাচ্ছো। এতে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। গ্রে-এ্যাকটিভরা এক্ষেত্রে অন্যদিকে মনোযোগ দেয়। যেটি তাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এতে তাদের মনে শাস্তি থাকে এবং জীবনকে আরও বেশি LOOK AT THIS AS AN OPPORTUNITY TO GROW তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তারা দুশ্চিড়াকে পাত্তা দেয় না। অনেক কিছুই হয়তো তাদের পছন্দ হয় না, তবে জানে এ নিয়ে রাতের ঘুম হারাম করার কোনো মানেও বাধা-বিপত্তিকে সাফল্যে পরিণত করো জীবনে চলার পথে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়, এর বিরুদ্ধে ীভাবে সাড়া দেবো সেটি আমাদের বিষয়। যতবার বাধা আসবে, এটিকে সাফল্যে পরিণত করার সুযোগ কিন্তু আমাদের রয়েছে। ব্রাড দেমণি প্যারেড পত্রিকায় এক কোটিপত্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘তোমার জীবনে যা ঘটছে তা মুখ্য নয়, তুমি কী করছো সেটাই মুখ্য।” এই কোটিপতি অর্থাৎ ডব্লিউ মিচেল একজন সেলফ-মেড মিলিওনেয়ার, সাবেক মেয়র, রিভার র্যাফটার এবং স্কাই-ডাইভার। এবং এসবই তিনি অর্জন করেছেন দুর্ঘটনার পরে। মিচেলকে দেখলে তোমাদের বিশ্বাস হবে না, এ লোকটি এতো কিছু পারেন। দুর্ঘটনায় তাঁর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বানান চামড়া লাগানো হয়েছে। দুই হাতের আঙুলই বেশ কয়েকটি কাটা পড়েছে, তিনি পঙ্গু বলে হাঁটাচলাও করতে পারেন না। বাইক চালানোর সময় একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি মারাত্মক আহত হন। পেট্রোল বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ভবে কাছের পার্কের এক লোক একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নিভিয়ে মিচেলের জীবন বাঁচান। তারপর থেকে মিডেলের মুখখানা পোড়া, আঙুল পুড়ে বাঁকা হয়ে গেছে, পায়ের মাংসের জায়গায় দগদগে ঘা। অ্যাক্সিডেন্টের পরে তাঁর বীভৎস চেহারা দেখে অনেকেই অম্লান হয়ে গিয়েছিল। তিনি দুই সপ্তাহ অচেতন ছিলেন। তারপর জ্ঞান ফিরে পান। এ অ্যাক্সিডেন্ট ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ১৯ জুন। দুর্ঘটনা পরবর্তী চারমাসে মিচেলকে ১৩ বার রক্ত দেয়া হয়, ১৬ বার স্ক্রিন গ্রাফট অপারেশন করাসহ নানান সার্জারী করা হয়। চার বছর রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে কাটানোর পরে, নতুন পঙ্গু জীবন যখন মেনে নিয়েছেন মিচেল, ওই সময় ঘটে যায় এক অভাবনীয় ঘটনা। হাসপাতালের জিমনেশিয়ামে উনিশ বছরের এক তরুণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। এ ছেলেটি ছিল পবর্তারোহী। পাহাড়ে চড়তে গিয়ে পড়ে গিয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। সে স্কি-ও করতো। পঙ্গু হওয়ার পরে সে ভাবতো তার জীবন শেষ। মিচেল এই তরুণের কাছে গিয়ে বলেন, ‘আমার জীবনে দুর্ঘটনা ঘটার আগে
পৃষ্ঠা:২৫
১০,০০০ টায় দিল হা হাটি করতে পারতাম। এখন আছে ৯.০০০। ১০০০ কাজ নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারি কিন্তু আমি ৯০০০ কত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওয়েলের চলার পথেষ্ট ছিল নটি। প্রথমত তিনি তাঁর বন্ধু-বান্ধব এই এবং পাহলে পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়াও হাড়িপর একটি বপন, যা তিনি শিখেছেন বিভিন্ন সূত্র থেকে। কিপারদের মনেতো তাঁতংনা বাধা-বিপত্তি হয়তো মিচেগের মতো এজে পরীক্ষায় কেন করতে পারো, কেউ তোমাকে ধরে পেটাতে পারে, খুব অসুস্থ হ্যা পররর স্যাকণ রয়েন্ত্রে। মাশা করি তুমি বো-এ্যাকটিভ হবে এবং এসব সমা আংবল না। হবে তুমি তোমার গণগ্রেডের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পহে যৌন নির্ধারনকে ঠেলে দাঁড়াও মনব জীবনের হয় বাধাবিপত্তি আছে, তার অন্যতম হলো যৌন নির্যাতন। আমি সেই সকালটির বথা কোনোদিন ভুলবো না, যেদিন একদল কিশোরী বা আসে তাসের যৌন নিপীড়ন বা অবমাননার অভিজ্ঞতার কথা বলেছিল। এদেরকে শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবে অবমাননা করা হয়েছিল। হিলরের মুষ থেকে তার গড়টি শোনা যাক। আাম চৌন বছর বয়সে যৌন অধমাদনার শিকার হই। তখন একটি মেলায়। গিয়েছিলাম। স্কুলের একটি ঢেলে এসে আমাকে বলে, ‘তোমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে। আমার সঙ্গে একটু আলো।’ ও মামার বন্ধু ছিল বলে ওকে একটুও যথো করিনি। মার আামার সঙ্গে ও সবসময় ভালো ব্যবহার করতো। ও আমাকে অনেকখাদি পর হাঁটিয়ে দিয়ে স্কুলের খেলার মাঠে চলে আসে। ওখানে নিয়ে যে মামাকে ধর্ষণ করে। ও আমাকে বলছিল, ‘এ কথা তুমি কাউকে বললেও কেউ বিশ্বাস করবে না। তাছাড়া তুমি তো এরকম কিছুই চেয়েছিলে।’ সে আরও বলে, এ ঘটনা আমা বাবা-মা জানতে পারলে লজা। তাদের মাথা কাটা যাবে। আমি ঘটনাটি প্রায় দুই বস্তুর গোপন রেখেছিলাম। জনশেষে একদিন একটি য়ের সেশনে আমি যাই। ওখানে মেয়েরা তাদের আমার সঙ্গে একদম মিলে যায়। ছেলেটির নাম বলে সে। ওই একই গেছে জীবন বাংই বলছিল। একটি মেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে তার কাহিনী শোনায় আমাকেও ধর্ষণ ছটি মোট ওই ছেলেটির কাছে দর্থিতা হয়েছে। হিনার এখন তার মানসিক বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। সে একটি টিনেজ দলের সদস্য, যাদের কন্দ্রে যৌন অবমাননার শিকার কিশোরীদের সাহায্য করা। এ দলটির সদস্য হতে পেরে নিজের মধ্যে নতুন শক্তি ফিরে পেয়েছে হিদার। কেউ যদি তোমাকে যৌন অবমাননা করে সেটি তোমার দোষ নয়। মার সত্য কথা অবশ্যই প্রকাশ করে নিতে হবে। এসব ঘটনা গোপন রেখো না। কারও সঙ্গে শেয়ার করলে তোমার সমস্যাটি অর্ধেক করে ফেলতে পারবে। কোনো বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করবে, অথবা হেল্প সেশনে যাবে, কিংবা কোনো পেশাদার থেরাপিস্টের কাছে। প্রথমে মার সঙ্গে ঘটনাটি শেয়ার করলে তার কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেলে হতাশ হয়ো না-এমন কাউকে খুঁে বের করো, যে তোমার সমস্যাটি বুঝতে পারবে। প্রো-এ্যাকটিভ হও। এজন্য হ যা প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নাও। এ বোঝা বইবার কোনো দরকার নেই। একজন পরিবর্তনশীল প্রতিনিধি হও একবার একদল কিশোর-কিশোরীকে জিজেদ করেছিলাম, তোমাদের রোল মডেল কে? এক মেয়ে বললো তার মায়ের কথা। আরেকজন তার ভাইয়ের নাম উল্লেখ করলো। এভাবেই অনেকেই যে যার রোল মডেলের কথা বললো। একজনকে নিশ্চুপ দেখে জানতে চাইলাম, সে তাকে সবচেয়ে পছন্দ করে। ছেলেটি শান্ত গলায় জবাব দিল ‘আমার কোনো রোল মডেল নেই। বোল মডেল। থাকতেই হবে এসবে সে বিশ্বাসী নয়। অনেক টিনেজারদের ক্ষেত্রেই এরকমটি দেখা যায়। তারা এমন বিশৃঙ্খল পরিবার থেকে আসে, যেখানে কাউকে রোল মডেল ভাবার অবকাশ নেই।উদ্বেগের বিষয় যৌন নির্যাতন, মদ্যপানের অভ্যাস ইত্যাদি বদ গুণগুলো বাবা-মার কাছ থেকেই অনেক সময় তাদের সন্তানরা পেয়ে থাকে। ফলে অস্বাভাবিক পরিবারের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায় সমাজে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যে ছোটবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, বড় হয়ে সে-ও কারও উপর যৌন নির্যাতন করে শোধ তুলতে চায়। কখনও কমনও এরকম সমস্যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে। তবে এ বৃত্তটি খামানো সম্ভব। যদি তুমি প্রো-এ্যাকটিভ হও তাহলে এ বদ্যাস দূর করতে পারবে। তুমি হতে পারবে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধি। তুমি তোমার সন্তানের জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে পারবে সু-অভ্যাস।
পৃষ্ঠা:২৬
চিলল নামে এক নছোড়বান্দ্য কিশোরী আমাকে তার গল্প বলেছিং ইয়ারে সে তার পরিবারে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধির ভূমিকা পালন করেছিল। তার বড়িতে কেউ পড়াশোনার ধার ধারতো না। চিপড়া বলেছে, আহার না কারখানায় সেলাই-ফোঁড়াইয়ের কাজ করতেন। খুব বাথাও ছবি আমার বেয়নের একটি কেক্ষ্যে মধ্যে প্রায়ই টাকা পয়সা দিয়ে ফগড়া হতো। তাঁরা টেনশনে থাকবেন কাঁজতে বাড়ি ভাড়া শেষ ভরকেন? আমার বাবা-মা পনেরো বছর বয়সে স্কুলের পাট চুকিয়ে ফেলেন। হল ইগ্রহমি পারছেন না বলে হিলডাকে পড়াশোনায় কোনো সাহায্য করা কবে হতো না। কলে বেচারীর খুব কষ্ট হতো। হিলারা যখন সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রী, ওই সময় তার বাবা-মা আদিজোনিয়া থেকে মেক্সিকো চলে যান। হিলতা শিমি বুঝতে পারে এখাদে পড়ালেখার মরকাশ তার জন্য খুবই কম। সে বাবা-মাকে অনুরোধ করে আমেরিকায় তার খাগর বাড়িতে যেতে চায় পড়াশোনার জন্য। পরবর্তী কয়েক বজর স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে হিলডাকে। আমার গলাতো বোনদের সঙ্গে একটি রুমে গাদাগাদি করে বদতে হয়েছে আমার,’ বলেছে সে। বিছানায় জাবলিং করতে হতো এবং কাজ করতাম আমি রুম ভাড়া ও স্কুলের বেতন পরিশোধের জন্য। তবু পড়াশোনাটা যে চালিয়ে যেয়ে পারছিলাম সেটাই ভাগ্য। ‘অল্প বয়সেই আমার বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু আমি স্কুল ছাড়িনি এবং পড়লো শেষ করার জন্য কাজও চালিয়ে গেছি। আমার বাবা বলতেন, আমাদের পরিবারের কেউ কোনোদিন পেশাজীবী হতে পারবে না। আমি তাঁর কথা ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছি।’ হিপড়া ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়েছে। সে চায় তার বাচ্চারাও পড়ালেখ করে মানুষ ঢ্যেক। সে তায় বাচ্চাকে ইংরেজি এবং স্প্যানিশ শেখাচ্ছে। বলেছে ‘আমি আর ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা জমাচ্ছি। একদিন যখন ভায় হোমওয়ার্কে সহায্যের প্রয়োজন হবে, আমি তাকে সাহায্য করতে পারবো। শেন নামে যোল বছরের এক কিশোরের সাক্ষাতকার নিয়েছিলাম আমি। বে-ও তার পরিবারে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছে। শেন এক মফস্বদে বাস করতো। বাবা-মা একসঙ্গে থাকলেও নিত্যদিন ভগড়াঝাটি ছিল তাদের সঙ্গী। তার বাবা দরী চাগাতো এবং বাড়িতে রাতের বেলা ফিরতো না। মা তার বারো বছরের ছোট বোনের সঙ্গে গাঁজা টানতো। বড় ভাই স্কুল ছেড়েছিল অনেক আগেই। এক পর্যায়ে শেন সব আশা ভরসা হারিয়ে ফেলে। সে যখন ভাবছে তার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, ওই সময় স্কুলে ক্যারেক্টার ডেভেলপমেনী ক্লাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে শেন। দেখতে পায় নিজের জীবন নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ তার বয়েছে এবং নিজের জন্য অবিষ্যতও গড়ে তুলতে পারবে। শেনরা যে ফ্লাটে বান করতো তার মালিক ছিলেন তার দাদু। দোকলা’র একটি কামরা সৌভাগ্যবসত ভাড়া পেয়ে যায় শেন মাসিক ১০০ পাউন্ডে। সে ডালাসে চলে যায়। তখন তার একটি নিজস্ব আশ্রয়স্থণ হয়েছে এবং নিচের ফ্রেগরে যা কিছুই ঘটুক তা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারছে। শেন বলেছে, ‘এখন আমার জন্য জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। নিজেকে সম্মান করতে পারছি। আমার পরিবারের কারোরই কারও প্রতি কোনো সম্মানবোধ নেই। আমার পরিবারের কেউ কোনোদিন কলেজে যায়নি। কিন্তু আমি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আমি এখন যা করছি সবই আমার ভবিষ্যতের জন্য। আমার ভবিষ্যৎ হবে ভিন্নরকম। আমি জানি আমি আমার বারো বছরের মেয়ের সঙ্গে বসে গাঁজা খাবো না।’ তোমাকে যা কিছুই চাপা দিয়ে রাখুক না কেন, তা ঠেলে সরিয়ে উঠে জীড়াবার ক্ষমতা তোমার রয়েছে। তুমি যতই বিপাকে পড়ো না কেন, তুমিও হতে পারবে পরিবর্তনশীল প্রতিনিধি এবং নিজের জন্য একটি নতুন জীবন সৃষ্টি করতে পারবে। তুমিও পারবে প্রো-এ্যাকটিভ হওয়ার অর্থ দুটো। প্রথমত, তুমি তোমার জীবনের দায়িত্ব নিচ্ছো। দ্বিতীয়ত, তোমার রয়েছে ‘পারবো’ ভাবার দৃষ্টিভঙ্গি। ‘পারবো যারা ভাবে ‘পারবো না’ যারা ভাবে যা করতে পারবে তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে সমাধান এবং বিকল্পের কথা ভাবে কাজে নেমে যায় অপেক্ষা করে তাদের জীবন অলৌকিক কিছু ঘটবে সে জন্য। বাধা ও প্রতিবন্ধকতার কথা চিন্তা করে পরামর্শ বা ইংগিতের জন্যঅপেক্ষা করে
পৃষ্ঠা:২৭
টে তুই ভবে পারবে এবং তুমি সৃষ্টিশীল ও নাছোড়বান্দা, তোমর উদ্ধারেই নেই আসলে তুমি কী করে ফেলতে পারবে।জীবনের বন্ধো পৌছতে হলে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তোমাকে কেই বিছু করতে বলছে না বলে হাদি গুন থারাপ করে বসে যাবো, তাহলে চলবে না। গেমস্থলে হয়ে বা তোকে নেমে পড়ো কাজে। লোকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। রচেনতে উছেন করতে পারো বী করা যায়?তোমার কোলের মধ্যে বাজ বা চাকরি চলে আসবে এমনটি রেবো না। কজের পেছনে লওয়া করো। তোমার সিভি পাঠিয়ে দাও, ভলান্টিয়ার হিসেবে জেখার দ্রি কস্তর করে দিতে পারো।’কোনো সেভানে যদি দেখো সহকারী দরকার, দোকানী তোমার খোঁজ করবে, সেই অপেক্ষায় না থেকে নিজেই তার কাছে চলে যাও।যারা পারবে স্নালোকে হতে হয় সাহসী, নাছোড়বান্দা এবং স্মার্ট। পিয়ায় কথাই ধরো যে আমার সহকর্মী ছিল। যদিও গল্পটি অনেক আগের। কিন্তুআমি তখন ইউরোপের একটি বড় শহরের এক তরুণী সাংবাদিক।ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালে ফুলটাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করি। আমি উলাম অনভিজ্ঞ এবং সরদময় এ কথা ভেবে নার্ভাস থাকতাম, বাঘা বাঘা পুরুষ। সাংবাদিকদের তুলনায় আমি কিছুই করতে পারবো না। ওই সময় বিটলস বদ আমানের শহরে আসছিলেন এবং বিস্মিত হয়ে জানলাম, আমাকে আঁদের বপর স্টেরি করতে হবে। (মামার সাম্পাদকের বোধহয় কোনো ধারণা ছিল না তাঁর করো বিরাটা। বিটলসরা এইসময় ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ছিলেন। শত শত মেয়ে তাঁদেরকে সামনা সামনি একনজর দেখলেই অজ্ঞান হয়ে যেত। আর আমি কি-না এই মানুষগুলোর সংবাদ সম্মেলন কভার করবো।সংবাদ সম্মেলনটি দারুণ হয়েছিল। আমি ওখানে যেতে পেরে যারপরনাই উল্লসিত। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম, সবার গল্প একইরকম হবে। আমি চাইছিলাম ভিন্ন কিছু লিখতে, যা পত্রিকার প্রথম পাতায় স্থান পাবার যোগ্য। আর সে সুযোগটি আমি হারাতে চাইনি। সংবাদ সম্মেলন শেষে অভিম সাংবাদিকরা এরে এতে সংটে চলে গেলেন যে যার নিপোর্ট লিখতে, বিটৎসরা ফিরে গেলেন তাঁদের রুমে। আমি কোথাও গেলাম না। মামার মতলব এই মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা করা। এবং নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে ছিল না। আমি যোটেল লবিতে গেলাম। হাউস ফোন তুলে ডায়াল করলাম পেন্থহাউসে। অনুমান করেছিলাম ওটাই হবে তাঁদের আস্তানা। ফোন ধরলেন তাঁদের ম্যানেজার। “আমি পিয়া জেনসেন বলছি ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল থেকে। আমি একটু বিটলসদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে চাই। আধবিশ্বাসের সাথে কথাগুলো বললাম।(আমার হারাবার কী আছে? আমাকে অবাক করে দিয়ে ম্যানেজার বললেন, ‘চলে আসুন।’ আমি যেন পটারির টিকিট জিতে গেলাম। কাঁপতে কাঁপতে ঢুকলাম এলিভেটনে এবং হোটেলের রয়াল লুইটে চলে এলাম। বিশাল পেন্থহাউস-গোটা একটা ফ্লোর ছুড়ে। ওখানে সকলে বসেছিলেন-রিঙ্গো, পল, জন এবং জর্জ। আমি আমার অনভিজ্ঞতা এবং নার্ভাসনেসকে গিলে ফেলে বিশ্বমানের। সাংবাদিকের মতো আচরণের চেষ্টা করলাম। পররর্তী দুটো ঘণ্টা তাদের সঙ্গে কাটলো হাসি-ঠাট্টা-আনন্দে। তাদের কথা শুনলাম, লিখলাম। আমার জীবনের সেরা একটি সময় কেটে গেল। তাঁয়া আমার মঞ্চে অত্যন্ত মার্জিত আচরণ করছিলেন এবং তাঁদের পূর্ণ মনোযোগ আমার প্রতিই ছিল। পরদিন সকালে আমার স্টোরিটি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকার ফ্রন্ট পেজে ছাপা হয়।। এবং বিটলসদের প্রত্যেকের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, তা বিশ্বের বেশিরভাগ কাগজে পরবর্তী কয়েকদিনে প্রকাশিত হয়েছে। এরপরে রোলিংস্টোন দল যখন শহরে এসেছিল, তখন কাকে তাদের ইন্টারভিউ নিতে পাঠানো হয়েছিল, জানেন? আমাকে, এক তরুণ, অনভিজ্ঞ নারী সাংবাদিককে। আমি শামি বুঝতে পারি স্রেফ নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকলে আমি যে কোনো কাজ উদ্ধার করতে পারি। আমার মনে একটা ছক এঁটে যায় এবং আমার মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, যে কোনো কিছুই করা সম্ভব। বিটিলসদের এ ইন্টারভিউ আমার সাংবাদিকতার করাবিয়ারটাকেই ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বিশ্বখ্যাত নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, ‘লোকে সবসময় তাদের পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে নালিশ জানায়। আমি পারিপার্শ্বিকতায় বিশ্বাসী নই। আমি পরিবেশ তৈরিতে বিশ্বাসী।’ ছোট ছোট পদক্ষেপ ১) কেউ তোমার সঙ্গে বৈরি আচরণ করলে তুমি তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে। ২) তুমি কী বলছো ভালো করে খেয়াল করবে। গুণে নিও কতোবার রি-এ্যাকটিভ ভাষা ব্যবহার করেছো।
পৃষ্ঠা:২৮
৫) সেই বারট আলই সেরে ফেলো, যেটি সবসময় করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু করতে পারনি।জাবোটী পেশাটা ইন নেট বিখে তা আয়নায় সাঁটিয়ে রাখো কিংবা তোমন্ত্র মহেটিতে রাখো। নোটটি হতে পারে এরকম, আমি আর সিদ্ধান্তহীনতায় স্বপয়ে ।৫) পাটরে দেয়ালের রোমা খেয়ে বসবে না এবং অপেক্ষা করবে না যে, কেউ তোমাকে দেখে তারপর হল্লোড়ে ঢেকে দেবে। নিজেই এগিয়ে গিয়ে, পরির ৬) পরেরবার পীিক্ষায় ভালো ফলাফল করতে না পারলে মন খারাপ করবে না। উভয়ের সঙ্গে ম্যাপয়েন্টমেন্ট করে বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করে। দেখো, কী শিখতে পারো।গ) বস্তুবান্ধব বা ধারা-মা’র সঙ্গে ওপড়া হলে তুমিই আগ বেড়ে ক্ষমা চাইরে।৮) নিজের মধ্যে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করো, যা ভূমি নিয়ন্ত্রণ করার পারছো না। এখন সেটা থেড়ে ফেলে দাও মন থেকে।৯) কারও সঙ্গে করিডোরে ধাক্কা লেগে গেলেও ঝগড়া করতে যেয়ো না। নিজেই এগিয়ে সরি বলো, এতে অন্যরা তোমার প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করবে।১০) নিজের আত্মসচেতনতাকে জিজেস করো ‘আমার সবচেয়ে বাজে অভ্যাধ কী?’ তারপর এ অভ্যাসটা দূর করার চেষ্টা করো।
অভ্যাস-২ শুরুটা করো প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজের নিয়তি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করো নতুবা অন্য কেউ করবে
পৃষ্ঠা:২৯
তোমাকে একটি জিগণ পায়ল সাজাতে বলা হয়েছে। তুমি আগেও এসব ঐধার রহস্য সমাধান করেছো বলে এ কাজটি করতে উত্তেজিত বোধ করছো। তুমি পায়সের ১০০০ টুকরোর পুরোটাই বড় একখানা টেবিলে ঢেলে দিলে। তারপর বাজের ঢাকনা তুলে দেখলে ওগানে কী রাখবে। কিন্তু দেখলে ভেতরে কোনো ছবি-টবি নেই। একদম খালি। কিন্তু পাবলটা কেমন হবে, না দেখে কিভাবে ধাঁধাটা সাজাবে? তোমার কাছে কোনো তুই নেই শুরু করার জন্য। তখন নিজের জীবন নিয়ে এবং তোমার ১০০০টি টুকরো নিয়ে চিন্তা করো। তুমি আজ থেকে এক বছর পরে কী হতে চাও, সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার ধারণা আছে তোমার? কিংবা পাঁচ বছর পরে? নাকি তোমার কাছে কোনো তু-ই নেই? ২নং অভ্যাসের শুরু মনের প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এর অর্থ তুমি জীবন দিয়ে কোন দিকে ধাবিত হতে চাও, তার একটি পরিষ্কার চিত্র অংকন করো। তার মানে তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তোমার মূল্যবোধগুলো কী এবং রক্ষাগুলো কী? ১নং অভ্যাস বলছে, তুমি তোমার জীবনের চালক, যাত্রী নও। ২নং অভ্যাস বলছে, যেহেতু তুমি চালক কাজেই ঠিক করো কোথায় যাবে এবং সেখানকার একটি মানচিত্র তৈরি করো। ‘এক মিনিট, শন,’ তুমি বলতে পারো। ‘আমি জানি না আমার মনের চিন্তার শেষ কোথায়, জানি না বড় হয়ে আমি কী হতে চাইছি?’ আমি কিন্তু বলছি না তোমায় ভবিষ্যতের প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে, যেমন তোমার ক্যারিয়ার বা কাকে বিয়ে করবে এসব। আমি বলছি, আজকের পরে কী ভাববে এবং সিদ্ধান্ত নেবে কোন দিকে নিয়ে যেতে চাও তোমার জীবন? কাজেই যে পদক্ষেপই নাও না কেন সেটি যেন সঠিক হয়। শুরুটা করো প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তুমি হয়তো কথাটি বুঝতে পারনি। তবে সবসময় কাজটি করে আসছো। তুমি কোনো ধাড়ি তৈরির আগে তো তার একটা নকশা করো। কেক বানাবার আগে রেসিপি পড়ো। রচনা লেখার আগে আউটলাইন তৈরি করো। এটাই জীবনের অংশ।
পৃষ্ঠা:৩০
প্রত্যক্ষ দীরতি নিয়ে একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যাক হেড বল্পতাপন্ডিত্র সাহয্যে। এমন একটা নির্জন জায়গা খুঁজে বের করো, যেখানে য়ো তোমাকে বিরক্ত করবে না।এখন মন থেকে সবকিছু যেড়ে ফেলে দাও। স্কুল, বন্ধ-বান্ধব, পরিষ্য কোনো কিছু নিয়েই ভাষবে না। শুধু আমার প্রতি মনোযোগ দাও, গভীর দর বা তোমায় হদের চোখে কাউকে কল্পনা করো, যে আধা ব্লক দূর থেকে ত্রি আসছে ডোমার দিকে। প্রথমে তুমি বুঝতে পারছো না কে সে? তবে গেম্বা কজন আরও কাছিয়ে এলো, হঠাৎ বুঝতে পারলে সে আর কোট নয়, তুমি স্বয়ং। তবে এ আজকের ভূমি নও। আজ থেকে এক বছর পরের ভূমি।এখন গভীরতাছে চিন্তা করো। তুমি গর বহরে তোমার জীবন নিয়ে কী করেছো? তুমি তোমার ভেতরে কীরকম অনুভব করছো? তুমি দেখতে কেমন?
তোমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কী কী? এখন তুমি বাস্তবে ফিরে আসতে পারো। তুমি হয়তো এ এক্সপেরিমেন্সে মাধ্যমে নিজের গভীর সত্তাকে স্পর্শ করতে পেরেছো। বুঝতে পেরেছো তোমা হনা গুরুত্বপূর্ণ কী এবং আগামী বছরে কী করতে চাও? একেই বলে প্রয়াগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মনের শুরু। একটি অতি ভালো ছাত্র তার অভিজ্ঞতা থেকে যা বলছে, তোমার হায়রে কজে লাগতে পারে। আমি জীবনে কোনো কিছু পরিকল্পনা করে করিনি। যেমন মন চেয়েছে তেমন করেছি। একজনের শুরুর জন্য প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত, এটি আমা মাথাতেই আসেনি। তবে বিষয়টি শিখবার অভিজ্ঞতাই ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। বাল হঠাৎ আবিষ্কার করি, আমি গভীরভাবে কিছু চিন্তা করতে পারছি। এখন প্রতি আমার পড়লেখা নিয়ে শুধু প্ল্যানই করছি না, আমার বাচ্চাকাচ্চাদের কীভাবে রা করতে তা-ও ভাবছি। ভাবছি কীভাবে আমার পরিবারকে শেখাবো, আমলে বাড়িটি কীরকম হবে ইত্যাদি। এখন আমি নিজেই নিজের দায়িত্ব নিয়ে নিঙ্গ আর হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছি না। মন নিয়ে প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকাটা জরুরি কেন? এর দুটি কারণ রয়ের। প্রথমত তুমি রয়েছো তোমার জীবনের জাটল ক্রস রোডে, এবং তুমি তখন যে রাস্তায় যাবে, সেটি তোমার ওপর সারাজীবনের জন্য প্রস্তাব রাখতে পারে। দ্বিতীয় হলো এখনই যদি নিজের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা না করো, অন্য কেউ সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করবে। জীবনের ক্রস রোড রজীবনের ক্রস রোড মানে হলো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের কাল। তুমি এখনও বয়সে তরুণ। তুমি যুক্ত। তোমার সামনে পড়ে রয়েছে গোটা জীবন। জীবনের ক্রস বোয়ে দাঁড়িয়ে আছো তুমি। এখন নিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন রাস্তায় যাবে? তুমি কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাও? জীবনের প্রতি তোমার দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে? তুমি কি ওই ফুটবল নলে থাকতে চাও? কী ধরণের বন্ধু তুমি চাও? কোনো দলে যোগ দেবে? কার সঙ্গে ডেট করবে? বিয়ের আগে সেক্স করবে কী না? তুমি কি সিগারেট, মন পান করো, নেশা করো? কী ধরনের মূল্যবোধে তুমি বিশ্বাসী? পরিবারের সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক তুমি চাইছো? তুমি ওপেন বন্ধুত্বে বিশ্বাসী কি না? তুমি আজ যে পথ বেছে নেবে, সেটি তোমাকে চিরকালের জন্য গড়ে দিতে পারে। তরুণ বয়সে আমরা কতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, এ ভাবনাটি একদিকে যেমন চিত্তাকর্ষক, অন্যদিকে তেমনই ভীতিকরও বটে। কিন্তু জীবন তো এরকমই। আট ফুট লম্বা একটি রশির কথা চিন্তা করো, যেটি বিছিয়ে আছে তোমার সামনে। প্রতিটি ফুট রশি তোমার জীবনের একেকটি বছর। কৈশোরকালের ব্যপ্তি সাত বছর, তবে এ সাত বছরের প্রভাবই থাকতে পারে একষট্টি বছর পর্যন্ত, ভালো অথবা মন্দভাবে। বন্ধু বন্ধুরা তোমার ওপর অনেক প্রভাব রাখতে পারে। যদিও বন্ধু নির্বাচনে অনেক সময় আমাদের ভুল হয়ে যায়। তবে ফুল বন্ধু বাছাই করার চেয়ে
পৃষ্ঠা ৩১ থেকে ৪৫
পৃষ্ঠা:৩১
গজা অনেক ভালো। ভুল বন্ধুরা তোমাকে ভুল পথে হরিৎ এক ঘনিষ্ঠ বড় ছিল, দে নতুন বন্ধুদের হানা পুরদে করেছিল। তার গল্পটি মনোযোগের সাথে শোনা যাক।আমার শেহ বয়ের আগের সামারে দেয়াক নামে আমার খুব ভালো এক শুক হওয়ার মাসখানেক আগে সে ইউরোপ চলে যায় এবং কিছু এক দিছি নাচে এক দড়িশালী মাদক নিয়ে। আমরা আগে কব হেন জাইনি। সে তার নতুন বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলা একটি মঞ্চ নিলুড়েল এই নির্দিজ বস্তুটির যান নিতে। সে ‘২৪ ক্লাব’ বান্দ্র একটি ক্লাসঃ হালু করে, যেখানে একটি বৃত্তের মধ্যে বদে তোমাকে লখা হয় উজিপটি বিছানো তোলে দেহ করতে হবে। জানতাম এসবের কোনো ছবিদে বেই এবং শেষ পর্যন্ত এগুলো আংস ডেকে আনবে, যদি নিয়মিত সে মাদক দেও হারিয়ে হয় তবে প্রাইমারি স্কুল থেকে ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল এবং অমল অর হেমন হর্ণর বন্ধু নল থাকায় আমি ওর সঙ্গে সম্পর্কয়েন করতে হাইনি, মাথার একই সঙ্গে চ্যাতের লাংস দেখাতো আমার কাম্য ছিল না।কিছু কেসমা বুঝতে পারি, জ্যাকের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা আমার জন্য সয় ঝুঁকি হয়ে বাজে হাই স্কুলের শেষ বছতে আমি নতুন বড় গড়ে তুলতে শুরু করি। ঘন প্রথম ব্যাপারটি কেমন অদ্ভুত লাগতো এবং একাকী থাকতে নিজেরে হল हर हर মনে হতো তবে কিছুদিনের মধ্যে মামি মামার মন মানসিকতার কয়েকজনের সঙ্গে নতুন বন্ধুত্ব করে বেলি এবং মামরা অনেক মজা করতে থাকি।পাজ করছে পরেন এবমিম মাদক নিয়ে সাঁতার কাটতে গিয়ে সুইমিং পুল খারাপ লেগেছিল, তবে নিজের কাছেই দূতম ছিলাম এ ভেবে, মামি নতুন বন্ধু গড়ে তোলার সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলও ভালো বন্ধু গড়ে তুলতে হলে বয়স কোনো সমস্যা নয়। তোমার চেয়ে দেখ বাসীদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করতে পারো। আামার এক পরিচিত লোকের স্কুল জীব সুর বয় বন্ধু-বান্ধব ছিল, তবে তার এক মানু ছিলেন, যিনি ওর সমস্ত জা মনোরেল নিয়ে শুনতেন এবং খুব ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন। এতে সেই লোহার বহুত্বের শূন্য জায়গাটা ভরে গিয়েছিল। আদল কথা হলো, বন্ধুত্ব যার যারা কারো না কেন, চেবেচিন্তে করবে। কারণ তোমার ভবিষ্যতের অনেওটাই নির করছে তুমি যাদের সঙ্গে চলাফেরা করছো আদের ওপর। তুমি কোন স্কুলে পড়ছো বা স্কুলে কী শিখছো তা কিন্তু তোমার ভবিষ্যতকে বিভিন্নভাবেই গড়ে তুলবে। এ প্রসেক্ষ ঢেনের অভিজ্ঞতার কথা। ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় আমি উতিয়াদে ৪১ লেভেল নেব বলে ঠিক করি। স্কুল জীবনের গোটা সময় শিক্ষার হোমওয়ার্ক দিয়ে আমাদের মাথা নষ্ট করে উল্লেন। এতো এতো মাড়ির কাজ করা সত্যি কঠিন ছিলো কিন্তু আমি সংকল্পবদ্ধ ছিলাম, ক্লাসে ভাল করার পাশাপাশি পরীক্ষাতেও ভালো জল নেয়ার ফলে প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টে পূর্ণ মনোযোগ ও পরিশ্রম দেয়া সম্ভব হয় আমাদের অ্যাসাইনমেন্টগুলো ছিল সময়খেকো। শিক্ষক প্রতিটি ছাত্রকে গৃহযুদ্ধের ওপর তথ্যচিত্র দেখিয়ে প্রতিটি সেগমেন্টের ওপর রচনা লিখতে বলতেন। এসব ডকুমেন্টারি চলতো দশদিন ধরে এবং প্রতিটি সেগমেন্ট ছিল দুই ঘণ্টার। আমি পড়ালেখায় প্রচুর সময় দিতাম বলে ডকুমেন্টারি দেখার সময় করে ওঠা কষ্টসাধ্য হলেও কাজটা করতাম। আমি লেখা জমা দেয়ার। পরে আবিষ্কার কবি, মাত্র অল্প কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী গোটা দিবিচ দেখেছে। অবশেষে চলে আসে ফাইনাল পরীক্ষার দিন। ছাত্র-ছাত্রীরা খুব নার্ভাস ছিল। পরিবেশ ছিল থমথমে। টেস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ঘোষণা করেন, ‘শু করো।আমি গভীর একটি নয় নিয়ে মালটিপল চয়েসের প্রথম সেকশনের ফিলটি খুলে ফেলি। প্রতিটি প্রশ্ন দেখে আমার আত্মত্মবিশ্বাস বেড়ে চলছিল। আমি তো
পৃষ্ঠা:৩২
