Skip to content

কেটেছে একেলা বিরহের বেলা

পৃষ্ঠা ০১ থেকে  ০৬

পৃষ্ঠা:০১

এক মাস ধরে বইমেলা চলছে। আমি ঘরে বসে বিরহের বেলা কাটাচ্ছি। মেলায় যেতে না পারার বিরহ। সম্প্রতি ঘরে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় আমাকে কিছুটা সময় বারান্দায় বসে থাকতে হয়। বারান্দাটা এমন যে এখান থেকে দালানকোঠা ছাড়া কিছু দেখা যায় না। তবে একটা আমগাছ চোখে পড়ে। আমগাছে মুকুল এসেছে। বসন্তের নমুনা বলতে এটুকুই। আমাকে বারান্দায় বসে থাকতে দেখলেই পুত্র নিষাদ পাশে এসে বসে। সে এখন ‘কেন?’ স্টেজে আছে। এই স্টেজের বাচ্চারা ‘কেন?’ ‘কেন?’ করতেই থাকে। বাবা, বারান্দায় বসে আছ কেন? আমগাছ দেখছি। আমগাছ দেখছ কেন? দেখতে ভালো লাগছে, তাই দেখছি। ভালো লাগছে কেন? জানি না। জানো না কেন? বাবা! যথেষ্ট বিরক্ত করেছ। এখন তোমাকে ধরে আমি একটা আছাড় দিব। আছাড় দিবে কেন?

পৃষ্ঠা:০২

পুত্র কেন কেন করতে থাকুক, আমি মূল রয়নাথ ফিরে যাই। বইমেলা বিষয়ক রচনা। মেলায় নিয়ে যেতে না পানেও টিভি চ্যানেল এবং পত্রিকার কলামে মেনা দেখা হচ্ছে। ভ্যালামভোট হচ্ছে। মাঠে না গিয়ে ঘরে বনে উলিভিশনে ক্রিকেট খেলা দেখার মতো। আনেক খুঁটিনাটি চোখে পড়ছে। মেলায় উপস্থিত থাকলে চোখে পড়ত না। কিছু লেখক এবং প্রকাশকড়ে দেখলাম ঐতিহা নিবে দিয়ে নস্তির। ঐতিহ্য বজায় রাখতেই হবে। মেলা বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণেই হতে হবে। অন্য কোথাও হওয়া যাবে না। গায়ে গা লাগিয়ে মানুষ হাঁটব্দে। বই হাতে নিয়ে দেখার সুযোগ নেই। বাচ্চারা ভিড়ে অস্থির হয়ে কাঁদছে। কেউ কেউ হারিবে যাদ্দে। বখাটে ছেলেরা থাকছে যদি সুযোগ বুঝে কোনো ভরুণীর গায়ে হাত রাখা যায়। তসলিমা নাসরীন দেশে নেই। ভরুণী বাহিত হলেও লেখার কেউ নেই। সাবিত্র হলেও ঐতিহা তো বজায় থাকবে। টিভিতে বইমেলা দেখে আমি মাঝে মাঝেই আতঙ্কে অস্থির হয়েছি। যদি আগুন লাগে, যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে কি নমকবের গাড়ি পৌষতে পারবে? ছোটাছুটি শুরু হলে বাচ্চারা কোথায় যাবে? কলকাতার অতি প্রশস্ত বইমেলাও একবার জবুনে পুড়ে ছাই হয়েছিল। সে সময় আমি কলকাতার বইমেলায়। কী ভয়ঙ্কর অবস্থা হবেছিস আমার साना আছে। ঐতিহা-প্রেমিকদের বলছি, ঐতিহ্যও বদলায়। একসময় আমাদের পূর্বপুরুষরা ধুতি পরহেজন। ধুতি পরার ঐতিহা থেকে আমরা সরে এনেছি। আগের লেখকরা ঝর্না কলমে লিখতেন। এখন আনকেই কম্পিউটারে লেখেন। অর্না কলম নামক ঐতিহ্যের মৃত্যু। বাংলা একাডেমীর পাশেই বিশাল মাঠ পড়ে আছে। নেই মাঠ কারো চোখে পড়ছে না। আমরা আটকে আদি খুপরিতে। বাংলা একাডেমীর কর্তারা কেন মেলা পরিচালনা করছেন তাও বুঝতে পারছি না। মেলা পরিচালনা করবেন প্রকাশকরা। নীতি তাঁরা নির্ধারণ করবেন। বইমেলায় ঠোঁটে বেড়ানো, নতুন প্রকাশিত বই হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার আনন্দ থেকে বাংলা একাডেমী পাঠককে বঞ্চিত করছে। মেলা তাঁদের হাতের মুঠোয় রেখে দিয়েই কামটা করছে। প্রসঙ্গক্রমে অভীতের এক বইমেলার ঘটনা বলি, আমি একটা স্টলে বসেছি। কিছুক্ষণের মাধাই বাংলা একাডেমীর ডিজি আমার কামে চলে এলেন। তার নাম, আন্দা থাক, নাম বললাম না। ডিজির চোখ-মুখ শক্ত। জিনি বললেন, আপনি মেলায় থাকতে পারবেন ना। আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন পারব না? তিনি বললেন, আপনার কারণে মেলার বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটবে। আপনাকে এক্ষুনি উঠে যেতে হবে। আমি বললাম, বাবস্থা করে দিন যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। লেখক হিসেবে আমার অধিকার আছে মেলায় আমার। বইমেলা শুধু পাঠক-প্রকাশকের মেলা নয়। (লখকদেরও মেলা। আপনার সঙ্গে উর্কে যাব না। আপনাকে মেলা ছেড়ে চলে যেতে হবে।