দেব প্রন্তের কথা জানি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ঘন্টা পড়ার অনেক আগেই আমার শেখা শেষ হয়ে যায়। তারপর আসে রচনা লেখার পালা। আমি রচনা বইয়ের লিগ ভয়ে ভয়ে হাল প্রস্তুর ওপর চোখ বুলাই দ্রুত। গৃহযুদ্ধ বিষয়ক একটি প্রশ্নের সহরোই অবায় নিরছেলায়। জারণ ডকুমেন্টারি দেখে একসেরিন পাহাড় ও র্যাপারে আমার বেশ জলেই জানা হয়ে গিয়েছিল। প্রশান্ত মনে সেদিন আমি পরীক্ষা শেষ করেছি। বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে আমি পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারি-স্বাম ভালো মার্ক পেয়েই পাস করে গেছি? ‘মিশন বা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির আরেকটি কারণ হলো, তুমি এটি না করলে অর কেউ এটা তোমার জন্য বানিয়ে দেবে। বিজনেস এক্সিকিউটিভ জ্যাক ওয়্যে বলেছেন, নিজের নিয়তি নিয়েই নিয়ন্ত্রণ করো নতুবা অন্য কেউ করবে।’ ‘কে করবে?’ প্রশ্ন করতে পারো তুমি। হয় তোমার বন্ধুরা, নতুবা বাবা-মা কিংবা মিডিয়া। তুমি কি তোমায় বন্ধুদেরকে বলতে চাও তারা তোমার জন্য দাঁড়াবে? তোমার বাবা-মা হয়তো খুব ভালো কিন্তু তুমি কি চাও তাঁরা তোমার জীবনের নকশাটি এঁকে দিক? তাদের চিন্তা ভাবনা হয়তো তোমার সঙ্গে মিলবেই না। তুমি হয়তো এখন ভাবছো, ‘আমি ভবিষ্যত নিয়ে এতো এতো চিন্তা করছে হই না। আমি এ মুহূর্তের জন্য বাঁচতে চাই এবং স্রোতের সঙ্গে এগিয়ে চলার মামি এ মুহূর্তের জন্য বাঁচতে চাইবার নীতিতে বিশ্বাসী। অবশ্যই আমাদেরকে বর্তমান মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে হবে। তবে স্রোতের সঙ্গে এগিয়ে চলার ব্যাপারটি মেনে নিতে পারলাম না। স্রোতের সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকলে শেষে তুমি নিচের দিকে আছড়ে পড়বে, গা মাখামাখি হয়ে যাবে নোংরার জীবন হয়ে উঠবে নিনেন্দময়। সবাই যা করছে ভূমি হয়তো তা-ই করবে, কিন্তু তোমার মনের প্রয়াত দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয় তা সমর্থন করবে না। যে রাস্তা যে জেনেদিকে যায়, সেই জীবন আমলে কোনোদিকে যায় না। নিজের মনে কোনো পরিকল্পনা না থাকলে যারা আমাদেরকে নেতৃত্ব দিতে চাইবে আমরা তাদের পেছনেই ছুটতে থাকব্যে। এতে আমলে বেশি দূর যাওয়া যায় না। একবার আমি রোড রেসে অংশ নিয়েছিলাম। অন্যান্য রানারদের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলাম কখন বেস শুরু হবে। কিন্তু স্টার্টিং লাইন আমাদের কারোরই জানা ছিল না। তারপর কয়েকজন রাজা ধরে হাঁটতে শুরু করে, যেন তারা জানে এটাই স্টার্টিং লাইন। সবাই, জামিসহ, ওদের পেছন পেছন হাঁটতে থাকি। ভেবেছি সামনে যারা আছে তারা জানে তারা কোথায় যাচ্ছে। মাইলখানেক হাঁটার পরে হঠাৎ সবাই বুঝতে পারি আমরা একদল নির্বোধ মেঘের মতো এমন একজনকে অনুসরণ করছি যে, বোকাটা জানেই না সে কোথায় যাচ্ছে? জানা গেল স্টার্টিং লাইন ছিল আমরা যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেটা। কাজেই কখনও ভেবো না যে, পাল জানে তারা কোথায় যাচ্ছে। আসলে তারা কিছুই জানে না।পার্সোনাল মিশন স্টেটমেন্ট যদি মনে প্রত্যক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি থাকে তাহলে তুমি কীভাবে কাজটা করো? এর সেরা রাস্তাটি আমি পেয়েছি একটি পার্সোনাল মিশন স্টেটমেন্ট লেখায় মাঝ দিয়ে। পার্সোনাল মিশন স্টেটমেন্টকে অনেকটা ব্যক্তিগত মত বিশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এটি তোমার জীবনের ব্রপ্রিন্টী। দেশ বা জাতির থাকে সংবিধান যা মিশন স্টেটমেন্টের ভূমিকা পালন করে। মাইক্রোসফট বা কোকা- কোলার মতো কোম্পানিদের থাকে মিশন স্টেটমেন্ট। তবে এরা মানুষের জন্য সেরাটা করে। কাজেই তুমি কেন তোমার নিজের ব্যক্তিগত মিশন স্টেটমেন্ট লিখছো না? অনেক টিনেজারেরই তা আছে। বিভিন্ন ঢংয়ে তারা এসব লেখে। কারও স্টেটমেন্ট দীর্ঘ, কারওটা হ্রস্ব। কেউ লেখে কবিতার ঢংয়ে, কেউবা গানের মতো করে। কোনো কোনো টিনেজার আবার প্রিয় কোনো উক্তিকে মিশন স্টেটমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে। অন্যরা ছবি বা ফটোগ্রাফ দেয়। নিচে কিছু মিশন স্টেটমেন্ট দেয়া হলো। এগুলো লিখেছে বেথ হেয়ার নামে এক কিশোরী। সবার আগে আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি সর্বদা বিশ্বস্ত থাকবো।পারিবারিক একতার শক্তিকে আমি ছোট করে দেখবো না।আমি প্রকৃত একজন বন্ধুকে অবহেলা করবো না, তবে পাশাপাশি নিজের গুনোও সময় রাখবো।আমি সকল চ্যালেঞ্জ শুরু করবো আশা নিয়ে, সন্দেহ নয়। আমি সবসময় ইতিবাচক সেলফ ইমেজ বজায় রাখবো, নিজের আত্মবিশ্বাস
পৃষ্ঠা:৩৩
মিশন স্টেটমেন্ট:চিংয়ের ব্যাপারে এবং আাশপাশে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুর বিষয়ে আত্মবিশ্বাস সয়ে প্রতি পর্যাপ্ত নড় হব এবং সম্মান দেখাও।যেসব লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব সেইরকম লক্ষ্য স্থির করো।সের রাজ্য যেতে বাধনও লক্ষ্যচ্যুত হয়ো না।মনে রেখো কোনোকিছুই সহজে পাওয়া যায় না।জন লোকদের ভিন্নতা মেনে নাও।মনে গ্রাথো কাউকে বদলাতে হলে আগে নিজেকেই বদলাতে হবে।কাজ করে দেখাত, মুখে শুধু বুলি দিয়ো না।হারা পাইব হার্থী এদেরকে সাহায্য করো। • বইয়ের সারটি মভাস প্রতিদিন পাঠ করবে।এই সিশন স্টেটমেন্টটি প্রতিদিন করবে।ধরে রাখবো এই ভেবে যে, আমার সমস্ত অভিপ্রায় শুরু হবে আত্মমূল্যায়ন অ্যাডাম সসনে আমার বইয়ের সাতটি অভ্যাস সম্পর্কে পরিচিত এবং সে নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার ব্যাপারেও সচেতন। কাজেই তার তো মিশন স্টেটমেন্ট থাকবেই।তো মিশন স্টেটমেন্ট তোমার জন্য কী করতে পারে? বহু কিছু। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি তোমার চোখ খুলে দিতে পারে, তোমার জন্য সবয়েট গুরুত্বপূর্ণ তী এবং সেভাবে তোমার সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে।অাঠারো বছরের একটি মেয়ে একটি মিশন স্টেটমেন্ট লিখেছে, যেটি বা জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছিল।আামর এক বয়ফ্রেন্ড চিল। আমি তাকে সুখী করার জন্য সবকিছু করছে চাইতাম। আরপর একদিন স্বাভাবিকভাবেই সেক্সের বিষয়টি চলে এলো-অরি আসলে এটি করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আর এটা আমাকে সারাক্ষন খোঁচাতো। আমার মনে হতো আমি এটির জন্য ঠিক প্রস্তুত নই এবং আমি সের করতে চাই না-যদিও সবাই বলছিল ‘করে ফেলো।’তারপর একদিন আমি স্কুলে একটি পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট ক্লাসে আপ নিই এবংআমি মিশন স্টেটমেন্ট লিখতে শুরু করি এবং লিখতেই থাকি। এর সঙ্গে নানান জিনিস যোগ করি। এটি আমাকে একটি দিক নির্দেশনা দেয় এবং আমার মনে হতে থাকে, আমি যা করছি তার একটি ব্যাখ্যা এবং পরিকল্পনা পেয়ে গেছি। এই মিশন স্টেটমেন্ট আমাকে আমার মানদণ্ডে লেগে থাকতে এবং যার জন্য আমি প্রস্তুত নই তা না করতে শিখিয়েছে।পার্সোনাল মিশন স্টেটমেন্ট অনেক গাছের গম্ভীর শিকড়সহ গণ্ড। এটি স্থিতিশীল এবং এটি কোথাও যাবে না। একই সঙ্গে এটি জীবন্ত এবং ক্রমশ আকারে বাড়ছে।জীবনের সকল ঝড়ঝঞ্ঝায় টিকে থাকতে চাইলে গভীর শিকড়সহ একটি গাছের প্রয়োজন হবে তোমার। তুমি বোধহয় ইতিমধ্যে খেয়াল করেছো জীবন স্থিতিশীল নয়। বিষয়টি নিয়ে ভাবো। মানুষ বড় অস্থির প্রকৃতির। তোমার বয়ফ্রেন্ড এখন তোমাকে ভালোবাসে, আবার খানিক পরেই তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তুমি হয়তো কারও খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কিন্তু সেই বন্ধুটি আড়ালে তোমার নিন্দা করছে।যেসব বিষয়গুলো তোমার নিয়ন্ত্রণসাধ্য নয় তা নিয়ে ভাবো। তোমাকে এগোতে হবে। তোমার সবকিছু যখন বদলে যাবে, তখন একটি পাসোমাল মিশন স্টেটমেন্ট হতে পারে তোমার মাটির গভীরে প্রোথিত শিকড়, যা কখনও সরবে না। এরকম কোনো শক্ত কাও ধরে থাকতে পারলে তুমি তোমার পরিবর্তনগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবে।তোমার প্রতিভার উন্মোচন করোপার্সোনাল মিশন সেটটমেন্ট বিকশিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, তুমি যে কাজটি ভালো পারো সেটিকে উন্মোচিত করা। আমি একটি বিষয়ে নিশ্চিত যে, সকলেরই কোনো না কোনো প্রতিভা রয়েছে। কেউ খুব ভালো গাইতে পারে। কেউ আঁকতে পারে ছবি অথবা সুবক্তা কিংবা গল্পকার, কবি। একবার খুব সুন্দর একটি ভাস্কর্য তৈরির পরে মাইকেল এঞ্জেলোকে জিজ্ঞেসকরা হয়েছিল, তিনি কীভাবে কাজটি করলেন? তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ভাস্কর্যটি গ্রানাইট পাথরে আদিকাল থেকে মুদ্রিতই ছিল, তিনি শুধু বাটাল দিয়ে ওটাকে মূর্ত করে তুলেছেন।বিখ্যাত ইহুদি-অস্ট্রিয়ান মনোবিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রাঙ্কল, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী জার্মান ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন, তিনি শিখিয়েছেন আমরা আসলে
পৃষ্ঠা:৩৪
দারুণ আবিষ্কার:১) একজন লোকের কথা চিন্তা করো, যিনি তোমার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দিয়ে এসেছেন। সেই মানুষটির মধ্যে কী গুণ বয়েছে যা তোমার নিজের মধ্যে জামমা করো?২) আজ থেকে ২০ বছর পরে নিজেকে কল্পনা করো-তোমাকে বিখ্যাত সব রাক্তি ঘিরে আছেন। তাঁরা কাবা এবং তুমি তখন কী করছো?৩) দুটি আকাশ ছোঁয়া ভবনের মাঝখানে যদি ৬ ইঞ্চি চওড়া কোনো ইস্পাতের ইম রাখা হয়, তুমি তাহলে ওখান থেকে কী পারো করতে চাইবে? হাজার পাউন্ড। রাম? মিলিয়ন পাউন্ড? তোমার পোষা কোনো প্রাণী? তোমার ভাইকে। খ্যাতিকে। চিন্তা করে জবাব দাও….অমাদের প্রতিভা মাবিষ্কার করি না, চিহ্নিত করি মাত্র। তুমি আসলে জানে তোমার বী প্রতিভা রয়েছে, শুধু এটকে উন্মোচন করার অপেক্ষা।মামি একবার নিয়ের প্রতিয়া অাবিষ্কার করে বড়ই পুলকিত হয়েছিলাম। সৃস্তনদীস সেথায় একবার মি. উইলিয়ামসের ক্লাসে আমি ‘স্য গুন্ডম্যান অ্যান্ড দা ফিশ’ নামে একটি গল্প লিখে নিয়ে গিয়েছিলাম। এ গল্পটি ছেলেবেলায় বাবা আমাকে বলেছিলেন। তবে তিনি বলেননি যে, প্লটটি তিনি সরাসরি চুরি করেছেন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের দ্য এক্রম্যান অ্যান্ড দা স্বী থেকে মামার লেখাটি ফেরার এলে আমি খুব শকড় হই। কারণ ওতে শিক্ষকের মন্ত্রণা লেখা চিল, বড্ড গতানুগতিক মনে হচ্ছে। হেমিংওয়ের ‘ওওম্যান আছে দ্য হীর সঙ্গে মিল পাওয়া‘এই হেমিংওয়োটা কে?’ ভাবি আমি। ‘সে কীভাবে আমার বাবার গল্প নকল করলো?’ ইংরেছি ক্লাসে ওটা ছিল আমার বেচারা ধরনের অর।আমি ইউনিভার্সিটিয়ে ওঠার পরে আবিষ্কার করি, আমার গল্প লেখার প্রতি দারুণ আবেগ রয়েছে। বিশ্বাস করো বা না-ই করো, আমি উংরেজি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলাম। কিন্তু মি. উইলিয়ামস মামার সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। তার আগেট তিনি বরাধাম ত্যাগ করেছেন।৪) যদি কোনো বিখ্যাত লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ার সুযোগ পাও, কী বই পড়বে? ৫) ১০টি জিনিসের তালিকা করো, যেগুলো তুমি করতে চাও। এটা হতে পারে বস্ত, গান, পত্রিকা পাঠ, ছবি আঁকা, বই পড়া, দিবাস্বপ্ন দেখা… যে কোনো কিছু, যা তুমি করতে খুবই অ। ৬) এমন একটি সময়ের কথা বলো, যখন তুমি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিলে।৭) আজ থেকে পাঁচ বছর পরে তোমার স্থানীয় খবরের কাগজটি তোমাকে নিয়ে স্টোরি লিখতে চাইছে। তারা এ ব্যাপারে তিনজন লোকের ইশীরভিউ করবে। তোমার বাবা, তোমার ভাই অথবা বোন এবং তোমার কোনো বন্ধু। তারা তোমার চম্পর্কে কী বলবে বলে প্রত্যাশা করো?৮। এমন একটি কিছুর কথা ভাবো, যা তোমার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে… একটি গোলাপ, একটি গান, কোনো জন্তু…কেন এটি তোমার প্রতিনিধিত্ব করছে?১ ) তুমি যদি বিখ্যাত কোনো মানুষের সঙ্গে একঘন্টা কাটানোর সুযোগ পাও,তাহলে তিনি কে হবেন? ওই লোকটিকে কেন তুমি পছন্দ করবে? তুমি তাকে কী ডিমেস করবে?১৯) প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো প্রতিভা থাকে। তোমার নিচের প্রতিভাগুলোর কোনটি আছে? না থাকলে তালিকা বানাও।* সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতাখেলাধুলা *ম্যাকানিকাল
পৃষ্ঠা:৩৫
বেরয়ে কলমের ডগা দিয়ে তা নিয়ে ভাবতে হবে না। যা লিখেছো তা সম্পাদনারও প্রয়োজন নেই। শুধু লিখতে থাকো এবং গামবে না। নিজের যত আইডিয়া আছে সব লিখে ফেলো কাগজে। বেদনাও বেঁধে গেলে সারুণ আবিষ্কারের দেখাগুলোর কথা ভাবো। তাহলে তোমার কল্পনা শক্তি উদ্বুদ্ধ হবে। যখন তোমার মস্তিষ যথেষ্ট পরিমানে বিশোধিত হবে, তখন আরও পনের মিনিট সময় নাও সম্পাদনার জন্য।লোকের সঙ্গে কাজ করতে পারার গুণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারঙ্গম* * সহজে অন্যকে মেনে নিতে পারা ভবিষ্যতে কী ঘাটবে তা বলতে পারা* লেখালেখি* রসের গল্প করা* ভালো বক্তব্য দেওয়া, উপস্থাপন্য ও আবৃত্তি করা মিশন স্টেটমেন্ট দিয়ে শুরু করে দাও কাজ তুমি দারুণ অাবিষ্কারের পাট চুকিয়ে এসেছো, এখন মিশন স্টেটমেন্ট স্নেকেলগ বা উন্নায়ন শুরুর জন্য প্রস্তুত হতে পালো। নিচে চারটে সহজ পদ্ধতির কথা লিখেছি, যা তোমাকে নিজের মিশন স্টেটমেন্ট লিখতে সাহায্য করবে। তুমি চেষ্টা করে দেখতে পারো এগুলোর কোনোটি তোমার সঙ্গে যায় কিনা।পদ্ধতি-১। উক্তি সপ্তাহ। তোমার প্রিয় উক্তিগুলোর গোটা পাঁচেক কাগজে লিখে মাও। এগুলো হবে তোমার মিশন স্টেটমেন্ট। কারও কারও জন্য এসব উক্তি দারুণ অনুপ্রেরণার কাজ করে।ত্রিশ মিনিটের মাথার যে ফলাফল এলো, তা দিয়ে তুমি তোমার মিশন গ্রেটমেন্টের একটা খসড়া মুসাবিদা পেয়ে গেলে। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ এটিকে রিভাইজ দাও, এতে যোগ করো, তোমাকে অনুপ্রাণিত করে তুলতে যা যা দরকার সব বিশদ লেখো।পদ্ধতি-৩। পশ্চাদপসরণ গোটা একটি বিকেল হাতে নিয়ে এমন কোনো জায়গায় চলে যাও যেখানে একা সময় কাটানো সম্ভব। নিজের জীবন নিয়ে গভীরভাবে ভাবো, চিন্তা করো এ জীবন দিয়ে তুমি করতে চাও? দারুণ আবিষ্কারে যেসব জবাব দিয়েয়ো তার রিভিউ করো। আইডিয়া পেতে এ বইয়ের মিশন স্টেটমেন্টের আইডিয়াগুলো চোখ বুলাও। সময় নাও এবং যে পদ্ধতি তোমার গুদ সেটি দিয়ে তোমার নিজের মিশন সেস্টটমেনী গঠন করো।পদ্ধতি-৫: আলস্য। যদি তুমি খুব বেশি অলস হও, তাহলে ইউএস আর্মির প্রোগান ‘Be All That You Can Bel কে ব্যবহার করো তোমার পার্সোনাল মিশন স্টেটমেন্ট হিসেবে।মিশন স্টেটমেন্ট লিখতে গিয়ে কিশোর-কিশোরীরা সবচেয়ে বড় ভুল করে বসে যে, এটিকে নিখুঁত ধরে তুলতে এতো বেশি সময় ব্যয় করে যে, শেষতক শুরুই করতে পারে না। ভুলভাল থাকলেও একটি খসড়া স্টেটমেন্ট লিখে পরে এটি শুধরে নেয়া ধরা অনেক ভালো।টিনেজাররা মিশন স্টেটমেন্ট লিখতে গিয়ে আরেকটি মস্ত ভুল করে, তা হলো অন্যদের মতো করে লেখার চেষ্টা করে। এতে কোনো লাভ হয় না। মিশন স্টেটমেন্ট বিভিন্ন আকার এবং ঢঙে হতে পারে-কবিতা, উক্তি, ছত্র, অনেক শব্দের সমারোহ, একটি মাত্র শব্দ ইত্যাদি। অন্যেরা কী লিখলো তার জন্য অপেক্ষার দরকার নেই। তুমি তো টিচারের জন্য লিখছো না যে, পরে এতে নম্বর পবে। এটি তোমার গোপন ডকুমেন্ট। নিজেকে প্রশ্ন করো-এটি কি আমাকে অনুপ্রাণিত করতে পারছে? জবাব যদি হয় হ্যা, ভাহলে লিখে ফেলো। একবার দেখার পরে এটি এমন কোনো জায়গায় রেখে দিও যাতে সহজেই হাতে পাওয়াপদ্ধতি-২: ব্রেইন ডাম্প: তোমার মিশন নিয়ে পনেরো মিনিট লেখো।
পৃষ্ঠা:৩৬
তিনটে হুঁশিয়ারি উদিহারি-১, নেগেটিভ লেভেল। কেউ কি তোমাকে কখনও তোমার গায়ে নেতিবাচক হওমা এঁটে দিয়েছো তোমার পরিবার, শিক্ষক অথবা বন্ধুবান্ধব?তোমার অমৃত মহল্লার মানুষজন আগলে এরকমই। সবসময় ঝামেলা করে।’ ‘তোমার মতো আলসে আমি দুটি দেখিনি। একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠো না কেন? ‘এই যে তুলি। কোনো কথের না।’তোমার কথা মামি চানি না, তবে কেট বেহুদা আমার ওপর কোনো নেতিবাচক রকমা এঁটে দিলে বাগে গা বি বি করে। তবে কেউ খামোকা এরকম কোনো রকমা এঁটে দিতে পারা দেবে না। বিপদ হয় তখন যখন তুমি এসব তকমাগুলো বিশ্বাস করতে গুল কবো কারণ লেবেল বা তকমাগুলো প্যারাডাইমের মতো। তুমি যা দেখবে তুমি তাই পারে। ধরো, তোমাকে কেউ অলস বলতে লাগলো, তোমার একসময় মনে হবে তুমি সত্যি বুঝি আলসে। আর এরকম বিশ্বাস মনে গৌঁছে গেলে তুমি সত্যি অলস হয়ে পড়বে। কাজেই এসব নেগেটিড লেবেলতে একদমই পাত্তা দেবে না।ঐশিয়ারি-২, ‘সব শেষ’ সিনড্রোম। আরেকটি হুঁশিয়ারি হলো যখন তুমি এক বা একাধিক ভুল করে এবং এমন মন খারাপ হয় যে ভাবো ‘নব শেষ হয়ে গেল।’ তখন নিজেকে তুমি জাংস করে দিতে চাও।কিন্তু মাসলে সব শেষ হয়ে যায়নি। কখনও হয় না। অনেক কিশোর কিশোরীর জীবনেই এরকম সময় আসে, যখন তারা নানান ভুল করে এবং হতাশায় ভুগতে বাকে। ভুল মানুষই করে। ছেলে-বুড়ো সবাই ভুল করে। কিন্তু এতে হতাশ না হয়ে মাথাটা খাড়া করে চলো।ঐশিয়ারি-৩, স্কুল দেয়াল। তুমি কোনো কিছু পাবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করলে কিন্তু দেটি পরার পরে মেচরটা কেমন শূন্য ও ফাঁকা মনে হলো। এরকমটি হয়েছে কখনও? আমরা সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টায় এমন মশগুল থাকি যে, দেয়ালও করি না মইটি সঠিক দেয়ালে লাগানো হয়েছে বিনা। ভুল পথে গেলে শেষে আামাদেরকেই যন্ত্রণা পোহাতে হবে।তোমার মই সঠিক দেয়ালে ফিট করা হয়েছে কিনা বুঝবে কীভাবে? থামো, প্রশ্ন করো নিজেকে, ‘আমি যে জীবন যাপন করছি তা কি আমাকে সঠিক পথে নিয়ে যাচ্ছে?’ নিজের বিবেকের কথা শোনো। ওটা তোমাকে কী বলছে?আামাদের তাঁবন সবসময় ১৯৬ ডিগ্রিতে ঘুরে যাবে এমনটি আশা করা খুণ। প্রায়ই অন্ডাদের ছোট ছোট শিফট দরকার। সেই পরিবর্তনগুলো আবার গন্তব্যে হিরাট পরিবর্তন এনে দিতে পারে। ধরো। তুমি নিউইয়র্ক থেকে ইসরায়েলের তেল আবিব যাবে, কিন্তু ১ ডিগ্রি উত্তরে সরে গেলেই তোমাকে তেল আবিবের এদলে মস্কো নামতে হবে।লক্ষ্যে এগিয়ে যাওএকবার তোমার মিশন ঠিক করতে পারলে তুমি লক্ষ্য স্থিরও করতে পারবে। মিশন স্টেটমেন্টের চেয়ে লক্ষ্য স্থির করা অনেক বেশি সুনির্দিষ্টই এবং তোমার মিশন ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে ফেলতে সাহায্য করবে। তোমার রাক্তিশত মিশন যদি হয় গোটন একটি পিজ্জা ভক্ষণ, তোমার লক্ষ্য হবে ওটাকে গ্রেট ছোট টুকরো করে কাটি।অতীতে যেসব ভুলচুক করেছো তা ভুলে যাও। জর্জ বার্নার্ড শ’র উপদেশ মেনে চলো। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন তরুণ ছিলাম লক্ষ্য করেছি আমি যেসব তাই করেছি তার দশটির মধ্যে নয়টিই ব্যর্থ হয়েছে। তবে আমি বার্থ মানব হতে চাইনি, তাই আমি আরও দশবার কাজ করেছি।’এখানে লক্ষ্য স্থির করার পাঁচটি চাবিকাঠি দেয়া হলো।।চাবিকাঠি ১। কী ঘটতে পারে।আমাদের যবন মুড থাকে তখন আমরা করো লক্ষ্য স্থির করি, তবে পরে দেখি সেই দক্ষ। হাসিদের পেছনে ছোটার তাগিদ বা শক্তি আামাদের নেই। কেন এমন হয়? কারণ আমরা কী ঘটতে পারে তা আমলে নিই না।ধরো, তুমি লক্ষ্য স্থির করলে এ বছর পরীক্ষায় ভালো মার্কস পাবে। বেশ। কিন্তু তার আগে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে চিন্তা করো পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হলে তোমাকে কী কী করতে হবে? বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজি কমিয়ে অংক এবং গ্রামারের পেছনে বেশি সময় দিতে হবে। টিভি দেখা কমিয়ে হোমওয়ার্ক বেশি করতে হবে।আম্মা, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেলে কী হবে? মনে সন্তুষ্টি আসরে কাজটা পেরেছো বলে? ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে? ভালো চাকরি পাবে? এখন নিজেকে প্রশ্ন করো, ‘আমি কি এ স্যাক্রিফাইসগুলো করতে প্রস্তুত?’ যদি প্রস্তুত না খাবো তবে কোরো না। যেসব কমিটিমেণী রক্ষা করতে পারবে না, তার প্রতিপতি নিয়েকে দিয়ো না। একসঙ্গে সব পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাবার টার্গেট না করে দুটি বিষয়ে ভালো মার্কস পাবার লক্ষ্য স্থির করো। এভাবে এগিয়ে যাও।
পৃষ্ঠা:৩৭
লেফটেন্যান্ট, তুমি আমার জন্য এ চিঠিটা কি ডেলিভারি নিতে পারবো’ ‘আামি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, স্যার।’‘না, আমি তোমার সর্বোচ্চ চেষ্টা চাই না। আমি চাই চিঠিটি তুমি ডেলিয়ারি HEY, LOOK WHAT I FOUND IT’S ME!চাবিকাঠি ২: লিখে রাখো।বলা হয়, ‘সাক্ষ্য লিখে না রাখা মানে এটি স্রেফ একটি ইচ্ছে। এর মধ্যে যদি বা বিস্তর কোনো অশ্রয় নেই। লিখিত লক্ষ্য দশ গুণ বেশি শক্তিশাগী। লুইজি নামে এক তরুণী আামাকে বলেছিল, সে তার লক্ষ্য লিখে রেখেছিল বাদ অবশেষে যথার্থ ম্যারেরা পার্টনারের দেখা পেয়েছিল। সে আবিষ্কার করেছিৎ, নিয়ের লক্ষ্য লিখে রাখার মধ্যে ম্যাজিক্যাল একটি ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু লিখে রাধা মানে সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যের দিকে তুমি এগোচ্ছো, এএটি গক্ষণ স্থিরের জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিনেত্রী মিলি টমলিন বলেছেন, আমি সবসময়ই কিছু একটা হতে চেয়েছি। তবে আমার আরও স্পেসিফিক হওয়া উচিত ছিল।’চাবিকাঠি ৩। স্রেফ করে ফেলো।মেক্সিকোতে কোর্টেজের অভিযান নিয়ে একটি গল্প পড়েছিলাম। তিনি পাঁচশর থেকে এবং এগারোখান। জাহাজ নিয়ে কিউবা থেকে ইউকাটানো উপকূলে পৌছান ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে। মূল ভূখণ্ডে পৌছে তিনি এমন একটি কার করে বলেন যা অন্য কোনো মভিযাত্রায় নেতারা কস্মিনকালেও চিন্তা করেননি। তিনি তাঁর জাহাজগুলো পুড়িয়ে ফেলেন, যাতে আর পিছু হঠার অবকাশ না থাকে। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, হয় অনুসন্ধান মন্তব্য মৃত্যু।“আমি এটা করবো নয়তো মরবো।’তুমি ভুল বুঝছো লেফটেন্যান্ট, আমি তোমাকে মরতে বলছি না। আমি চাই উঠিটা ভূমি ডেলিভারি দেবে।’অবশেষে লেফটেন্যান্ট বিষয়টি বুকতে পারলো এবং বললো, “আমি কাজটাকরে দেবো, স্যার।’ আমরা যখন কোনো কাজ করার বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই, এটিসম্পাদন করার জন্য আমাদের শক্তির বৃদ্ধি ঘটে।“তুমি যদি কাজটা করো,’ বলেছেন ব্যালফ ওয়ালিজ এমারসন, “তুমি সেই শক্তিটি পাবে।’আমি যতবার নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি কোনো কাজ করার জন্য মনে হয়েছে আমি ইচ্ছাশক্তি, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার স্বর্ণখণি উড়েছি, যা আমার কখনও ছিল বলে ভাবতে পারতাম না। যায়া প্রতিশ্রুতি দেয় তারা কোলে না জেনো রাস্তা খুঁজে পায়। প্রখ্যাত জেডাই মাস্টার ইয়োচা বলেছেন, ‘করবে অথবা করবে না। চেষ্টা বলে কিছু নেই।’চাবিকাঠি ৪। প্রয়োজনীয় মুহূর্তগুলো ব্যবহার করোজীবনের কিছু মুহূর্ত প্রেরণা এবং শক্তি দিয়ে তৈরি। লক্ষ্য ছিরে এমুহূর্তগুলোর আবশ্যকতা রয়েছে।নিয়ে একটি তালিকা দেয়া হলো কিছু মুহূর্তের যা নতুন লক্ষ্য ছিরে তোমাকে প্রেরণা যোগাতে পারে।* স্কুলের নতুন বছরা* জীবন বদলে দেয়া কোনো অভিজ্ঞতা* সম্পর্কে ছাড়াছাড়ি* নতুন চাকরি* নতুন সম্পর্কএকবার এক ক্যাপ্টেন এবং তাঁর লেফটেন্যান্টের মধ্যে কথোপোকথনের গল্প* দ্বিতীয় কোনো সুযোগ। গুনেছিলাম
পৃষ্ঠা:৩৮
মৃত্যু ,কোনো অ্যানির্ভাসারি, বিজয়,নতুন শহরে গমন,নতুন সিজন ,গ্রাজুয়েশন,বিয়ে,ডির্ভোস,প্রমোশন,,ডিমোশন,নতুন লুক,,নতুুন দিন ,নতুন গাড়ি,নতুন ব্যবসা,নতুন উদ্যোগ গ্রহন,
চাবিকাঠি ৫। প্ররোচণা:তুমি লিখনে মনের কিছুই করতে পারবে যদি প্ররোচিত ২৪ অথবা অপাল কড় নেবে বার বং শক্তি। গারো, তুমি একটি লক্ষ্য ছিন্ন করলে। এখন তুমি কীভাবে প্ররোচিত হবে? হয়তো এমন কোনো বস্তুকে খুঁজে পেলে যার জম্মা একইরকম। দু’তনে মিলে একত্রে কাজ করতে পারো এবং একে অপরের উয়ার্থেনিয়ার হতে পারো। অথবা তোমার বাবা-মাকে তোমার লক্ষ্যের করলা বলতে পারো এবং মলে মাথায় এটি তাকানোর চেষ্টা করতে পারো। যত বেশি প্রতিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।জীবনকে করে তোলো অনন্যসাধারণ জীবন ছোট। এ পরাটিও বলা এয়েছে টম গুণম্যানের রুমাসিক ছবি তেজ পেরেটল সোসাইটিতে। তোমাকে মনে রাখতে হবে জীখন একটি মিশন, ক্যারিয়ার নয় প্যানিয়ার হলো পেশা। মিশন ভানতে চায়, “আমি বীere for কিছু তৈরি করতে পারবো?’ মার্টিন লুথার কিংয়ের মিশন চিলো, পৃথিবীর সত মানুষের মানবাধিকার রক্ষা। গার্থার বিশন চিলে, বিশ কোটি ভার ভাষকে করা। মাদার তেরেসার মিশন চিনো, বস্তুটানকে বস্তু এধ্য ক্ষুধার্তকে খামা এখনো চূড়ার উদাহরণ। তোমাকে তোমার ডিশন দিয়ে পুখিনী বদলে দিতে হায় না। শিক্ষাবিদ ম্যারেন ঘুরিটিসেন যথার্থটি বলেছেন, ‘আমাদের বেশিরভাগই একন বড় কিছু কবি না। কিন্তু অন্যভাবে ছোট ছোট বাচও করা যায়।’
পৃষ্ঠা:৩৯
ছোট ছোট পদক্ষেপ:১) নিজের কারিয়ারে সফল হতে তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার প্রয়োজন হবে তোমার। তোমাকে আরও বেশি সংগঠিত হতে হবে, অন্যদের সামনে আরও জাত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলতে শিখতে হবে, লেখালেখির দক্ষতা থাকতে হবে। ২) রোমার মিশন স্টেটমেন্ট ৩০ দিন টানা রিভিউ করবে। এটি তোমাকে সিদ্ধার দিয়ে সাহায্য করবে। ৩) আয়নায় তাকিয়ে জিজ্ঞেস করো, ‘আমি কি আমার মতো কাউকে বিয়ে করায় চাই? যদি না হয় তাহলে তোমার ভেতরে যে গুণগুলো নেই, তা আনার চেষ্টা করো। ৪) তোমার স্কুল গাইডেন্স কিংবা এমপ্লয়মেন্ট কাউন্সেলরের কাছে গিয়ে নিজের ক্যারিবারের সুযোগ-সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করো। একটি atitude Tes করাতে পারো তাহলে নিজের ট্যালেন্ট, সামর্থ এবং আল্লাহ মূল্যায়নে সুবিধা হবে। ৫) জীবনে এ মুহূর্তে প্রধান ক্রসরোড কী অনুভব করছো? অবশেষে কোন পর্যট যেছে নেবে?আমি যে ক্রসরোডটির মুখোমুখি হচ্ছি-যে পথটি আমি বেছে নিতে চাই-৬) দারুণ আবিষ্কারের একটি কপি করে ফেলো। ভারপর কোনো বন্ধুবা পারিবারিক সদস্যের সহায়তায় একপা একপা করে এগোও।৭) নিজের লক্ষ্য নিয়ে ভাবো। এগুলো কাগজে লিখে নিয়েছো? না লিখলে লিখেযেলো। নক্ষ্য লিখে রাখবে, না হলো ওটা শুধু মনেই থেকে যাবে। ৮) তোমার ওপর যেসব নেতিবাচক তকমা এঁটে দেয়া হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিতকরো। তুমি এসব তকমার কী কী বদলাতে পারবে তা নিয়ে ভাবো।নেতিবাচক তকমা-বীজবে এগুলো বদলাবো?নেতিবাচক তকমা নিয়ে ভাবো এবং তা খুঁজে বের করে জীবনের খাস্তা থেকে কেটে বাদ করে নাও একেবারে।
অভ্যাস ৩ আগের কাজ আগে উইল এবং উইলনট পাওয়ার:
পৃষ্ঠা:৪০
আমি টেপে এক লেখকের বক্তৃতা গুনছিলাম। সে একালের টিনেজারদের সঙ্গে দেড়শো বছর আগের কিশোর-কিশোরীদের তুলনা করছিল। আমি দেশ অগ্রহ নিয়েই তার কথা শুনছিলাম। তার অনেক বক্তব্যের সঙ্গে একময়ও ছিলাম। কিন্তু যখন সে বললো, ‘দেড়শো বহর জাগের কিশোর-কিশোরীরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতো, তা ছিল কঠোর পরিশ্রম। আর আজকের টিনেজাররা রাজের অভাবে থাকে।’আরে, বলে কী এই লোক? কাজের অভাব? আমার তো ধারণা আজকালকার টিনেজাররা আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে এবং তাদের বাজও করতে হয় প্রচুরা। নিজের চোখে এসব দেবেছি। এখনকার টিনেজাররা স্কুলে যায়, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ করে, বন্ধুদের সঙ্গে দল গঠন করে, খেলাধুলা করে, পার্টটাইম জব করে, ছোট ভাইবোনদের দেখাশোনায় বাবা-মাকে গহায্য করে।’ আরও করো বী কাজের চাপে তাদের নিঃশ্বাস নেয়ার জো নেই। মর এই লোক বলে কিনা এ যুগের ছেলেমেয়েদের হাতে কোনো কাজ নেই? দুধ লেয়ানো মার বেড়া বানানোই বুঝি কঠিন কাজ? আধুনিক টিনেজাররা এরচেয়ে ঢর বেশি কাজ করে।তোমাদের হাতে কতো কাজ। যে জন্য সময় করেও উঠতে পারো না। তবে ৩নং অভ্যাস বলছে, আগের কাজ আগে সারতে হবে। জানতে হবে কোম অঙ্কটাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেয়া দরকার। তবে সময় বাঁচালেই কেবল হবে না। স্বাতের কাজ আগে করার অর্থ কঠিন মুহূর্তগুলোকে পাত্তা না দেওয়াও বটে।আমাদের লক্ষ্য এবং অভিপ্রায়ের একটি তালিকা থাকতে পারে, হবে তোনটিকে তালিকায় সবার আগে রাখা উচিত সেটি বাছাই একটু কঠিনই। এজন্য মামি ৩নং অভ্যাসকে উইল পাওয়ার বা ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে তুলনা করেছি। এবং বলছি, উইল নট পাওয়ারের কথা। এটি হলো, যেসব কাজ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং খুব বেশি চাপ পড়ে যায় সেগুলোকে না বলার শক্তি।প্রথম তিনটি অভ্যাস গড়ে উঠেছে একটির ওপরে আরেকটি। ১নং অভ্যাস গেছে, “তুমি চালক, যাত্রী নও।’ ২নং অভ্যাস বলছে, ‘সিদ্ধান্ত নাও কোথায় যাবে
পৃষ্ঠা:৪১
এবং ওবানে পৌড়াবার একমান্য মানচিত্র অংকন করো।’ আর ৩নং অম্লদে রোড ব্লককে কোনার বাধা হতে দিও জীবনে আরও কিছু গোছগাছ করো কোথাও যাওয়ার জন্য যখন সুটকেস গোছগাছ করো তখন কি কদাপি লক্ষ্য করেছো, ভেতরে কতো সুন্দরভাবে জিনিসপত্র সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যায় অাহতর গুড়িয়ে না ফেলো তোমার জীবনটাও কিন্তু সুটকেস গোছানোর মতো। যত সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলবে নিজেকে, এত বেশি গোছগাছ করে নিতে পারছে- আরও বেশি সময় দিতে পারবে পরিবারকে, স্কুলকে, নিজেকে।তোমাকে দুটি টাইম কোয়াড্রান্টের কথা বলি। এটি গঠিত দুটি প্রাথমিক উপাদান দিয়ে-‘গুরুত্বপূর্ণ এবং ‘জরুরি’।গুরুত্বপূর্ণ-তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো, কাজগুলো যা তোমার মিশন এবং লক্ষ্যপূরণে ভূমিকা রাখতে।জরুরি-যেসব কাজ তোমাকে ভাৎক্ষণিকভাবে করতে হবে। এমনিতে আমাদের সময় বিভক্ত চারটে টাইম কোয়াড্রনটে। একেকটকোয়াড্রান্টের একেক কাজ এবং একেক রকম ব্যক্তিত্বকে সেটি প্রতিনিধিত্ব করে। তোমরা হয়তো লক্ষ্য করেছো, আমরা যে সমাজে বাস করছি সেখানে প্রায় সবারই বড্ড ভাড়ছড়ো। আর্জেন্ট ব্যাপার সকলের। আর্জেন্ট ব্যাপার থাকরেই
টাইম কোয়াড্রান্ট: ২) প্রাইওরাইটাইজার (১) প্রোক্সান্টিনের ১) কাল পরিক্ষা ১) প্লানিং, লক্ষাস্থির করা ১) বন্ধু আহত২) এক সপ্তাহের মধ্যে রচনা তৈরির কথা বলা* কাজে দেরি ৩) অনুশীলন * প্রজেক্ট দিতে দেরি * গাড়িত ব্রেক ফেল(৩) ইয়েস মান১) অংােয়জনীয় ফোনবল।২) কাজে বাধা না৩) অন্য লোকদের সমস্যা নিয়ে ভাবনা৪) মহেতুক চাপ তৈরির কথা বলা৪) সম্পর্ক৫) রিলাক্সেশন(৪) ব্লাকার১) খুব বেশি টিভি দেখা২) বিরতিয়ীন ফোন করা৩) অতিরিক কম্পিউটার গেম৪। আ্যারাবন শপিং৫) বেড়দা সময় নষ্ট করাপণে। তবে সমস্যার সৃষ্টি হয় যখন আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাদ দিয়ে শুধু আায়েন্টি বা জরুরি কাজেই মেতে থাকি। সেবা যাব তোমরা কে কোথ কোয়াড্রান্টে নিয়েও সময় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করো।কোয়াড্রান্ট ১: প্রোক্সাস্টিনেটর বা-ভান্তে গড়িমসি করে এয়ে কোয়াড্রান্ট ১ দিয়ে শুরু করা যাক। এখানে কাজগুলো একই সঙ্গে জরুরিএবং গুরুত্বপূর্ণও বটে। ৫। (কোয়াড্রাস্ট ১)-এর মতো কাজ সবসময়ই থাকবে যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। যেমন কোনো অসুস্থ শিশুকে সাহায্য করা দিংবা কোনো মিটিংয়ের ডেডলাইন। তবে আমধা অনেক (১) নিয়ে অহেতুক মাথাযাখ্যা করি, কারণ আমরা প্রোক্সন্টিনেট। যেমন আমরা হোমওয়ার্ক করি না এবং পরীক্ষা এলে রাত জেগে পড়াশোনা করে স্বাস্থ্যের বারোটা বাড়াই। আবার আমাদের গাড়িটার অনেকদিন যত্নআত্তি নিই না। ফলে ওটা অকেজো হয়ে পড়লে হারানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ি। ৫। জীবনেরই অংশ। কিন্তু Q। এর জন্য যদি অতাধিক সময় ব্যয় করতে থাকি তাহলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ব।একজন প্রোজাস্টিনেটর ইমার্জেন্সিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। সে কোনো কাজই করে না অতক্ষণ পর্যন্ত না ওটা ক্রাইসিসে পরিণত হয়। তবে এটিই তার বেশ পছন্দ, কারণ শেষ মিনিটে তাড়াহুড়ো করে কাজ করতেই সে যেন মজা পায়। ইমার্জেন্সি না হওয়া পর্যন্ত যে যেন নড়াচড়া করতেই পারে না।প্রোক্সান্টিনেটদের আগ বেড়ে কখনও পরিকল্পনা থাতেই নেই। ভাহলে সে শেষ মুহূর্তে সমস্যা সমাধানের উত্তেজনা নষ্ট হয়ে যাবে।আমি স্কুলে ছিলাম প্রোক্সাস্টিনেটর। সারা বছর পড়াশোনায় ফাঁকি দিতাম, হোমওয়ার্ক ঠিকঠাক করতে চাইতাম না, আর যেই পরীক্ষা আসতো, লাফিয়ে উঠতাম। রাত জেগে খেটে পাস করতাম বটে কিন্তু শিখতাম না কিছুই। পরিণাম আমাকে ভোগ করতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কর্মক্ষেত্রেও।Q। এর জন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করলে যা হয়।* উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ে।* নিজে ধ্বংস হয়ে যায়।* মিডিওকার পারফরমেন্স করে।কোয়াড্রান্ট ২। প্রাইওরাইটাইজার।এর সব কাজকে অগ্রাধিকার দেয় এবং বলে সবচেয়ে ভালো কাজটি শেষ
পৃষ্ঠা:৪২
কোয়াড্রান্ট ৩। ইয়েস-ম্যানমায়ের কাছে কাজগুলো আলেখ্য হলেও কোথা থের্ণনা। তাদের কাজ হলে অন্যদেব খুশি করা বা খুন্দি রাখা। যে বলোকের যেসব কাজ করে তা তাদের কয়ে গুরুত্বপূ হলেও তোমার কাছে তা মনে নাও হতে পারে। কিন্তু ভূমি ‘নবা বলতে পারছো না পাছে অপর পক্ষ মাইচ করে বসে।০১ ব ইংকে-ম্যানদের ৫৬৯ সমস্যা, তারা কাউকে না বলতে পারে দা বলে। সে সবাইকে খুশি করতে গিয়ে শেষে কাউকেই খুশি করতে পারে না। এমনকী নিজেকেও। তার ওপর সবসময়ই প্রচণ্ড চাপ থাকে, কারণ সে জনপ্রিয় থাকতে চায় এবং এ অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াতেও রাজি নয়। সে তার বন্ধু বা বদ কাউকে অখুশি করতে চায় না। কেউ তাকে প্রস্তাব দিল রাত থেকে কেয় পর্যন্ত জাহাজ ভ্রমণ করবে। সাতপাঁচ না ভেবেই রাজি হয়ে গেল স্রেফ বস্তুকে খুনি করতে। অন্তে পরদিন যে তার পরীক্ষা, তা তার মনেই নেই। অথরা মনে থাকলেও বন্ধু অখুশি হতে পারে ভেবে পরীক্ষার কথা চেপে গেছে বেমালুম।এ ধরনের লোক তার বোনকে বললো, সে তার অংক করে দেবে। এমন সময় ফোন এলে সে ফোনে এমন বকর বকর শুরু করে দিল যে, বোনকে অংত করনের কথা মাথাতেই রইলো না। যদিও ফোনটি অকো জরুরি কিছু ছিল না। সে সাঁয়ারুর দলে যোগ দিতে ইচ্ছুক নয়। কিন্তু তার বাবা ভালো সাঁতার বলে বারাকে খুশি করতে সে সুইমিং টিমে নাম লিখে ফেললো।আমার মনে হয় আমাদের সবারই, আমিসহ, অন্য সনার মধ্যে আছে (3।কিন্তু সবকিছুতে ‘হ্যাঁ’ বলবে তো কোনো কাজই সমাধা হবে না এবং বুঝত্রের পারবো না কোন কাজটি আদলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিখ্যাত কমেডিয়ান বিল বসবি। বলেছিলেন, ‘সাফল্যের চাবি কী আমি জানি না, তবে ব্যর্থতার চাবি হবে, সকলকে খুশি করার চেষ্টা (০১ অতিশয় নিম্নমানের কোয়াড্রান্ট, কারণ এটির কোনো মেরুদণ্ড নেই। এটি চপলমতির এবং বাতাস যেদিকে প্রবাহিত হয় সেদিকে উড়ে যায়।Q3-র পেছনে বেশি সময় ব্যয় করলে যা হবে।* ‘চামড়া’ হিসেবে খ্যাতি পাবে।ডিসিপ্লিন বলে কিছু শিখবে না*নিজেকে অন্যের পাপোস বলে মনে হবে।তোয়াড্রান্ট ৪০ প্ল্যাকার বা কুঁড়েQL-এর কর্মে না আছে কোনো জরুরি ব্যাপার, না গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এ খানের লোকজন সবকিছুই অতিরিক্ত ভালোবাসে। যারা বেশি টিভি দেখতে পছন্দ করে, বেশি ঘুমাতে ভালোবাসে, ভিডিও গেমে তাদের বেশি বেশি রাসক্তি, ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় যায় করে। এদের অতি প্রিয় কাজ একবার ফোনে কথা বলা শুরু করলে তিন ঘন্টার আগে ছাড়ে না। মার ম্যারাথন শপিংয়ে তো তাদের তুলনাই নেই।এই কুড়েরা হলো প্রফেশনাল লোফার। দুপুর পর্যন্ত তারা ঘুমায়, কমিক বই। পাড় সপ্তাহ জুড়ে, কোনো কাজকন্দ্র করে না। স্কুলে যেতে চায় না।সিনেমা দেখা, ইন্টারনেটে চ্যাটিং বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা স্বাভাবিক জীবন যাপনেরই অংশ। কিন্তু এর পেছনে যখন অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা হয়, সেটি তখণ সমা। নষ্ট করার নামান্তর হয়ে দাঁড়ায়। তুমি এ সীমারেখা তখন অতিক্রম করছো সেটা জানতে পারবে। রিল্যাক্স করার জন্য প্রথমবার টিভি দেখো, সমস্যা নেই। তবে প্রতিদিন রাত দুইটা পর্যন্ত জেগে টিভি দেখা কোনো কাজের কথা নয়। একে সময়ই নষ্ট হবে শুধু।০১.এর ফলাফল হলো।দায়িত্বহীনতা* অপরাধবোধে ভোগা* কুঁড়েমি* আড্ডাবাজি না অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় ব্যয় করা।সাপ্তাহিক প্ল্যান করোপ্রতি সপ্তাহে পনেরো মিনিট সময় নাও প্ল্যান করার জন্য এবং দ্যাখো এটা তোমার জীবনে কী ভিন্নতা সৃষ্টি করতে পারে?কেন সাপ্তাহিক প্ল্যান?কারন সপ্তাহজুড়ে আমরা ভালোভাবে চিন্তা করতে পারি। প্রতিদিনকার প্ল্যান খুব একটা ভালো হয় না, ফোকাস করার জায়গা থাকে কম, আর মাসিক প্ল্যান ফোকাসের জন্য খুব বেশি বড় হয়ে যায়। নিচের তিনটি পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিকল্পনাগুলো করা যেতে পারে।পদক্ষেপ ১। প্রতিটি সপ্তাহের শেষে বা শুরুতে বসে ভাবো, সামনের সপ্তাহে তুমি কী কী কাজ করবে? নিজেকে প্রশ্ন করো, ‘এ সপ্তাহে আমার কোন কাজটি করা
পৃষ্ঠা:৪৩
এগুলো তোমার মিশন স্টেটমেন্ট এবং দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্যের সঙ্গে জুড়ে দেবে। এক সপ্তাহের জন্য যেসব প্ল্যান তুমি করতে পারো।* সায়েন্স বই পড়বে বই পাঠ শেষ করবে * মেগাদের খেলায় অংশ নেবে ইসাবেলার পার্টিতে যাবে তিকথায় এক্সারসাইজ করবেপদক্ষেপ ২। তুমি বড় পাথর দিয়ে কখনো এক্সপেরিমেন্ট করেছো? একটা বাগতি বা ঝুড়ি নিয়ে আর অর্ধেকটা ভরে ফেলো মুড়ি পাথর দিয়ে। আরপর এগুলোর ওপরে বড় বড় পাথরের টুকরো রাখো। কিন্তু দেখবে ফিট করবে না। কাজেই পাথরগুলো ফেলে দিয়ে আধার প্রথম থেকে শুরু করো। এবারে বাগতি বা কুড়িয়ে প্রথমে বড় পাথরগুলো রাখো, তার ওপর মুড়ি পাথর। দেখবে বড় পাথরের ফাঁক ফোকরে মুড়িগুলো দিব্যি ফিট করে গেছে। সমস্যা ছিল শাখার এবং মুক্তি পাথর নাজানোয়। আগে নুড়িপাথর রাখলে বড় পাথর খণ্ডগুলো ফিট করবে না। তবে আগে বড় পাথরের টুকরোগুলো রাখলে মুড়িগুলো দিব্যি ফিট করে যায়। বড় পাথরগুলো তোমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে। মুড়িগুলো প্রতিনিধিত্ব করছে, ছোট ছোট জিনিসের হা তোমার মূল্যবান সময় খেয়ে নেয়। এ এক্সপেরিমেন্টের মোরাল হলো- তোমার বড় পাথরগুলোর শেডিউল ভাগে না করলে ফল পাবে না।তোমায় সাপ্তাহিক পরিকল্পনায় বড় পাথরগুলো দিয়ে সময়কে আটকে রাখো। যেমন, তুমি ভাবছো ইতিহাস পড়ার জন্য সেরা সময় হলো, মঙ্গলবার গ্রাভ এবং দাদীমার সঙ্গে কথা বলার সবচেয়ে ভালো সময় হলো, রোববার বিকেল। এখন এ সময়গুলো ব্লক করে রখো। বিষয়াটা অনেকটা রিজার্ভেশনের মতো। বড় পাথর দিয়ে সময় বা দিন ব্লক করে রাখলে অন্যান্য দিনগুলো এমনিতেই ফিট হয়ে যাবে। আর না হলেই বা কী? নুড়ি পাথর সাজানোর বদলে বড় পাথর সরিয়ে নেবে। গনিক্ষেপ ৩। তোমার বড় পাথরগুলো বুকড় হয়ে গেলে ছোট ছোট কাজ কী বী করবে তার একটা শেডিউল করে ফেলো। এ সবের মধ্যে থাকবে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড, অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি।প্রশ্ন উঠতে পারে, এই টাইম ম্যানেজমেন্ট কি সত্যি কাজ করে? হ্যা, করে।আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক টিনেজারের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি, যারা বলেছে ওপরের পরামর্শ তাদের অনেক কাজে লেগেছে। ফিলিপ্পা নামে একটি মেয়ে লিখেছিল:আমর মানসিক দুশ্চিন্তার মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছিল। কারণ, আমি আর চিন্তা করতে পারছিলাম না সামনের ক’টা দিন কী করবো? এখন আমি আমার শিডিউল করে ফেলেছি এবং সব ঠিক হয়ে গেছে। আমার যখন মন খারাপ থাকে এবং মুণ্ডিত্তায় থাকি, আমার শিডিউলের দিকে তাকাই এবং বুঝতে পারি এখনও অনেক কিছু করার মতো সময় আমার হাতে আছে।কমফোর্ট জোন এবং কারেজ জোন আগের কাজ আগে করার জন্য সাহস দরকার। কমফোর্ট জোনে রয়েছে পরিচিত সবকিছু। পরিচিত মানুষজন, জায়গা, পরিচিত কর্মকাণ্ড। তোমার কমফোর্ট জোন ঝুঁকিমুক্ত। এসব বাউন্ডারির মধ্যে আমরা নিজেদেরকে নিরাপদ জাবতে পারি।পক্ষান্তরে, কারেজ জোনে তোমাকে নতুন বন্ধু করতে হবে, বড়সড় অডিয়েন্সের সামনে বক্তৃতা দিতে হবে। তবে এ জোনে রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার, ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ। এখানে সবকিছুই অস্বস্তিকর মনে হবে। এ ক্ষেত্রটিতে বিরাজমান অনিশ্চয়তা, চাপ, পরিবর্তন, ব্যর্থতার সম্ভাবনা। তবে এটি সুযোগ-সুবিধাও দেবে এবং এটিই একমাত্র জায়গা, যেখানে ভূমি তোমার পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারবে। এটি আবার কমফোর্ট জোনে পরবে না।
পৃষ্ঠা:৪৪
সমস্যা তাহলে তোমার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, কমফোর্ট জোন উপভোগ করতেপোকোনো সমস্যা নেই। আসলে আমরা আমাদের বেশিরভাগ সময় এখানেই কাটাই। কিন্তু অচেনা নদীতে না নামণে জীবন চেনা যায় না। আমি অনেকরে তুমি স্বারা নতুন নতুন জিনিস করতে চায় অথচ নিরাপত্তার জগতে ডানা গড়িয়ে হিদি করছে। ভসের কাছে জীবনটা বড়ই পানসে। কেইবা পালনে জীবন চায়? নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে প্যারাস্যুট চেপে মাঝেমধ্যে কারেজ জোনে লাফিয়ে পড়তে সমস্যা কী? মনে রেখো, ঝুঁকিহীন জীবন যাপনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।ভয় যেন তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য না করে পৃথিবীতে বাজে বর্তগুলো আবেগ বরেছে তার মধ্যে ভয় একটি। আমার যখন মনে পড়ে, শুধু ভয় পাবার কারণে জীবনে অনেক কাজেই সফল হতে পারিনি, ভেতরটা পোড়ে। হাইস্কুলে পড়ার সময় সাবাহ নামের একটি সুন্দরী মেয়ের ওপর ক্রাশ খেয়েছিলাম কিন্তু তাকে নিজের অনুভূতির কথা কোনোদিন ভাষাতে পারিনি, কারণ আমার ভয়, আমার কানে ফিসফিস করে বলতো, ‘এ তোমাকে পছন্দ না-ও করতে পারে। মনে আছে একবার প্র্যাকটিসের পরেও স্কুল ফুটবল টিম ছেড়ে দিয়েছিলাম প্রতিযোগিতার ভয়ে। আমার সারাজীবনে অনেক ক্লাসই আমি করতে পরিনি ভয়ে, বন্ধুত্ব করা হয়ে ওঠেনি তাও এ জন্যই, খেলার দলে যোগ দিতে পারিনি এই কুৎসিত ভয়টার জন্য।আমার যাবা একবার আমাকে একটি কথা বলেছিলেন, যা জীবনে ভুলবো না। ‘শন’, বলেছিলেন তিনি, ‘কয় যেন কখনো তোমাকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধা করতে না পারে। তুমি নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেবে।’ আইডিয়াটি দারুণ না? সেইসববীরোচিত কর্মকান্ডের কথা চিন্তা করো যেগুলো ভয়ের মুখোমুখি হয়ে করা হয়েছিল। নেলসন ম্যান্ডেলার কথা ভাবো। জিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই করেছেন। এ অপরাধে সাতাশ বছর তাঁকে জেল খাটতে হয়েছে। পরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রেসিডেন্ট হন। কী ঘটতো যদি তিনি ভয় পেতেন এ সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে? কিংবা সুসান বি অ্যান্থনির কথা স্মরণ করা যায়, যিনি প্রচণ্ড সাহস নিয়ে দীর্ঘ একটা কাল নারী ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেহেন এবং শেষ পর্যন্ত মার্কিন সংবিধানে নারী ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের কথাও বলতে পারি, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী জাম নির বিরুদ্ধে যুক্ত পৃথিবীকে যুদ্ধ করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এঁরা তোই তাঁদের কাজ করতে ভয় পাননি।ভরের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ কাজ নয়। তবে কাজটা করার পরে মনে অনেক আনন্দও হয়। কারোই কোনো কাজ করতে ভয় পেয়ো না। সাহস করে এদিয়ে যাও। দেখবে সফল হবে।জেতা মানে বারবার পতন থেকে উঠে দাঁড়ানোআমরা ভয়ের জগতে বাস করি এবং এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়ও। প্রবাদ আছে, ‘ভয়াকে জন্য করতে এগিয়ে যাও।’ আর কোনো কিছু জিতে নেয়া মানে বারংবার পত্তন থেকে উঠে দাঁড়ানো। আমরা কতোবার পড়ে গেলাম তা না। তবে সুযোগগুলো কতোবার হারালাম তা ভাবাই বাঞ্চনীয়। আমরা অনেক বিখ্যাত মানুষের কথা জানি, যাঁরা বহুবার ব্যর্থ হয়েছেন।আলবার্ট আইনস্টাইনের মুখে চার বছরের আগে বোলই ফোটেনি। বিটোফেনের মিউজিক টিচার বলেছিলেন, ‘সুরকার হিসেবে এর কোনো আশ্যই নেই।’ লুই পাস্তুবকে রসায়নের জগতে ‘মিডিওকার বিজ্ঞানী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। রকেট বিজ্ঞানী ভার্নহার ডন ব্রাউন কিশোর বয়সে বীজগণিতে ফেল করেছিলেন। রসায়নবিদ মাদাম কুরী নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রির ক্ষেত্র তৈরি করে বিজ্ঞানের চেহারা বদলে দেয়ার আগে প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন। মাইকেল জর্ডানকে তাঁর স্কুলের বাক্সেটবল টিম থেকে বাদ দেয়া হয়।আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন ৭ বার নির্বাচনে হেরে ৮ম বার প্রেসিডেন্টন্ট নির্বাচিত হন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে পার্লামেন্টের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে গিয়ে একাই নিগ্রোদের দাস প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। নিম্নে তার বিবরণ দেওয়া গেল।তিনি বাইশ বছর বয়সে ব্যবসায় লালবাতি জ্বালেন।* তেইশ বছর বয়সে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী হিসেবে পরাজিত হন।ছাব্বিশ বছর বয়সে তিনি তাঁর প্রিয়তমাকে হারান।* সাতাশ বছর বয়সে তিনি নার্ভাস ব্রেক-ডাউনের শিকার হন। * উনত্রিশ বছর বয়সে স্পিকারের পদ পেতে ব্যর্থ হন।* তেত্রিশ বছর বয়সে তাঁকে সংসদীয় নমিনেশন দেয়া হয়নি।* উনচল্লিশ বছর বয়সে কংগ্রেসের রি-নমিনেশন হারান।* ছেচল্লিশ বছর বয়সে সিনেটে পরাজিত হন।* সাতচল্লিশ বছর বয়সে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্সি হারান।
পৃষ্ঠা:৪৫
এই মদ্রোহাম বিয়েতে নির্বাচিত হয়েছিলেন, যতবার নার্থ হয়েছেন ততবারই সি বাঁড়িয়েছেন এবং শেষতক তাঁর পত্তব্যে পৌঁছেছেন, অঞ্জনি করেছেন সম্মান এই প্রকশা রয়েছে। এতো কিছু হয়ে শুধুমাত্র তার মনোবল না হালানোর কারনে ব ভয় না পারার কারণে।কঠিন মুহূর্তে শক্ত থাকো কবি রবার্ট ফ্রস্ট লিখেছেন, ‘একটি অঞ্চলে দুটি রাস্তা চলে গেছে দুই দিতে এবং আমি কম ব্যবহার করা রাস্তাটি বেছে নিলাম। আর তাতেই সব কিছু কেম বদলে গেল।আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে অনেক কঠিন মুহূর্ত আসে, আমর ৩৬ সঠিক পথটি বেছে নিই, তাহলে জীবনের রাস্তায় অনেক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। কঠিন মুহূর্তগুলো আসলে কী? সঠিক কাজটি আর সহজ কাজ করার মাজে জন্ম নিয়ে সৃষ্টি কঠিন মুহূর্ত। এ হলো এক ধরনের পরীক্ষা, জীবনের মুহূর্তওয়ে সংজ্ঞায়িত করা-আমরা এগুলোতে যেভাবে সামাল দেবো, সে আনলে গাড় উঠবে আমাদের জীবন। ছোট এবং বড় দুইভাবে এগুলো আসে।ছোট কঠিন মুহূর্তগুলোর অবিভাব ঘটে প্রতিদিন। এসবের মধ্যে রয়েছে, অ্যালার্মের শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া, মেলাজ নিয়ন্ত্রণ কিংবা হোমওয়ার্ক কত্তর জন্য নিজেকে ডিসিগ্রেনের আওতায় নিয়ে আসা। তুমি যদি নিজেকে চা করতে পারো এবং এসব মুহূর্তে শক্তিশালী থাকতে পারো, তোমার দিনহালা কাটবে মসৃণ গতিতে।ছোট কঠিন মুহূর্তগুলোর সঙ্গে তুলনায় বড় কঠিন মুহূর্তগুলো জীবনে প্রায়ই আসে। যেমন ভালো বন্ধু বাছাই, নেতিবাচক চাপ ঠেকিয়ে রাখা, বড় কোনে বিপত্তির পরে চিবাউন্ড বা প্রতিক্ষেপণ করা। তুমি কোনো দল থেকে বাদ পড়ছে। পারো অথবা তোমাকে তোমার প্রেমিকা ছ্যাকা দিতে পারে কিংবা তোমা পরিবারে কারও মৃত্যু হতে পারে। এসব মুহূর্তের পরিণাম ব্যাপক এবং তুমি যখন এসবের জন্য প্রস্তুত নয়, ওইসময় এগুলোর আঘাত আসতে পারে তোমার ওপর। তুমি যদি বুঝতে পারো এসব কঠিন মুহূর্ত তোমার জীবনে আমা তাহলে এ জন্য প্রস্তুতি নাও এবং যোদ্ধার মতো এগুলোর মুখোমুখি হায় গিয়ে এসো বিজয়ী বেশে।এসব মুহূর্তের মোকাবিলায় তোমাকে যাহসী হতে হবে। একরাতের আনন্দের জন্য নিজের ভবিষ্যত জলাঞ্জলি দিয়ো না। কিংবা এক সপ্তাহের উত্তেজনা অথবা কারও ওপর প্রতিশোধ নেয়ার রোমাঞ্চ উপভোগ করতে গিয়ে নিজের সম্ভাবনাময় সময় নষ্ট করো না। যাতে পরবর্তীতে তোমাকে পস্তাতে হবে এ অনুশোচনা করতে হবে।সাফল্যের সাধারণ উপাদান আগের কাজ আগের চূড়ান্ত বিশ্লেষণে সবার আগে আদে ডিসিপ্লিনের কথা। তোমার সময় ম্যানেজ করার জন্য ডিসিপ্লিন দরকার। ভয়কে জয় করতে ডিসিপ্লিনের প্রয়োজন। চাপ সহ্য করতেও ডিসিপ্লিনের প্রয়োজন রয়েছে। মালবার্ট ই যে নামে এক লোক বহু বছর গবেষণা করেছেন জানতে যাঁরা সম্বল হয়েছেন তাদের ভেতরে বিশেষ কী গুণ বা উপাদান ছিল। তিনি দেখেছেন, সফল মানুষরা অনেক সময় নিজেদের অপছন্দের কাজগুলোও দাঁতে দাঁত পিষে করে গেছেন। কেন তাঁরা এসব করেছেন? আরণ তারা জানতেন এসব জিনিস তাঁদেরকে তাঁদের লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করবে।তোমার কি মনে হয় একজন কনসার্ট পিয়ানোবাদক প্রতিদিন ঘন্টার পর কষ্ট পিয়ানো বাজিয়ে খুব আনন্দ লাভ করেন? না, করেন না।আমি একটি লেখা পড়েছিলাম, যেখানে জনৈক আমেরিকান কুস্তিগীরকে ডিজেল করা হয়েছিল, তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মৃতিময় দিন কী? তিনি জবাব দেন, যেদিন যাঁর প্রাকটিস থাকতো না, ওইদিন ছিল তাঁর জন্য সবচেয়ে স্মৃতিময় দিন। তিনি প্রাকটিস করতে খুবই অপছন্দ করতেন। কিন্তু আরও বড় উদ্দেশ্য সধনের জন্য এ প্রাকটিস তাঁকে সহ্য করতেই হতো।শেষ কথা‘আমরা ৭টি অভ্যাস নিয়ে হাজারও মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছি জানতে যে, এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কোনটি? সবাই কী জবাব দিয়েছিল, জানো?৩নং অভ্যাস। কাজেই এটি নিয়ে কাজ করতে গেলে হতাশ হয়ো না।৩নং অভ্যাস কীভাবে শুরু করবে বুঝতে না পারলে ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করো। ওগুলো তোমাকে অধ্যাদটি শুরু করতে সাহায্য করবে।
পৃষ্ঠা ৪৬ থেকে ৬০
পৃষ্ঠা:৪৬
ছোট ছোট পদক্ষেপ:১৯ এক মাসের জন্য এরটি প্লান তৈরি করো এবং সেটিতে লেগে খালে।২) ঝীসে তোমার সবচেয়ে সময় নাই হয় তা চিহ্নিত করো। তোমায় কি প্রতি ফোনে দুই ঘণ্টা কথা বলার সত্যি দরকার আছে, কিংবা সারারাত ইন্টার ব্রাউজ করা অথবা টিভিতে নাটক দেখা?আমার সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট হচ্ছে যাকে-৩) কেউ তোমাকে কিছু বললেই কি তুমি তার কাজটি করে দিতে মুখিয়ে বরেণ যদি এমন অভ্যাস থাকে তাহলে এটা দূর করো এবং আজ থেকে ‘না’ ফার সাহস সঞ্চয় করো।৪) এক সপ্তাহের মধ্যে তোমার যদি কোনো পরীক্ষা থাকে, কুঁড়োমি কোরো ব মোগো না যে পরর পড়তে বসবে। প্রতিদিনই একটু একটু করে পড়ো।৫) একটি কাজ করা তোমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অথচ সেটি নিয়ে দীর্ঘদিন হয় গড়িমসি করছো, এরকম কোনো কাজের কথা ভাবো এবং কাজটি এ সরদ্রে মধ্যেই সেরে ফেলো।আমি যে কাজটি অনেকদিন ধরে করবো ভেবেও করা হচ্ছে না- ৬)আগামী সপ্তাহে জরুরি যে কাজগুলো করবে তার একটা অলিয়া বার ফেলো। এখন অন্য কাজ বাদ দিয়ে এগুলো একটি একটি তরে সারো।৭) যে ভয়টি তোমাকে তোমার লক্ষ্যে পৌছাতে বাধা দিচ্ছে সেটি চিহ্নিত করো। সিদ্ধান্ত নাও কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে এ ভাাটাকে আর পারা না দিয় কাজটি করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।যে ভাটি আমাকে টেনে ধরে রাখে-৮) তোমার ওপরে অন্যদের চাপ বা জোশার কতোটুকু? যে লোকটি তোমাকে সবচেয়ে বেশি চাপ দিচ্ছে আাকে চিহ্নিত করো। নিজেকে প্রশ্ন করো, ‘আমি য করতে চাই তা কি আমি করছি, নাকি কাজটা ওরা আমাকে নিয়ে করাতে চাইছো। আমাকে যে লোকটি সবচেয়ে বেশি চাপ দিয়ে থাকে-
রিলেশনশিপ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট:
পৃষ্ঠা:৪৭
আমরা এর আগে পার্সোনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ১, ২ ও ৩নং অভ্যাস সম্পর্কে জেনেছি। আর এ অধ্যায়ে আমরা শিখবো রিলেশনশিপ ব্যাংক ডাকাউন্ট সম্পর্কে। সম্পর্ক গড়ে তুলতে সবার আগে নিজেকে আয়ত্ব বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কবে এজন্য তোমার নিখুঁত হওয়ায় প্রয়োজন নেই। শুধু উন্নতি করলেই চলবে। সাফল্য নিজের জন্য যেমন তেমনি অপরের জলোও গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ হেশিরভাগ সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদনটি হলো তুমি কী বা কের আমি রিলেশনশিপ ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে সংক্ষেপে বলবো RBA এর আগে আমরা PBA বা পার্সোনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। যেখানে তোমার ভেতরকার আস্থা এবং আত্মবিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। একইভাবে যার বা বাদের সঙ্গে তোমার সম্পর্ক রয়েছে তাতে আস্থা এবং বিশ্বাসের পরিমাণ কজোটুকু সেটি বিশ্লেষণের প্রয়াস পেয়েছি।RBA-ও ভুলনা করা যেতে পারে, ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বা চলতি সঞ্চয়ের সঙ্গে। ভূমি ডিপোজিটের মাধ্যমে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে পারো আবার উইখত্ন করে তাকে দুর্বল করেও ভুলতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা একটি ছিত্রিশীল ডিপোজিটের ফলাফল হলো, একটি শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক।যদিও মিল রয়েছে তবু RBA ফিন্যানশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত তিনটি দিক থেকে আলাদা বলেছে আমার সহকর্মী জুমি হেনরিকস। সে দেখিয়ে দিয়েছে।১) তুমি ব্যাংকে একটি বা দুটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারো তবে RBA খোলা যাবে যার সঙ্গে সাক্ষাত্র হবে তার সঙ্গেই। ধরো কোনো পাড়া বা মহল্লায় তুমি নতুনএসেছে। এখন ভূমি অপরিচিত যাকে দেখেই ‘হ্যালো’ বলছো, সঙ্গে সঙ্গে তার হথে তোমার একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেল। তুমি যদি তাকে আল্লাহ করো বরই এড়িয়ে চল্যে সেক্ষেত্রেও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। তবে সেটি নেতিবাচক অ্যাকাউন্ট। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলে কোনো লাভ হবে না।২) কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুললে সেটি তুমি যে কোনো সময়ে বন্ধ করতে পারবে কিন্তু কারও সঙ্গে RBA অ্যাকাউন্ট খুললে তা বন্ধ করা সম্ভব নয়।৩) চলতি হিসাবে ১০ টাকা মানে ১০ টাকাই। কিন্তু RBA তে ডিপোজিট ব্যাপ
পৃষ্ঠা:৪৮
হয়ে উড়ে আয়, উইথড্রয়ালের রূপান্তর ঘটে পাথরে ও এর অর্থ তোমার সবাহন্ত্র বলত্বপূর্ণ পর্বগুলোর ক্ষেত্রে ছোট ছোট ডিপোজিটে অমবন্বত চালিয়ে যাবে। যো কীভারে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যায় কিংবা ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাদে কাজট সহজ। একবারে একটি ডিপোজিট করবে। তোমাকে আজ যাতি থেে দিলে নিশ্চয় একবারে পুরোটা সাবাড় করতে পারবে না। একেক কামড়ে গেছে একবার আমি একদল কিশোর-কিশোরীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তোমার RBA রে সবচেয়ে দেয়া ডিপোজিট কে, জীভাবে তৈরি করেছো?’ তাদের জবাব ছিল নিম্নরূপ। • আমার পরিবারের ডিপোজিট আমাকে শক্তিশালী করেছে।যখন কোনো বন্ধু, শিক্ষক বা কোনো নিয়জন বলে ‘তোমাকে দারুণ লাগছে কিংবা ‘দারুণ কাজ করেছো সেসবই আমার জন্য বিরাট ডিপোজিট।আমার বন্ধু একবার মামার জন্মদিনে ব্যানার বানিয়েছিল, এটাই ছিল আমন্ত্র সেরা ডিপোজিট।* আমাকে নিয়ে যখন অনোর কাছে গর্ব করা হा।আামি ভুল করার পরেও যখন কারা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে, ভুলে গেছে,সাহায্য করেছে, ভালোবেসেছে।মামি আমার লেখা কিছু কবিতা পাঠ করে শোনালে আমার বন্ধু অবিতাগুল্যের প্রশংসা করে বলেছিলো, আমার বই লেখা উচিত।খুব আামার ভাই সবসময় এর বন্ধুদের সঙ্গে আমাকে হকি খেলা দেখতে নিয়ে যায়। আমার খুব ভালো চারজন বন্ধু আছে। আমরা যখন একত্রে থাকি খুব ভালোলাগে, আর ওরা সবসময় আমাকে খুশিতে রাখার চেষ্টা করে।হথন ক্রিস বলে, ‘হাই, কেমন আছো, ডিয়ার?’ ওর কথার ভঙ্গিটি এন্ডো প্রথধতার যে আমি উজ্জীবিত হই। মামার এক বন্ধু ছিল সে বিশ্বাস করতো, আমি খুব দিননিয়ার। আমাকে কেউ প্রজ্ঞবে বুঝতে পেরেছে সোটাই আমার জন্য যথেষ্ট। দেখতেই পাচ্ছো কতো রকমের ডিপোজিট রয়েছে। তবে নিম্নে হরটি ডিপোজিটের কথা বলা হলো, যেগুলো সবসময় কাজ করে। তবে প্রতিটি ডিপোজিটের বিপরীতে উইগড্রয়াল ডিপোজিটও রয়েছে। RBA ডিপোজিট প্রতিপ্রিণতি রক্ষাছোট ছোট দয়ালু কাজ করাবিশ্বস্ত থাকালোকের কথা শোনাবলা যে তুমি দুঃখিতপ্রয়াশাগুলো পরিস্কারভাবে তুলে ধরাRIBA উইৎওয়ালপ্রতিশ্রুতি ভঙ্গনিজের মধ্যে ডুবে থাকাগসিপ করা এবং বিশ্বাদ ভঙ্গলোকের কথা না শোনাআচরণে উদ্ধত্ব হওয়াভুয়া প্রত্যাশ্য সাজিয়ে রাখা প্রতিশ্রুতি রক্ষা ছোট ছোট প্রতিশ্রুতি এবং প্রতিজ্ঞা রক্ষার মাধ্যমে মানুষের বিশ্বাস অরনিকরা যায়। তুমি যা করবে বলেছো তা অবশ্যই তোমার করা উচিত। তুমি যদি তোমার মাকে বালো, আজ সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ফিরবে কিংবা তাতে গরকন্যার কাজে সাহায্য করবে, তাহলে অবশ্যই তোমার এ কথা বাগা উচিত। এভাবে তুমি তৈরি করতে পারবে ডিপোজিট। তুমি প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে জানিয়ে দিও। এভাবে বলতে পারো, ‘দুঃখির, বোন, আজ রাতে আমি তোমাদের নাটকে হাজির থাকতে পারবো না। জানতাম না আমার রাগবি ম্যাচ আছে। তবে কাল নিশ্চয় যাবো। তুমি যদি সত্যি কথা বল্যে এবং সবসময় প্রতিশ্রুতি রক্ষায় চেষ্টা করো, তাহলে দু’একটা প্রতিশ্রতি ভঙ্গ হলে লোকে ঠিক বুঝে নেবে তুমি ইচ্ছে করে কাজটি করনি, বিপদে পড়ে করেছো।
পৃষ্ঠা:৪৯
তোমার বাবা-মার সঙ্গে তোমার RIBA-র পরিমাণ যদি কায় ঘতে, প্রতিশ্রুতি রক্ষার মাধ্যয়ে তা গড়ে তোলার চেষ্টা করো। কারণ তোমার বাবা-মা তোমাকে বিশ্বাস করেন। কাজেই তাঁদের সঙ্গে RBA গড়ে তুলতে কোনো সমস্য হবে না। ছোট ছোট দয়ালু কাজ করা তোমার খুব মন খারাপ। আজ যে কংজে হাত দিচ্ছো সেটাই ব্যর্থ হচ্ছে। তুমি অভ্যস্ত হকাশ্য বোধ করছো। এমন সময় কেউ যদি খুব মিষ্টি করে কিছু বলে, তোমার মন নিশ্চয় ভালো হয়ে যাবে? মাঝেমধ্যে ক্ষুদ্রাতিকুল্ল কিছু বিষয় একট হ্যালো, একটি নয়ানু চিঠি, একটু হাসি, একটু প্রশংসা, একটু জড়িয়ে ভরা-বারণাস্তাবে অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। যদি বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চাও, ছোট ছোট এ কাজগুলো করো। কারণ সম্পর্কের মাঝে ছোটিগুলোই বড় কাজ করে। মার্ক টোয়েন বলেছেন, চমৎকার একটি প্রশংসা আমার তিন মাসের চলায় প্রথেয় । জাপানী প্রবাদ রয়েছে, ‘একটি দয়ালু কথা তিনটি শীতের মাসকে উষ্ণ করে ভুলতে পারে।বিশ্বস্ত হওRBA-র অন্যতম বৃহৎ ডিপোজিট হলো, অন্যের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। জয়ে কেউ সামনে থাকলেই যে তার প্রতি বিশ্বস্ততা দেখাতে হবে তা নয়, পেছনে থেকেও এটি দেখানো যায়। তুমি কারও আড়ালে কথা বলে আসলে নিজেরই ক্ষতি করছো।প্রথমত, তোমার মন্ত্ররা যারা শুনছে তারা কিন্তু তোমাকে পছন্দ করতে পারছে না। তুমি যদি শোনো, গ্রেণের অনুপস্থিতিতে আমি তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছি, তার মানে কি এ নয় যে, যখন তুমি উপস্থিত থাকবে না, তখন তোমার সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলবো না? বলবো। আমার অভ্যাসই হলো কুৎসা বটানো।দ্বিতীয়ত, তুমি যখন কারও বিরুদ্ধে বাজে কথা বলছো কিংবা গসিপ করছে, তাহলে যার সম্পর্কে কুৎসা রটানো হচ্ছে, তার কাছ থেকে কিন্তু অদৃশ্য উইথড্রয়াল হয়ে যাচ্ছ্যে। তোমার কি এমনটি কখনও মনে হয় না যে, তুমি যেনে গোকের আড়ালে তাদেরকে নিয়ে বাজে কথা বলো, তারাও তোমার আড়ালে তেমনি তোমাকে গালাগাল দেয়? তুমি হয়তো সেই গালাগাল শুনতে পাওনি কিন্তুতনুভব করতে পারবে। এটি অদ্ভুত শোনালেও সত্যি। তুমি লোকের সামনে মিছি কথা বলছো, আর তারা পেছন ফিরলেই বাজে কথা রটাচ্ছো, ভেবো না যে এটা তারা টের পায় না। যে কোনোভাবেই হোক তারা ঠিক বুঝে নেয়। টিনেজারদের মধ্যে গর্মিপিং একটি মস্ত সমস্যা। বিশেষ করে, মেয়েদেরমধ্যে। ছেলেরা হাতাহাতি কবে কিন্তু মেয়েরা গালি-গালাজ করে, তবে অপরতে ছিড়ে ফেলে দেয়। গসিপ করা হয় নিরাপত্তাহীনতা, ভয় কিংবা গ্রমতি যেতে। যেসব মানুষ অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন, আত্মবিশ্বাসী কিংবা অন্য যে কোনোভাবে সহায় থেকে আলাদা, এদেরকেই গসিপ করার জন্য বেছে নেয় গদিপায়রা।গুজব-গুঞ্জন অন্য যে কোনো বাজে অভ্যাসের চেয়ে অনেক বেশি সম্পর্ক এবং সম্মান নষ্ট করে দিয়েছে। আমার বন্ধু ড্যানি এ গল্পটি আমাকে বলে যে, গসিপের বিষয় কতো ভয়াবহ।সেবার FCCSE-র সামারে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড টারা এবং আমি দুটি ছেলেরসঙ্গে ডেট করছিলাম। হেলে দুটি পরস্পরের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। অামরা আমানের বেট গ্রেড। চারজনে একত্রিত হলে দারুণা জমে উঠতো আড্ডা। একবার উইকএন্ডে টারা এবং আমার বয়ফ্রেন্ড তাদের পরিবারের সঙ্গে বাইরে বেড়াতে হয়। টারার বয়ফ্রেন্ড উইল আমাকে ফোন করে বলে, টারা এবং স্যাশ যেহেতু শহরের বাইরে এবং আমাদেরও কিছু করার মতো কাজ নেই, চলো, দু’জনে মিলে একটা সিনেমা দেখে আসি।যেহেতু আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু এবং উইল সেটা জানতো,আমিও জানতাম, তাই ভাবলাম এরসঙ্গে ছবি দেখলে সমস্যা নেই। কিন্তু সিনেমা হলে আমাদেরকে কেউ দেখে ফেলে এবং বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা করে। আামরা থাকতাম ছোট একটি শহবে, আর সেখানে গসিপ বাতাসের বেগে ছড়ায়। আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড না বয়ফ্রেন্ডকে কিছু বলার আগেই ওয়বটি রটে যায়। তখন আর এ গুজবের রাশ টেনে ধরার কোনো উপায় ছিল না। আমি ওদেরকে ‘হাই বললেও ওরা জবাব দিতো না। কঠিন করে রাখতো মুখ। আমরা কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারছিলাম না। আমাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ ছিল না আমার বেস্ট গ্রেড এবং বয়ফ্রেন্ড ছড়িয়ে পড়া নোংরা গসিপটি বিশ্বাস করেছি। এবং এটা হদের ক্রোধের আগুনে ঘি ঢেলেছিল। বিশ্বস্ততা নিয়ে দেই গ্রীষ্মে আমি মস্ত একটি শিক্ষা পেয়েছিলাম, যার কোনোদিন ভুলবো না। আজতক আমার বেস্টফ্রেন্ড আমাকে বিশ্বাস করে না।এপরের গল্পটি শুনে আমার মনে হয়েছে পরস্পরের প্রতি সামান্য বিশ্বস্ততা থাকলে ঘটনা এতোদূর গড়াতো না। তো মানুষ বিশ্বস্ত হতে পারে বীভাবে?