পৃষ্ঠা:০৩

আমি বেশ মন খারাপ করে বাসায় চলে এলাম। তারপর অবশ্য ঘটনা অনেকদূর দেস। আনক প্রকাশক মোবধা করলেন তাঁরা মেলা করবেন না। সংসদে পর্যন্ত বিষয়টি উঠল। বাংলা একাডেমীর ডিজি আমার ধানমণ্ডিয় ব্যাদয়ে উপস্থিত হবে বলতে শুরু করলেন, আমার লেখ্য তাঁর কত পছন্দ ইভ্যাদি। আমি মেলায় যাওয়া এরপর থেকে বন্ধই করে দিলাম। এক দিন কিংবা দুদিন শুধু যাই। আমার অবস্থা চিলের মতো। দিল আকাশে ওড়ে, তার মন পড়ে থাকে মাটিতে। আমি আমার মরের বারান্দায় বসে থাকি, আমার মন পড়ে থাকে বইমেলায়। আমি যে ফ্ল্যাটে থাকি, তার পাশের ব্ল্যাটে থাকেন মাজহারুল ইসলাম, অনাপ্রকাশের মানিক। তিনি চুমায়ুন আহমেদ। টাইন বাজারি। লখকদের বই দেপে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ডার স্টলের সামনে নাকি ভিড় লেগে থাকে। অপরপক্ষ তরুণ-তরুণীরা নামির মতো ভিড় করে বাজারি লেখকদের বই কিনতে চায়। ভালো কথা, বাজারি লেখক বিষয়টি জরো পরিষ্কার করা দরকার। বাজারি লেখক মানে ভুন্দ লেখক। ভেল- সাবান-পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ বিক্রেতা টাইগ লেখক। এদের নই বাজারে পাওয়া যায় বলেও বাজারি। খাঁদের বই বাজারে পাওয়া যায় না, তাঁদের বাড়িতে কার্টুন ভর্তি থ্যাক, তাঁরা মহান লেখক, মুক্তবুদ্ধি লেখক, কমিটেড লেখক, সভ্যদস্তানী লেখক। তাঁদের বেশির ভাগের ধারণা, তাঁরা কাপজয় করে ফেলেদেন। এয়া বাজারি লেখকদের কঠিন আক্রমণ করতে ভালোবসেন। তাঁদের আক্রমণে শালীনতা থাকে। তাঁরা সরাসরি কখনো আমার নাম নেন না। তবে বুদ্ধিমান পাঠকরা বুঝে ফেলেন কাকে ধরা হন্দে। তাঁদের আক্রমণের নমুনা, ‘অনাপ্রকাশের সামনে জনৈক বাজারি লেখকের বইয়ের জন্য তরুণ-তরুণীর সমাবেশ দেখে দীঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয়। এরা সৎিসাহিভা থেকে বঙ্গিত। ক্যীকরিত উদ্ভট চরিত্রের গানগরে বিভ্রায়। বায়ারি লেখক এবং ভার প্রকাশকের অর্থ যোগান দেওয়া ছাড়া এই তরুণ-তরুণীরা আর কিছুই করছে না… কালজয়ী এসব মহান লেখকের সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দেখা হয়ে যায়। বেশির ভাগ দেখা হয় দেশের বাইরের বইমেলার। আমার সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে তাঁরা কিছুটা বিচলিত বোধ করেন। কেন করেন তা আমার কাছে স্পার্ট নয়। এমন একজনের সঙ্গে কথোপকথনের নমুনা কালজয়ী কেমন আছেন? আমি কি ভালো। কালজয়ী: ইদানীং কিছু কি লিখছেন? আমি: একটা সস্তা প্রেমের উপন্যাস লেখার চেষ্টা করছি। যতটা সস্তা হওয়া দরকার ততটা মায়া হচ্ছে না বনে অস্বস্তিতে আমি। আপনার দোয়া চাই যেন আরেকটা সত্য লেখা লিখতে পারি। কালজয়ী: (গষ্টীন) আমি: আপনি কি মহান কোন লেখায় হাত দিয়োঘন? কালজয়ী: আপনার রসবোধ ভালো। মান্দা পরে কথা হবে।