পৃষ্ঠা:৫০
RELATIONSHIP BANK ACCOUNT বিশ্বস্ত মানুষ গোপন কথা গোপন রাখে এবং লোকে যখন তোমাকে বিশ্বাস করে কিছু শেয়ার করে এবং বলে ‘এটা তুমি আমি ছাড়া কেউ যেন না জানে’ তখন এ কথাটি গোপন রাখাই শ্রেয়। এটি পাঁচ তান করা মোটেই সমীচীন হবে না।বিশ্বস্ত মানুষ গসিপ এড়িয়ে চলেতুমি কি কোনো গ্রুপ চ্যাট থেকে কখনও কেটে পড়েছো এই ভয়ে কেউ হয়তো তোমাকে নিয়ে গসিপ শুরু করতে পারে? কেউ যেন তোমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ না পায়। জলাতঙ্ক রোগোর মতো এড়িয়ে চলবে গদিশ। অনাদের নিয়ে ভালো ভালো চিন্তা করবে এবং তাদেরকে সন্দেহের উদো রাখবে। তার মানে এ নয় যে, তুমি কাউকে নিয়ে সমালোচনা করবো না। করবে। তবে গঠনমূলকভাবে। মনে রেখো, শক্তিশালী মন আইডিয়া নিয়ে কথা বলে। দুর্বল মন কথা বলে লোকদের নিয়ে।বিশ্বস্ত মানুষ অন্যদের গুণগান করেপরবর্তীতে যখন ভারও সম্পর্কে গসিপ করতে শুনতে কোনো গ্রুপ জাট, যেখানে না থাকার চেষ্টা করো অথবা সেই লোকটির গুণগান করো। তাতে লোকের প্রশংসাই পাবে। এ প্রসঙ্গে বেটির গল্পটি শোনা যাক:একদিন ইংরেজি ক্লাসে আমার বন্ধু ম্যাট একটি মেয়ে সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলতে শুরু করে। মেয়েটি ছিল আমার পড়শী। যদিও আমাদের মধ্যে কখনও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। ম্যাটের বস্তু মেয়েটিকে ভাগ করতে নিয়ে গিয়েছিলো, তাই সে মেয়েটিকে ‘উল্লসিত’, ফালতু মেয়েছেলে’ বলে সম্বোধন করছিল। আমি ওর দিকে ফিরে বলি, ‘এসব কী বলছো তুমি! কিম আর আমি একসঙ্গে বড় হয়ে উঠেছি এবং আমি জানি ও খুব মিষ্টি একটি মেয়ে।’ এ কথা হলে আমি নিজেই খানিকটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি আদলে ওর সঙ্গে খামির করতে চাইছিলাম। কিম যদিও জানতো না ওর আমি প্রশংসা করেছি তবে এর প্রতি আমার মনোভাবের পরিবর্তন হওয়ায় আমরা খুব ঘনিষ্ট বন্ধু হয়ে উঠি। ম্যাট এবং আমি এখনও ভালো বন্ধু। আমার মনে হয় ও আজানে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আমার ওপরে ভরসা করা চলে। গসিপ শান্তা না দিতেও সাহসের প্রয়োজন হয়। তবে প্রাথমিক বিব্রত ভাবটিকাটানোর পরে লোকে কিন্তু তোমার প্রশংসাই করবে। কারণ তারা জানে, তুমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিশ্বস্ত। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিশ্বস্ত থাকার চেষ্টা করেছি। ফলে তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটি নারাজীবনের থেকে গেছে। শোনা অপরের RBA কে সেরা ডিপোজিটের অন্যতম হতে পারে অনাদের কথা শোনা। কেন? কারণ বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু শুনতে চায় না। তাছাড়া শ্রবণের মাধ্যমে মনের ক্ষত দূর হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে জেসিকার গল্পটি তার মুখে শোনা শুরুতে বাবা-মা’র সঙ্গে আমার আত্মিক যোগাযোগের একটা সমস্যা হয়ে গিয়েছিল, তাঁরা আমার কথা শুনতে চাইতেন না, আমি তাদের কথা কানে কুসতাম না। ব্যাপারটি ছিল অনেকটা ‘আমি ঠিক, তুমি ভুল’ ধরনের। অমি দেরিতে বাড়ি ফিরতাম, অনেক রাতে ঘুমাতে যেতাম এবং সকালে নাশতা করে কারও সঙ্গে বাতচিত না করে চলে যেতাম স্কুলে।আমার চেয়ে বয়সে বড় এক কাজিনের কাছে একদিন গিয়ে বললাম,‘তোমার সঙ্গে আমার কথা আছে।’ তারপর গাড়ি নিয়ে শহরের বাইরে চলে গেলাম যাতে একাকী বথা বলতে পারি। সেখানে বসে আমি আড়াই ঘণ্টা মন উজাড় করে গুকে আমার সমস্ত কথা বলনাম। চিৎকার করলাম। কাঁদলাম। ও শুধু আমার কথা শুনে গেল। আমার কাজিন ছিল আশাবাদী ধরনের মেয়ে। সে সব শুনে আমাকে বললো, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার বাবা-মা’র সঙ্গে কথা
পৃষ্ঠা:৫১
কলার পরামর্শ দিল। বললো আমার উচত হবে আমার বাবা-মা’র আস্থা অর্থদ আমি এরপর আমার বাবা-মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিষয়াটা বুকন্যর ডেই করি। তারপর থেকে আমাদের আরে কপড়া ঝাটি হয়নি এবং আমরা বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি।খাম। গ্রহণের মরো মানুষের কথা শোনার লোকেরও প্রয়োজন। আর তুমি যদি মনোযোগ প্রোকার মতো তাদের কথা শোনো, তুমি দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারবে।বলো যে তুমি দুঃখিতকারও সঙ্গে চৎকার একামেচি করলে, ওভারবিয়্যাট করে ফেনালে কিংরা বোকার মতো কোনো ভুল করে বসলে যদি ‘সরি’ চাও তাহণে তোমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সুর ভরে যাবে। কবে বন্ধুকে ‘আমি ভুল করেছি, “আমি কথ্য চাইছি রা ‘আমি দুঃখিত’ বলতে সাহস লাগে। বিশেষ করে নিজের বাবা মা’র কাছে খুল স্বীকার করা তো খুবই কঠিন কাজ। সতেরো বছরের পেনা বলেছে।অভিজ্ঞতা থেকে জানি স্বমার ব্যাপারটি আমার বাবা’মারি কাছে তী আর্থ বহন করে। আমে যদি মিলের ভুল স্বীকার করে তাদের কাছে ক্ষমা চাই, সব কিছুর জন্য ওয়া করে দিতে বাজি। তবে কাজটি অত সহজ নয়।এক বাসে একটি ব্যাপারে মা’র সঙ্গে আমার খুব এগড়া হয়েছিল। আমি এমন একটা কাজ করেছিলাম যাতে মায়ের সম্মতি ছিল না মোটেই। তবে আমি ব্যাপারট বেমালুম অর্থীতার যাই এবং উল্টো এমন ভাব তার, যেন নাবা-মা’ই সবকিছুর জন্য দায়ী। আমার মায়ের মুখের ওপর দড়াম করে লাগিয়ে দিই দরজা।নিজের ঘরে ঢোকামাত্র আমার খারাপ লাগতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারি তুলাটা আমারই এবং মায়ের সঙ্গে এখচ কঢ় আচরণ করে জেগেছি।ভাবছিলাম আমি তি কমে হয়ে থাকবো, নাতি দোতলায় গিয়ে মা’র কাছে ক্ষমা চাইবো? মিনিগ্রা দুই চুপচাপ বসে কাকনাম তারপর সোজা চলে গেলাম মায়ের কাছে। তাকে দেড়িয়ে ধরলাম এবং আমার আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলাম। আমার জীবনের সেরা কাজটি সেদিন করেছিলাম। এরকম কোনো ব্যাপার যেন ঘাটস্থনি এরকম ভাবতে আমি বেশ হালকা বোধ করতে থাকি এবং খুশি মনে নিজের কাজে মন দিই।যাদের সঙ্গে তুমি খারাপ ব্যবহার করেছো কিংবা তোমার আচরণে কেউ কই পেয়ে থাকলে তাকে গিয়ে ‘সরি’ বলতে দ্বিধা করো না। নিজের অহংবোধ বিসর্জন দিয়ে এবং মনে সাহস এনে ওথা চাইলে। দেখবে এজন্য পরে কতো ভালো লাগছে। ক্ষমা চাইলে ঘার কাছে ক্ষমা চাওয়া হয় নেই মানুষটি দুর্বল হয়ে পড়ে। কেউ অপমানিত হলে তাদের অপমানবোধ তরবারির মতো তীক্ষ্ণ ও ধারালো হয়ে ওঠে। তবে ক্ষমা চাইলে সেই তরবারি তার নামিয়ে নেয়।প্রত্যাশাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরোতুমি যখন কোনো নতুন চাকরিতে ঢুকবে, কিংখা নয়া সম্পর্ক গড়ে তুলবে, নিজের প্রআশাগুলো পরিস্কারভাবে তুলে ধরতে ভুল কররে না।ধরো জ্যাকুলিন বললো, ‘তোমার সঙ্গে চমৎকার সময় কাটলো, জেফ। আবার পরের সপ্তাহে দেখা হবে।’ এ কথা দিয়ে জ্যাকুলিন আমলে বলতে রয়েছি, ‘সুন্দর একটা সময় কাটলো। এসো, এখন শুধু বন্ধু হই। কিন্তু আরাকুলিন গেয়েতু সলস প্রত্যাশার কথ্য বলেছে, তাই জেফ স্নাকে পরের সপ্তাহে আবার ডেটিংয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। আর জ্যাকুলিন তাকে প্রতিবার প্রত্যাখ্যান করে বলে, ‘পরের সপ্তাহে দেখা যাবে’ জ্যাকুলিন যদি শুরুতেই ভান কথাবার্তায় সৎ থাকতো, তাহলে কিন্তু তাকে এতো ঝামেলা পোহাতে হতো না।তোমার বাস হয়তো বলতে পারে, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তোমাকে আমার দরকার অমুক কাজটি করে দেয়ার জন্য।’তুমি হয়তো জবাব দিলে, “আমি দুঃখিত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি থাকতে পারবো না। কারণ ওই সময় আমার শিশু ভাইটিকে আমার দেখাশোনা করতে হয়।তোমাকে চাকরি দেয়ার সময় এ কথাটি বললেই পারতে। এখন আমি কী করবো?’এভাবে সরাসরি কথা বলে অর্জন করো আস্থা এবং নিজের প্রত্যাশাগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরো।ছোট ছোট পদক্ষেপ প্রতিশ্রুতি রক্ষা১) আগামীতে যখন রাতে বাড়ির বাইরে যাবে, বাবা-মাকে বলে যাবে তুমি তখন বাসায় ফিরছো।
পৃষ্ঠা:৫২
২) আজ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগে চিন্তা করবে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করছে পারবে কিনা।ছোট ছোট দয়ালু কাজ করো৩) এ সপ্তাহে কোকো ভিখিরির জন্য কিছু খাবার কিনে দিও।৪) যে মানুষটিকে অনেকদিন ধরে ধন্যবাদ দিতে চাইয়ো কিন্তু দেয়া হয়ে ওঠেটি রাকে একটি ‘থ্যাংক ইউ নোট লিখে দাও।যাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই-বিশ্বস্ত হও৫) গসিপ থেকে দূরে থাকো।৬) একটি পুরোদিন অন্যদের ব্যাপারে শুধু ইতিবাচক চিন্তা করবে।শোনা৭) আজ বেশি কথা বোলো না। শুধু শুনে যাও।৮) পরিবারের এমন কোনো সদস্যকে বেছে নাও, যার কথা তুমি কখনোই শুনতে চাওনি বা পাত্রা নাওনি। হতে পারে সে তোমার কোনো ছোট ভাই-বোন বা বড় বলো দুঃখিত৯) আজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কাউকে ‘সরি’ বলে চিঠি লেখো, যাকে পূর্বে একটা অপমান করেছিলে।পরিষ্কার প্রত্যাশা১০) এমন একটি পরিবেশের কথা ভাবো, যেখানে তোমার এবং তোমার লোকের। প্রত্যাশা ভিন্ন। কীভাবে প্রত্যাশা অভিন্ন করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করো।তানের প্রত্যাশা-আমার প্রত্যাশা-
অভ্যাস-৪ ভাবো দুই জনেই জিতবে জীবন একটা বুফে
পৃষ্ঠা:৫৩
আমরা কী জন্য বেঁচে আছি? যদি জীবনটাকে একে অপরের জন্য একটু সহজ করে তুলতে না পারি? -আজর্জ এলিয়ট, লেখক আমি একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ডিগ্রি নিয়েছিলাম যেটি কুন্নাত ছিল তার ‘forced curve’ মার্কিং পলিসির জন্য। প্রতিটি ক্লাসে ছাত্র- গ্রহীর সংখ্যা ছিল ১৯০ জন এবং প্রতি ক্লাসে ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ৯ জন ছাত্র যা ছাত্রীকে ক্যাটাগরি থ্রি পেতে হতো। কাটোগরি খ্রি মানে তুমি ফেল। ক্লাসে যত ভালো বা খারাপ পারফরমেন্সই করো না কেন, নয়জন ক্লাসে যেন করতোই। আয় খুব বেশি কোর্সে ফেল করলে তোমাকে ইউনিভার্সিটি থেকে বের করে দেবে। চাপটা ছিল সাংঘাতিক।সমস্যা হলো ক্লাসের সকলেই ছিল দারুণ স্মার্ট। কাজেই প্রতিযোগিতাওহিল ভয়ানক। আমি ঠিক করলাম, ভালো নম্বর পাবার বদলে আমার লক্ষ্য হবে। এই নয়জন ছাত্রের মধ্যে আমি যেন না থাকি। খেলায় জিতবার বদলে আমি চেয়েছি যাতে খেলায় না হরি। এ প্রসঙ্গে আমার একটি গল্পের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। দুই বন্ধুকে একটি ভল্লুক তাড়া করেছিল। একজন অপরজনের দিকে ফিরে বললো, ‘আমি মাত্রই বুঝতে পারলাম, দৌড়ে ভল্লুকটাকে হারানোর প্রয়োজন আমার নেই: তোমাকে দৌড়ে হারানো দরকার।’ একদিন ক্লাসে বসে আমি সবার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম, এদের মধ্যে কেন নয়াজন রয়েছে যারা আমার চেয়েও বোকা। একজন নির্বোধের মতো একটি উক্তি করে বসলে আমি ভাবলাম, ‘এই তো পেয়েছি। এ ছোকরা নির্ঘাত ফেল করবে। আর বাকি রইল আটজন।’ সেমিনারে আমি মাঝে মাঝে আমার সেরা আইডিয়াগুলো বলতে চাইতাম বন, পাছে কেউ আমার আইডিয়া চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়! এসব দুশ্চিন্তা ভেতরে ভেতরে আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো এবং মনটাও ক্রমে ছোট হয়ে যাচ্ছিল। সমস্যা হলো, আমি হার-জিতের কথা ভাবছিলাম। আর হারজিতের কথা ভাবলে তোমার মন নেতিবাচক চিন্তায় প্লাবিত হবেই। তবে একটি ভালো উপায়ও ছিল। এটি হলো ৪ নম্বর অভ্যাস। ভাবো দুই জনেই স্লিভবে।ভাবো দু’পক্ষই জিতবে, জীবনের প্রতি একটি দৃষ্টিভঙ্গি, মনের একটি
পৃষ্ঠা:৫৪
হার-জিত। একটি টোটেম পোল স্মম, আজ বাতে বড় একটি ম্যাচ আছে। খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য আমার অবি, মেরি, কিন্তু আজ রাতে আমাকে সুপার মার্কে বন্ধুদের গাড়িতে যাও।’কিন্তু মম, আমার বন্ধুদের কাছে সবসময় লিজট চাইতে ভালো লাগে না। এমজি লাগে।’শোনো, তুমি গত এক সপ্তাহ ধরে অভিযোগ করে আসছো, বাড়িতে খাবার। মেই হলে এখন আমাকে বাজারে যেতেই হবে। দুঃখিত। ‘তুমি মোটেই দুঃখিত নও। যদি দুঃখিত হতে তাহ নিয়েমামসির কাঠামো, যেটি বলে আমি জিততে পারবো, তুমিও পারবে। তুমি রা আমি একা নই, দু’জনেই জিতবো।ছু’জনেই জিতবে-এ ভাবনাটি একে অন্যের সঙ্গে ভাব-ভালোবাসা করায় ভিত্তিমূল টের হক আমরা সবাই সমান এরকম ধারণা থেকে। আমরা সেই কারো চেয়ে ছোট বা বড় নই এবং তা হওয়ার প্রয়োজনও নেই।এখন তোমরা হয়তো বলতে পারে, ‘বাস্তববাদী ৫০, শন’ এভাবে বললে হয়না এটি নিরবী। এখানে পদে পদে প্রতিযোগিতা। সবাই সবদমাআমি তোমাদের সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। জীবন আসলে এরকম না। জীবন প্রতিযোগিতার নয়, একে অন্যতে গ্যাং মেরে এগিয়ে যাওয়ার নামফ জীবন নয়। ব্যবসা লদিয়া, খেলাধুলা কিংবা স্কুলে এরকম প্রতিযোগিতা চলছে পারে, কিন্তু ওগুলো তো আমাদেরই তৈরি কতোগুলো প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সম্পর ওভাবে যায় না। তোমরা হয়তো প্রশ্ন করতে পারো, ‘সম্পর্কে করে চিতবার কথা বলছো তুমি? তোমার লকি তোমার বন্ধুরত্ব’তাহলে এসো ‘ব্রাবো দুইজনেই চি’তবে’ শিরোনামের এই অদ্ভুত আইডিয়াটিযেতে নিতে। তুমি খুব খারাপ। আমার প্রতি মোটেই খেয়াল নেই তোমার। ঠিক আছে। ঠিক আছে যাও। গাড়িটা নাও। তবে কাল যখন যাওয়ার মতো কিছু পাবে না, আামার কাছে ঘ্যান ঘ্যান কোরো না।এ ঘটনায় মা হেরেছেন, মেরি জিতেছে। একে বলে হাত-চিত কিন্তু মেরি কি সত্যি জিতলো? হয়তো এবারে জিতেছে কিন্তু মা স্ত্রী ভাবলেন? পরেরবার কি তিনি মেরিকে এরকম কোনো সুযোগ দেবেন? শেষ পর্যন্ত কী হবে তা-ইহাত-চিত হলো জীবনের প্রতি একটি অ্যাটিটিউড বা বারণা, যা বলছেলাফল্যের পাইটি এতো বিশাল যে, তুমি যদি বড় একটি অংশ পেয়ে যাও তো জামার টুকরোটা আগে পেয়ে যাই এবং সেটা যেন আকারে তোমার চেয়ে হার-জিত হলো প্রতিযোগিতামূলক একে আমি মতে কাছে প্রাণটিই পোস নিড্রোম বলে। ‘আমি যতক্ষণ পর্যন্ত না এই খুঁটিতে, টোটেম পোল। তোমার চেয়ে উচুতে উঠতে পারছি হঃক্ষণ পর্যন্ত কোনো কিছুই গ্রাহ্য করবো না সেবা ইওয়ার নেশায় এ খেলায় সংম্পর্ক, বন্ধুৎ, বিশ্বস্ততা সবই খেলা হয়ে যায়হার-জিতের ব্যাপারে ছোটবেলা থেকেই আমাদেরকে ট্রান্য দেয়া হচ্ছে বাচেই এ নিয়ে মন যাতালের কিছু নেই বিশেষ করে পশ্চিমে যাদের জন্ম। এশীয়রা আবার তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে অনেক বেশি সহযোগিতামূলআমার কথা প্রমান করতে বঙনির গল্প বলা যেতে পারে।কর্মনি ছিল সাধারণ একটি বালক। প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা ভার হয় নয় বছর বয়সে, যখন সে স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় এবং নীমি
পৃষ্ঠা:৫৫
অাবিষ্কার করে পুথস্কার দেয়া হয় ওরে পারো। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অবিজয়ীদের। রমনি কোনো দেলায় ভিডতে পারেনি তবে অংশ নিতে পোহা বলেই সে খুশি। এবং প্রতিযেগিতায় অংশ খোয়ার কারণে সে একটি পুবন্ধন শেরেছিল। যদিও ভার বেস্ট ফ্রেন্ড তাতে বলেছে, এই পুরস্কার কোনে স্বর্ণয়েছ মধ্যেই পড়ে না। কারণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে সবাইকে অমন নান্ধণ পুরস্কার নেয়া হয়।সেকেন্ডারি স্কুলে পড়ার সময় রডনিকে আর বাবা-মা পেটেনা স্টাইে জিনস এবং জুতো কিনে নিতে পারেননি। কাজেই তাকে পুরানো জামাকাপ এবং জুতোই পড়তে হয়েছে। সে দেখতো তার বড়লোক বন্ধুরা দামী দাই পোশাক পরে আসছে। রঙনি তখম হীনমন্যতায় ভুগতো। স্কুলে রডনিভায়োলিন শিখতে শুরু করে এবং অর্কেস্ট্রাড যোগ দেয়। দে বিতৃষ্ণা নিয়ে জানতে পারে, শুধুমাত্র একজনকে ফার্ট প্রাইজ দেয়া হবে। রমন দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়ে হতাশ হলেও ভেবেছে তাকে অন্তত। তৃতীয় হতে হদি। বাড়িতে বড়নি তার মায়ের প্রিয় ‘খোকা’ ছিল অনেকদিন। কিন্তু এখন ৫৪ ছোট ভাই, স্পোর্টসে অনেকগুলো পুরস্কার জেতার দৌলতে মায়ের আদর পঞ্জে বেশি। রডনি স্কুলে কোমর বেঁধে পড়ালেখা শুরু করে দেয় এ আশায় যে, পরীক্ষায় ভালো করতে পারে, তাহলে হয়তো আবার মায়ের প্রিয় পাত্রে পরিণয় হতে পারবে।সেকেন্ডারি স্কুলে চার বছর পড়াশোনা শেষে রজনি এখন কলেজে ভর্তি হাচ প্রস্তুত। সে ICSE নিল এবং বেশিরভাগ পেল। এতে সে অনেক ছাত্রের চেয়ে ভালো প্রমাণিত হলেও যারা A এবং B পেয়েছে তাদের থেকে প্রতিযোগিতায় স্বভাবতই পিছিয়ে রইলো। দুর্ভাগ্যজনকই বলতে হবে তার গ্রেড এমন আহমেট নয় যে, পছন্দমতো কলেজে সে ভর্তি হতে পারবে।যে কলেজে রডনি ভর্তি হলো সেখানে নম্বর দেয়ার ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি। কেমিস্ট্রি ক্লাসে ত্রিশজন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে রডনি শুনলো মাত্র পাঁচজন পেয়েছে। যেড, এবং পাঁচজন ॥ গ্রেড। বাকিরা সব C এবং D। C এবং D এড়াতে রজনি কঠোর পরিশ্রম শুরু করলো এবং ভাগ্যক্রমে ই পেল।এভাবে এগিয়ে চললো…এরকম পৃথিবীতে বেড়ে উঠলে এতে অবাক হওয়ার কী আছে, রজনি এক আমরা বেড়ে উঠবো জীবনটাকে প্রতিযোগিভার একটি ক্ষেত্র হিসেবে দেখে এর চিন্তা থাকবে সব কিছুতে জিততে হবে। এতে কি অবাক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে যে আমায় কেবল খুঁটি বেয়ে ওপরে উঠতে চাইবো? তবে সৌাগ্যবশত তুমি জমি ভিক্টিম নই। আমাদের প্রো-এ্যাকটিভ হওয়ার শক্তি রয়েছে এবং আমার এইহার-চিত অবস্থাকে কাটিয়ে উঠতে পারবো। হার-জিত দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসীরা নানান মুখোশ পরে থাকে। যেমন তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে লোকদের মানসিক বা শারীরিকভাবে ব্যবহার করে।অন্যদের মাথায় কঠোল ভেঙে খাওয়ার প্রবণতা থাকে তাদের।অন্যদের ব্যাপারে গুজব ছড়িয়ে বেড়ায়।অন্যদের আবেগ-অনুভুতিকে পাত্তা না দিয়ে সবসময় নিজের স্বার্থটাকেইপ্রাধান্য দেয়। • খনিষ্ঠ কারও উন্নতি দেখলে চর্যান্বিত হয়।শেষ পর্যন্ত এই যার-জিত দৃষ্টিভঙ্গির লোকদের ক্ষেত্রে ব্যাকফায়ার হয়। তুমি হাতো টোটেম পোলের মাথায় উঠতে পারবে কিন্তু ওখানে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে, তোমার কোনো বন্ধু-বান্ধব থাকবে না।ইঁদুর দৌড়ের সমস্যা হলো’, বললেন অভিনেত্রী দিলি টমলিন, ‘তুমি এ দৌড়ে জিততে পারলেও শেষ পর্যন্ত তুমি ইদুরই থাকবে।হার-জিত পাপোশএক কিশোর নিয়েছে।আমি একগুন বড় পিসমেকার। ঋগড়া খাঁটির পরিবর্তে আমি যে কোনো দোষ নিজের ঘাড়ে নিতে চাই। আমি দেখছি প্রায়ই নিজেকে সম্বোধন করছি নির্বোধ বলে..এ কথার সঙ্গে কি নিজের মিল খুঁজে পাওয়া যায়? তাহলে বলবো ভূমি হার- জিতের ফাঁদে পড়ে দিয়েছ। এটিকে পাপোশ সিনড্রোম বলা চলে। হার-জিত বলে, ‘তুমি আমার সঙ্গে থাকো। তোমার মুখখানা মোছো আমার গায়ে। সবাই তাই করে।’হার-জিতের বিষয়টি দুর্বল। এতে পা দেয়া সহজ। পিস মেকারের নামে নিজের সবকিছু ছেড়ে দেয়াই যায়। তাতে কিন্তু তোমাকে অনেক কিছুর সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তুমি জীবনের প্রতি হার-জিতকে মূল দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে গরে নিলে লোকে তাদের নোংরা পা মুছে নেবে তোমার গায়ের ওপর। সেটি বড় লজ্জাকর হবে। তোমাকে নিজের প্রকৃত অনুভূতিগুলো অনেক গভীরে লুকাতে হবে। এটি সুগের খবর নয়।
পৃষ্ঠা:৫৬
সবার ক্ষতির ব্যাপারটা ঘটে যথন দুটি হার-জিত পার্টি একত্রিত হয়। যদি তুমি যে কোনো মূল্যে জয়ী হতে চাও এবং অপর পক্ষটিও সেভবেই মোক জিততে রায়, শেষে দু’জনেরই কপালে কিন্তু হার লেখা আছে।কোনো কোনো সময় হারলেই হয়। হার-জিতের বিষয়টি ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে, যদি তুমি এটিকে বেশি পাজ না দাও। যেমন তুমি এবং তোমার বেম সিদ্ধান্ত নিয়ে পারছো নন ওয়াড্রোবের কোন দিকটা বাছাই করবে অথবা ভূমি যেভাবে পোশাক পরো তা তোমার মায়ের পছন্দ নয়। এসব ছোটখাটো বিশ্বায় অন্যদেরকে জিততে দাও। এসব মাদের RBA-তে ডিপোজিট হয়ে থাকবে। তুমি শুধু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোকেই গুরুত্ব দেবে।তুমি যদি অপমানজনক কোনে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ো, তাহলে হার-জিতের গভীরে চলে যাবে। অপমান এমন একটি বৃত্ত যার শেষ নেই। সেখানে শুধু আঘাতই আছে। তুমি যতই চেষ্টা করো এ সার্কেলে একবার ঢুকে গেলে আয় জিততে পারবে না। কাজেই এখান থেকে বেরিয়ে এসো। কেউ অপমানিত হলে সেটি তোমার দোষ ভেবো না। কিংবা কারও দ্বারা অপমানিত হওয়ারও তোমর প্রয়োজন নেই। একটি পাপোশ তেমনই চিন্তা করে। কেউ অপমান হওয়ার জন্য এ জগতে জন্মায়নি।যখন সবার ক্ষতিসবার ক্ষতি বলে, ‘আমার যদি পতন হয় তোমাকে নিয়েই হবে।’ যুগে দুর্দশা সবসময়ই সঙ্গী পছন্দ করে। যুদ্ধ সবার ক্ষতির মস্ত উদাহরণ। যুদ্ধে সবচেয়ে যারা বেশি মানুষ হত্যা করতে পারে ভাবাই জিতে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত কেউই কিন্তু গ্রেতে না। প্রতিশোধ গ্রহণও এই সবার ক্ষতির ক্যাটাগরিতে পড়ে। প্রতিশোদ দিয়ে তুমি হয়তো ভাবছো জিতে গেছো, আসলে এতে তুমি নিজেকেইসবার গতির বিষয়টি কেউ যখন অপরজনকে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে দেখতে থাকে, তখনও ঘটে। জার এটি সবচেয়ে বেশি ঘটে আমাদের প্রনিষ্ঠজনদের মধ্যে।আমার ভাই যদি বিষল হয় তাহলে আমার কী হলো তা গ্রাহ্য করি না।’ যদি সতর্ক না থাকো, নয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড সম্পর্কও কিন্তু সবার ক্ষতিতে রূপনিতে পারে। দু’জন মানুষ ডেটিং শুরু করে এবং গুরুতে সবকিছু বেশ সুন্দরভাবে এগোয়। এটি তগন থাকে Win-Win অবস্থায়। কিন্তু কমে তারা ইমোশনালি একে অপরের সঙ্গে আঠার মতো লেগে যায়, এবং পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। তারা হয়ে ওঠে কর্তৃত্বপরায়ণ এবং উর্ণাকাতর। একজন আরেকজনের ওপর সর্দারী ফলাতে যায়, ভাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে চায়। অবশেয়ে এটা দারুণ তিক্ততায় পরিণত হয়। তারা তর্ক শুরু করে, অগড়া-ঝাঁটিতে মেতে ওঠে এবং শেষতক দু’জনেরই ক্ষতি হয়, ভেঙে যায় সম্পর্ক।Win-Win বা দু’জনেই জেতো যত ইয়েচ্ছ খেতে পারো বুফেWin-Win এমন একটি বিশ্বাস যেখানে ধারণা করা হয় সবাই জিতবে। এটি একই সঙ্গে ভালো এবং মন্দ। আমি তোমার ব্যাপারে নাক গলাবো না, তবে তোমার পাপোশ হয়েও থাকবো না। তুমি অন্য লোকদের পছন্দ করো এবং চাও তার জীবনে সাফল্য লাভ করুক। Win-Win পর্যন্ত। ধারণা করা হয় সাফল্যের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এটি তুমি আমি নয়, দু’জনেই। কে পাইয়ের সবচেয়ে বড় টুকরোটি পাচ্ছে বিষয়টি তা নয়। এটি যত ইচ্ছে খেতে পারো বুফেরমতো। তুমি Win-Win চিন্তা করতে পারো। নিচে এ সম্পর্কিত কয়েকটি উদাহরণ গোয় হলো:* ভূমি যে রেস্টুরেন্টে কাজ করো সেখানে সম্প্রতি তোমার প্রমোশন হয়েছে। এ প্রমোশন পেতে তোমাকে যারা সাহায্য করেছে তাদের সকলকে নিয়ে এ প্রশংসা এবং স্বীকৃতি ভাগ করে নিতে পারো।* তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডটি সদ্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে যেখানে তোমারও পড়ার ইচ্ছো ছিল। কিন্তু তুমি পারোনি। নিজের জন্য মন খারাপআঘাত করছো।
পৃষ্ঠা:৫৭
হলেও বন্ধুর জন্য খুশি হও:ভূমি বাইরে ডিনার থেতে যেতে চান। তোমার বন্ধু মুভি দেখতে চাইছে। এক্ষেত্রে বৃত্তির দিতি ভাড়া অবে বাড়িতে খাবার এনে দু’জনে মিলে খেতে গেয়ে ছবিটি দেখতে পারে।টিউমার টুইনদের এড়িয়ে চলোদুটো বিশ্রী অভ্যাগ বয়েছে টিউমারের মতো, যা রোমাকে ভেতরে দেবরে খেয়ে ফেলতে পারে। এরা টুইন বা যমজ। এনেয় একটির নাম প্রতিবেণির অপরটি তুলনা। এরা সঙ্গে থাকলে Win-Win ভাবা অসন্তব।প্রতিযোগিতাপ্রতিযেগিতা অতান্ত স্বাস্থ্যকর হতে পারে। এটি আমাদের উন্নতি ঘটতে দক্ষর। প্রতিযোগিতা বাড়া আমরা কখনো বুঝতে পারবো না আসলে কতদূর যেতে পারবো। ব্যবসায়ের জগতে প্রতিযোগিতা অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। অলিম্পিক খেলা কিন্তু চমৎকারিত্ব আর প্রতিযোগিতারই বিয়ায়।তবে প্রতিযোগিতার আরেকটি দিক রয়েছে যা ঠিক শোভন নয়। স্টিয় ওয়ার’ সিনেমায় পিটক ভাইওয়াকার একটি পরিটিভ এনার্জি শিন্ডের কথা জানতে পারে, যার নাম য্য যোগ।’ এটি সরকিছুতে প্রাণ সঞ্চার করে। পর গিউক যখন শয়তান ডার্থ জেরারের সঙ্গে লড়াই করে, এখন ফোর্সের ‘অন্ধকার দিকটির কথা জানতে পারে। ডার্ম বলে, ‘তুমি শক্তির অন্ধকার দিকের জানো না।’প্রতিযোগিতারও একটি অন্ধকার দিক রয়েছে। একটি আলোকিত দিক, অপরটি অন্ধকার দিক। দুটিই পজিশনী। তবে পার্থক্য ছলো। প্রতিযেগিয়াট স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে যখন তুমি নিজের সঙ্গে তা করো, কিংবা শীর্ষে পৌছানের জন এটি তোমাকে মালেঞ্জ করে এবং তুমি তখন সেয়াটি দেয়ার চেষ্টা করে। আর প্রতিযোগিতা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে ওঠে, যখন তুমি জিতবার রান। নিজেকে এটার সঙ্গে বেঁধে ফেলো অথবা অন্য কিছুর ওপর অবস্থান নিতে এটি ব্যবহার কবো।একজন বিখ্যাত কোচ একবার বলেছিলেন, একজন অ্যাথলেটকে শুটি অত্যন্ত বাজে বিষয়ের সম্মুখীন হতে হয়-ব্যর্থতার ভয় এবং জিতবার অপরিমিত হাল্লা অথবা যে কোনো মূল্যে জয়লাভ করার ম্যাটিটিউড।বীয় ভলিবলে আমার ছোট ভাইয়ের দল আমাদেরকে হারিয়ে দেয়ার পর ওররঙ্গে আমার যে ঝগড়া লেগে দিয়েছিলো তার কথা কোনোদিম ভুলবো না। ‘তোমরা আমাদেরকে হারিয়ে দিয়েছে। বিশ্বাসই করতে পারছি না,’ বললামএতে অবিশ্বাসের কী আছে?’ প্রত্যুত্তরে বললো সে। ‘তোমার কি ধারণাতুমি আমার চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলো?’ ‘অবশ্যই। প্রমাণ দেবো। স্পোর্টসে তোমার চেয়ে অামি অনেক বেশি এগিয়ে আছি।কিন্তু তুমি অ্যাথলেটের সংজ্যাকে অভ্যর সক্ত চোখে দেখছো। অমি তোমার চেয়ে ভালো খেলোয়াড় কারণ, আমি অনেক বেশি উঁচুতে লাফাতে পারি এবং অনেক জোরে দৌড়াতে পারি।’কী যে পাতো জানি তো। আমার চেয়ে জোতে ছুটবায় শক্তি তোমার নেই। স্নার লাফালাফি-বৌড়াদৌড়ি করগেই বুঝি সব পেরে গেলে? তোমাকে জন্য যে কোনে খেলায় আমি ঘোল খাওয়াতে পারি।’“তাই নাকি?’আমরা শান্ত হওয়ার পরে বসে ভাবছিলাম, তী বোকার মতোই না কাজটা করলাম। আমাদেরকে আদলে অন্থকার দিকটা প্ররোচিত করছিল। আর অন্ধকার দিকের বেশ কিন্তু কখনো কাটে না।আমরা কে কী পারি তা নিরূপণে প্রতিযোগিতা করা যেতে পারে কিন্তু বয়ফ্রেড, গার্লফ্রেন্ড, সামাজিক মর্গানা, বন্ধুত্ব, জনপ্রিয়তা, সামজিক অবস্থান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কখনো প্রতিযোগিতা করতে যেয়ো না। বরং জীবনটাকে উপভোগ করো।তুলনা হলো প্রতিযোগিতার যমজ ভাই। এবং এটি ক্যান্সার কোপেরসমগোত্রীয়। অনোর সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা স্রেফ অহাম্মদী। কেন? কারণ আমরা সামাজিক, মানসিক, শারীরিক সং দিক থেকেই একজন অপরজন থেকে আলামা। আমাদের কেউ কেউ পপলার গাছের মতো, এটিকে মাটিতে পুঁতবার পরপরই আগাছার মতো বাড়তে থাকে, আবার কেউ কেউ বাঁশ গাছের মতো, বছর চারেক একেবারেই বৃদ্ধি ঘটে না, তারপর পঞ্চম বছরে নঙ্গাই ফুট উল্লাতায় চলে যায়।
পৃষ্ঠা:৫৮
মানুষের নিজের বোন হয়েছে, লম্বা সেয়ানা ঘুরা সেটি অন্যদের কোর্স থেকে মালাস করে। তোমার জেগে তোমার ব্যক্তিগত বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে নালন প্রতিবন্ধকতা থাকবে। কাজেই হই দেয়ালটি বেয়ে উঠে পড়শী কী করছে এছ এসব দেখে নিজের সঙ্গে তুলনা করাটা বোকামো নয়হনোর সঙ্গে তুলনা করে নিজের জীবন গড়ে তোলা মোটেই ভালো বাড় হইহট এরে নিপোতার আশ্বাস পাই যে, আমার পরীক্ষার ঘলাভদ। রেখার চেয়ে ভালো কিংবা আমার বন্ধুবান্ধব তোমার বন্ধুদের চেয়ে অধিকতর হরিং বদল ৫ খাতে হট মেম একতনের অবির্ভাব ঘটে, যার পরীক্ষার গ্রেজাস্ট মামার চেয়ে অনেক ভালো এবং তার বন্ধুরা আমার বন্ধুদের চেয়ে অনেকএকজনের সঙ্গে আরেকগুনের তুলনা করাটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মরো। বাড়ায় এসে ঢেউগুলোতে ওলট-পালট করে দিবে। আমরা একবার ওপরে উঠছি অজর দিতে পর্যাই কে মূহূর্ত হীনমন্যতায় ভূগছি, আবার পরের মুহূর্তে নিজেকে কেউরেটা প্রায়ই। এক মুহূর্ত মাত্যবিশ্বাস থাকছে, পরের মুহূর্তে ভ গ্রাস করছে। একমাত্র ভালো তুলনা হলে, নিজের সম্ভাবনা বিচার করে তার সঙ্গে। নিয়ের তুলনা করাঅ্যানি নামের একটি মেয়ের ইন্টারভিউ করেছিলাম। সে তুলনার ভাগে সাংঘাতিকভাবে জড়িয়ে পড়েছিল। গবে বহু কষ্টে সেখান থেকে তার রেহাই মেলে। সে যে মেসেজটি নিয়েছে তা সকলের গুন্য প্রযোজ্য। GCSI) গুরণা আগে নতুন স্কুলে ভর্তির পরে আমার সমস্যাগুলোর শুরু।নতুন স্কুলের বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে ছিল বড়লোরের সন্তান। কীভাবে তুমি পোশাক পরে স্কুলে আসছো সেটি সবাই খেয়াল করতো। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল। আজ কে তী পরছে? অলিখিত আইন ছিল একই পোশাক দু’বার পার আসা যাবে না এবং কেউ গদি এই ড্রেসটি পরে, আহলে আরেকজন ওটা পরতে পারবে না। ব্রান্ড নেম এবং দামী দামী ফিন্নস্ তো পরতেই হবে। প্রতিটি রঙ এবং স্টাইল তোমাকে শো করতে হবে। প্রথম বছরে আমার একটি বয়ফ্রেন্ড হয়েছিল। সে আমার চেয়ে দুই বছরেরবড়। তাকে আমার বাবা-মা তেমন পছন্দ করতেন না। তবে শুরুতে স্নানর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ভালোই যাচ্ছিলো, কিছুদিন পরে দে আমার ভেতরে আত্মসচেতনতা জাগিয়ে তোলার নামে অন্যদের সঙ্গে তুলনা শুরু করে দেয়।মে বলতো, ‘তুমি কেন এর মতো নও?’ ‘তুমি এতো মোটা কেন?’ ‘তোমার চেহা যদি একটু পরিবর্তন হতো, তাহলেই সব ঠিক হয়ে যেও।’বয়য়ফ্রেন্ডের কথা আমি বিশ্বাস করতে শুরু করি। আমি অন্যান্য মেয়েদের দিকে ভাবিয়ে নিজের তুলনা করতে থাকি। বিশ্লেষণ করি, কেন আমি ওদের মতো হতে পারিনি। আমার এগ্যাড্রোব ভর্তি জামাকাপড় থাকলেও আমাকে উে উৎকণ্ঠা সবদমায় হামনা করতো, করেণ সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না কী পরবো। আমি এমনতী শপ লিফটিংও শুরু করে দিই সেরা তামা-কাপড়ের জন্য। আমি সারাক্ষণ শুধু অন্যদের সঙ্গে নিয়েকে তুলনা করতাম আর হতাশ হতাম।এর ফলে কী হলে, একসময় আমি খাওয়া-দাওয়ায় আসক্ত হয়ে পড়লাম। মামি মোটা না হলেও মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় আমাকে পেয়ে এসেছিল। তাই আমি যা থেভায় সনার বমি করে ফেনে দিতাম। একথা আমার বাবা-মাও জানতেন না।একবার আমি আমার স্কুলের একটি জনপ্রিয় গ্রুপকে অনুরোধ করেছিলাম, ওদের সঙ্গে যেন আমাকে ফুটবল খেলা দেখতে নিয়ে যায়। ওই দলের সদস্যদের বয়স ছিল গোলো, আমার চেয়ে এক বছরের বড়। আমি তখন খুব উত্তেজিত। ছিলাম। মা আমাকে সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে জানাতে সুন্দর দেখায়। আমি জানালার ধারে ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ওরা আর আসেনি
পৃষ্ঠা:৫৯
আমাকে নিয়ে যেতে। নিপ্লেকে এমন হতভাগ্য মনে হয়েছিল। আমি ভাবছিলছ ওরা আমাকে খেলা দেখরে নিয়ে যায়নি, কারণ হয়তো আমি দেখতে রেখন স্মার্ট এই কিংবা চেহারা অলো ।’এ চিন্তাট আমায় আমায় নাংথতিকভাবে গেঁথে গিয়েছিল। এতবার মঞ্চে নাটকে অভিণ্যা করছি, হঠাৎ মাথা দুপুরে পড়ে আজাব হয়ে যাই। ড্রেসিং করে বাওয়ার পরে দেখি যা ওখানে বসে আছেন। ‘আমার সাহায্য দরকার।’ ডিনাফিল জরে বলি আমি।আমার সোর উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। এখন পেখন ফিরে তাকাদে জাযতে বাই হাং, এইরকম একটি অবস্থার পৌয়ে গিয়েছিলাম। সুখী হওয়ার জন্য যা বা প্রয়োজন সবই আমার ছিল। তবু আমি মুর্দশমাস্ত ছিলাম। আমি দেখয়ে কিউট ছিলাম, টামেন্টের ছিলাম, রোগাটে গড়ন ছিল আমার, অথচ লোকের সঙ্গে নিজেকে তুলা করতে গিয়ে সবকিছু হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছিলাম। আমি সবাইকে উৎরাস করে বলতে চাই, ‘তখনও নিজের সঙ্গে অমনটি কোরো না।করে কোনো জায়না পাবে না।আমার সুস্থ হয়ে ওঠার পেছনে আমার কিছু বিশেষ বন্ধুর অবদান ছিল।তারাই আমাকে বোকাতে সক্ষম হয় আমার কাছে নিজেকেই সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া উচিত, আমি কী পরিধান করছি তা নয়। তারা আমাকে বলেছে, ‘তোমার এসবের জাবার নেই। তুমি এসবের চেয়ে অনেক ভালো।’ এরপর আমি নিজেকেএ গল্পের মুখ্য জিনিসটি হলো। তুলনা বন্ধ করো। অভ্যাস ভালে। তুলন করা মাদকাশক্তির মতোই ভয়াবহ নেশায় পরিণত হতে পারে। মডেলের মতো হওয়ায় তোমার দরকারটা বী? তুমি জানো তোমার জন্য সবসময় ভালো বী হবে। খেলার ফাঁদে জড়িয়ে পড়ো না এবং বিশোর বয়সের জনপ্রিয়তা নিয়ে অত দুশ্চিন্নারও প্রয়োজন নেই। কারণ আসল জীবন তারপরই শুরু হবে।Win-Win স্পিরিটের আসল মাজেজা।Win-Win আ্যাপারটি বড্ড সংক্রামক। তুমি গদি বিশাল হৃদয়ের মানুষ হও, অন্যদের সয়াথ্য করো, তুমি বন্ধুদের কাছে হয়ে উঠবে চুম্বকের মতো। তারা সবই তোমার কাছে ছুটে আসবে। তুমি তো সেইসব মানুষকেই ভালোবাসো যারা তোমার সাফল্য নিয়ে ভাবে এবং চায় তুমি জিতবে? বিনিময়ে তুমিও নিশ্বর এদেরকে সাহাব্য করতে চাওয়মাঝে মাঝে এমনটি দেখা যায় তুমি যতই চেষ্টা করো Win Wie সায়ান মিলছে না। অথবা অপর পক্ষ হার-জিতের দিকে এমন ঝুঁকে আছে যে, তুমি আর তাছে দেখতেই অওয়েবোধ করছো না। এরকমটি হয়। এক্ষেত্রে হয় তুমি Win- Win অবস্থায় যাবে কিংবা No Deal অবস্থায়। এর অর্থ যদি দেখো কোলে সমাধান পাচ্ছো না, যাতে দুই পক্ষেরই লাভ হতে পারে, তাহলে খেলতে যেয়ো না। নো ডিল।Win-Win আাটিটিউড ডেভেলপ করা সহজ কাজ নয়। তবে তুমি পারবে। আরো এ মুহূর্তে Win-Win অবস্থা মাত্র ১০ শতাংশ, ভাবতে গারো এটিকে ২০ শতাংশে উন্নীত করবে, তারপর তা শতাংশের দিকে এগিয়ে যাবে। অবশেষে এটি একটি মানসিক অভ্যাসে পরিণত হবে এবং তোমাকে এটি নিয়ে আত ভাবতেই হবে না। এটি তোমার অংশ হয়ে উঠবে।ছোট ছোট পদক্ষেপ১) যেখানে তুলনা আসতে পারে জীবনের সেই অংশগুলো চিহ্নিত করে ২) বেবধুলা করলে স্পোর্টসম্যানশিপ দেখাও। খেলা শেষে প্রতিপক্ষের প্রশংসা কত্তর উদারতা প্রদর্শন করে।৩) কাউকে টাকা বার দিলে সেটা ভদ্রভাবে ফেরত চাইবে। ‘তোমাকে গত সপ্তাহে যে একশো টাকা ধার দিয়েছিলাম আশা করি ভুলে যাওনি। ওটা এখন আমার একটু দরকার হয়ে পড়েছে। Win-Win চিন্তা করো, Lose-Win ৪। মারবে নাকি জিতবে এসব চিন্তা না করে কারও গঙ্গে তাস, দাবা বা কম্পিউটার গেম দেলতে পারো।৩) তোমার কি গুরুত্বপূর্ণ কোনো পরীক্ষা আছে সামনে? তাহলে কারও সঙ্গে একত্রে বসে পড়াশোনা করতে পারে। তোমার আইডিয়াগুলো তার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েও দোষ নেই। এতে দু’জনেরই লাভ হবে।৬) পরেরবার যখন তোমার ঘনিষ্ঠ কেউ কিছুতে সাফল্য লাভ করবে, মন থেকে খুশি হবে, হুমকি ভাববে না।৭) জীবন সম্পর্কে তোমার সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি কী? এটি কি Win-Lase, Lose Win Lone-Lose माकि Win-Win ভাবনার ওপর ভিত্তি করে গঠিত? এই অ্যাটিটিউড তোমাকে কতোটা প্রভাবিত করো৮) তুমি এমন কোনো লোকের কথা ভাবো যে Win-Win এর জন্য আদর্শ দয়েল। এই মানুষটিত কোন দিকগুলো তোমাকে আকর্ষণ করে?
পৃষ্ঠা:৬০
আমি তাদের যে গুণগুলোর প্রতি আকৃষ্ট-তুমি কি বিপরীত দিকের বলেও সঙ্গে Love Win সম্পর্কের মধ্যে রয়েছো? ছড়ি তাই হই, তাহলে ভেবে দ্যাখো এটিকে তোমার জন্য Wil করতে চাইলে অর Na Deal-৫ দিয়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে এই ঘটতে পারে।অভ্যাস ৫আগে বুঝবার চেষ্টা করো ভারপর উপলব্ধি করো তোমার আছে দু’টি কান এবং একটি মুখ…..
পৃষ্ঠা ৬১ থেকে ৭৫
পৃষ্ঠা:৬১
অপরের জুতো পরে হাঁটার আগে নিজেরটা খুলে দিতে হবে’ -জনৈক লেখক ধরো তুমি কোনো জুতোর দোকানে ঢুকলে একজোড়া নতুন জুতো কিনতে। বিক্রয় সহকারী ভিজ্ঞেস করলো, “নী ধরনের জুতো চাই তোমার?’ইয়ে আমি এমন জুতো খুঁজছি…‘সুঝতে পেরেছি,’ তোমাকে কথা শেষ করতে দিল না বিক্রেয়া। ‘একজোড়া হুতো নিয়ে আসছি। সবাই এই জুতো জোড়া পছন্দ করেছে।সে ছুটে গিয়ে এমন একজড়ো জুতা নিয়ে এলো যা অতিশয় কুৎসিত দর্শন। তুমি জুতো দেখেই বেঁকে বসলে। ‘এ জুতো আমার চাই না। আমার পছন্দ হচ্ছেআরে কী যে বলো তুমি। সবার পছন্দ এ ধরনের জুতো।‘আমি অনারকম কিছু খুঁজছি।’‘আরে এটা নান্ডা খুব ভালো জুতো।’‘কিন্তু আমি-‘‘শোনো, দশ বছর ধরে জুতো বিক্রি করছি আমি। খুব ভালো বুঝতে পারি। কাকে কিনে মানায়।’এরকম অভিজ্ঞতা হওয়ার পরে তুমি কি আর জীবনেও ওই দোকানে পা বাড়াবে? নিশ্চনা না।যেসব লোক তোমার প্রয়োজন কী, তা না জেনে আগেই সমাধান দিতে চায় অদের ওপর তোমার আস্থা না থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা যে প্রায়ই এ কাজটি করে থাকি তা কি জানো?‘হেই, মোলিসা, খবর কী তোমার? তোমাকে খুব হতাশ লাগছে। কোনো সমস্যাঃ“তুমি বুঝাবে না, কলিন। শুনলে ভাবষে বোকার মতো কাজ করেছি।’‘না, তেমন কিছু ভাববো না। কী হয়েছে বলো। আমি শুনবার জন্য তৈরি।’ ‘নাহ্, তোমাকে বলা যাবে না।’‘আরে, বলোই না।’‘বেশ, ইয়ে মানে… আমার আর টনির মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক আর আগের। মতো নেই।
পৃষ্ঠা:৬২
SO MY GIRLFRIEND DUMPED MESOVMDS COOL‘তোমাকে বলেছিলাম এর সঙ্গে জড়িয়ো না। জানতাম এমনটি ঘটবে। টনি মূল সমস্যা নয়।’‘শোনো, মেলিসা, তোমার জায়গায় আমি হলে ওর কথা স্রেফ খুলে গিয়ে জীবনটা নিজের মতো চালিয়ে নিতাম।’কিন্তু, কদিন, আমি সেরকম কিছু ভাবছি না।’‘তুমি কী ভাবছো আমি বেশ বুঝতে পারছি। গতবছর একই সমবায় আমিও পড়েছিলাম। মনে নেই তোমার? আমার গোটা বছরটাই মিসমার হয় গিয়েছিল।’হাসব হৃদয়ের সবচেয়ে গভীর প্রয়োজনমানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রকায় এ অক্সাসটির তেন প্রয়োজন? কারণ মানবহৃদয়ের গভীরতম প্রয়োজানকে বুঝবার দরকার রয়েছে। সবাই সম্মান এবং শ্রদ্ধ। চায়। মানুষ তার হৃদয়ের কোমল বৃত্তিগুলোকে তুলে ধরবে না, যদি না তারা প্রকৃত ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারে। প্রকৃত ভালোবাসার পরশ পেলে তারা তুমি যা বুঝতে চেয়েছে। তার চেয়ে অনেক বেশি কথা বলবে।নিচের গল্পটি একটি মেয়ের, যে ক্ষুদামন্সা রোগে ভুগয়ো অর্থাৎ কোনো কিছু যেতে ভালো লাগতো না তার। তারপর কী ঘটলো দেখো।ফার্স্ট ইয়ারে, আমার ইউনিভার্সিটি রুমমেট জুলি, প্যাম এবং লিজের সঙ্গে যখন পরিচয় হয় ওইসময় আমি রীতিমতো ক্ষুধামাব্দ্যে ভুগছি। স্কুলের শেষ দুই বছর আমি এক্সারসাইজ করেছি, ডায়েট করেছি শুধু ফিগার ঠিক রাখার জন্য। কিন্তু ১৮ বছর বয়সে ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার আমি হয়ে উঠি ৪৩ কেজি ওজনের হাড় জিরজিরে এক তরুণী।আমার বন্ধু সংখ্যা ছিল খুব কম। ক্রমাগত স্বাস্থ্যহানি আমাকে অতান্ত বিটখিটে করে ভোলে। আমি খুব ক্লান্ত বোধ করতাম। মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতেও ভালো লাগতো না। স্কুলের সামাজিত অনুষ্ঠানগুলোয় অংশ নেয়া দূয়ে থাক, আমার পরিচিত কোনো মেয়ের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারতাম না। আমার কিছু ভালো বন্ধু আমাকে সাহায্য করার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমার ওজন দিয়ে তাদের বক্তৃতা শুনলে বরঃ আমি বেয়ার বিরক্ত হতাম।‘মেলিসা, আমি তোমাকে কেবল সাহায্য করতে চাইছি। আমি সারা ব্যাপারটা বুঝতে চাই। তোমার কেমন লাগাছ বলো।আমাদের প্রবণভাই হলো সুপারম্যানের মতো সাঁই করে আকাশ খোদ উদয় হয়ে কোনে সমস্যা বুঝধার আগেই তা সমাধানের চেষ্টা করা। অমা আসলে সমস্যার কথা ভালোভাবে শুনতেই চাই না। একটি ইডিয়ান প্রবাদ আছে ‘শোনো নতুলা তোমার জিভ তোমাকে বধির বানিয়ে দেবে।’আগে লোকের কথা শুনবে, তারপর বুঝবার চেষ্টা করবে। কথাটি এভাগ বলা যায়, আগে শোনো, এরপরে বলো। এ হলো এম অভ্যাস। যদি এ সখাল অভ্যাগটি বুঝতে পায়-নিকেরাটা শেয়ার করার আগে অন্যজনের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সবকিছু দেখতে পার-তাহলো উপলব্ধির নতুন একটি জগত খুলে হবে।আমার বাবা-মা আমাকে যুদ্ধ হিসেবে নতুন নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতেন। তাঁরা বলতেন, আমি যেন তাদের সামনে বলে খাওয়া দাওয়া করি। কিন্তু করতাম না বলে তাঁরা আমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান, থেরাপিস্ট এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন। নিজেকে আমার খুবই ভাগ্যহীনা মনে হতো এবং মনে হতো বুঝি এভাবেই কাটাতে হবে গোটা জীবন।তারপর আমি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই। আমার ভাগ্য আমাকে জুলি, প্যাম এবং লিজের সঙ্গে একত্রে থাকতে নির্ধারিত করে দেয়। ওরা আমার জীবনটাকে বদলে দিয়েছিল আমূল।সামারা তিনজনে ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে থাকতাম, যেখানে সবার সামনেই সাতো আমার বিভিন্ন আহারপর্ব। আমার হাড্ডিসার পরীর নিশ্চয় ওদের কাছে অদ্ভুত লাগতো। আমার আঠের্যের ছবি দেখে নিজেই শিউরে উঠতাম আতংকে। বা বিশ্রী দেখাচ্ছে আমায়।
পৃষ্ঠা:৬৩
কিন্তু ওরা আমাকে অবহেলার চোখে দেখেন। আমাকে কোনো উপদেশ দেয়নি, জোয় করে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করেনি। আমাদের মধ্যে কোনো কিছু দিয়ে পরিপ চলতো বাশ।আমি হঠাৎ করেই নিয়েতে ওদের একজন বলে ভাবতে শুরু করি। শুধু পার্থক্য একটাই-আরি খেয়ায় না। মাঘরা একসঙ্গে ক্লাসে যেতাম, খুঁজতায়, সন্ধাবেলায় জগিং করতাম, টিভি দেখতাম, শনিবার একসঙ্গে ঘুরে বেরুতাম। আমার সুধামান্দা যোগটি কখনোই মূল আলোচ্য বিষয় হতো না। বদলে আমরা রাত জেগে গড়া করতাম আমাদের পরিবার, আমাদের পছ আমাদের অনিশ্চয়তা ইত্যাদি নিয়ে।আমাদের হধ্যে মিলগুলো আমাকে বিস্মিত করতো। ভীবনে প্রথমবাঞ্জে মতো আমি যেন নিজেকে উপলব্ধি করতে শুরু করি। অনুভব করি কেউ এই হহহ আমাকে যুদ্ধতে লেগেছে, আমার সমস্যা নিয়ে সর্বদা নাক গলাচ্ছে না। এই তিনটি মেয়ের কাছে আমার দুধামন্দা রোগটি কখনোই প্রাধান্য পায়নি। তদ্র সরসময় আমাকে গ্রাদের মতো করে আমাকে ভেরেছে।আমি ওলেয়কে এরপরে লক্ষ্য করতে চারু করি। ওরা সুণি, আকর্ষণীয়। স্মার্ট। প্রদেরকে দেখি মাঝেমধ্যে কেক খাচ্ছে। তো আমি যদি ওদের ময়ে নিজেকেও হাদি, তাহলে ওদের মতো কেন দিনে তিনবার খাবার খাই না?প্যাম, জ্বলি এবং লিজ কোনোদিন আমাকে বলেনি, কীভাবে এ রোগ থেছে পরিত্রাণ পাবো। আমাকে আসলে ওরা একটা রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিল বীভহা ফুলামশা থেকে উদ্ধার মিলবে। ইউনিভার্সিটির প্রথম টার্ম শেষ হওয়ার অর্থে আমি ওদের সঙ্গে একত্রে বসে ডিনার খেতে শুরু করি।চতুর্থ মেয়েটির ওপর বাকি তিনটি মেয়ের প্রভাবের কথা একবার চিন্তা যা দেখো। তারা কিন্তু মেয়েটিকে বিচার-বিশ্লেষণ করতে যায়নি, শুধু ওকে বুঝতে চেয়েছে। ফলে চতুর্থ মেয়েটি তার নাছোড়বান্দা ভাবটি ত্যাগ করে ওদের সঙ্গেএ কথাটি কি কখনো শুনেছো যে, ‘তুমি লোককে কতোটা কেয়ার করো য জানা পর্যন্ত তুমি তী জানো তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না?’ বঙগাটি খুব সাহা। কেউ যদি তোমার কথা শুনতে বা বুঝতে না চাই, তুমি কি তার সঙ্গে মন খু কথা বলতে পারবে? মনে হয় না।শ্রবণের পাঁচটি দুর্বল স্টাইলভাটিকে বুঝতে হলে তার কথা তোমায় শোনা দরকার। সমস্যা হলো আমাদের বেশিরভাগেরই জানা নেই কীভাবে শুনবো।লোকে যখন কথা বলে তাদের কথা আমা খুব কমই গুনি, কারণ নিজেদের ভাজে ব্যস্ত থাকি অথবা তাদের কথা এক কান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। আমরা কথা শুনবার জন্য নিচের পাঁচটি স্টাইলের যে কোনো একটি গ্রহণ করা আমাদের জন্য সুবই টিপিক্যাল হয়ে যাবে।কথা শুনবার পাঁচটি দুর্বল স্টাইলঅন্যমনষ্ক থাকাঅন্যমনষ্ক থাকা মানে যখন কেউ আমানের সঙ্গে কথা বলছে কিন্তু আমরা তাদের কথা শুনছি না, আমাদের মন যখন অন্য ভুবনে বিচরণে ব্যস্ত। তারা হয়তো খুব জফরি কথাই বলছে কিন্তু আময় ডুবে আছি নিজেদের ভাবনায়।কথা শুনবার ভান করাকথা শুনবার ভান করা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। যে কথা বলছে তার কথায় আমরা তেমন মনোযোগ না দিলেও ভান করি যে, কথা শুনছি। তাই তার কথার মধ্যে ‘অ্যা’, ‘উ’ করে নায় দিই। এ ব্যাপারটি বক্তা ঠিকই বুঝতে পারে এবং ভাবে তাকে মোটেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।নির্বাচিত কিছু কথা শ্রবণনির্বাচিত কিছু কথা শ্রবণের অর্থ, বক্তার কিছু কথা আমরা শুনে থাকি যে আংশটুকু আমাদের কাছে চিয়াকর্ষক মনে হয়। যেমন ধরো, তোমার বন্ধু তোমাকে বদছে, তার প্রতিভাবান ভাইটি সেনাবাহিনীতে যোগদানের চিন্তাভাবনা করছে। সমস্ত কথার মধ্যে হয়তো শুধু ‘সেনাবাহিনী’ শব্দটি তোমার শ্রুতিগোচর হলো এবং ভূমি বলে উঠলে ‘ও হ্যাঁ, সেনাবাহিনী। আমিও আজকাল এটি নিয়ে খুবঅপরজন কী কথা বলছে বা কাকে চাইছে তা না শুনে যদি তুমি একাই বকবক করে গাও, তাহলে বক্তার সঙ্গে তোমার কোনোদিনই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।
পৃষ্ঠা:৬৪
WHAT A GREAT LISTENER…BLAH, BLAH, BLAH BLAH…তোমার ধারণা তোমার দিনটি খারাপ গেছে? আরে ওটা কিছুই না। আমার তী হয়েছিল শোনো।’আমরা যখন নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু গুনি, অথচ তিনভাবে সাধারণত এর অবাব দিই। আমরা বিচার করি, আমরা উপদেশ দিই এবং আমরাবিচার করার ব্যাপারটি হলো, আমরা যখন অণত পক্ষের কথা শুনি তখন হদের সম্পর্কে জাজমেন্ট করি বা একটা রায় দিয়ে ফেলি। তুমি যদি ভারও ব্যাপারে রায় দিয়ে ফেলো, তার মানে তুমি আসলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে প্রনয়ো না। গোকে রানা জানতে চায় না, তার চেয়ে তোমরা তাদের কথা শুনবে।মচের বাতচিত শুনলেই এ বিষয়ে পরিষ্কার একটি ধারণা পাওয়া যাবে।পিটার। গত রাতে ক্যাথেরিনের সঙ্গে চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছি।ভার্স। বাম্, চমৎকার (ক্যাথেরিন? ক্যাথেরিনের সঙ্গে তোমার বাইরে যাওয়ার সারারটা বী ছিল?)পিরে। জানতাম না মেয়েটি এতো চমৎকার।শব্দ শ্রবণএ ক্ষেত্রে আমরা শুধু শব্দগুলোই গুনি, বক্তার শরীরের ভাষা লক্ষ্য করি না, তার মাবেগ-অনুভূতি নিয়ে মাথা ঘামাই না। কথাগুলোর মূলার্থ বিশ্লেষণেও যাই না। ফলে বক্তা বী বলছে তা আময় মিস করে যাই। তোমার বান্ধবী কিম হয়তো তোমাকে ফিছেদ করলো, রিচার্জকে তোমার কেমন মনে হয়?’ জবাবে তুমি বলবে- ‘আমার মনে হয় ও খুব স্কুল।’ কিন্তু তুমি যদি আরেকটু সংবেদনশীল হতে, বান্ধবীর শরীরী ভাষা খোল করতে, তাহলে বুঝাতে কিম আসলে কলরে মাইছিল, ‘তোমার কি মনে হয় রিচার্ড আমাকে পছন্দ করে?’ ভূমি যদি শুধু শব্দের ওপর মনোযোগ দাও, তাহলে লোকের গভীরতর আবেগগুলো স্পর্শ করতে পারবে না।
আত্মকেন্দ্রিকশ্রবণ:আত্মকেন্দ্রিক শ্রবণের বিষয়টি ঘটে যখন সর্বকিছু আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি। এক্ষেত্রে বাক্যগুলো সাধারণত এরকম হয়ে থাকে, ‘ওহ্, আসছে বুঝতে পারছি তুমি কেমন কোর্স করছো।’ আসলে কিন্তু আমরা জানি না যে কেমন কোর্স করছে। আমরা শুধু জানি আমরা কেমন কোর্স করছি। আমরা তাবি আমরা যেরকম কোর্স করছি আরাও সেরকমই বোধ করছে। অনেকটা সেই যুতা বিক্রেতাটির মতো, যার ধারণা তার পছন্দের হাতাই সবাই কিনবে। আত্মকেন্দ্রিক শ্রবণকে ওয়ান-আপম্যানশিপের সঙ্গে তুলনা করা যায়, যেখানে আমরা একে অপরকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা করি, টেন মালেচনাটা একটা প্রতিযোগিত।বার্ন। আত্মা? (আবাবা তোমার চোখে তো সব মেয়েই চমৎকার)শিউরে: হ্যাঁ। ভাবছি ওকে ডান্স করতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেবো। বার্ণ। আমি তো ভেবেছি তুমি জেসিকাকে এ প্রস্তাবটি দেবে। (তোমার মাথা খরাণ। ক্যাথেরিনের চেয়ে জেসিকা দেখতে অনেক সুন্দরী।) পিটার ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন ভাবছি করছেরিনকেই বলবো। বার্য: বেশ তো বলো। (আমি শিওর বলেই তোমার সিদ্ধান্ত পাল্টে যাবে? কার্স রায় নেয়ার ব্যাপারে এমন ব্যস্ত ছিল যে, পিটার কী বলছে ভালোভাবে খেয়ালই করেনি। ফলে পিটারের RBA তে সে ডিপোজিট করার সুযোগ হরিয়েছে।উপদেশআমাদের সমস্যা হলো, কথা শোনার চেয়ে আমরা উপদেশ দিকে বেশি পছন্দ করি। আর বড়রা এ কাজটি বেশি করে।ছোট বোন তার বড় ভাইকে বলছে।আমাদের নতুন স্কুলটা আমার মোটেই পছন্দ নয়। ওখানে ভর্তি হওয়ায় পর থেকেই নিজেকে একমরে লাগছে। নতুন কোনো বস্তুও পাইনি।’কেনের কথা ভালোভাবে না গুনে বা না কেনেই বড় ভাই বলছে
পৃষ্ঠা:৬৫
‘তোমার উচিত নতুন নতুন লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করা এবং খেলাধুলা এবং ক্লাবে সম্পৃক্ত হওয়া। আমিও তাই করেছি।ছোট বোন কিন্তু তার ক্রাইয়ের কাছ থেকে এরকম কোনো উপদেশ চায়নি। শুধু চেয়েছে তার ভাই যেন তার কথাগুলো শোনে। যে যানি উপ্যাক্তি করতো তদ্র ভাই তার কথা মদেযোগ দিয়ে শুনছে, তাহলে তার উপদেশ মেনে নিতো। ব্য ভাইটা এভাবে বড় ডিপোজিটের সুযোগ হারালো।নাক গলানোলোকে তাদের আবেগ অনুভূতিগুলো শেয়ার করার আগেই যখন সেন্ডাল খুঁড়ে আন্য হয় সেটা নাক গলানোর পর্যায়ে পড়ে। তোমার মা তোমাকে খুর ভালোবাসেন, তোমার তাদ্যে চান এবং সেই অভিপ্রায় থেকে তোমার বাশয় সবকিছু জানতে চান। কিন্তু তুমি যখন সবকিছু তাঁর সঙ্গে শেয়ার করতে প্রশ্ন থাকো না, ভবন তাঁর এ প্রচেষ্টা তোমার কাছে মনে হয় স্রেফ অনধিকার ১৩৫। এখন তুমি রেগে যাও এবং তাঁর সঙ্গে আয় কথা বলতে চাও না।‘হাই, হনি। আজ স্কুল কেমন হলো?’‘পরীক্ষা কেমন হলো?”‘তোমার বন্ধুদের কী খবর?’‘ওরা ভালোই আছে।’‘আজ রাতে তোমার কোনো প্ল্যান-প্রোল্লাম আছে?”‘তেমন কিছু নেই।’ইদানিং কেনো সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে ডেটে যাচ্ছো না?’‘নব, না। জাস্ট লিভ মি আলোন।’ফেরা করা কারোরই পছন্দ নয়য়। ভূমি যখন প্রচুর প্রশ্ন করছো কিন্তু দেরহা জবাব মিলছে না, তার মানে তুমি নাক গলাচ্ছো বা অনধিকার চর্চা করছো। মার মাঝে লোকে নিজেদেরকে তুলে ধরার জন্য প্রস্তুত থাকে না এবং কথা বলতের ভালা লাগে না। জাল শ্রোতা হতে শেখো এবং কান খোলা রাখো। যখন উপতে সময় আসবে তখন শুনবে।
আসল শ্রবণ:সৌভাগ্যবশত তুমি আমি কেউই এ দুর্বল পাঁচটি প্রবণ স্টাইলের মধ্যে নেই, ঠিক? হয়তো মাঝে মাঝে এরকম করে থাকতেও পারি। তবে শ্রবণের উচ্চতর আবার রয়েছে, যা প্রকৃত যোগাযোগ রক্ষায় সহায়তা করে। তবে বলা যায় আমল বা প্রকৃত শ্রবণ’। এ ধরনো প্রাকটিসই আামরা করতে চাই। তবে প্রকৃত শ্রোতা হতে হলে তোমাকে তিনটি কাজ করতে হবে।প্রথমত তোমার চোখ, হৃদয় এবং কনে দিয়ে গুনতে হবে। শুধু কান দিয়ে শুনলেই চলবে না, কারণ যোগাযোগের মাত্র ৭ ভাগ শব্দেরসাহায্যে ঘটে। বাকি আসে শরীরী ভাষার মাধ্যমে (৫৩ ভাগ) এবং আমর কিভাবে কথা বলি বা আমাদের গলার স্বরের মাধ্যমে কতোটুকু আবেগ প্রকাশিত হব (৪০ ভাগ)।লোকে কী বলছে শুনতে হলে তারা কী বলছে না তা জানতে হবে। মানুষ এপরে যে ভাবই দেখাক না কেন, বেশিরভাগ চায় লোকে যেন তার কথা শোনে এবং বুকতে পারে।অন্যদের মতো করে শুনতে হবে প্রকৃত শ্রোতা হতে হলে অন্যদের মতো করে শুনতে হবে। রবার্ট বার্ন বলেছেন, “অন্য লোকের মোকাসিন জুতো পরে মাইলখানেক না হাঁটা পর্যন্ত তুমি গন্ধটা বুঝতে পারবে না।’ তারা যেভাবে পৃথিবীটাকে দেখে তোমাকে সেভাবে দেখতে হবে দুনিয়া এবং তাদের মতো করে অনুভব করতে হবে।ধরো দুনিয়ার সমস্ত লোক রঙিন চশমা পরছে এবং দুটো ছায়া কখনও এক লাগছে না। তুমি আর আমি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছি। আমার চোখে সবুজ কাচের চশমা তোমারটা লাল। ‘সয়খো, পানির রং কেমন সবুজ।‘সবুজ? তোমার মাথা খারাপ নাকি? পানির রং তো লাল।’ তুমি করারদিলে।‘আরে, তুমি দেখছি বর্ণচোরা। পানির রং একনম সবুজ।’‘লাল, গর্দভ।’‘সবুজ।’অনেকেই বাতচিতকে প্রতিযোগিতা মনে করে। এটি হলো আমার দৃষ্টিভঙ্গি বনাম তোমার দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা দু’জনেই সঠিক হতে পারি না। যাস্তবে আমাদের আগমন ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তাছাড়া কথায় দিতে যাওয়ার বিষয়টি বড্ড
পৃষ্ঠা:৬৬
বাবা-মার সঙ্গে সুসম্পর্ক:হাস্যকর। এটির সাধারণত অবসান ঘটে Win-Lose অথবা Lose-Lase এ এবং এটি RBA থেকে উইথড্রয়াল নেয়।প্রাকটিস করো আয়নায়চিন্তাগুলো আয়নার মতো। আায়মা কী করে? এটি কখনো বিচার করে না। কোনো উপদেশ দেয় না। এটি শুধু প্রতিফলন ঘটায়। আয়নায় প্রাকটিস করার মানে হলো। অন্য লোকে কী বলছে এবং অনুভব করছে মোট নিজের করার রিপিট করো। আয়নায় প্রাকটিস মাণে কাউকে জোগানো বা নকল করা নয়। এটি হাল আকাভূয়ার মতো, কোনো কথা বার বার বলা বা পুনরাবৃত্তি করা।টম, আমি এ মুহূর্তে স্কুলে সবচেয়ে বাজে সময় পার করছি।তুমি এ মুহূর্তে স্কুলে সবচেয়ে বাজে সময় পার করছো।আমি সবগুলো সাবজেক্টে ফেল করছি।তুমি সবগুলো সাবজেক্টে ফেল করছো।আরে, আমি যা বলছি তা বলা বন্ধ করো। কী হয়েছে তোমার? আয়নায় পুনরাবৃত্তি আর মিমিক্রি যা অনুকরণের মধ্যে পার্থক্য হলো।মিমিকিংশব্দের পুনরাবৃত্তিএকই শব্দের বারবার ব্যবহারশীতল এবং উদাসীনআয়নায় প্রাকটিসরিপিট করানিজের শব্দ ব্যবহার করাউষ্ণ এবং কেয়ারিংএকসময় বাবা-মা’র সঙ্গে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে একটা পর্যায়ে মনে হতে থাকে, তাঁদের শরীরের ভেতরে এগিয়েন খাদ করছে। আমার হনে হচ্ছিলো তাঁরা আমাকে বুঝতে পারছেন না কিংবা ব্যক্তি হিসেবে আমাকে কোনোরকম সম্মান করছেন না। স্রেফ অন্য পাঁচটা বাচ্চার মতো দেখছে। তবে বাবা-মাকে মাঝেমধ্যে যতই দূরের মানুষ মনে হোক না কেন, তুমি যদি যোগাযোগ বা সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে পারো, তাহলে জীবন আরও সুন্দর হবে।বাবা বা মা’র সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চাইলে তাঁদের কথা শুনবে,যেভাবে তোমার নন্ধুদের কথা শোনো। আমর বাবা-মাকে প্রায়ই নালিশ করি, তোমরা আমাকে বুঝতে পারো না। কেউ আমাকে বুঝতে চায় না।’ কিন্তু কখনও।কি ভেবেছো তুমিও হয়তো তাদেরকে বুঝতে চাওনি? অন্যদের ওপরেও অনেক চাপ থাকে। তুমি যখন তোমার বন্ধুবান্ধব কিংবাআস্ত্র ইতিহাস পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছো, তখন হয়তো তাঁরা চিন্তিত তাঁদের এসবে নিয়ে। কখনও কখনও এমন হয়, চাল কেনা কিংবা বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেয়ার মতো ঢাকা তাঁদের থাকে না। হয়তো তাঁরা অফিসে অপমানিত হয়ে কখনও কখনও বাথরুমে ঢুকে ফেঁসেছেন। তোমার মা হয়তো শহরের বাইরে যাওয়ার সুযোগ খুব কমই পান। তোমার বাধার গাড়িটি মাগাতা আমলের বলে পড়শীয়া হয়তো এ নিয়ে হাসাহাসি করে। তাঁদের স্বপ্নগুলো পূরণ হয়নি তোমাদেরকে মানুষ করতে গিয়ে। শোনো, বাবা-মারয়ও মানুষ। তারাও হাসেন, কাঁদেন, দুঃখ পান।তুমি যদি সমর নাও তোমার বাবা-মাকে বুঝবার জন্য, দুটি দারুণ জিনিস ঘটবে। প্রথমত, তাঁদের কাছ থেকে অনেক বেশি সম্মান পাবে।আামার বয়স যখন উনিশ, আমি জীবনে প্রথম বাবার বই পড়ি। তিনি ছিলেন একজন সফল লেখক এবং সবাই আমাকে বলতো তাঁর বইগুলো খুব ভালো। কিন্তু উনিশের আগে আমি তাঁর কোনো বই ছুঁয়েও দেখিনি। প্রথমত বইটি পড়ার পরে আমার মনে হয়েছিল, ‘ওয়াও! মাই ড্যাড ইজ স্মার্টাদ্বিতীয়ত, তুমি যদি তোমার বাবা-মাকে বুঝতে পায়ো এবং তাঁনের কথা শোনো, তুমি যেটা চাইছো দেটা পাবে। এটি কোনো বাস্তাবাজি কৌশল নায়, এটি একটি নীতি। তাঁরা যদি অনুভব করেন, তুমি তাঁদেরকে বুঝতে পারছো, তারা তোমার কথা আরও বেশি শুনতে চাইবেন। তাঁরা আরও বেশি নমনীয় হবেন,
পৃষ্ঠা:৬৭
তোমাকে আরও বিশ্বাস করবেন। একবার একতান মা আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার টিনেজার মেয়েগুলো যদি বুঝতো, কী প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে অনারে বাটাতে হয় এবং ঘরের কাজে আমাকে একটু সাহায্য করতো, ওদের জন্য আমি অনেক কিছু করতাম যা ওদের কল্পনাতেও নেই।’জো, কীভাবে তোমাদের বাবা-মাকে ভালো করে বুঝতে পারবে? তাঁদেরকে কিন্তু প্রশ্ন করে। শেষ কবে তুমি তোমার বাবা কিংবা মায়ের কাছে জানতে সেয়েছিলে, ‘আজ কেমন কাটলো তোমার দিন?’ অথবা ‘তোমার চাকরির কী বী পছন্দ আর অপছন্দ শুনি?’ অথবা থরের কোনো বাজে কি তোমাকে সাহায্য করতে পারি।তুমি তাদের RBA তে ছেটি ছোট ডিপোজিট বা সঞ্চয় করতে পারো। দেয় করার জন্য বিয়েকে প্রশ্ন করতে পারে, ‘আমার বাবা-মা একটি ডিপোডিটদ্ধে কীভাগে বিচেনা করবো’ তাঁদের মতো করে ভাবার চেষ্টা করো। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখো, তোমারটি দিয়ে শহয়।উপলব্ধি করোএকটি সমীক্ষায় কিছু লোককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাদের সবচেয়ে বড় ভর তী। তারা জবান নিয়েছিল ‘মৃত্যু’। কবে এ জবাবট ছিল দুই নম্বরে। এক মম্বর উতি ছিল হানের ‘জনসমক্ষে কথা বলা। গোকে মৃত্যুর চেয়ে সবার সামনে কথা বলাকে বেশি ডাঃ পার, ব্যাপারটি ইন্টারেস্টিং নয়া কিংজনসমক্ষে কথা বলতে সাহস লাগে। তবে সাধারণভাবে কথা বলতেও সমসের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বাবা-মা’র সঙ্গে। ‘আমার এখন কেমন লাগছে তা বাবা-মাকে বলার সাহস নেই আমার। তিনি আমার কথা শুনবেনও ন এবং আমাকে বুঝতেও চাইবেন না। আমরা এরকম ভাবনা মনের মধ্যে পুষে রাখি অথচ বাবা-মা জানতেও পারেন না আমরা কী ভাবছি। কিন্তু এটা ঠিক কাজ নয়। মনে রেখো, অধ্যক্ত অনুভূতির মৃত্যু নেই। এগুলোকে জ্যাজ কবর দেয়া হয় এবং পরে নোংরাভাবে এরা আবার এগিয়ে আসে। তোমার আবেগগুলোকে শেয়ার করতে হবে নইলে এগুলো তোমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে।হায়াড়াও তুমি যদি অনবার সময় নাও, তাহলে অন্যরাও তোমার কথা শুনবে। নিচের গল্পটিতে বলা হয়েছে কীভাবে কেলি দুটি অভ্যাসই প্রাকটিস অনেক দেরিতে। আমি কোনো অজুহাতের কথা না ভেবে তাঁদের কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করলাম। মামি তাঁদের কথায় সম্মতি জানালাম। সেই সঙ্গে এটাও বললাম, আমি স্কুলের শেষ বছরটির অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার চেস্টা করছি এবং এ জন্য বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে হচ্ছে। বাবা-মা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বুকতে চাইলেন এবং আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছলাম। আমি সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নিলাম। আমার মনে হয় না আমার বাবা-মাকে যদি আগে বুঝবার চেষ্টা না করতাম, তাহলে তাঁরা আমার সঙ্গে ক্ষমাশীল আচরণ করতেন।ছোট ছোট পদক্ষেপ১) কারও সঙ্গে কথা বলার সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলবে। ২) কোনো ব্যস্ত রাস্তায় গিয়ে, যাত্রী ছাউনিতে বসে লক্ষ করো লোকে কীভাবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে?৩) আয়নায় আজ পুনরাবৃতির প্রাকটিস করো এবং অনুকরণের চেষ্টা করো। ৪) নিজেকে শুরাও ‘শ্রষণের কোন ৫টি দুর্বল স্টাইল আমার জন্য সবচেয়ে সমস্যার!’করেছে।অসুস্থতার কারণে একদিন স্কুলে যেতে পারিনি। বাবা-মা চিন্তায় পড়ে গেলেন। কাবলেন হয় আমার ভালো ঘুম হচ্ছে না কিংবা আমি বাসায় ফিরছিযে দুর্বল স্টাইলটিকে নিয়ে আমার সবচেয়ে সমস্যা হয়- ৫) এ সপ্তাহের যে কোনো একসময় বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করো ‘তেমন চলছে
পৃষ্ঠা:৬৮
তোমাদের সিক্কালং’ নিজের হৃদয় খুলে দাও প্রকৃত শ্রোতা হওয়ার প্রাকটিস৬) তুমি যদি বস্তা হয়, একটু বিরতি নাও এবং দিনটি কাটিয়ে দাও লোকের কথা৭) পরেরবারে যবন দেখাবে নিজের অনুভূতিগুলো কবর দিতে হবে, দিয়ো না। বরং এগুলো প্রকাশ করো।৮) এমন একটী পরিবেশের কথা চিন্তা করো, যেখানে তোমার পঠনমূলক ফিডব্যাক তথ্য একজন মানুষকে সরিল সাহায্য করতে পারবে। যথাযথ সময়ে এটি তাদের সঙ্গে শেয়ার করবে।ভাবো যে, কেন মানুষটি আমার ফিডব্যাক থেকে উপকৃত হতে পারবে-অভ্যাস ৬ ঐকতান লা ‘হাই’ওয়ে:
পৃষ্ঠা:৬৯
একা আমরা খুব কম কাজ করতে পারি। বুজন হলে অনেক কিছু করা সমুদহেলেন কেলায়ডোমরা কখনও শীতকালে ইংরেজি ‘Y’ অক্ষরের আকার নিয়ে রাজহংসীদের দক্ষিণ দিকে উড়ে যেতে দেখেছো? এরা কেন এভাবে ওড়ে তা থেতে অনেক চিত্তাকর্ষক তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।ওস্রাবে ঝাঁক বেঁধে উড়লে রাজহংসীয়া ৭১ শতাংশ বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পরে যেটি একা একটি পাখির পক্ষে সম্ভব হয় না।যখন নেতৃত্ব দেয়া পাখিটি উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে যায় তখন সে ঝাঁকের পেছনে চলে আসে এবং তার জায়গায় আরেকটি পাখি মলটির নেতৃত্ব দেয়।পেছনে থাকা রাজহংসীর সামনের পাণিদের উড়তে উৎসাহ যোগার।কেনো পাখি বিন্যাস থেকে ছিটকে গেলেও একা ওড়ে না, দলের কাছে প্র জিরে যায়।কোনো পাখি অসুস্থ বা আহত হলে ঝাঁক থেকে আলাদা হয়ে পড়লে দুটো রঙহংসী তাদের সঙ্গে থেকে নিস্তাপত্তা দেয়। আহত পাখিটির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আরা একসঙ্গে থাকে তারা নতুন কোনো বিবাদে যোগ দেয় কিংবা নিজের ভাগের দলটির কাছে চলে যায়।এই বাজহংসীগুলো খুবই স্মার্ট, সন্দেহ নেই। এরা একে অন্যের দুঃখের মাগীদার হয়, বিন্যাস থেকে বিচ্যুৎ হয় না, আহতদের প্রতি খেয়াল রাখে। এদের দেখে মনে হয় এরা যেন ৬নং, অভ্যাস ঐকতানের ক্লাস নিয়েছে। সতিা….ঐকতান কী জিনিস? সংক্ষেপে, ঐকতান গঠিত হয় যখন দুই বা ততোধিক মানুষ মিলে তাদের সমস্যার সমাধান করে, একা একা নয়। এটি তোমার রাস্তা নয় আমারও নয়, তারচেয়ে ভালো পথ-উচ্চতর রাজা।ঐকতান হলোছিন্নতাকে উদযাপনবেলা মনঐকতান নয় ভিন্নতাকে সহ্য করা‘আমিই ঠিক’ এ কথা সবসময় ভাবানতুন এবং ভালো পথের সঙ্গান
পৃষ্ঠা:৭০