পৃষ্ঠা:০৪

কালজয়ীরা আবার ওস্তুতি গমনন্দ করেন। তারা নিজেদের গ্রহ মনে করেন বলেই উপগ্রহ নিয়ে ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করেন। গ্রহদের সঙ্গে আমার যোগাবোর কখনোই থাকে না, কিছু উপগ্রহের বসে থাকে। উপগ্রহন। উপযাজক হয়েই উলিফোন করেন। উদোর টেলিফোন গেলে আতঙ্কিত বোধ করি। কেন আতঙ্কিত বোধ করি তা ব্যাখ্যা করছি উপগ্রহের উলিফোন ওসেছে, কণ্ঠ উল্লেসিত। উত্তেজনার ভেতর চাপা আনন্দ। হুমায়ূন ভাই! আপনাকে তো দুইয়ে কোলঘে। এক সুইয়েছেন? করুদ্দীন উমর। কোথায় শোয়াবেন? সনকান পত্রিকার সেকেন্ড এডিটরিয়েল। উনি বলেছেন, আপনার লেখায় শিক্ষামূলক কিছু নাই। এটা তো উনি ঠিকই বলেছেন। আমি তো পাঠ্যবই লিখি না। আমার বই শিল্ডামূলক বই হবে কেন? জীবান একটাই পাঠাবই নিখেছিলাম কোয়ান্টাম রসায়ন। সম্ভবত ওনার চোখ এড়িয়ে গেছে। না হুমায়ূন ভাই, আপনি জিনিসটা হালকা দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। একটা বাদানুবাদ হওয়া উচিত। আপনি একটা কাউন্টার লেখা দিন। এটা আমার রিকোয়েস্ট। আমি টেলিফোনের সাইন কেটে দিলাম। রাতের আড্ডায় (ওবফ ঋভড়বং ঈর্ষন) আমার সমকাল-এর পাভার শুয়ে পড়ার ঘটনা কালাম। বন্ধুরা ানন্দ দেন। আমার যেকোনো পতন আমার বন্ধুদের কাছে আনন্দময়। এখন শিক্ষা বিষয়ে বলি। অতি বিচিত্র কারণে বাংলাদেশের মানুষ সব কিছুতেই শিক্ষা খোঁজে। ওয়-উপন্যাসে শিক্ষা, নাটক-সিনেমায় শিক্ষা। একসময় ঈদে প্রচারিত হাসির নাটকের শুরুতেই আমি লিখে দিতাম ‘এই নাটকে শিক্ষামূলক কিছু নেই।’ সাধারণ মানুষ এবং অন্যধারেল সমালোচকায়াই শুধু যে শিক্ষা খোঁজেন তা নয়, দেশের প্রধানরাও শিক্ষা নিয়ে আগ্রহী। তাঁরাও একে অনাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নানান ব্যাতিক্রমী কর্মকাও হাতে নেন। শিক্ষা নিয়ে এক উদ্বেগের পরও জাতি হিসেবে আমরা ক্রমেই মূর্খ’ হচ্ছি কেন কে বলবে? আন্দা শিক্ষা আপাতত থাকুক। সহান কালজয়ীর্য বর্তমানের কুসাহিজা নিয়ে চিত্তায় অস্থির হাত থাকুন, আমি ফিরে যাই বইমেলায়। আপনারা কি জানেন, মেলায় প্রকাশিত চমৎকার সব প্রদ্দদের বইগুলোর বেশির ভালো লেখক প্রবাসী! তাঁরা বছরে একবার ডলার-পাউন্ড পাকোট নিয়ে দেশে আসেন। প্রকাশকদের সঙ্গে চুক্তি হয়। খরা তাঁদের। প্রকাশকরা শুধু বই দেশে দেবেন। প্রবাসী লেখকদের বইয়ের মোড়ক উম্মোচন খুব ঘটা করে হয়। আমাদের দেশের মন্ত্রীদের হয়ত কাজকর্ম নেই বলেই হয়তো মোড়ক উম্মোচন নামক অনুষ্ঠ্যান তাঁদের ডাকলেই পাওয়া যায়। দুই বছর আগের কথা। এক প্রবাসী কবির বই বের হয়েছে, তিনি চাচ্ছেন আমি বইটির মোড়ক উন্মোচন করি।