ঐকতান রয়েছে সর্বত্র:ওয়াহির কাত্রি ছড়িয়ে রয়েছে ঐকতান। ৩০৬ ফুট উঁচু প্রতায় সেবুটয়া প্যাছের শিকড় একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িয়ে থাকে, নইলে অড়ে উপড়ে পড়তেঅনেক উদ্ভিদ এবং প্রাণই মিথোজীবী সম্পর্কের ডিভিতে একত্রে বদহন।করে। ছবিতে হয়তো দেখে থাকবে গাবের পিঠে সওয়ার হয়েছে ছোট্ট এখউ পারি। গরাজের গায়ের পোরা খুঁটে খায়। এখানেও ঐকতান রয়েছে। দুয়া উপভূত হচ্ছে। খাবার পথে পাথিট আর গয়ারের পোকার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলায়।ঐকতান নতুন কোনো বিষয় নয়। কোনো দলে থাকলে ঐকতানের সুরী অনুভব করতে পারবে। কোনো গ্রুপ প্রজেক্টে কাজ করলেও এ অভিজ্ঞতা হয়তো তোমাদের হয়েছে।একটি ভালো গানের ন্যায় দল ঐকতানের চমৎকার উদাহরণ। এটি চু ড্রাম, পিটর, সংঙ্গেফোন কিংবা গায়কের বিষয় নয়, সবাই মিলে তৈরি কররে ‘শম’। বাক্তির প্রতিটি সদস্য বার বার শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন কিছু সৃষ্টি অরছে, যেটা একা থাকলে হয়তো সম্ভব হতো না।ভিন্নতাকে সম্মান করাকৈয়ান হঠাৎ করে ঘটে না। এটি একটি প্রক্রিয়া। ওখানে তোমাকে যেতে হয়ে। আর এখানে যাওয়ার ভিতি হলো। বিদ্রতাকে উদযাপন করতে শেখা।স্কুলে এক টোজা ছেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। নাম তার দিদি উলা। দেখলেই ভয় লাগে। ট্যাংকের মতো প্রকার শরীর, তার ভয়ংকর চাউনি। দে ছিল গুণ্ডা প্রকৃতির। রাস্তাঘাটে মারামারি করে বেড়াতো, তার সঙ্গে আমায় কোনো দিক থেকেই মিল ছিল না। চেহারা, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভাস, কথা বলার ভঙ্গি সবই ছিল আলাদা। শুধু একটি বিষয়ে মিল ছিল। ফুটবল। তাহলে কী করে আমরা দু’কানে বেস্ট গ্রেহে পরিণত হয়েছিলাম? হয়তো আমরা দু’ক্ষনে ভিন্ন প্রভৃতির মানুষ ছিলাম এ কারণেই। ফিনি কী ভাবতো আমি জানতাম ন কিংবা যে বী করার যে সদ্ধর্কেও কোনো ধারণা ছিল না আমার। ওর বন্ধু হওয়ায় মজাটা উপভোগ করতাম যখন ও কারও সঙ্গে মারামারি করতো তখন। ওর গ প্রচণ্ড শক্তি ছিল, যা আমার ছিল না। আবার আমার যে শক্তি ছিল সেটা ওর ছিল না। হয়তো এ কারণেই আমরা দু’জনে একটি দারুণ টিমে পরিণত হই।আমরা যখন Diversity বা বৈচিত্র পক্ষটি গুনি তখন টিপিকলেয়াবে শুধু কারিগত এবং লিঙ্গভিত্তিক ভিন্নতার যথা ছবি। কিন্তু বৈচিত্র বা ভিন্নহা শুধু এ দুটিতেই নেই, রয়েছে শারীরিক গঠন, পোশাক-আশাক, অম্লাহ, দক্ষতা, বসে, ভাইপাসর আরও অনেক কিছুতেই।জোমার চারপাশের জগতে এই বৈচিত্র বা চিন্নতার পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পছে। এসব তী করে সামলে দেবে সে ব্যাপারে তোমাকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত উরে হবে। তিন ধরনের সম্ভাব্য পথ তুমি বেছে নিতে পার।লেভেল ১। বৈচিত্র এড়িয়ে চল্যে লেভেল ২। বৈচিত্র মেনে নাও সছেন ৩। বৈচিত্রকে সম্মান করো।ঘরা বৈচিত্র এড়িয়ে চলতে চায়একশ্রেণীর লোক আছে যারা বৈচিত্রে বিশ্বাস করে না, জয় পায়। একজন মসুষের গায়ের রঙ ভিন্ন, সে ভিন্নধর্মে বিশ্বাসী কিংবা ভিন্ন ধরনের জিনস্ পায়, এরকম কাউকে বৈচিত্র-বিদ্বেষীরা এড়িয়ে চলে। এরা ভিন্ন ধরনের মানুষদের। উপহাস করে মজা পায়, নিজেদেরকে ভাবে তারা পৃথিবীকে মহামারীয় কবল ঢেকে রাজা করছে। এজন্য তর্ক বা মারামারি করতেও তাদের দ্বিধা নেই।জরা বৈচিত্র মেনে নেয়যারা বৈচিত্র মেনে নেয় তারা বিশ্বাস করে প্রতিটি মানুষেরই আলাদাভাবেতোর অধিকার রয়েছে। এরা বৈচিত্রকে এড়িয়ে চলে না, তবে আলিঙ্গন করে ন। এদের কথা হলো। এটা তুমি নিজের মধ্যে রেখে দাও, আমি এটিই আমার যায় রাখবো। তোমার কজে তুমি করো, আমারটা আমাকে করতে দাও। মমকে নিরজ কোরো না। আমিও তোমাকে বিষক্ত ভরবো না।’এরা বেশ কাছে এলেও ঐকতান এদের দ্বারা ঠিক হয়ে ওঠে মা, কারণ বিন্নতাকে এরা সম্ভাবনাময় শক্তি হিসেবে না দেখে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখে। হার জানে না তারা তী মিস করছে।বৈচিত্রকে যারা সম্মান করেসেলিব্রেটরা ভিন্নতাকে মূল্য দেয়। এরা একে একটি সুযোগ হিসেবে দেখে, দুর্বলতা নয়। তারা জানে দুটি মানুষ যখন ভিন্ন চিন্তা করে তারা একই রকম উত্তর করার মানুষদের চেয়ে অনেক বেশি অর্জন করতে পারে। তারা উপলব্ধি
পৃষ্ঠা:৭১
বোনের মস্তিষ্ক তোমাদের মতো কাজ করে না। ডা. টমাস আর্মস্ট্রংস উরের কথা বলেছেন এবং বলেছেন এভাবে বাচ্চারা শিখতে পারে।ভাগা বিদ্যা। পাঠ, শেখা এবং গল্প বলার মাধ্যমে শেখা- এগ্রিকাল ম্যাথমেটিক্যাগ: যুক্তি, নকশা, ক্যাটাগরি, সম্পর্ক ইত্যাদির মাধ্যমেশেখা। • শারীরিক কায়নেসথেটিক। শরীতের স্পর্শের মাধ্যায়ে শেখা।ব্যাগনস্থল: ইমেজ এবং ছবি যারা শেখা। • মিপ্লেক্সিকাল: শব্দ এবং ছন্দের দ্বারা শেখা।স্নান্ত: ব্যক্তিগত অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মিথস্ক্রিয়ায় মাধ্যমে শেখা। •ইন্নাপার্সোনাল। নিজের অনুভূতির মাধ্যমে শেখা।করে ভিন্নতাকে সম্মান করা মানে সেবার পার্টি কিংবা কনজায়বেটিয় পার্টির ভিন্নতাকে মেনে নেয়া নাই। তাদের চোখে ডাইভারসিটি হলো সৃজনশীল স্মৃহিঙ্গ সুযোগ।তো এই ধারণার মাঝে তুমি কোথায়? ভালোভাবে চিয়া করে। কা পোশাক তোমার সঙ্গে নাচ না করলে তুমি কি ভাবো যে, তাদের পোশাকের সাইল একদম আলাদা নাকি এরা গেঁয়ো প্রকৃতির।কোনো দলের অনুদের ধর্ম বিশ্বাসের সঙ্গে তোমার ধর্মবিশ্বাস যায় না। তু কি তাদের ধর্মবিশ্বাসকে শ্রদ্ধার চোখে দেখো, নাকি তাদেয়াকে তোমার উদ্ভট বলেমনে হয়ারসত্যি হলো, ডাইভারসিটিকে সম্মান করা আমাদের অনেকের পক্ষে দেশ কঠিন, বিওয়াট নির্ভর করে ইস্যুয় ওপর। যেমন, তুমি জারিপর যা সাংস্কৃতিক ডাইভারসিটি মেনে নিলেও তাদেরকে নিচু চোখে দেখো, কারণ ভাদের পরিধো বঃ তোমার পছন্দ নয়।একটির চেয়ে আরেকটি ভালো তা কিন্তু নয়, শুধু এগুলো আলানা। তুমি হতে পারো লজিক্যাল ম্যান্সমেটিক্যাল কর্তৃত্বসুলভ, তোমার বোন হতে পারে ইন্টপ্রপার্সোনাল অধিকারী। বিষয়টি নির্ভর করে ডাইয়ারটিকে কে বীভাবে দেখছো তার ওপর। তুমি বলতে পারো তোমার বোন যুব অদ্ভুত, কারণ যে বড প্রজ্ঞাল প্রকৃতির কিংবা ওইসব জিন্নতা থেকে সুযোগ সুবিধাগুলো নিয়ে তুমি তাকে বকৃতার ক্লাদে সাহায্য করতে পারো।আমরা আলাদাভাবে দেখি। সবাই পৃথিবীটাকে আলাদাভাবে দেখে এবং নিজেদের ও অন্যদের সম্পর্কে রয়েছে ভিন্ন প্যারাডাইম। তুমি যখন বুঝতে পরবে প্রতিটি মানুষ ভিন্নভাবে পৃথিবীটাকে দেখে আহলে তোমার বুঝবার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভিন্ন দৃষ্টিকোসকে সম্মান করতে শিখয়ে।সিজের ডাইভারসিটিকে সম্মান করোআমাদের প্রবণতা হলো জিয়োগ করা কোন ফলটি সবচেয়ে ভালো? জবাব হলো, এটি বোকার মতো একটি প্রশ্ন।আমরা তিন ভাই। যদিও চেহারার অনেক কিছুতেই আমাদের মিল রয়েছে যেমন আমাদের নাকগুলোর গঠন একই রকমের কিন্তু আমরা আলাদা। ছেলেবেলায় সবসময় প্রমাণ করার চেষ্টা করতাম আমি আমার ভাইদের চেে বেশি প্রতিভাবান। এসব চিন্তাভাবনা ছিল বোকার মতো। ওদের শক্তি ছিল ওদের মতো, আমারটা আমার মতো। কেউ কারও চেয়ে ভালো বা মন্দ নয়, শুধু পার্থক্য:আমরা সবাই সংখ্যালঘুভিন্নতাকে মেনে নেয়া সহজ হয়ে ওঠে যখন উপলব্ধিতে আসে, আমরা সবাই অলবে সংখ্যালঘু। আর আমাদের এ কথাও স্মরণে রাখা উচিত ডাইভারসিটি ল বাহ্যিক হিনিস না, এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়ও বটে।আমরা দিবি জিন্নজার। তোমারা হয়তো যক্ষ্য করেছো, তোমার বন্ধু অথকাজেই বিপরীত লিঙ্গের কেউ যদি (যার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্য তুমি
পৃষ্ঠা:৭২
মবিয়া) তোমার সঙ্গে বাইরে যেতে না যায় মন খারাপের কিছু নেই। তুমি হয়তো চাইয়ো একটি বদলো আঙ্গুহ, কিন্তু সে হয়তো এ মুহূর্তে চাইছে একটি কন্যা। তুমি বরং সবার মধ্যে মিশে যা দিয়ে আথ্যদা আয়ো, আলাদাই থাকো দিলে জিন্নাতা নিয়ে। জুটি সালাদ দেখতে অনেক মুখানু, কারণ এতে প্রতিটি ফলের স্বাদ পাওয়া যায় প্রদসাজবে।ভিন্নতাকে সম্মান দেখাতে রোড ব্লক ঐকতানে অনেক হায়া-বিপরি থাকলেও তিনটে বোম ব্লক প্রধান। এগুলো হলো অম্লাত, দলদধি এবং গ্রেজুডিস।আমতাআজতার মানে তোমার কাছে কোনো ক্রু নেই। তুমি জানো না অন্য সোকে হী বিশ্বাস ভরছে, তাদের আবেগ অনুভূতি সম্পর্কে তুমি ভাতে নও, তারা কী হয়ে এবং তোমার ফোনে ধারণা নেই তারা কীসের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে?দলাদলিযাদের সঙ্গে তুমি স্বনোবোধ করো, তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করায় কোনে সমস্যা নেই। তবে সমস্যা হয় যখন তোমার বন্ধুরা একচেটিয়া মনোয়ার শোষণ করে এবং যার মানের হতো নয় তাদেরকে প্রত্যাখ্যান শুরু করে। এটিকে বলে এমেরি। তখম প্রমারা নিজেদেরকে দ্বিতীয় শ্রেন্টর নাগরিক হলে ভাবতে থাকে। আর তোমার বস্তুবা ভোগে সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে। তবে দলাদলি ভেঙে ফেলা কোনো কঠিন কাজ নয়। এতে শুধু নিজের অহংবোধ বাদ দিয়ে অন্যদের সঙ্গে মিশে গিয়ে কাজ করতে হবে।।নিজেকে কি কখনও স্টেরিওটাইপ বলে মনে হয়েছে অথবা কেউ তোমাকে অাছিলোর চোখে দেখেছে, তোমায় গায়ের রঙ অন্যদের থেকে ভিন্ন, তোমার উচ্চারণ গেঁয়ো বা স্তুমি সীমানার অন্য প্রান্তে বাস করো বলে? আমাদের সরাই তো সমবেশি এরকমই, তাই না? এবং অভি অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়, যারা এমন করে যাবে।সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সমানভাবে গড়ে তুললেও আমাদের সবার সঙ্গে আমার আচরণ করা হয় না। সংখ্যালঘুদের প্রচুর বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়, কামন তাদের জীবনটা প্রেজুডিসে ভরা।তুই’ওয়ের সন্ধানখেন তোমার নস্তিতে এ উপলব্ধি প্রবেশ করবে যে, ভিন্নতা একটি শক্তি, দেয়া না এবং একবার যখন তুমি ভিন্নতাকে সম্মান দেখাতে প্রস্তুত হবে, তুঐকতান সমকোয়া বা সহযোগিতায় চেয়েও বেশি। সমঝোতা হল ১৬১ ১৫। সহযোগিরা ১০১০২। ঐকতান হলো ১০১০৫। এটি হলো সৃজনশীল সহযোগিতা। যেখানে দূত্রনালীলতা শব্দটির ওপর জোর দেয়া হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার গঠনের সময় প্রতিষ্ঠায়ানের ঐকতানের প্রয়োজন গ্রাহছিল। উইলিয়াম পিটারসন নিউজার্সি প্ল্যান-এর প্রস্তাব দেন, যাতে বলা হয় মেজংখ্যা অনুযায়ী রাষ্ট্রের সরকারের সমানুপাতিষ প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাওয়া দৈয়। এই পরিকল্পনায় ছোট ছোট রাজ্যগুলো উপকৃত হয়েছিল। জেমস চারিপনের হিল ভিন্ন আইডিয়া। একে বলে ভার্তিনিয়া প্ল্যান। এতে বলা হয় যেসব রাজ্যেয় জনসংখ্যা বেশি তাদের প্রতিনিধিত্বও বেশি হওয়া উচিত। এতেঅনেক তর্ক-বিতর্কের পরে শেষে তাঁরা এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান, যাতে সবাই খুশি থেকেছে। তাঁরা কংগ্লোসের দুটি শাখার কথা বলেন। একটি শাখা হবে। বিমেট। যেখানে জনসংখ্যা নির্বিশেষে প্রতিটি রাজ্যে দু’জন প্রতিনিধি থাকবেন। অপর শাখাটি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। যেখানে প্রতিটি রাজ্য জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতিনিধি পাবে। এটিকে গ্রেট ক্যোমাইজ বলা হলেও এই বিখ্যাত সিদ্ধান্তটিকে আসলেএই সিনার্জিই বলা উচিত, কারণ এটিতে দুটি প্রস্তাবেরই ভালো দিকগুলোবাড়ছে।ঐকতানের পথে
উকস্থান পাবার কতোগুলো রাস্তা আছে। সেগুলো হলো।* সমস্যা বা সুযোগকে সংজ্ঞায়িত করা*রাদের মতামত(নাদের আইডিয়া আগে বুঝবার চেষ্টা করো)আমার মতামত(তোমার আইডিয়া শেয়ার করে উপলব্ধির চেষ্টা করা)
পৃষ্ঠা:৭৩
(নতুন বিকল্প এবং অইডিয় সৃষ্টি।* হাইওয়ে(সেরা সমাধানটি খুঁজে বের করো)একটি অ্যাকশন প্লানের কথা বল্য হলো। এ সমখ্যার কীভাবে সমাধান করা যারবাবা। তুমি কী ভেবেছো তা নিয়ে চিন্তা করতে আমার বয়েই গেছে। তুমি চাও বা না চাও তুমি এই ছুটিটা আমাদের সঙ্গে কাটাচ্ছো। আমরা কয়েকমাস ধরে এটা নিয়ে প্রাণ-তোমলায় করেছি। এবং পরিবারের সবাই মিলে একত্রে সময় কাটালেন খুবই জরুরি।তুমি। কিন্তু আমি যেতে চাই না। আমি বন্ধুদের সঙ্গে থাকতে চাই। না থাকলে সব মিস করবো।বাবা। বাড়িতে তোমার একা থাকা চলবে না। সারাক্ষণ তোমার কথা চিন্তা করতে থাকলে জামার ছুটিটাই যাবে বরবাদ হয়ে। আমরা চাই তুমি আমাদের সঙ্গেযাবে।সমস্যা বা সুযোগটাকে সংজ্ঞায়িত করো এক্ষেত্রে আমাদের যে সমস্যাটি রয়েছে যা হলো: আমার বাবা মা চাইছেন, মামাকে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে। কিন্তু আমি বাড়িতে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে আমড়া নিয়ে চাই।তাঁদের মতামত (আগে অন্যদের আইডিয়া বুঝবার চেষ্টা করো)৫নং অল্লাসে শ্রবণের দক্ষতার বিষয়ে যা শিখলে তা এখানে প্রয়োগ করো। তাহলে বাবা-মাকে সত্যি বুঝতে পারবে। বাবা-মায়ের ওপর যদি তোমার শক্তি এবং প্রভাব থাকে ‘চারণে হীরা বুঝতে পারবেন।তাঁদের কথা শুনে তুমি যা শিখবে এ ছুটিট মামার বাবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি পরিবারের বন্ধনটাকে মজবুত করতে চান। এবং আমি উসের সঙ্গে না থাকলে এটা হবে না, ভাবছেন তিনি। মা ভাবছেন আমাকে এবা বাড়িতে রেখে গেলে তাঁরা দুশ্চিন্তা করবেন এবং ছুটিটা উপায়োগ করতে পারবেন না। আামার মতামত (তোমার আইডিয়া শেয়ার করে উপদদির চেষ্টা করো) এখন ৫নং অভ্যাসের দ্বিতীয় অর্ণীংশ বাবহার করো এবং তোমার অনুবৃতিগুলো শেয়ার করার সাহস দেখাও। তুমি তাঁদের কথা শুনলে তাঁয়াও তোমার কথা গুনবেন। কাজেই বাবা-মাকে জানাও তোমার অনুভূতি।বাবা-মা, আমি বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতেই থাকতে চাই। তারা আমার কাছে সুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক প্ল্যান-সেমাম করেছি এবং এগুলো মিস করতে গ্রাই না। ভায়াড়া আমার ছোট ভাই এবং ছোট বোনটার সঙ্গে এক গাড়িয়ে শসাগাদি করে বসতে হলে আমি পাগলই হয়ে যাবো।গ্রেইনস্টর্ম (নতুন বিকল্প এবং বাস্তা সৃষ্টি করা)এখানে জাদুকরী ব্যাপারটি ঘটবে। তোমার কল্পনা শক্তি ব্যবহার করো, নতুন মাইডিয়া জানাও। ফলে নিজেকে আর একা মনে হবে না। গ্রেইনস্টর্মে নিচের উপসগুলোর কথা মনে রেখো।সৃষ্টিশীল হবে। উদ্ভট যত আইডিয়া আছে সব মাথা থেকে বের করো। এগুলোকে প্রবাহিত হতে দাও।সমালোচনা এড়িয়ে চলো। একমাত্র সমালোচনাই সৃষ্টিশীল এ প্রবাহকে খাদে।* পিগিয্যাক। সেরা আইডিয়াগুলো নিয়ে ইমারত বানাও। একটি আইডিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে অপর একটি আইডিয়াকে। ব্রেইনস্টর্মিংয়ের ফলে যেসব আইডিয়া তৈরি হতে পারে।* বাবা বলেছেন, আমরা এমন একটি জায়গায় যাবো, যেখানে অনেক বেশি মন্তবএরতে পারবো।* আমি বলেছি, আমি কাছের আত্মীয়দের বাড়িতে থাকতে পারি।* মা বলেছেন, আমি সঙ্গে একজন বন্ধু নিতে পারি।* আমার সুবিধার জন্য মা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারেন।* আমি বলেছি, আমি দু’একদিন বাড়িতে থেকে তারপর তাঁদের সঙ্গে ছুটি। কাটাতে চলে যাবো।* বাবা আমাকে বাড়িতে থাকতে দিয়ে বাজি একটা শর্তে-ভাঁরা ছুটিতে থাকার সময় আমাকে বাড়ির বেড়া রঙ করতে হবে।যাইওয়ে (সেরা সমাধান খুঁজে বের করো।ব্রেইনস্টর্মিংয়ের পরে সেরা আইডিয়াট মাথায় সবচেয়ে বেশি কাজ করবে।
পৃষ্ঠা:৭৪
এখন এ আইডিয়ার সঙ্গে চলো।:আমরা সবাই এথমত হয়েছি যে, সপ্তাহের অর্ধেক দিনগুলো আমি বাড়িয়ে থাকবো তারপর একগ্রন বন্ধুকে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো ছুটি কাটালো। বরাব্য বলেছেন, আমার বন্ধু এবং আমি মিলে যদি বাড়ির বেড়া রঙ করি তাহলে এজন্য পয়সা দেবেন। কাজটি কঠিন নয়, কামোই এরপরেও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবো। তারাও খুশি, আমিও খুশি।ওপরের ফর্মুলার বেসিক বা ডিভগুলো অনুসরণ করলে অবাক হয়ে দেখদে জী ঘটে। তবে ঐকতানে ম্যাচুরিটিরও প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদের দৃষ্টিকোণের কথাও তোমাকে শুনতে হবে। তারপর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের সাহস থাকতে হবে। অবশেষে তোমার সৃষ্টিশীলতায় প্রবাহ শুরু হবে।একটি মেয়ের গল্প বলছি, সে কীভাবে ঐকতানের সম্মান পেয়েছিল?স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষায় পরে ডিস্কো অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। আমি একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনে পাওয়া একটি বিশেষ স্টাইলের ড্রেন পরতে চাইছিলাম। তবে সমস্যা ছিল, ড্রেসটি ছিল খাটো আয় আমি অনেক লম্বা। জানতাম মা এটাকে টুসকি মেরে উড়িয়ে দেবেন।আমরা সেদিন সন্ধ্যায় বসে ডিস্কো নিয়ে কথা বলছিলাম। আমাকে কে ডিস্কোতে নিয়ে যাবে ইত্যাদি। আমি মাকে ম্যাগাজিনের পোশাকটি দেখালাম। এবং যা অনুমান করেছিলাম তাই হল্যে। মা বললেন, ‘৩ ড্রেসে চলবে না। এটা অনেক শর্ট।’ তিনি মতামত দিলেন আমার কী করা উচিত এবং কোথায় শপিংয়েযাওয়া উচিত?মার কথা মামার পছন্দ না হলেও বুঝতে পারছিলাম, তিনি তাঁর মতামত থেকে একচুল নড়বেন না। তখন জানতে শুরু করলাম-কী করা যায়। শেষে মাথায় একটা বৃদ্ধি এলো-না যদি আমাকে কিছু বানিয়ে দেন তাহলেই আর সমস্যা থাকে যা। আমরা দুজনেই সন্তুষ্ট হতে পরি। আমি দ্রুত আমার এক বন্ধুকে ফোন করলাম, যাকে নিয়ে দোকানে গেলাম। কাপড় কিনে আনলাম। তারপর মা আমাকে চমৎকার একটি ড্রেস বানিয়ে দিলেন। সেটি সবার থেকে আলাদা হলো। আমার বন্ধুরাও খুব পছন্দ করলো। বেশ চমৎকার কাটলো ডিস্কো অনুষ্ঠান।টিম ওয়ার্ক এবং ঐকতানচার-পাঁচজনকে নিয়ে ধারণা টিম বা দল গঠন করা যায়। প্রতিটি সদস্য আলাদা তবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে দলে।প্রস্তাব-এরা বীর এবং মন্থর গতিতে চললেও কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। নিষ্ঠার সঙ্গে লেগে থাকে।গুলোয়ার-এরা খুব দাপোর্টিভ হয়। ভালো কোরে আইডিয়া গেলে ওটার হস্তবায়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দেয়।ইনোভেটর–এরা সৃজনশীল ধরনের মানুষ। এরা খুলিঙ্গ তৈরি করে।শো-অফ-এদের সঙ্গে কাজ করে মজাই আছে। তবে মাঝেমধ্যে একটু প্রঠিন্য দেখার। দলের সাফল্যের জন্য এরা উৎসাহ যোগায়। একটি চমৎকার টিমওয়ার্ক একটি নারণা সঙ্গীতের মতো। সবগুলো কষ্টএবং যন্ত্র একসঙ্গে গাইতে এবং বাজতে শুরু করে মার যারা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না। আলাদাভাবে কন্ঠ এবং বস্তুগুনো ভিন্ন পথ দুব সৃষ্টি করে তবে একসঙ্গে মিশে গিয়ে নতুন সাউন্ড তৈরি করে। এটাই হাস্য ঐকতান।আমার এ বইটি ঐকাতানের ফসল। রাথমে যখন সেখার সিদ্ধান্ত নিই, খানিক বিভ্রান্তিতেই পড়ে গিয়েছিলাম। কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। শেষে সহায্য নিয়ে শুরু করলাম। এক বন্ধুর কাছে সবার আগে সাহায্য চাইলাম। তারপর একটি দল গঠন করলাম। কয়েকটি স্কুল এবং কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললাম। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে ফিডব্যাক প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেন। আমি আলাদাভাবে আবার দলগতভাবে কিশোর-কিশোরীদের সাক্ষাৎকার নিতে গুরু করুনাম। একজন চিত্রশিল্পী ভাড়া করলাম। বইয়ের ৭টি অভ্যাস নিয়ে টিনেজারদের কাছে গল্প শুনতে চাইলাম। শেষে এ বইটি সৃষ্টিতে শতাধিক গোক হরিয়ে পড়লো।আছে আছে সব ঠিক হয়ে যেতে লাগলো। প্রতিটি মানুষ যে যার প্রতিভার স্বাক্ষর প্রমাণ করতে থাকলো, নানানভাবে তারা অবদান রাখলো এ বইয়ের কন্য। আমি যখন বই লেখায় ব্যস্ত তারা তখন যে কামটি তারা ভালো পারে সেটি হতে গেল। কেউ গল্প সংগ্রহে ওস্তাদ। সে সেটাই করলো। আরেকজন বই সম্পাদনা জানে। সে তাই নিয়ে ব্যস্ত হলো। এদের কেউ ছিল প্রমার, কেউ ইনোভেটর, আবার কেউ শো-অফ। এটি টিমওয়ার্ক এবং ঐকতানের চমৎকারটিমওয়ার্ক এবং ঐকতান মিশে সম্পর্ক সৃষ্টি করে। বস্কেটবল অলিম্পিয়ান অয়েজ মিলার পালমোর বলেছেন, ‘তুমি যখন জীবনের সের খেলাটি খেলো, উত্তন টিমওয়ার্কের কথাটাই তোমার মনে থাকবে। তুমি খেলা, শট বা স্কোর নাতো ভুলে যাবে কিন্তু টিমমেটদের কথা কখনো ভুলবে না।
পৃষ্ঠা:৭৫
ছোট ছোট পদক্ষেপ:১) কেহনের বিকলাঙ্গ ক্লাসমেট বা পড়শীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে তাদের জন্য পাথবোধ করো না বা এড়িয়ে যেয়ো না, এজন্য যে এদেরকে বাঁ বলবে তা মেনে পাচ্ছে না। বরং ওদের সঙ্গে গিয়ে পরিচিত হয়।২) পারলযার বাবা-মা’র সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে মতের অমিনা হলে ঐকয়ারে আজশন প্লান নিয়ে কাজ করবে। ১. সমাসাটি চিহ্নিত করবে। ২. তাঁদের কথা শুনবে। ৩. তোমার দৃষ্টিয়ক্তি শেয়ার করবে। ৪. ব্রেইনার্থে করবে। ৫. দেয়া সমাধানটি খুঁজে বের করবে।৩) প্রাক্তণয়ত সে মানুষটিতে তুমি বিশ্বাস করো আর যঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারো। দৃষ্টিভঙ্গির বিনিময় হয়তো তোমার সমস্যার সমাধান নতুন দিক নির্দেশ করতে পারবে।৪) এ সপ্তাহে নিজের চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে দেখো করোটা ঐকতান ছড়িয়ে রয়েছে। যেমন দুষনে হার বরাবরি করে ইটিস, টিমওয়ার্ক ইতাদি।৫) কাউকে দেখলে ডেমোয় বিরতি লাগে এমন কারও কথা চিন্তা করো। এদের মধ্যে হিল্ল া আলাদা ব্যাপার কী আছে? তুমি ওদের কাছ থেকে কী শিখতে৪) তোমার বন্ধুদের সঙ্গে ব্রেইনটির্ম করো এবং মালার কিছু মাবিষ্কার করো। নতুন কিছু। পুরাতনরে বাদ দাও।অভ্যাস ৭
করাতটাকে ধারালো করো এখন ‘আমার সময়
পৃষ্ঠা ৭৬ থেকে ৯২
পৃষ্ঠা:৭৬
রোদ থাকতে থাকতেই হাদ মেরামত কারো -জন, এফ. কেনেডি, মার্কিন প্রেসিডেন্টতখনও কি নিজেকে ভারসাম্যহীন, ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা লেগেছে? যদি জবাব হয় হ্যাঁ, তাহলে ৭নং অভ্যাসটি তোমাদের পছন্দ হবে। কারণ এটির নকশা ত্রিশেষভাবে করাই হয়েছে এসব সমস্যায় সাহায্য করার জন্য। যাকে আমরা হাতে পারি ‘করাত ধারালো করো।’ কল্পনা করো যে তুমি অঙ্গলে হাঁটতে গিয়ে এক লোককে দেখতে পেলে যে, পাগলের মতো একটা করাত দিয়ে গাছ কাটারকী করছেন, ভাই?’ জিজ্ঞেস করলে তুমি।তরার দিয়ে গাছ কাটার চেষ্টা করছি।’‘করোক্ষণ ধরে?’‘চার ঘন্টা হলো,’ জবাব দিল লোকটা। খুতনি বেয়ে টপটপ করে খামআপনার করতে তো দেখছি ভোতা,’ বললে তুমি। ‘কাজে একটু বিরতি দিয়ে এটাকে বার করে নিন ন্যা‘পারবো না। আরে বোকা, দেখছো না আমি গাছ কাটতে ব্যস্ত।আমরা বুঝতে পারছি এখানে আসল বোকা কে? লোকটা যদি মিনিট পনের বাজে বিরতি দিয়ে করাতটা ধার করে নিতো, তাহলে তিনগুণ দ্রুত গতিতে গাছটি কাটতে পারতো।শরীরের যত্ন নাওবয়ঃসন্ধিতালে তোমার গলার স্বর বদলে যাবে, হরমোন বৃদ্ধি পাবে, শরীরের পেশি বাড়বে। নতুন শরীয়কে স্বাগতম।তোমার এ শরীর একটি দাহণ যন্ত্র। তার তুমি যত্নও করতে পারো, আবার আহেলা বা অপব্যবহারও করতে পারো। একে তুমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারো অথবা এব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারো। সংক্ষেপে, তোমার শরীর একটি যন্ত্রাংশ। এর ত্বকীকে গত্ন নিলে এটি তোমায় চমৎকার সেবা করবে।
পৃষ্ঠা:৭৭
অশটি পর রয়েছে, যার সাহায্যে কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের শরীর উৎরাখতে পারে১. ভালো খাবার খ২. ওয়েট লিফটিং করো৩. পর্যায় পরিমাণে ঘুমাও৪. ম্যারোবিক্স করোমুখস্থ্যের জন্য চারটি জিনিসের খুব প্রয়োজন- সুনিদ্রা, ফিজিকাল বিলারেশন, ভালো যাবার এবং ব্যায়াম। ভালো খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমব্যাবহার করে নতুবা দুইয়ে ফেলসেআমার খুব প্রিয় একটি সিনেমা ফরেস্টিদাম্প। গল্পটি আলতোমার এক সহজ। সরল হকণাকে নিয়ে। যে খুব বড় হদয়ের মানুষ। তবে কিছুতেই জীবনে লায়ন পরিলো না বলে হায়াত হয়ে পড়ে। বী করলে ভেবে পায় না। শেষে সে দৌড় শুরু করে এবা পৌড় প্রাকটিক অব্যাহত রাখে। এক কোস্ট থেকে আরেক ভোটে সৌড়াতে অবশেতে ফরেস্টের মনের হতাশা কেটে যেতে থাকে এবং সে জীবনের মা দেয় কোনো না কোনো সময় হতাশায় ভুগি, বিভ্রান্ত হই করে আবার হারিয়ে চোঁদ মল্লার। অথচ এ সময়েই আমরা আমাদের সেরা কাজটি করতে পহি যেটি করেছিল ফরেস্ট গাম্প। আমরা এক্সারসাইজ করতে পারি। এক্সারসাইক শুধু হার্ড এবং মুসসুদের জন্য উপকারিই নয়, ব্যায়াম তোমাকে দেয় শন্ডি, উৎকণ্ঠা দূর করবে, পরিষ্কার করবে মন।এক্সারসাইক ননাভাবেই এরা দেখে পারে। অনেক টিনোহরর খেলাধুলা করে আধার কেউ সকালে দৌড়াতে পছন্দ করে, হাঁটে কিলো সাইকেল চালায় ম্যারোবিক্স করে, ওয়েট নিষটি। করে। সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহেভায়ে গিয়ে আবার বডি বিল্ডার হওয়ার চেষ্টা পরীর মেয়ের অধিকাঠী এওয়া যায়। কোরো না। বডি বিল্ডারমামি চাইলেই বদ অভ্যাসগুলো ছাড়তে পারি।কারীগণকে যেমন যত্ন করে গড়ে তোলা খুব, মাথার হাতে জাগণ বর য়ে। আর এজন্য মন, মাদক এবং পোনে মাস হওয়াই হয়েই বরকরে তাদের জীবনে সাধারণত তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে পড়ি জাতিয়ের গ্রন্থহত্যা এবং খুন। আর যারা ধূমপান করে তাদের চোখের অনেক ক্ষতি হয়, ত্বক কুড়োদের মতো খুলে পড়ে, হলুদ হয়ে যায় দাঁত, নিঃশ্বাসে দেখা দেয় দুর্গন্ধ।কেউ প্ল্যান করে নেশমাপ্ত হয় না। হঠাৎ করেই এটা ঘটে যায়। অনেকে ইপ্লেনের ‘স্বাধীন’ প্রমাণ করতে মন্য পাদ, বৃমপান করে, মেলার ছিনিস বায়। হরপর দেখা যায় এতে তারা আসক্ত হয়ে পড়েছে।নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার মন্ত্র বিপদ হলো, নেশার কান্তে নিজেকে সমর্পর মেলা মম বলে ‘লাফার’, তুমি লাফ দাও। আমি অনেকতে দেখেরি মন্টিতে বৃহপম নয়েধ বলে রাস্তায় গিয়ে সিগারেট ফুঁকছে। দেখে খারাপ লাগে কারজাটা রোমে সিবা প্রবল ঠান্ডাতে বাবা বাইরে দাঁড়িয়ে ধূমপান করে। কারণ এ দেশর কাছে হয়া হার মেনেছে।আমরা মুখে বাল, নেশা হঠাৎ করে যেমন ধরা যায় তেমনি হুট করে ছাড়াও হয়। বাস্তবে বাচটি বড়ই কঠিন। ২৫ শতাংশ টিনেজার বৃমপান ছাড়ার চেষ্টা হত পেরেছে, বাকিরা পারেনি, মার্ক টোয়েনকে দিলদারেট ছাড়ার কথা বললে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কতোবার এ নেশা চেয়েছি।নেশান্ত এক কিশোরের গল্প শোনা যাক সে রীভাবে এতে আম হয়ে পড় এবং তার ফলে কী ঘটেছিল।চৌদ্দ বছর বয়সে আমি প্রথম নেশা করি বা হদ খাই। এর আগে নেশা তী স্বচ্ছ জানতামই না। সবাই বলতো মেধা খুব খারাপ জিনিস। মামার বন্ধু সহ, ‘আরে যেয়েই লাখ না। মলল পারি।’ আমি যেয়ে সেখলায়। মজার তারপর নিয়মিত খেতে শুরু করলাম।আমি যত নেশা করছিলাম এবং মদ খাচ্ছিলাম ততই আমার পড়াশোনায় তোর ঘায়েল। সবার সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। আমর
পৃষ্ঠা:৭৮
SHARPEN THE SAW IS MY FAIDURITE HABITপরিবারের কাছ থেকেও কমে দূরে সরে যাচ্ছিলাম। আমার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গেও দেখা সাক্ষাৎ কম হচ্ছিলো।মদ্যপান এবং ড্রাগস নেয়ার পরে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় আমায়। সারাক্ষন দুর্বল লাগতো। শরীরের ওজন কমে যাচ্ছিল দ্রুত। দুই মাসে আমি ত্রিপ পাউন্ড ওজন হারাই। আমি ছোটখাট ব্যাপারেও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্চিলাম। যেমন টুথপেস্ট ফুরিয়ে গেলেও রাগারাগি করতাম। আমি বদমেজাজী হয়ে উঠছিলাম।আমার সপ্তদশ জন্মদিনের মাসখানেক বাদে স্কুলে ড্রাগনসহ ধরা পড়ি। কর্তৃপক্ষ মামাকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করেন। আমার তখন বোধোদয় হয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা দরকার। আমি নেশা বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি।আমি আমার পুরানো বন্ধুদের দেখা সাক্ষাৎ বাদ দিয়ে Alcoholics Anonymous (AA) এর মিটিং যেতে শুরু করি এবং একজন স্পদর পেয়ে যাই। সে আমাকে দেশ্য ছাড়াকে অনেক সাহায্য করেছে। এ সেয়ামটি ছাড়া আমি নেশামুক্ত হতে পারতাম না।এ লেন্নামে থাকার সময় মনে হচ্ছিল, যেন জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছি। এখন আমি মদ খাই না। বেশা করি না। আবার শুরু করেছি পড়াশোনা। আমার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক এখন নিবিড়। আমি স্কুলে ফিরে এসেছি। এখন নিজেরবই নিচ্ছি। আমি এখন সবার সঙ্গে সম্ভবহার করি। আমার জীবনটাই গেছে ছেলে। আমি এখন ভার্সিটিতে ভর্তির চিন্তাভাবনা করছি, যা আগে কল্পনাও করিনি। এখন ভাবতেও অবাক লাগে, কেন ছেলেমেয়েরা স্কুলে বসে নেশা করে। এটা সত্যি একটা বাজে অভ্যাস এবং বাজে জীবন।যেভাবে নেশা প্রত্যাখ্যান করবে।নেশা ছাড়া সহজ নয় আগেই বলেছি। তবে নেশাকে ‘না’ বলার উপায় আছে। সেগুলো হলো।১. প্রশ্ন করো। নিজেকে প্রশ্ন করো ‘কেন আমি ধূমপান করতে চাই?আজ যদি নেশা করতে গিয়ে পটল ভুলি, তখন?২ যেসব সমস্যা হতে পারে সেগুলোর কথা বলো গাঁজা করে দিগারেট খাওয়া অন্যায়।’ধূমপানে আমার মুখে গদ হবে।’৩. পরিণতি কী হতে পারে ভাবো।দেশা করলে ভার পরিণতি কী হতে পারে তা নিয়ে ভাবো। মাদক হাতে মামি। শুলিশের কাছে ধরা খেতে পারি।‘আজ রাতে মাতাল হয়ে গেলে সেই সুযোগটা অন্য কেউ নিতে পারে।’৪. বিকল্প উপায় জাবোঈসা, একটা সিনেমা দেখে আসি।’‘আমি বরং ফুটবল খেলবো।’তোমার ভবিষ্যত উন্মোচনের চাবিকাঠিএকবার এক সমীক্ষায় আমি একদল কিশোর-কিশোরকে নিয়োগ বরেছিলাম, ‘তোমাদের কীসে ভয়?’ শুনে অবাক হয়েছি তাদের বেশিরভাগের ভয় স্কুলে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে কিনা তা নিয়ে, ইউনিভার্সিটিকে ভর্তি হতে শস্তবে কিনা কিংবা ভবিষ্যতে ভালো কোনো চাকরি পাবে কিনা, এসব নিয়েই হানের উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ। একজন বলেছে, ‘নিশ্চয়তা কী যে, আমরা ভালো চাকরিতোমার এ সুযোগ লাখে একটা। অথবা তুমি শিক্ষিত মদ তৈরি করতে শুয়ো। একটি শিক্ষিত মন তোমাকে ভালো চাকরি এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতোনিশ্চয়তা দেবে। শিক্ষিত মন বী? এটি স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট নয়। শিক্ষিত হনকে দক্ষ
পৃষ্ঠা:৭৯
একজন ব্যালেরিনার সঙ্গে তুলনা করা যায়। একজন ব্যালেরিনার নিজের শরীরের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। সে তার শরীর যেমন খুশি বাঁকাতে জানে, লাফঝাঁপ দিতে পারে। তার নির্দেশে শরীর লাফায়, মোচড় খায়। এবং ভাবে একটি শিক্ষিত মন ফোকাস করতে পারে, সমন্বয় করতে জানে, শিখতে পারে, বলতে পারে, সমালোচনা করতে পারে, বিশ্লেষণ করতে জানে, অবিভায় করে, কল্পনা করে এবং আরও অনেক কিছুই করে। তবে এসব করতে হলে ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এটা এমনি এমনি ঘটবে না।আমি পরামর্শ দেবো যত পারো পড়াশোল করবে। স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষে ভোকেশনাল কিংবা টেকনিক্যাল ট্রেনিং নাও, কোনো বাহিনীতে শিক্ষানবিশের কাজ করো-এটি তোমার সময় এবং অর্থ দুটিরই কাজে লাগবে ভবিষ্যতে। এটাতে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ হিসেবে দেখবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ একজন ছাত্র অন্যদের চেয়ে দ্বিগুণ আয় করে। পড়াশোনার টাকার জন্য ভেলো না। খুঁজলেই দেখবে অনেকরকম বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এ ধরন্যে শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকে।মনটাকে ধারালো করে তোলোমনের বিস্তার ঘটানোর বহু রাস্তা রয়েছে। সবচেয়ে ভালো পথ হলো বইপড়া। ব্যায়াম শরীরের যে উপকার করে, বই পড়া মনের ঠিক একই কাজ দেয়। সবকিছুর ভিত্তিমূল হলো বই পড়া। আর বই পড়তে তো ভ্রমণ বা অন্যান্য কিছুর খরচও নেই। নিচে কয়েকটি উপায় বলে দেয়া হলো। এ উপায়গুলো অবলম্বন করলে তোমার মনটি আরও ধারালো হয়ে উঠবে।* প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়বে।* ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকার সদস্য হয়ে যাও* ভ্রমণ করো* বুনো হীিবন পর্যবেক্ষণ করো।* মজাসার এবং চিত্তাকর্ষক কোনো বিষয়ের লেকচারে যোগ দাওডিসকভার চানেল দেখো* লাইব্রেরিতে যাও* খবর শোনো* তোমার পূর্বপুরুষদের নিয়ে গবেষনা করোগল্প, কবিতা অথবা গান লেখোবোর্ড গেম খেলো– বিতর্কে অংশ নাওদাবা খেলো* জাদুঘরে যাওক্লাসে মন্ত্রধ্য করো• বালে, অপেরা অথবা নাটক দেখতে যাওমিউজিকাল কোনো যন্ত্র বাজাতে শেখোবন্ধুদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করোশকট মিলাও* সময় করে প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ক্লাসের বাইরের বই পড়ো।স্কুল পরবর্তী শিক্ষার অপশনডিগ্রি বা স্কুলে কী বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছো তা নিয়ে ভাবিও হতে হবেনা। সুস্থভাবে ডিভা করা শিখলেই ক্যারিয়ার এবং শিক্ষার প্রচুর অপশন এসে হবে। অ্যাডমিশন অফিস এবং কোম্পানিগুলো তুমি কোন বিষয়ে পড়াশোনা রয়েছো তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। তারা দেখতে চায় তোমার মনটা বুছ কিনা। তারা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র দেখতে চাইবে।১. আকাঙ্ক্ষা। তুমি সুনির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রেগ্রামে প্রবেশ করতেহতোটা ইচ্ছুক? এ চাকরিটি পাবার আকালা তোমার কতোটুকু।২. টেস্ট স্কোর: SAT. GCSE, AS এবং A পেয়েলে তোমার ফলাফল কতোটা৩. এটা কারিকুলাম। তুমি অন্যান্য কী কাজে জড়িত ছিলে?(সেলাধুলা, ক্লাস, চার্চ, কমিউনিটি ইত্যাদি)।৪. সুপরিশ পত্র। অন্যান্যরা তোমার সম্পর্কে কী ভাবছে?৫. যোগাযোগে দক্ষতা। লেখালেখি এবং মৌখিকভাবে যোগাযোগে তুমিচাকরির সাক্ষাৎকারসবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তাঁরা দেখতে চাইবেন তুমি তাদের সেকেনেবদল হতে পারবে কিনা। তোমার কোয়ালিফিকেশন স্কোর কম হলেও একেই বলে সে ওঁরা তোমাকে ফেলে দেবেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে তোমার অবস্থান শক্তিশালী হলে
পৃষ্ঠা:৮০
তুমি ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেতে পারো, অথবা প্রথম শ্রেণীর কোনো চাকরিও পেতে পার।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া খুব কঠিন এরকম গুজবে ভীত হবে না। যতটা কঠিন ভাবছো ততটা কঠিন কিন্তু নয়, যদি তুমি তোমার আবেদনপত্রে বিশেষ কিছু দক্ষতার বিষয় উল্লেখ করতে পারো।মানসিক বাধামল্লিক্ষ তৈরিতে কিছু বাধা তোমাকে টপকাতে হবে। সেগুলো হলো।ক্লিনটাইম: ক্রিমটাইম হলো টিভি, কম্পিউটার, ভিডিও গেম বা সিনেমায় সময় কাটাবো। এসবের পেয়াল খানিকটা সময় যায় করা যেতেই পারে তবে দীর্ঘসময় ধরে ইন্টারনেটে সাটিং, ভিডিওগেম গেলা কিংবা টিভি দেখা তোমার মাথাটাকে দোয়া করে দিতে পারে। তুমি কি জানো অ্যাভারেজ টিনেজাররা সপ্তাহে কুড়ি ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করে টিকি দেখে? তার মানে বছরের তেতাল্লিশ দিখ এবং গোটা জীবনের আটটা বছর এই হয়ে যাচ্ছে শুধু টেলিভিশন দেখে। তবে তুমি নিশ্চয় এ গড়পড়তা কিশোর-কিশোরীদের দলে পড়ো না। ভেবে দেখো, বছরের এই তেতাল্লিশটা দিন তুমি যদি উৎপাদনশীল কাজে ব্যয় করতে যেমন, ফারসী ভাষা শিক্ষা, বলরুম ভাগ শেখা কিংবা কম্পিউটার প্রেম্যামিং-তাহলে কতো ভাগ্যে হতো?টিভি, কম্পিউটার বা সিনেমার পেছনে কতোটা সময় ব্যয় করবে তা এখুনি ঠিক করে নাও। দরকার হলে টিভির রিমোট কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলো। তারেও কাজ হবে।নার্ড সিনড্রোম। মজার ব্যাপার কিছু কিশোর-কিশোরী ক্লাসে খুব ভালো রেজাল্ট করতে চায় না, পাছে তাদেরকে সবাই ‘নার্ড’ বা ‘পড়ুয়া’ বলে উপহাস করে। আমি মেয়েদেরকে বলতে শুনেছি, খুব বেশি পড়ুয়ার কাছে ভারা ঘেঁষে না, আদেরকে কয় পায় বলে। তুমি যদি পড়ুয়া স্বভাবের হও আর অন্যরা তোমাকে ভয় পায়। তাহলে সেটা ওদের সমস্যা, তোমার নয়। আমি অনেক সফল এবং ধনবান মানুষকে চিনি যাদেরকে ‘নার্ড’ বলা হতো।প্রেশার মাঝে মাঝে স্কুলে আমরা ভালো রেয়ন্টে করতে ভয় পাই প্রচণ্ড চাপের কারণে। আমরা যদি একবার ভালো রেজাল্ট করি তাহলে, পরিবারসহ সকলের প্রত্যাশা বেড়ে যায় এবং আরা তাবে এ ধাণ্ডবাহিকতা বজায় থাকবে। তখন প্রেশার বা চাপ বৃদ্ধি পায়। আর রেজাল্ট খারাপ করলে কোনো প্রত্যাশা থাকে না। চাপও নেই।শুধু একটা কথা স্মরণে রেখো। তুমি সেরা চেষ্টাটা করনি বলে রেজাল্ট ভালো হানি এটার চেয়ে অনেক বেশি সহনশীল সফল হতে গিয়ে চাপ নেয়া। চাপ নিয়ে ভয় পেয়ো না। এ ভূমি সামলে নিতে পারবে।হৃদয়ের প্রতি যত্নশীল হওএকদিন বিকেলে আমার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লো কেউ।আমি দরজা খুলে দেখি দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে আমার উনিশ বছর বয়সী ছোট বোনটি। ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে আর ফুঁপিয়ে কাঁসছে।“কী হয়েছে?’ জিজ্ঞেস করলাম ওকে ভেতরে নিয়ে এসে। যদিও অনুমান করতে পারছি ঘটনা কী। কারণ, এ মাসে এ নিয়ে তিনবার সে চোখ লাল করে এদতে কাঁদতে বাসায় ফিরেছে।‘ও কী হৃদয়হীন!’ নাক টানলো আমার ছোট বোন। হাতের চেটো দিয়ে ভাল মেখের জল মুছলো। ‘আমার সঙ্গে এরকম ব্যবহার করেছে বিশ্বাসই হচ্ছে না। কী ছোট মন!’এবারে সে কী করেছে?’ জিজ্ঞেস করলাম আমি।তুমি তো জানো, ভাইয়া…. ও আমাকে ওর বাসায় যেতে বলেছিল একসঙ্গে পড়াশোনা করবো বলে।’ ফুঁপিয়ে উঠলো সে।‘আমরা পড়াশোনা করার সময় কয়েকটা মেয়ে আসে ওর সঙ্গে দেখা করতে। ও তখন এমন ভাব করছিল যেন আমাকে চেবেই না?‘এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই’ জ্ঞানী লোকের মতো বললাম আমি। আমি এরকম কাজ বহুবার করেছি।’কিন্তু এর সঙ্গে তো আমি দুই বছর ধরে ডেটিং করছি’, তোতলাচ্ছে আমার যেন। ‘ওরা যখন জিজ্ঞেস করলো আমি কে? তখন বলে কিনা আমি ওর বোন।’ খাইছে!ভয়ানক মুষড়ে পড়েছে বেচারী। কিন্তু আমি জানি দুই একদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। ও আবার ওর বয়ফ্রেন্ডকে ভাবতে শুরু করবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠআমার বোনের মতো তোমাদের জীবনেও কি এরকম অভিজ্ঞতা কখনও হয়েছে? আবেগের রোলার কোস্টারে চড়ে একবার উপরে উঠে গিয়েছো, অথর নেমেছো? তোমার কি মনে হয়েছে, তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে মুডি মানুষ এবং নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারো না? যদি তাই হয় আহলে ক্লাবে স্বাগতম।
পৃষ্ঠা:৮১
কারণ, এ ধরনের আবেগ-অনুভূতি কিশোর-কিশোরীদের জন্য খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তোমার হলয় অতায় আবেগী জিনিস এবং মেজাজী। শরীরের ময়ো এরও নিয়মিত হত্ন-স্নাতি করা উচিত।হৃদয়ের পুষ্টি সাধনের শুন্য প্রয়োজন সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর মনোযোগ দেয়া বা অন্য কথায় বলা যায়, তোমার রিলেশনশিপ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত সভায় করে, সেইসঙ্গে পার্সোনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও।PBA এবং RNA ও ডিপোজিট একইরকম, যা আগে হয়তো লক্ষ্য করে থাকবে। কারণ, তুমি অন্যদের অ্যাকাউন্টে যা ডিপোজিট করছো তা তোমার অ্যাকাউন্টেও একই সঙ্গে তমা হচ্ছে। কাজেই হৃদয়ের প্রতি যত্নশীল হও।হাসো নইলে কাদতে হবে সরকথা বলার পরেও শেষ একটি কথা বাকি থেকে গেল, তোমার হৃদয়কে সুস্থ- সবল রাখার জন্য। হাসো। ধন… স্রেফ হালো। হারুনা মাতাতা। ডোন্ট ওরি, বি হ্যাপি। মাঝেমধ্যে জীবন পানসে হয়ে ওঠে এবং এটাকে বদলাবার মতো করার কিন্তু না থাকলে স্রেফ হেসেই উড়িয়ে দাও সমস্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।আমরা যখন বুড়িয়ে যাই তখন ভুলে যাই, কোন জিনিসগুলো আমাদের জীবনকে জাদুকরী করে তুলেছিল। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভূমি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার বয়লে পৌছানো পর্যন্ত দিনে ৫০০ বার হাসো। আর সে তুলনায় বড়রা হাসে দিনে মাত্র ১৭ বার। এ কারণেই শিক্ষরা বেশি সুখী। আমরা কেন চেহারাটা এতো গম্ভীর করে রাখি? এর কারণ সম্ভবত আমাদেরকে শেখানো হয়েছে হাসাহাসি বাচ্চামি ছাড়া কিছু নয়। প্রখ্যাত জেডাই মাস্টার ইয়োডার উক্তি এখানে। প্রণিধানযোগায়, ‘ভুলে যাও যে তুমি কী শিখেছো।’ আমাদেরকে আবার হাদরেশিখতে হবে।হিউমারের শক্তি নিয়ে লিস্টার ছদকচের একখানা বই পড়ছিলাম আমি ‘Prychology Today’ এ বইতে হাসি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলা হয়েছে।হাসিতে যা হয়।* মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করে এবং আরও সৃজনশীল চিন্তা করতে আমাদেরশেখায়* জীবনের কঠিন দিকগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।* উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মাত্রা কমিয়ে দেয়।আমাদের হার্টবিট এবং রক্ত চাপ কমায়।অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগে সহায়তা করে, নিজেদেরকে পরিত্যক্ত মনে হওয়া থেকে রথা করে। ডিগ্রেশন এবং মাত্মহত্যা প্রবণতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। *প্রচিতের প্রাকৃতিক ব্যথা নিরাময়ক এনডোরফিন নির্গত হয় মন খুলে হাসলে।হাসলে শরীর-স্বাস্থ্যও ভালো থাকে, রোগ নিয়ময় হয়। মমি অনেক লোকের কথা জানি, যারা হাসির থেরাপি নিয়ে সিরিয়াস সর অনুখ থেকে দেরে উঠেছেন। রাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতেও হাদির জুড়ি নেই।তুমি যদি তেমন না হাসো তাহলে শুরু করতে পারো কীভাবে? তোমাকে। হিউমার কালেকশন’ বৃদ্ধির পরামর্শ দেব। এর মধ্যে রয়েছে বইপত্র, কার্টুন, ভিডিও, আইডিয়া-যা তোমার কাছে হাস্যরসের মনে হবে তাই জোগাড় করতে। এরপর যখন মন খারাপ থাকবে, হাসির বই পড়বে কিংবা সিনেমা দেখচ্ছে। আমিনিলে হাসির দিনেমা দেখতে পছন্দ করি। আমি কিছু কমেডিয়ান অভিনেয়ার হাসির ভিডিও কিনে দেখি।আহার যত্ন নাওতোমার আত্মা কিসে আপ্লুত হয়? দারুণ কোনো সিনেমা দেখলে? ভালো কোনো বই পড়লে? তুমি কি এমন কোনো সিনেমা দেখেছো যা তোমাকে এদিয়েছে? তোমাকে গভীরভাবে কী অনুপ্রাণিত করে? সঙ্গীত? শিল্পকলা? প্রকৃতির মধ্যে হারানো?তোমার মাখা তোমার কেন্দ্রভূমি যেখানে লুকিয়ে আছে প্রতায় এবং বৃত্তবোধ। এসব মানসিক শান্তির উৎস। একে তিনিউ করে, জাগাও। প্রখ্যাত লেখক পার্ল এস বাক বলেছেন, ‘আমার ভেতরে একটি জায়গা আছে, যেখানে। হমি এক্য এবং ওখানে তুমি তোমার কর্ণাগুলোর নবজীবন দিতে পারো, যা কখনো শুকিয়ে যাবে না।মাথার খাদ্যকৈশোরে আমি শক্তি পেতাম ডায়েরি লিখে, গান শুনে এবং পাহাড়ে একা একা বসে থেকে। আমার আত্মাকে নবজীবন দান করার এটি ছিল আমার পথ। যদিও তখন এসব নিয়ে তেমন ভাবতাম না। তাছাড়ার খ্যাতিমানদের বিভিন্ন উক্ত আমাকে শক্তি জোগাতো। যেমন মার্কিন কৃষি সেক্রেটরি ফেরা ট্যাঙ্কট তেজনের একটি কথা আমি কখনো ভুলিনি। তিনি বলেছিলেন। নারী এবং পুরুষ যারা নিজেদের জীবন সমর্পণ করে উপরের কাছে যারা দেখে, তিনি তাদের জীবন থেকে অনেক কিছু বের করে নিয়ে আসেছেন, যা তারা নিজেরাও পারছে
পৃষ্ঠা:৮২
না। ঈশ্বর তানের আনন্দ গরীর করেছেন, দৃষ্টিসীমার বিস্তার ঘটাচ্ছেন, মনকে দ্রুতগামী করে তুলছেন, শক্তিশালী করে তুলছেন তাদের পেশী, ভাগের স্পিরিট জাগিয়ে তুলছেন, তাদের ‘আশীর্বাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করছেন, বৃদ্ধি করছেন তাদের সুযোগ-সুবিধা এবং ঢেলে দিচ্ছেন শাড়ি।আত্মা হলো তোমার জীবনের অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি ক্ষেত্র। একে তো খোরাক নিতে হবে। কিছু টিনেজার আত্মার খোরাক হিসেবে নিচের আইডিয়াগুলো দিয়েছেঅপরের সেবা* ডায়েরি লেখাঅনুপ্রেরণামূলক বই পড়াছবি মাকাপ্রার্থনা করা* কবিতা অথবা গান লেখা* গভীরভাবে চিড়া করা* উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এমন গান-বাজনা শোনা* কোনো অস্ত্র বানানোধর্মকর্ম করযে বন্ধুর সঙ্গে একাত্ম হওয়া যায়, তার সঙ্গে কথা বলারক্ষা বা মিশন স্টেটমেন্টের প্রতিফলন ঘটালে।টিনেজারের বেস্ট ফ্রেন্ডআত্মার খোরাক জোগাতে প্রকৃতির সঙ্গে বিদীদ হওয়ার চেয়ে আনন্দের কিছু নেই। শহরে বাস করলেও পার্কে যেতে পারো। আর গাঁয়ে বাস করলে যাবে কর্মীর ধারে। পার্কের সবুজ ঘাস কিংবা নদীর ধাতাস তোমার মনটাকে প্রসূন্ন করেআত্মার খোরাকের জন্য ডায়েরিও লিখতে পারো। এটি হতে পারে তোমায় সান্ত্বনা, তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড যেখানে নিজের সমস্ত আবেগ অনুভূতি ঢেলে দিতে পারবে। তোমার রাগ, খুশি, ভয়, গ্রেম, নিবাপপ্রগ্রাহীনতা বা বিস্তার, সবকিছু ছয়েরির পাতায় লিখে ফেলবে। তুমি মন খুলে কথা বলতে পারবে ডায়েরির সঙ্গে। সে সব শুনবে। ডায়েরি তোমার সম্যলেগুনা করবে না। তোমার মনের অগোছালো কথাগুলো ডায়েরিতে লিখে ফেলো। তাতে মনটন পরিষ্কার হয়ে যাবে। তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়বে, নিজেই নিজের সাহায্য করতে পারবে।আন্ত-সচেতনতা বাড়াতেও ডায়েরির বিকল্প নেই। এতে অতীতের কথা লেখা থাকে। তুমি বুঝতে পারবে তুমি কতোটা বড় হয়েছো, এক সময় কতোটা অপরিণত ছিলে কিংবা কোনো ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে কীভাবে ধরা খেয়েছিলে। একটি মেয়ে আমাকে বলেছিল, পুরানো ডায়েরি পড়ার পর সে আর তার মহাচারী বয়ফ্রেন্ডের কাছে ফিরে যায়নি। অথচ একসময় ফিরে যাওয়ায় উত্তাকাবনা করছিনা।ডায়েরি লেখার কোনো অনুষ্ঠানিকতা নেই। যে কোনোদিন এটা শুরু করা বাজ। এখানে যা খুশি লিখতে পারো। আমার পুরানো ডায়েরিগুলো ভরে আছে হিজিবিজি আঁকা ছবি, দুর্বল কবিতা আর অদ্ভুত গন্ধে।অয়েরির একটি নাম দিতে পারো তুমি। যা খুশি নাম। যেমন আপিসন নামের একটি মেয়ে তার ডায়েরির নাম রেখেছে পবিত্র বাক্স। বেটি তার ডায়েরিকে সামধন করে ‘কৃতজ্ঞতার বই’ হিসেবে। সে লিখেছে।আমার একটি নোটবুক আছে, যেটি আমাকে জীবনে আরও ইতিবাচক হতে দিখিয়েছে। এর নাম দিয়েছি কৃতজ্ঞতার বই। সারাদিনে আমার জীবনে কোনো ধের করণে আমি তা এ বইতে লিখে ফেলি। এ বইটি ডামার প্রতিনটাকে বললে উকিলবাচক ঘটনা ঘটলে কিংবা কোনো কারণে কোনো কিছু বা কারও প্রতি কৃতজ্ঞ
পৃষ্ঠা:৮৩
দিয়েছে এবং সবকিছু সুচারুভাবে দেখতে পারি। আমি শুধু ভাগ্যে দিকটা বেছে নিই, খারাপ নয়। এটি ঠিক প্রচলিত ডায়েরির মতো নয়, যেখানে তোমরা লেখো সারাদিন খারাপ কিংবা ভালো রী ঘটলো। তবে আমার আলাদা একটি ডায়েরিও আছে। সেখানে একটি পৃষ্ঠায় লেখা আছে, আমার প্রিয় গানের কথা, প্রিয় স্পর্শের কথা (আমার ভাই যখন আমাকে আলিঙ্গন করে), প্রিয় শব্দ (আমার মায়ের হাসি), প্রিয় অনুভূতি (টায়া বাতাস। ইতাদি। আমি এ ডায়েরিতে ছোটখাটো বিষয়গুলোর নিখে রাবি। যেমন, ব্রায়ান আমার জন্য আজ টেবিল পরিষ্কার করে দিয়ে চেয়েছে।’ কিংবা ‘জন আজ যাওয়ার পথে আমাকে দেখে ‘হ্যালো’ বললো। এসব ছোটখাট জিনিস আমাকে ভালো লাগায়। আমি এ ডায়েরি পড়ে অতীতে চলে যাই এবং স্মরণ করি, ভালো বিষয়গুলোর কথা, ভুলে যাই খারাপ বিষয়গুলো। এগুলো মন থেকে মুছে ফেলি, খারাপ কিছু আমাকে আর বাভাবিত করতে পারে না।
বাস্তববাদী হও:এ অধ্যায়ের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে এদেছি আমরা। যাওয়ার আগে শেয় কথাগুলো বলে যাই। একবার ক্লারিসা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে করাত্র ধারালো করার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। সে আমাকে উন্টো কিন্তু উপদেশ বর্ষণ করলো। বললো, ‘বাস্তববাদী হও, শন। কার এতো সময় আছে? আজ সারাদিন আমাকে ভুলে থাকতে হয়েছে। স্কুল শেষে বাড়িতে আমার কাজ আছে। তারপর সারারাত আবার পড়াশোনা করতে হবে। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হলে পরীক্ষায় ভালো মার্কস পেতে হবে। তো আমি কী করবো, তাড়াতাড়ি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ি এবং তারপর আগামীকালের অংক পরীক্ষায় ফেল করি?’আমিও তাই বলি। সরকিছুর জন্য সময় আছে। ভারসাম্য রক্ষা এবং ভাসাম্যয়ীনতা হওয়ার জন্য সময় আছে। এমন সময় আসবে, যখন কম ঘুমিয়ে তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে। আবার শুধু জাম ফুড খেয়ে উপোস করারও সময় আছে। এটাই বাস্তব জীবন। তবে প্রিনিউয়াল বা নয়া শুরুর জন্যও সময়আছে।খুব বেশি কঠিনভাবে এগোতে থাকলে তুমি পরিষ্কারভাবে চিন্তাভাবনা করতে পারবে না। তুমি ধাতিকগ্রস্ত হয়ে পড়বে, সঠিক দৃষ্টি হারিয়ে ফেলবে। তুমি হয়তো ভাবতে পারো তোমার অনুশীলন করা, বন্ধুত্ব গড়ে তোলা কিংবা অনুপ্রাণিত হওয়ার সময় নেই। যাস্তবে কিন্তু এটা আছে। তুমি যদি তোমার করায় একানের করতে পারো, তার ফল তো পাবেই। আরণ ওমি যখন যোমার গাজাবিক প্রীিবনযাত্রা চালিয়ে খাচ্ছো, তখন কিন্তু করাওটী আর বেশি ধারলো করে তুলতে পারছো। তুমি পারবে তুমি হয়তো ইতিমধ্যে অজান্তেই অনেক ভরান্ত ধারালে কয়ে ফেলছো। তুমি যদি স্কুলে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে থাকো, তুমি তোমার মন ধারালো করে ফুলছো। যদি তুমি খেলাধুলা করো অথবা যায়াম করে, তুমি তোমার শরীরের গল্প দিচ্ছো। তুমি যদি বন্ধুত্বের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাও তাহলে নিজের হৃদয়ের যত্ন নিচ্ছো। একবার ভূমি একাধিক করার ধারালো জরে তুলতে পাগ্রা। মেলানি আমাকে বলেছে সে গোড়ায় চড়তো। এতে বায় শরীরের বায়াম হতো। অর গোড়ায় চড়ার সময় সে গভীর চিল্লায় ডুবে থাকতো। এতে তার মনের অনুীবন হাজা। আর প্রকৃতির মধ্যে থাকার কারণে শারি পেত আত্মা। আমি যখন হাতে ভিজেস করি, “আর রিলেশনশিপ? ঘোড়ায় চড়লে প্রেমর হৃদয়ের বী উন্নয়ন উছে?’ দে জবাব দিয়েছে, ‘আমার ঘোড়ার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব কালো। হমায় মনে হয় ঘোড়ারাও মানুষ হতে পারে।করতে ধার দেয়ার ব্যাপারটি হট করেই তোমার জীবনে ঘটবে না। প্রেমাকে গ্রো-এ্যাকটিভ হতে হবে এবং তখন এটি ঘটবে। সবচেয়ে ভালো হয় প্রতিদিন সময় নাও করাত ধার করার জন্য, পদের থেকে ত্রিশ মিনিট হলেও প্রমে। কিছু টিনেজার এ জন্য সময়টাকে নির্দিষ্ট করে নিয়েছে-ভোরবেলা, স্কুলের পরে কিংবা গভীর রাতে। কবে তখন একা থাকতে হবে। সেটা তুমি উজার সাগরে ডুবে থাকো কিংবা এক্সারসাইজ করে, যা খুশি। কেউ কেউ সপ্তহিক ছুটির দিনেও কাজটা করে থাকে। তোমার যখন সময় হবে করবে।আব্রাহাম লিংকনকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘আপনাকে যদি আট ঘণ্টা মনা দেয়া হয় একটি গাছ কাটার জন্য আপনি তখন কী করবেন?’তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি প্রথম চার ঘণ্টা বার করবো আমার ভরাতঘরালো করে তুলবার জন্য।’
পৃষ্ঠা:৮৪
ছোট ছোট পদক্ষেপ:শরীর১) সভালে নাশতা খাবে।২) আজ থেকে ব্যয়াম শুরু করে যায় এবং টানা ত্রিশনিষ গ্রালিয়ে যাও। হাঁটো, দৌড়াও, সাঁতার কাটো, সাইকেল চালাও, ওয়েট লিফটিং করো যা খুশি। এমন কিন্তু বেছে দেখে, যা তোমার কাছে উপভোগ্য মনে হয়।৩। এক সপ্তাহের জথ্য খাদ্যাগ্রাদ ত্যাগ করো। ভাজাপোড়া, কোল্ড ড্রিংকস, মিষ্টি, চকোলেটসহ যেসব খাবার তোমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা এড়িয়ে চলো। এক সপ্তাহ পরে দেখবে কেমন লাগছে তোমার।৪) এমন কোনো পত্রিকার গ্রাহক হয়ে যাও, যা তোমার মনকে শাণিত করে ভুলতে পারবে। যেমন পপুলার মেকানিক্স কিংবা ন্যাশনাযা ডিঅ্যাফিক।৫) প্রতিদিন বখরের কাগজ পড়লে। হেডলাইন দেস্টারি এবং কলামগুলো পড়বে। ২। পরেরবার এখন ডেটিংয়ে যাবে, বন্ধু বা বান্ধবীকে নিয়ে জাদুঘর ঘুরে এসো।নিজের দৃষ্টিভঙ্গির দিগন্ত প্রসারিত করো।হদয়৭) বালা-মা, ছাই-বোনের সঙ্গে বাইরে থেকে কোথাও ঘুরে এলো। ফুটবল সেলা দেখো, দিনেমা দেখতে যায়, শপিংয়ে যাও কিংবা আইসক্রিম কিনে গাও।৮ তোমার হিউমার কালেকশন তৈরি করে। প্রিয় কার্টুন কেটে রাখতে পারো খবরের কাগায়ের পাছা থেকে, হাসির ছবির ভিডিও জোগাড় করতে পারো অথবা জোকদের বই। এবন মান খারাপ থাকবে না মনের ওপর চাপ পড়বে, এগুলো তোমার মন ভালো করে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।আত্মা৯) আজ সন্ধ্যায় সুর্যাস্ত দেখো মঘনা খুব ভোরে উঠে সূর্যোদয় দেখো।১০) ডায়েরি লেখার অভ্যাস না থাকলে আজ থেকে শুরু করো।১১) প্রতিদিন খ্যান করবে। প্রার্থনা করবে। যা তোমার কাজে আদবে তা-ইঅনুশীলনমূলক পদক্ষেপব্যর্থ হওয়ার ত্রিশটি প্রধান কারণ এগুলোর কতোটি তোমাকে পিছনে ধরে রেখেছে?হেসাব পুরুষ ও নারীরা তাদের সহাহাক মহয়ে নিয়ে চেষ্টা করে, কিন্তু তবুও যার্থ হয় তাদের ঘটনার চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হয় না। এই কেন বলে তি তুমি অল্প কিছু সফল লোকের সাথে তুলনা করো তবে এটা হয়তো ববেচনায় একটিআমি কয়েক হাজার পুরুষ ও নারীদের বিশ্লেষণ করায় মু্যুয়াল পেয়েছি, হালের১৮রি যাদেরকে শ্রেণিভুক্ত করেছি ‘বার্থ’ রণে। আসলে ছাড়ি দেখলাম, মমনের সত্যতা ও শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কিছু মৌলিক ভুল বয়েছে ১৬৮% সেকন জীবনে ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার অনমোদন দিে উদ্দেশ্যের প্রতি লিখিনি যে, বিশ্বের ঠিকগুলো ও ভুলগুলোতে অাদর্শায়িত করবো। সেইজন্য হয়তো এই বইয়োব চেয়ে একণ গুণ বড় বইয়ের প্রয়জন।আমার বিশ্লেষিত বাজ প্রানাস করেছে যে, সেখানে বার্যতার পৈটি প্রবাদ ব হয়াছে এবং সাফল্য লাভের জন্য তেরোটি প্রবন সূত্র রয়েছে, যার মাধ্যামে পোরজন নিজেদের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে। সাফল্যের অনেকগুলো সূত্র নিয়েই এই বই: প্রতিটি অধ্যায়ে এক একটি সূত্রের বিস্তারিত বর্ণনা দে যার্থতার ত্রিশটি প্রধান কারণের বর্ণনা করা হলো। তুমি যখন স্বাদিতাটির ওপর দিয়ে যাবেন, কখন এটা দ্বারা নিজেকে খুঁজে দেখো, একদয় মণ থেকে গৌড়া, এই উদেশ্য অবিষ্কারের জন্য যে, তুমি ও তোমার সাফল্যের মধ্যে এগুলো করোটি ও বোমটি দাঁড়িয়ে আছে?১। প্রতিকূল জন্মগত অবস্থা: মস্তিষ্কপ্রনিত সমস্যা নিয়ে অনেকে জন্মগ্রহণকরে। সেটা খুব একটা ভালো অবস্থা নয়। তারপরেও সুযোগ আছে, তবে অঙ্ক। হবে এই ত্রুটিকেও জন্য করে সাফল্য অর্জন করা যায়। এই। দরজার ঐকামন দল। আপানর ঐকমেন দল এই ত্রুটি দূর করে আপনার ও আপনার বাঁধলোর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। সেতুবন্ধন মানে নদীর অপর পাড়ে একটি
পৃষ্ঠা:৮৫
চর বা আরলাকে দিবিন্ন সুবিধা দিয়ে উন্নত ও শক্তিশালী করতে একটি গেড় নির্মল করা। এই সেতুবন্ধন উত্তর পাশের অবাদকে লাওয়ামও সমাদ্ধ করে। নিজের লাভের জন্য পর্যবেক্ষণ করুন। যাই হোক, এই একটিই হাচ্ছে, একমাত্র বা বার্গমায় ত্রিশটি কারণের মধ্যে হয়তো কোলে স্বতস্র ব্যক্তি যারা সহজভাবে সংশোধন কর যায় না।২। মধ্যম অবস্থার ওপরে লক্ষ্য না দেওয়া এবং উচ্চাশার অভাব। আমত কোনো আশার প্রস্তাব করতে পারি না ব্যক্তিটির প্রতি, থিন এতোটা উদাসীন জে জীবনে সামনে এগিয়ে পেতে চাও না এবং যিনি একটি নিনিট আকাঙ্ক্ষার দাম দিতে টামুক নয়। দেশের বহু তরুণই একটি নিদিষ্ট লক্ষ্য নিতে অনামায়ী। তাদের বক্তব্য গ্রামে, অনেক রাজ, অনেক কিছু করতে হবে, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিলে কী হবে? কিন্তু তোমায় যদি একটি নির্দিষ্ট গড়লা না থাকে, তাহলে তুমি গণের কাজ করেও সবশেষে শৌচয়ে কোথায়? এজন্যই আর কোনো একটি বাচ আরপ্ত করে, একটু কাজ করে, তারপর ছেড়ে দেয়, হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু মুখে বলে বাজ করতে করতে কান্ত হয়ে গেছি। অবশেষে আমি একজনকে একটি দিদির লক্ষ্য দিে বহায়তা করেছি। তবে পাঠক হিসেবে তুমি নিজের ভাগনার নিজের জীবনে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য দিয়ে দেখতে পারো যে, এটা কতোটা কার্যকরী ও অবাক করা সাফল্য লাভ কর যায়। আমার বিশ্বাস তুমিও অবাক হবে।)৩। অপর্যাপ্ত শিক্ষা। এই একটি প্রতিবন্ধকতা যা ভুলনামূলক সহয়ায়াবে অতিক্রম করা যায়। অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে, সর্বোৎকৃষ্ট-শিক্ষিত লোকজন হচ্ছে মারাই, যারা স্বশিক্ষিত বা ‘স্ব-নির্মিয়’, নিজেই নিয়েকে নির্মাণ করেছে। এটা তৈরি করতে হলে একটি কলেজ মিমির চেয়েও বেশি শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে নিতে হয়। যে কোনো শুক্তি যিনি স্বশিক্ষিত, তিনি অন্যদের অধিকারগুলো সড়গন না করে তার জীবণে হিনি যা চান, তা পেতে শিখেছে। শিক্ষা আসলে গঠিত হায় অনেক বেশি আন দিয়ো না, বরং সেই জাম দিয়ে, যা কার্যকরভাবে ও অধ্যবসায়ী ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। একজন মানুষ কতোটা জানে, কেবগ ভার ভিত্তিতে তাকে বেতন দেওয়া হয় না: বরং যে ঘাড়ট। জানে, তা নিয়ে দে কী করে, সেই ডিগ্রিতে তাকে মূল্যায়ন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যের ডেনভারে লেখতদের মিলনমেলা নামক একটি চারণা আছে, সেখানে একজন ব্যক্তির স্ব-শিক্ষিত বা “স্ব-নিি অবস্থায় প্রার্থীতগুরূপ একটি ভাষর্য হয়ে। কোনোদিন গদি তুমি দেখানে যাও তাহলে তা দেখতে পাবে।৯। আয়-শৃঙ্খলার অভাব। পুমলা আসে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ থেকে। এটার মানেএরহান অসুখতে তার সকল নেতিবাচক প্রণবদিতে ভালই কিরণ করতে হবে। তোমার অশেপাংশের অবস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করর পূর্বে মেলাতে অংশই প্রথমে করা যাচ্ছে অনিওম লড়াই, যাতে তোমাকে জটি হতেই হবে। পমি অর্পন মপনার জান্নাতে মানে দিয়েতে অধ্যবসায় যার বর্ণীভূত করতে না পারে, তাহলে তুমি মনের দ্বারাই পরাভূত হবে। আপনি হয়তো নিজেরে একই হাতে লগায়ে বড় ব এ বয়য়েতে বড় শত্রুরুপে দেখবে। মনেতেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গৎে, ‘আমিইহোর দায়েরে বড় শত্রু’। এটার কারণ আয়-শৃজাগায় অহাব। ৫। অসুস্থ স্বাস্থ্য। কোনো ব্যক্তিই মালে স্বাস্থ্য ব্যাতীত অসাধারণ সাফল্যউপল্লোণ করতে পারে না। অসুস্থ স্বাস্থ্যের কারণঞ্চলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কর্তৃত্বহ. অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ স্বাস্থ্যের প্রতি সহাকেএ, চিন্তার ভুল অভ্যাস। ফলে নেতিবাচক মুদি প্রকাশ পায়৭. যৌনতার প্রতি অতিরিক্ত প্রশ্রয় নান ও স্কুল প্রয়োগহু উপযুক্ত দৈহিক ব্যায়ামের অভাব৪. বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব, ফালে শ্বাস-প্রশ্বাদের সমশা৬। প্রতিকূল পরিবেশের যথা দিয়ে বেড়ে ওঠা শৈশবকাল। ‘একটি গাছ ঠিক এরইই গেড়ে ওঠে, যতগুলো পাতায় বোঝা এটা বহন করতে পারবে। বেশিরয়াগ লোকাল মারো অপরাধের প্রবণতাগুলো অর্জন করেছে, এগুলোর কারণ হচ্ছে, প্রমের শৈশবের খারাপ পরিবেশ এবং অনুপযুক্ত সহযোগীদের জন্য। কথায় আছ সৎসঙ্গে স্বর্ণ বাল, অসৎ যঙ্গে সর্বনাশ।’৭। দীর্ঘসূত্রতা। দীর্ঘসূত্রতা যাগে রাজ জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী করব প্রবণতা বা গড়িমসি করার অভ্যাস। আরেকটি শব্দ আছে দীর্ঘসূত্রিতা, এর মানে চিক্রিয়তা বা ঈদিন ধরে কাজ করে যাওয়া। যাই হোক, দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে ব্যার্থতায় সবচেয়ে উত্তরণ কারণ। শতকরা ৯০টি বার্থ লোকের মধ্যে এই ব্যাপারটি পাওয়া যায় যে, দয়ন হতে পারতো গদি সে শুধু ডায়াটি করতো। অনেকেই বলে, ‘আমি এই সজ করলে ঠিকই সফল হতাম।’ এটাই দীর্ঘসূত্রতা। সে এই কাজ জীবনেও করতেদীর্ঘসূত্রতাকে তুলনা করা যায় একজন বৃদ্ধ ব্যতিস সাথে। এই বৃদ্ধ বক্তিব বিদূরয়া’ প্রত্যেক মানবসত্তার ছায়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। তার সুযোগের জন্যউপেক্ষা করছে, যাতে একজনের সাফল্যের সম্মাধনাচলোরে নই করা যায়।