পৃষ্ঠা:০৫

আমি বললাম, না। আমি একদিদের অন্য মেলায় যাই। সেদিনটা মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে নষ্ট করব না। ভদ্রলোক এবং তাঁর স্ত্রী অভান্ত মন খারাপ করলেন। তাঁদের মন খারাপ দেখে আমার নিজের মন খারাপ হয়ে গেল। আমি তখন বিকর প্রস্তাব দিলাম। আমি বললাম, আপনারা নূহাশ অহীতে চলে আসুন। নুহাশ পল্লীর দিঘিতে আমার একটা নৌকা আছে। আপনি নৌকায় বাস নিজের কবিতা আবৃত্তি করবেন। আমরা দিঘির মাটি বসে থাকব। পুরো অনুষ্ঠান ভিডিও করে আপনাকে একটা কপি দেব। নেই ভিডিও আপনি বন্ধুবান্ধবদের দেখাবেন। এর জন্য আপনাকে একটি পয়সাও খরচ করতে হবে না। নুহাশ লেচ্চিত্র ভিডিও করে দেবে। ভদ্রলোক আনন্দে অভিভূত হলেন। মথ্যসময়ে অনুষ্ঠান হলো। তিনি নৌকায় দাঁড়িয়ে কবিতা আবৃত্তি করছেন। আমাদের বাবস্থা দেখে তাঁর চোখে একটু পর গ্যয়া পানি আসছে। তিনি গ্রাম মুদ্দদেন। তাঁর স্ত্রীও আমার পাশে বাসেই কবিতা পুনছিলেন। জিনি একপর্যায়ে জলভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ইংরেজিতে যা বললেন তার ঘরণ বাংলা হলো, ভাঁদের দুষনের জীবনে অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা আজকের অভিজ্ঞতা। তাঁরা সারা জীবন এই সুখস্মৃতি আয়ার সালন করবেন। তাঁর স্বামীর একটা কবিতার বইও যদি কেউ না কেনে, ভাতেও কিছুই আর যায় আসে না। এই প্রবাসী কবির কথা থাকুক, অনা আরেকজনের গল্প করি। ডিনি কানাডাপ্রবাসী কবি। তাঁর নাম ইকবাল হামান। প্রতিবছরই বইমেলায় তাঁর কবিতার বই প্রকাশিত হয়। এই কবি আমাকে একবার জন্যে বিদদে ফেলেছিলেন। বিপদের গল্পটি বলা যেতে পারে। আমি গিযেদি নিউইয়র্কে। বিশ্বজিৎ সায়া বইমেলার আয়োজন করেছেন। আমি বইমেলার অভিষি। মেলা উপলক্ষে কানাডা থেকে কবি ইকবাল হাসান এসেছেন। তিনি আমাকে ধরে বসলেন, একটা ইন্টারভিউ তাঁকে দিতেই হবে। আমার নিশ্চয়ই ভখন শনির দশা চলছিল, কাজেই রাজি হয়ে গেলাম। ইন্টারভিউ পর্ব শুরু হওয়া মাদ্র বুঝলাম ঘটনা অন্য। ইকবাল হাস্যনের প্রশ্নের নমুনা সুনলে পাঠকও বলবেন, ঘটনা অন্য। প্রশ্নের নমুনা ‘অনেকেই এখন বলছেন আপনি উপন্যাস হিসেবে যা লেখেন তা আসনে অপন্যাস। আপনি কী বলেন?” ‘আপনার হালকা লেখাগুলি কি বাধিম্যের উদ্দেশ্যে লেখা হয়?” ‘জীবনের গভীর বোধ আপনার লেখায় অনুপকিত কেন?” একই গল্প আপনি একটু এদিক ওদিক করে লেখেন। আপনার এই সীমাবদ্ধতার কারণ কী? ‘আপনার বানানো নাটক-সিনেমা আপনায় বইগুলির মতোই হালকা এবং অগভীর। এর কারণ কী?” আমি হাসিমুখে সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম। তিনি যে উত্তর শূনতে চাইছেন তা-ই বললাম। বদনাম, আমার লেখা মড়া। টাকার জন্য লমি এইসব। এবারের বইমেলায় (২০১০) ইকবাল হাসান এসেছেন। সমকাল পত্রিকায় কলাম লিখবেন। হঠাৎ সেখানে আমাকে নিয়ে এক লেখা। কি লেখা থাকবে আনি। ভদ্রভাবে গালাগালি। কবিরা সুন্দর কাব্যময় গদ্যে গালাগালি করতে