পৃষ্ঠা:৮৬
আমাদের যথ্যে বেশিরভাগ মানুষের জীবনই ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যায়। কারণ আমায় সময় ঠিক হওয়ার’ অপেক্ষা করি। সময় হলে গুরুত্ত্বপূর্ণ কোনো কাজ করবো, সময় হলে মূল্যবাদ কিছু শুরু করবো। আরে ভাই। এই সময়টা আসবে কান? উত্তর হচ্ছে জীবনেও না। সময় আসে না। সময়কে অনেতে হয়, তৈরি করতে হয়, নির্মাণ করতে হয়। অপেক্ষা করবেন না। যময় কখন আলাতে রথে জন্য বসে থাকবেন না। তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, সেখান থেকেই শুরু করুন, আর তোমার কাছে যা যন্ত্রপারি আছে তাই নিয়ে কাজ করো। দেখবেন আরও যা যা দরকার, তা তুমি কাজ করছে করতে, লামনে এগিয়ে যেতে যেতে পেয়ে যাবে। একমাত্র তখনই দেখবে, সময় ঠিক৮। অধ্যবসায়ের অভাব। আমাদের মধ্যে যেশিবভাগ মানুষ যে কোনো ভাজের ‘আছে’ বেশ ভালোভাবেই বহে, প্রচুর উৎসাহ উদ্দীপনায়, কিন্তু সেই দা কিছুদূর আগায় সেই মুখ খুষড়ে পড়ে, ‘শেষ’ হয় মরিয়ভাবে। অধিকন্তু, পায়রাজচের প্রথম দে চিহ্ন আই দেখি সেটা হচ্ছে, লোকজনের ত্যাগ করার প্রবণতা, কায়া যেড়ে দেওয়াছ একটি তাড়া। এমন অবস্থায় অধ্যবসায়ের বিপরীতে প্রতিস্থাপন যোগ্য কিছু নেই। যে বাতির নীতি ও চরিত্র গঠিত হয় অধ্যাবসায় দিয়ে, আর মধ্যে তুমি দেখবে ‘এ জ্বলন্ত আগুন’। যেই আগুনের সাথে লড়াই করতে করতে দীর্ঘসূত্রতা, অনসায়া ও ব্যর্থতাও অবশেষে ভান্ত হয়ে যায়। এমনই বার্থতা কখনো অধ্যবসায়ের সংখ পেরে উঠতে পারে না।৯। নেতিবাচক ব্যাক্তিত্ব। সেই ব্যক্তিটির প্রতি কোনো আশা নেই যে, একটি নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে লোকজনকে হটিয়ে দেয়। সাফল্য আদে ক্ষমতার পদ্ধতি প্রয়োগ করায় মাধ্যমে এবং অমতা অর্জন করা যায়, অন্যান্য গোহজাবের সহযোগিতার মাধ্যামে। (ক্ষমতা কীভাবে সানি ও প্রয়োগ করতে হয়, তা সম্পর্কে কেডরের পাঠায় বলা হয়েছে।) একটি নেতিবাচক বাক্তিত্ব কখনো সহযোগিতা১০। যৌন উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণের অভাব যৌনশক্তি হচ্ছে সফলউত্তেজনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাশালী, যা লোকজনরে কাজের দিকে চালিত করে। কারণ এটা হচ্ছে, সব আবেগের মধ্যে সবচেয়ে বলশালী। এটা অবশ্যই নাত্রির যাতে হবে, অন্যান্য মাধ্যমে যেমন, কর্মশক্তিতে রূপান্তর ও পরিবর্তিত হতে হবে।এজন্যই পূর্বে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে ছেলেরা কোনো কাজকর্ম না করলে, অলন বনে থাকলে তাদের বিয়ে দিয়ে দিয়ো। তারপর তারা বাধ্য হয়ো কাজ করতে।কিন্তু এখন তাও হয় না। কারণ বিয়ে দিলেও, ছেলেদের কোলে একটি চিদেই লক্ষ্য না থাকায় কারণে ডাকে বাধ্য হয়ে কোনো রকম একটি সাজ বা চাকরি করে বিন অতিবাহিত করতে হয়। তুমি যাই করো না কেন, তুমি যদি তোমার জীবনে একটি নিষিয় লক্ষ্য না নেও, তবে তুমি ফুটবল মাঠে ফুটবল দিয়ে খুব উৎসাহ উর্মীশনা দিয়ে দৌড়ে যাবে, কিন্তু গোল করার জন্য কোনো গোলপোসী পাবে না। এই অনন্ত বৌছ কোনোদিন শেষ হবে না। কবে তোমার পরিশ্রম হবে, তুমি অনেক ভাল করবে, কিন্তুজীবন শেষে দেখবেন তোষবোর্ড শূন্য। ১১। ‘কিছু না দিয়ে কিছু পাওয়ার চেষ্টা এটার প্রতি অনিয়ন্ত্রিত আকাঙ্ক্ষা। তুমিকি কখনো জুয়া খেলেছো? কিন্তু না নিয়ে কিন্তু পাওয়ার চেষ্টা’ হচ্ছে জুয়া প্রবৃত্তি। এই প্রকৃতি বা মনোভাব বাত কোটি লোকজনকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দেয়। তুমি একটু ইতিহাস ঘাটলেই এর সাক্ষ্য-প্রমাণ পাবে। অথবা তুমি যনি ১৯২৯ সালের ওয়াল স্ট্রিট পতনটি নিয়ে একটু অবায়ন কলে, তবে দেখবে লাখ লাখ লোক, যার শেয়ার বাজার সম্পর্কে কিছু জানেও না, যারা আদের এই ‘কিছু না দিয়ে কিছু পারার চেষ্টা’ বা জুয়াড়ি মনোভাব নিয়ে অর্থ আয়ের চেষ্টা করে। ফলাফল কো তুমি১২। সিদ্ধান্তকে ঠিকভাবে বর্ণনার অভাব। সফল ব্যক্তিরা দ্রুত নিদ্ধান্তে পৌঁছায়এবং হলি অরাকার হব এগুলোকে খুব বীরভাবে পরিবর্তন করে। রায় মানে সহজে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে না। অন্যদিকে ব্যর্থ ব্যক্তিরা দূর ধীয়প্রাতে সিদ্ধান্তে পৌহায় এবং খনি দরকার হয় এগুলোকে খুব দ্রুতভাবে পরিগন্ত্রণ করে। আর তারা এটা প্রায়ই করে। সিদ্ধান্তহীনতা ও দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে যমজ ভাই। যেখানে একরনকে পাওয়া যায়, অননটিকে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে পাওয়া যায়। এই জোড়াকে আগেই মেরে ফেলো। নতুবা তারা আপনাকে ব্যর্থতার যাতাকলে পিষে শেষ করে ফেলবে।১৩। ছয়টি মূল ভীতির একটি বা অধিক উীতির উপস্থিতি। তোমার জন্য এই দ্বীতিগুলোকে পরবর্তী একটি অধ্যায়ের মধ্যে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এগুলোর ওপর অবশ্যই কর্তৃত্ব করতে হবে। তোমার দক্ষতা ও যোগ্যতা বাজারজাত করার আগেই এই প্রীতিগুলোর ওপর কর্তৃত্ব করতে হবে।১৪। বিবাহে ভুল সঙ্গী চয়ন। এটা বৈবাহিক সম্পর্ক মানুষের মধ্যে অন্তরঙ্গ ধনিষ্ঠতা তৈরি করে। যদি-না এই সম্পর্ক সমধুর চেতনায় বিরাজ করে, যার্থতা স্বাভাবিকভাবেই অনুরদণ করবে। তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে, এটা এমন এক আকারের ব্যর্থতা গঠন করবে, যা দুর্দশা ও সুখহীনতা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। এই ব্যর্থতা পুরোপুরি দ’শ্যমান। সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপারটি হচ্ছে, স্কুল সঙ্গী চয়ন
পৃষ্ঠা:৮৭
করলে ব্যাক্তিরা মধ্যকার সব উল্লাকালো বংসে হয়ে যায়। এটা কেবল পুরুষের জন্য।২০। অতি-সতর্কতা। যে ব্যক্তি কোলে ভূঁকি দিতে রাজি নয়, সাধারণঃ কাজ অথ্যানারা বা নিছু ফেলে গেছে তাই নিতে হয়। অতি-সতর্কতা অতটাই খারপ বাই অয়-সারকরা। উনয়ের বিরুদ্ধেই চরমভাবে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের জী অপ্রয়ান্সের হইলামলো চিনংয়ে পূর্ণ। আমরা ঝুঁকি নেই বা না নেই, যে কোনো সাহ আহাদের বাথে অপ্রত্যাপির ঘটনা ঘটতে পারে। এই চিন্তেন সত্যকে স্বীকার বদ্রে নেওয়া ভালো।১৬। হারসায় ভুল সহযোগী চরন। ব্যবসায় বার্নতার কারণগুলোর মধ্যে এই এরচেয়ে বড় রাহণ। আপনি যদি আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে চাকরি করছে যাও, হারলেও এই বিষয়ে সতর্ক থাকবে। তোমার মালিক বা নিয়োগকর্তা কেম সে সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। এমন একজন নিয়োগকর্তা চয়ন করতে হবে, বিদি হয়ে অনুপ্রেরণালয়ী এবং চিনি স্বয়ং বৃদ্ধিমান ও সংসদ। হাসের আমরা ঘনিষ্ঠভায় সহযোগী, আমরা তাদেরই সমকক্ষ হতে চেরী কনি। এমন একজন নিয়োগবর্তভুলে নাম যার সমতাক্ষ হওয়াটা মূল্য রাখে।১৭। কুসংস্কার ও পূর্বনস্কোর। কুসংস্কার হােথ, রীতিয় ফলে গীত হওয়একটি রোগ। তাছাড়া এটা হচ্ছে অমরায়ও একটি চিহ্ন। যেমন বাতিক সফল হে স্নানের চমছালাবে তারা গোগা বাগে এবং কিছুকেই ভয় পায় না।১৮। স্কুল পেশা ডায়ন। কেনো ব্যক্তিই যদি এমন কোনো কাজ করে বা চেই করে, যাতে পছন্দ করে না, তবে সে কোমোদিনই সেই পেশায় সফল হতে পা না। এমন কাজ করা ব্যাক্তির আয়া ও হনয়া কখনো তঙ হবে না। ব্যাক্তিবর সেবাগুলোজে সাজবাজার করতে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় ধাপ মারে, এমন একটি পেগ গ্রাম করা যাতে তুমি নিয়েতে সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে খুঁড়ে দিতে পারেন।১৯। নিজের চেষ্টার প্রতি মনোযোগের অভাব। একজন সবজান্তা যতি কথাটিল কোনো কিছুয়ে দন্ড হয়। অাপনার সকল চেরাকে- মাত্র একটি নির্দিষ্ট প্রাণ২০। এলোমেলো খরচের প্রতি সন্ত্রাস। একজন অমিতব্যয়ী ব্যক্তি কখনে মতন হতে পারে না। প্রধান কারণ হচ্ছে, তিনি সম্পূর্ণভাবে দরিদ্র উীতিব খাঁড়িয়ে আছেন। একটি পদ্ধতিগত সময়ের মাধ্যমে অভ্যাসে গান করুন। রোমা মায়ের একটি ডিগ্রিয় অংশ পাণে সরিয়ে রাখার মাধ্যমে সঞ্চয়ের অধান পা করো। ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ একজনকে একটি নিরপেন ভিত্তি দেনা, যাতে রাগাচাকরি খুঁজে পাওয়া যায় এবং মারা যায়। গমন আায়ার এক বন্ধুর আছে ৪০,০০০ টাকা সঞ্চয় ছিল। যে ডার চাকরি ছেড়ে দিয়ে সারও কিছু দক্ষতা আনি করেছে এবং পূর্বে থেকে ভালো একটি তেতির জন্য সাক্ষসেরার দিচ্ছে। স্নায় তার কাজে মন নিতে পারছে।) অর্থ ব্যাতীত, একজনতে অবশ্যই তাই নিতে হবে, যা একজন প্রস্তাব দেয়। আর এটা দেয়েই খুশি থাকতে ২১।পতীর আগ্রহের অভাব। আগ্রহ আছে, তবে এই কোনোরকম আর িএমনটি হলে চলবে না। গড়ীর অগ্রহ যাতীত তুমি অন্যের মধ্যে তোমায় পৌঁছে দিতে পারবেন না। অধিকন্তু, গড়ীর অল্লায় চান্ডে সাল্লামত বা ধোঁয়াছে ব্যাপায়। যেমন। হাসি। হাসি, একটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে ব্যাপার। আমর কাউকে প্রাণন্ডাল হাসতে দেখলে আমাদেরও হাসি পায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোলো শিখব হাসি দেখলে এটনা ঘটে। মাপার আগ্রহটিও ঠিক এমনই হতে হবে। যে ব্যক্তির পাড় আছছে বয়েছে এবং এটা ভরে নিয়ন্ত্রেণে রয়েছে, সে যে কোনো গোষ্ঠীয় মানুষের২২। অধৈর্য। যে ব্যক্তি একটি ‘বন্ধ’ জন নিয়ে থাকে যে কদাচিৎ উন্নতি করে।অধৈর্য মানে যে একজন বাক্তি আনে আহরণ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অধৈর্যের সর্বাধিক পরিবর উদাহরণ বঞ্চে ধর্ম নিয়ে অসহিষ্ণুরা, জাতিগত বিয়েষ ও তরনৈতিক ভিন্ন মতামতকে অশ্রদ্ধা করা।২৩। অসয়েম। সর্বাধিক ক্ষতিকর অ্যাংয়দের আকারগুলো হচ্ছে, এগুলোর সাথে জড়িত থাকা, যেমন অতিচিত খাবার, সুরাপান ও যৌন কর্মগুলোর সাথে জড়িত থাকা। এগুলোর যে কোনটির প্রতি অত্যধিক গ্রন্থয় দান করা সাফল্যের প্রতি মারাত্মক।২৪। অন্যদের সাথে সহযোগিতার প্রতি অক্ষমতা। অনেক লোকজন তাদের জীবনে ঠিক পথ ও বড় বড় সুযোগ হারায়। কারণ অন্যদের সাথে সহযোগিরার প্রতি অক্ষমতা। এই ভুল থেকেই থেকেই অন্য ভুলগুলো অথছ হয়। এটা হচ্ছে একট স্থল যা কোনো ভালো-পরিচিত ব্যবসায়ী বাক্তি বা নেতা সহ্য করবে না।২৫। এমন ক্ষমারা যা নিজের চেষ্টায় অর্জিত নয়। বই ব্যক্তিদের পুত্র, কন্যা ও অন্য যানা উত্তরাধিকারসূত্রে অর্থ পেয়েছে, যা তারা রাদের স্বীয় চেষ্টায় আয় করেনি, তাদের ব্যর্থ হওয়ার সপ্তাবনা বেশি। যার স্বীয় চেষ্টা খারা বীরে ধীরে ক্ষমতা অন হয়নি, যে উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমাত্রা পেয়েছে, প্রথই দেখা যায় সে ভরতার অপব্যবহার করে। এটা সাফল্যের প্রতি মারাত্মক ভিকর। হঠাৎ করে যারা ধনী হয়
পৃষ্ঠা:৮৮
তারা পরিদ্রদের থেকেও ভাসেক হসনিক রোগে আক্রান্ত।২৬। ইচ্ছাকৃত অসততা। সততার বিপরীতে প্রতিস্থাপন যোগ্য কোনো কিছু নেই। একজন হয়তো পরিস্থিতির চাপে পাড়ে সামরিকতায়াবে অসৎ হয়ে পাবে। কাল মনের সময়ই দেখা যায়, পরিস্থিতির ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রেণ নেই। কিন্তু যে ইচ্ছাকৃতভাবে হলং তার জন্য কোনো আশা নেই। জাহে বা দূরে, তার কাজের জন্য রাজে বরা নিয়েই হবে। সে সদ্দান রাজাবে। হয়তো তার স্বাধীনতাও হায়াতে পারে। এখনেই সে তয় কৃতকর্মের নাম পরিশোধ করবে।২৭। আমিত্ব ও অহংকার। এই গুণগুলো এমন সেবা দেয়, যেন লাল বাতি যা অন্যদের নহর্ক করে যেন সূরে থাকুন’। এগুলো সাফল্যের প্রতি মাধ্যাত্মক গুল্লিকর।২৮ চিন্তা করার পরিবর্তে অনুমান করা। বেশিরভাগ লোকজন পর্যাপ্ত স্বঞ্চ নিতে, বসে বিশ্লেষণ কহে, পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করতে খুবই অনমন্ত্রী রা অলন। এর পরিবর্তে তারা অনুমানের ভিত্তিতে কাজ করতে চায়। তারা অনুমাদ চিহ্নিত কাজ করতে পছন্দ করে বা হঠাৎ কোনো কাজের কথা মনে পড়লো, ‘চলে এটা করে তেলি’, আর কাজটি করে ফেলতে। তারপর আকাক্রিয় ফলাফল নর পেলে বলে, আমার ভাগ্যে ছিল না। অথচ সে যদি পূর্বে তথ্য সরগ্রহ করে বিশ্লেষণ করতো, তবে দে সহলেই দেখয়ে পেতে যে এই পদ্ধতিতে কাজ করলে যার্থতা২৯। পুঁজির অভাব। এটা একটি সাধারণ কারণ। যারা প্রথম ব্যবসা শুরু করে হলো মধ্যেই এটা বেশি দেখা যায়। পর্যাও পুঁজি না থাকলে ব্যবসায় তোমার যে ক্ষতি হলে, ভুল হবে দেয়ালা সংশোধন করে পুনরায় ব্যবসায় নামতে পারবে না। একমাত্র ব্যর্থ রায়, ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুনরায় নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজে সামলেই কেবল ব্যাতি পেতে পারেন।৩০। এটার নিচে, যে কোনো বিশেষ ব্যর্থতার কারণ এর নাম লিখুন: যাতেআপনি ভূগছেন। হে নাম আমাদের উপরে উল্লেখিত আলিকায় যুক্ত করা হয়নি। আপনি যে কোনো বার্মায়র কারণ খুঁজতে গেলে প্রধানত এই ত্রিশটি কারণ খুঁজেএটা জীবনের এক দূরবময় ঘটনার বিবৃতি। এই অভিজ্ঞতা তারাই লাভ করে স্থাপনাকে উত্তমভাবে জানে, যাতে হিমি আপনার লাগে তালিকাটের মধ্য দিয়ে যন্ত্রর এরা হিশট বার্ণমার আরণ বিশ্লেষণ করতে তোমাকে সহায়তা করবে। অথবা তুমি হাদি একা একাই চেষ্টা করেং, হবে মারও বেশি লাভবান হবে। বেশিরভাগ লোকহন যারা চেষ্টা করেও পার্থ হয়। এটা সহায়ক হবে যদি তুমি কারও সাহায্য নেন, মিথিনিজেদের দেখতে পায় না, যেমন অন্যরা তাদের দেখে। তুমি হয়তো সেই একজন, যে নিজেকে দেখতে পায় না।সতর্কীকরণগুলহার মধ্যে সর্বাধিক পুরাতন হচ্ছে, ‘মাধুষ, নিজেকে জানো।’ হদিতুমি নিজেকে বা নিজের পড়তে সফলভাবে বাজারজাত করতে চাও, তবে তোমাকে অবশ্যই নিজের সম্বন্ধে বা নিজের পণ্যটি সম্বন্ধে জানতে হবে। এই দত্তা সব ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হোমাতে তোমার সব বরনের দুর্বলতা সম্বন্ধে জানতে হবে, গায়ে তুমি সেগুলোর ওপর সেতু নির্মাণ করতে সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত করতে পারো। তোমাকে জানতে হবে, তোমার সব শক্তি প্রথছে যাতে তুমি সেগুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে পারো। এতে চাকরিতে বা ব্যাবসাতে নিজের শক্তিগুলোকে প্রয়োগ করতে জানতে পারবে কেবল যথার্থ বিশ্লেষণের মাধ্যমে। আর এই বিশ্লেষণ রীতারে করবেন। সামনে পড়ে যায়। সামনেই কিছু প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে, যা তোমাকেসহায়তা করবে।এখন এক যুবক সম্পর্কে বলি। সে একটি পদে চাকরির জন্য একটি কোম্পানিতে আবেদন করে। তাকে সাক্ষাৎকারের শুন্য ডাকা হয়। তো ব্যাবস্থাপকের সাথে বেশ ভালোই আলাপ গুলো। শেষে ব্যবস্থাপত্র যাতে জিজ্ঞেস করলো, তুমি করো বেতন আশা করছো?’ জবাবে সে বললো, আমি তো তেমন কোনো সংখ্যা স্থির করি নাই। এটা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের যন্ত্রার। তারপর ব্যবস্থাপতটি বললো, ‘আমরা তোমাকে ঠিক ততটুকুই বেতন দিবো, যতটুকুর তুমি যোগ্য। তবে আমার এখানে আগে এক সপ্তাহের জন্য কাজ করে দেখাতে হবে।আবেদনকারী এবার চটে গেল, ‘অসম্ভব: আমি এখন যেখানে প্রায় করি, যেখানে আমি বেশ ভালো বেতন পাই। আর আপনার এখানে পরীক্ষামূলক কাজ করার পর যদি আমি নির্বাচিত না হই, তবে রো আমি পূর্বের চাকরিটিও হারাবো।’এখন অগেই চিন্তা করুন। বেরনের ব্যাপারটিও আগেই বলুন। নিজে যোগ্যতাকে ঠিক মাপকাঠিতে মেপে নিন। তারপর অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তা করুন। যে কোনো চাকরি খোঁজার আগে দেখে নাও। হয়তো তুমি এখন যেখানে আছো দেখানেই তুমি যথার্থ মূল্য পাচ্ছো।একটি জিনিস চাওয়া, আর সেটিকে নির্দিষ্টভাবে চাওয়ার মধ্যে ব্যাপক পার্থীর।। সবাই অর্থ চায়। কিন্তু করো চায়? একজন মানুষ কতো টাকা চায়? এটা যদি নির্মিয় করে, তবেই সে তার নির্দিষ্ট আকাক্ষার জন্য নিজের পুরো মনোযোগ দিয়ে পারবে এবং নিত্যনতুন দক্ষতা ও যোগ্য অর্ডান করে, সেই অর্থ পাওয়ার চেষ্টা করবে।
পৃষ্ঠা:৮৯
মারার অনেবে বেহনের উতার ওপর ভিত্তি করে তাদের বিয়েকে নিজের ক্যাচনিজেকে উদ্ভাবন করো নিজেকে জানতে ২৮টি প্রশ্ননিজেকে হানো নিজেকে জানতে হলে।না-এয় ব্যবসা ছির হেউচিত। যদি তোমার মাগতি নীবও হয় তবুর এগিয়ে যেতে হবে। তোমার বাতাবিক আত্ম-বিশ্লেষণ তৈরি হওয়া উচিত বল্লোত বছরের শেষের দিতে। যাতে তুমি মাপণার নতুন বহরের সংয়ান্ডালাতে যে কোরে সংশোঞ্চন, যে কোলে সরকার কিছু পালে দিয়ের বহুগুলো নিজেকে জিমেয় করে এবং বিয়েতে উদ্ভাবন করো। তুমি সহয়েশিয়া নিয়ে পরে। এয়ন। তুমি আয়ো, ঠিক তাইনিজেকে উদ্ভাবন করো আত্ম-বিশ্লেষণের প্রশ্নালিআমি এই পাতলা করতে যে লক্ষ্যটি অর্জন করবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলামযার সাইটে এই কবেষ্ট দাবি, হবে এই চামান আয় বীজবে নিতে গিয়ে আমি কি আমার কোনো নক্ষতা, যোগ্যরাas made apte in sore the ageসম্মান সেন্টায় গুণমান কেমন ছিল? কেবল চেষ্টা করলেই হবে না,সরদময় সহযোগিতাপূর্ণ ছিল?৩৫. আমি কি আমার বালিারিতা হ্রাস করতে গড়িমসির ম্যাসটিকে অনুমতি২২. আমি কি আমার প্রতিত্বে অংগাড়ি তৈরি করেছি এবং যদি করে থাকি, তবে১৭. আমি কি আমার পরিকল্পনা অনুসরণে অধ্যবদায়ী ছিলাম।
পৃষ্ঠা:৯০
০৯. আছি কি হয়টি মূল নীতির যে কোনো একটি বা একাধিক ঐতিকে আমার কার্যকারিতা ড্রাগ করতে অনুমতি দিয়েছিলাম।১০. আমি তি ‘অতি-সরক’ ছিলাম, পকি ‘তর-সতর্ক ছিলাম? ১১. আবার সহযোগীদের সাথে আমার যথছ কি সন্তোষজনক। নাকি অসন্তোষগুণক?যদি এটা ভগগ্রোথয়ক হয়, তবে ভুলটি কি আংশিকভাবে আমায়, নাতি সম্পূর্ণভাবে১২. আমি কি আমার চেষ্টার প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রভূত না করে আমার শক্তির অপচয় করছি?১৩. আমি কি লোকজনের সাথে যোগাযোগকালে মন খুলে কথা শুনেছি। আমি কি আলাপকালে ধৈর্যশীল দ্বিলামা১৪. আমি আমার দক্ষতা ও যোগ্যতাকে জোন পথে বুদ্ধি করেছি বা জোন ফোনে। দিলে উন্নত করেছি।১৫. আমার কোন অভ্যাসগুলোর প্রতি আমি অধৈর্য ছিলাম?১৬. আমি কি কোনো ধরনের অমিত্র বা অরংজ্ঞার প্রাকাশ করেছিলাম। গোগাভাবে বা গোপনভাবো১৭. আমার আচরণ কি আমার সহযোগীদের প্রতি এমন ছিল যে, আমাকে সম্মান করার প্রতি এনী যাদের প্রবৃত্ত করেছে?১৮. আমার মতামত ও দিক্ষাত্তের ভিত্তি কি অনুমাদের এশর; পাকি যথার্থ বিশ্লেষণও চিড়ার ওপরা ১৯. আমি কি আমার আয়, বরও সময় হিদার করে খরচ করেছি? আমি কিমিতব্যয়িকার এই অভ্যাস গঠন করেছ? আমি কি উদ্দেশ্যবশত কম খরচ করেছি?২০. আমি আমার কতো সময় অলাতগ্রনক চেষ্টায় উৎসর্গ করেছি, যা আমি হয়তো আমার উত্তম সুবিধার প্রতি প্রয়োগ করতে পারতাম?২১, আমি কীভাবে আমার সময়ও অভ্যাসকে পরিবর্তন করতে পারি, যাতে আমিআগামী বছরে আরও কার্যকরী হতে পারি?২২. আমি কি এমন কোনো আচরণ করেছি, যাতে আমার বিবেক আমাকে অনুমতি যোনি?২৫. আমি এখন যা বেতন পাই তারচেয়ে আমি আর কোন পথে আরও বেশি দেনাও উত্তম সেখা সম্পন্ন করতে পারিয়অন্যায় করেছি?২৪. আমি কি কারও প্রতি অন্যায় করেছি এবং যদি করে থাকি তবে কোন পথে২৫. যদি আমি আমার নিজের সেবাগুলোর ক্রয়কারী হতাম তবে কি আমি আমারক্রয়ের প্রতি সন্তুষ্ট হতাম?২৬. আমি কি ঠিক পেশায় আছি এবং যদি না থাকি, তবে কেন নয়?২৭. আমার সেবাগুলোর ক্রয়কারী কি সন্তুষ্ট হয়েছে যে, সেবা আমি সম্পন্ন করেছিএবং বদি না হয়, তবে কেন নয়?২৮, সাফল্যের মৌলিক সূত্রগুলোতে আমার বর্তমান পর্যায় কতো? (এই পর্যায় তৈরি করুন ন্যায্যক্রাবে ও সাহলীয়াতে এবং এটাকে যথেষ্ট সাহসী একজনকে দিয়ে পরীক্ষাকরুন।)এই অধ্যায়টি ধীরে ধীরে পাঠ করুন এবং ওখাটি সম্পূর্ণ উপলব্ধি করুন। যে অর্থ এই অধ্যায় বহন করে তা বুঝো। তারপর তুমি তোমার দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে চাকরি পেতে একটি বাস্তবিক পরিকল্পণা তৈরি করো।সুপ্রাচীন যদি দ্বারা মোড়ানো ‘সাতান্নটি’ বিখ্যাত অজুহাতযেসব লোকজন সফল হয় না, তানের সবার মাক্ষে একটি সুদ্ধ মিল রয়েছে। তারা সবাই ব্যর্থতায় সব ধরনের কারণ জানে এবং তারা বিশ্বাস করে যে, আদের অজুহাতগুলোই হচ্ছে তাদের ব্যর্থতার প্রধান কারণ। তারা প্রতিনিয়ত তাদের জীবনে সফল হতে না পারার কারণ হিসেবে তাদের অজুহাতগুলোকে কৈফিয়ত অপে ব্যবহার করে থাকে।হয়তো এগুলোর মধ্যে অল্প কিছু কারণ সমর্থন করা যায়। হয়তো কিছু গেতেমন এমন আচরণ করে চালাকি দেখাতে যায়। কিন্তু আপনি এখনো অজুহাত দিয়ে টাকা আয় করতে পারবে না। বিশ্ব কেবল একটি চিনিগই জানতে চায়, আর তা হচ্ছে, ‘তুমি কি সমণা হয়েছো?একজন চরিত্র বিশ্লেষক অজুহাতের একটি তালিকা তৈরি করেছেন। এইতালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অজুহাতগুলো দেখানো হয়েছে। তালিকাটি যখন পাঠ করবে, তখন নিজেরে সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করো। যদি তোমার মধ্যে এই অজুহাতগুলোর কোনোটি থাকে, তবে তা খুঁজে বের করো। আর মনে রাখবেন এই বইয়ে প্রতাশিত দর্শনটি এই সবগুলো অজুহাতকে বাতিল করে নিয়েছে। যদি আমার বউ ও পরিবার না থাকতো….যদি আমার ওপর গথেষ্ট ‘চাপ’ থাকতো…যদি আমার টাকা-পয়সা থাকরো…..যদি আমার পড়ালেখা থাকতো
পৃষ্ঠা:৯১
হদি আমি ঋন থেকে বের হতে পারতাম…. হনি আমি শুধুমাত্র জানতাম কীভাবে যদি মাটি এতো পরিমাণ উদ্বিগ্র না হতাম…. হাসি আমি ঠিক পুরুষকে বিয়ে করতাম অথবা যদি আমি ঠিক নারীকে বিয়ে করতাম আমি নিজের ওপর বিশ্বাস রাযতাম….. তুমি জাগো মামার বিরুদ্ধে না থাকবো…. হলি এটা সত্য না হতো না, সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা… যদি আমি একটি ভিন্ন পরিবেশে থাকতাম, তীত না থাকতো… যদি মামার কোন দিচয় ব্যবসা থাকতো…হদি এবং সরগুলোর মধ্যে এই শূন্যস্থানই (….) হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক। এখনে তোমার পছন্দময়ে অন্য কোনো অজুহাত বাতে পালে।নিজেকে এলো, আমি নিজের সম্পর্কে জানার ও নিজেকে খুঁজে দেখার সাহস দেখিতাছি। আমি যেমন আমি তেমনি নিজেকে খুঁজে বের করবে। আমার ভুল তুল ও বার্থতা থেকে শিক্ষা দিয়ে একটি নতুন সুযোগ পাবো, যা কাজে লাগিয়ে আমি সহাল হবে আমি চানি আমার কিন্তু ভুল আছে। না হলে আমি আজকে সেই জায়গায় থাকতাম, যেখানে আমার থাকার কথা। যদি মমি আমার দুর্বলতাগুলো মাসেই নিরীজা আয়ম এবং সেগুলোতে ঢাকার জন্য অজুহাত না দিতাম, তবে আমিও মাড় সাফল্যের শিখরে থাকতাম। তাই আমি পূর্বে যে ভুল করেছি, তা আাতকে করবো না। আমি নিজের আয়বিশ্লেষণ করে নিয়েতে সাফল্যের পথে কোমায় আমি জানবো। তারপর তা সংশোধন করবে। এরপর মনি হাতে আমার* সহ। ঘিকে আগ তো বিচ, নেপোলিয়ন হিল, মুক্তদেশ প্রকাশন।
পৃষ্ঠা:৯২
আশা জাগিয়ে রাখো! তাহলে পাহাড় নাড়িয়ে দিতে পারবেবহু বছর আগে রেভারেও রেসি জ্যাবাসন ইউএন ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে বক্তৃতা নিয়েছিলেন। হিনি সেখানে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করেন, যা কনভেনশনে যেন আগুন ধরিয়ে নিয়েছিল। তিনি শুধু তিনটি শব্দ উঞ্জারণ করেন, আশা জাগিয়ে রাখো। আশা জাগিয়ে রাখো।”তিনি বারবার এ কথাগুলোই বলছিলেন। দর্শক ফেটে পড়েছিল বাস্ততালিতে। তিনি আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন।মামিও এ কারণে বইটি লিখেছি তোমাদের আশা জাগিয়ে দিতে: যে আশা দিয়ে তুমি বদলাতে পারো, ছুড়ে ফেলে দিতে পারো দেশা, জোরদার করতে পারো সম্পর্ক। এ আশ্ব তোমাকে ডোমার সমস্যার জবাব খুঁজে দিতে পারে এবং পৌছে দিতে পারে তোমার সর্বোচ্চ যাননায়।এ বইটি পড়ার পরেও যদি তুমি বিড়াল বোধ করো, কীভাবে শুরু করবে ব্রু খুঁজে না পাও, তাহাগ একটা কাজ করো। প্রতিটি অধ্যায়ের মূল আইডিয়য়গুলোয় দ্রুত একবার চোখ বুলিয়ে যাও অথবা নিজেকে প্রশ্ন করতে পারো, ‘কোন অভ্যাসটি আামর কাছে সবচেয়ে কঠিন বলে মনে হচ্ছে?’ তারপর দুটি না ক্রিমটি বিষয় নিয়ে কাজে লেগে যাও। এগুলো কাগজে লিখে দিয়ে এমন জায়গায় রাখবে, যাতে সহজেই চোখে পড়ে এবং প্রায়ই রিনিউ করতে পারো। তারপর ওগুলো পাঠ করে অনুপ্রেরণা লাভের চেষ্টা করো।ছোট ছোট যেসব পরিবর্তন তোমার মধ্যে আসবে, তা তোমাকে নিশ্চিত করে তুলবে। ক্রমান্বয়ে তোমার মধ্যে বৃদ্ধি পাবে আত্মবিশ্বাস, নিজেকে সুখি মনে হতে থাকবে, তোমার লক্ষ্য পরিণত হবে বাস্তবে, তোমার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে, মনে আসবে শারি। সবকিছুর শুরু হবে একটিমাত্র পদক্ষেপের মাধ্যমে। কোরে অভ্যাস বা আইডিয়া যদি সত্যি তোমার মনে ধরে যায়, তাহলে তা স্মৃতিতে রাজা থাকতে থাকতে অল বাইতে শিখিয়ে দাও।যদি দেখো তুমি পেরে উঠছো না, হতাশ হয়ো না। বিমানের ফ্লাইটের কথা চিন্তা করো। প্লেন আকাশে ওঠার পার এটির একটি ফ্লাইট প্ল্যান গাংকে। ফ্লাইটের গমন পথে কড়-গুড়া বৃষ্টিপাত, এয়ারট্রাফিকসহ আরও নানান কিসিমের ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে। বিমান তার যাত্রাপথে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোর্স থেকে সরে যায়। পাইলটের কাজ ইন্সট্রুমেন্ট দেখে ছোট ছোট কোর্সগুলোর কারেকশন করা এবং কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে কথা বলা। এর ফলে প্লেন তার গন্তব্যে পৌছাতে পারে।তুমি তোমার ফ্লাইট প্ল্যান থেকে ছিটকে পড়ে গেছো, যদি মনে হয়, তাহলে কিছু আসরে যাবে না। শুধু যদি নিজের পরিকল্পনার অটল থাকতে পারে, ছোট ছোট আ্যাডজাস্টমেন্টগুলো করে নিতে পারো এবং চাগিয়ে রাখতে পারো মাশা, তুমি অবশেষে তোমার গন্তব্যে অবশ্যই পৌছাতে পারবে।বইটি এখানেই শেষ। আমার সঙ্গে ভ্রমণের জন্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। শুধু এটুকু বলবো তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে আমি আশাবাদী। তোমাদের নিয়তি নির্ধারিত এয়ে। রয়েছে ভালো কিছু করার জন্য। সবসময় মনে রেখো, সফল হওয়ার মতো সবকিছু নিয়েই তোমরা জন্মেছো। অন্য কোথাও তাকাবার প্রয়োজন নেই তোমাদের। শক্তি এবং আলো তোমাদের মধ্যেই রয়েছে। তোমাদের মঙ্গল কমেনায়। শন কোভি।