পৃষ্ঠা:০৬

পারেন। ইকবাল হাসানের লখ্য পড়ে চমকালাম। ইকবাল হাসান উস্টার্ণীত ধরেছেন। রচনা পাঠ করে মনে হলো হুমায়ূন আহমেদ একজন মহান লেখক। যাঁরা তার নিন্দামন্দ করেন, তাঁরাও সুযোগ পেলেই গোপনে ভার বই পড়েন ইভ্যাদি। আমার খুশি হওয়া উচিত, কিচ খুশি হওয়া দেল না। মনে হলো কবি নিশ্চয়ই অসুস্থ। সুখ ইকবাল হাসান ও ধরনের লেখা অবশ্যই লিখবেন না। তিনি দুপুরে টেলিফোন করে জানতে চাইলেন, আমি উত্তর লেখা পড়েছি কি না। আমি বললাম, গডেখি। উস্টার্গীত গাইছেন কেন? কবি বললেন, আগে যখন আপনার ইন্টারভিউ নিয়েছি, তখন আমি অপরিপক্ক দিলাম। আমি বললাম, এখন কি থেকেছেন? কবি হতাশাল্লায় গলায় বললেন, সুমায়ূন ভাই, আমি এ দেশের একমাত্র কবি যে আপনার নূহাশ পল্লী নিয়ে কবিতা লিখেছে। যার কেউ কিজ লিখেনি। আপনি কেন এরকম করে আমার সঙ্গে কথা বলছেন! আমি তাঁকে ধন্যবাদ দিলাম। তাঁর লেখা কবিভাটি পত্রস্ব করা হলো। নুহাশ পল্লী নিঃশ্বাস ফেলবে কোথায়? নেবে স্থান? শরীরকে দেবে অক্সিজেন? এখন বালামে শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইড_শুষে নেবে তেমন বৃক্ষ কোথায়? যেদিকে তাকাবে তুমি শুধু দূবিজ বাজাস। ‘বড় হয়ে দেখবে, পৃথিবী সুন্দর কতো মধ্যবয়সে এসে দেখি, এসব আশ্বাসবাণী শুধু শূন্যে ঝরে পড়ে। হাওয়া নেই শহরে ও গ্রামে। সবকিছু গিলে খান্দে বিৰাজ আকাশ। যদিও স্বপ্ন দ্যাখায় প্রভাতের রোদ আর রাতের নক্ষত্র তবু ভাবি। মেঘে মেঘে বেলা তো অনেক হলো, আর কবে আমাদের গ্রামগুলো নুহাশ পল্লীর মতো স্বয়ঙ্কর হবে? আকাশপরী, ইকবাল হাসান, পৃষ্ঠা-১৫, দি রমেন পাবলিশার্স, ঢাকা] পোকারা আমাদের ওপর রাগ করে কামড়ায় না। ভারা বেঁচে থাকতে চায় বলেই কামড়ায়। সমালোচকদের বেলায়ও কথাটা সত্য। তারা আমাদের রক চায়, আমাদের কষ্ট চায় না। ফ্রেডারিখ নীলে

Home
E-Show
Live TV
Namaz
Blood
Job