ঈগলের চোখ
পৃষ্ঠা ১ থেকে ৫
পৃষ্ঠা:০১
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
স্যা “র, আমি অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। ডিসিপ্লিন ব্যাপারটা আমার ধাতেই নেই। কিছুদিন দিব্যি রুটিন ফলো করতে পারি। সকালে ওঠা, দাঁত মাজা, দাড়ি কামানো, স্নান, বাটার টোস্ট আর ডিম দিয়ে ব্রেকফাস্ট, পোশাক পরে তৈরি হয়ে ব্রিফকেস নিয়ে বউকে একটা আলতো চুমু খেয়ে অফিসের জন্য বেরিয়ে পড়া-এসব মাসখানেক দিব্যি পারি। তারপরই আমার অস্থিরতা আসে। সাঙ্ঘাতিক অস্থিরতা। মনে হয় এইসব রুটিন আমার গলা কেটে ফেলছে, হাত-পায়ে
পৃষ্ঠা:০২
গড়ি পরাচ্ছে, একটটা নিয়েট দেয়ালে ঠেসে ব্যহছে আমাকে। আমার তখন ভীষণ কষ্ট হয়। পাগল-পাগল লাগে। আর তখনই আমি আমার কয়েকজন বোমার পুরোনো বন্ধুকে খবর পাঠাই। তমা ভালো লোক নয় ঠিকই, তবে বন্ধু হিশেবে খুব, খুব বিশ্বস্ত। খবর পেলেই তারা এনে হাজির হয়ে যায় আর আমি তাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ি। উবার হরে যাই। কাঁয়া কাঁহা মুলুক গুলে বাই। বেশিরভাগাই হয় অদিবাসী ভিলেজ, নয়তো কোনও ঘনি এলাকা, ঢক অঞ্চল। অর্থাৎ যেখানে প্রর- লোকরা থাকে না। চোলাই খাই, জুয়া খেলি, ভাড়াটে মেয়েদের সঙ্গে এই। হয়তো এসব খুব খারাপ কাজ স্যায়, কিন্তু এইরকম বেশরোার কিছুটা সময় কাটালেই আমার অস্থিরতাটা চলে যায়। তখন কি ফিরে আসেন? হ্যাঁ সাল। হয়তো এক মাস গা দেড় খাল কিংবা নিন বশ-পনেরে এইরকম বাঁধনছাড়া জীবন কাটাতে না পারলে আমাকে দুইসাইড করতে হাত। আমাদের কাছে যা খবর আছে তাতে আপনার পাঁচজন বন্ধুর মধ্যে বালু শেন আর নিম্ন কর্মর্মকার ডেজাসে ক্রিমিনাল। তা কি জানেন? সরল। ছেলেবেলা থেকে আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। ওদের দথ ভানি দায়। বন্ধু খুব অ্যাগ্রেসিভ টাইপের। দিমু একটু চুপচাপ কিন্তু একরোখা। হ্যাঁ স্যার, আপনার ইনফর্মেশনে কোনও ভুল নেই। প্রবাল, শতরাপ আর নন্দনও খুব ভালে লোক নয়। স্যার, আমরা কেউ ভালো সোক বলে দাবি করছি না। আর এই বন্ধুদের সঙ্গে বছরে দু-তিনবারই আমার দেখা হয়। যখন আমরা উইকেড অ্যাডভেঞ্চারে যাই। নইলে কে কি করে তা নিয়ে আর কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। আপনার এইসব আডভেঞ্চার আপনার স্ত্রী নী চোখে দেখতেন? সে কি আর বলতে হবে স্যার। উনি আমাকে আপাদমস্তক যো করতেন। বখন ফিরে আসতাম তখন এর চোখ যেন আমার সর্বাঙ্গে খাঁকো দিত। নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে রিকনসিলিয়েশন কিভাবে হত? সময় লাগত স্যার। উনি আমাকে খুব অপমান করতেন, গালাগাল সিতেন ডিভোর্দের ভয় দেখাননি। বহুবার। যতদূর জানি, ইলনীং ল-ইয়ারের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন। ডিয়ে এতদিনের। সার বছর। আপনি কি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড জানেন স্যার। জানি। তবু আপনি বলুন। আমি প্রমাদ ফুড প্রোডাক্টের মালিকের ছেলে। দূতরাং আমাকে বড়লোকেরা ছেলে বলাই যায়। আমরা তিন ভাই, আমি নেক্রো এবং ফ্যামিলির গ্রাক শিশ। আমোর মিস অ্যাডফোরের জন্য আমি বাবার চক্ষুশূল। তিনি হয়তো আমাকে আলাপুত্রই করতেন। কিন্তু একটা কারণেই করেননি। তিন আইয়ের মধ্যে আমিই একমাত্র ফুড টেকনোলজি নিয়ে পড়েছি এবং পাশ করেছি। আমার আর দুই ভাই ম্যানেজমেন্ট পাশ করেছে এবং ব্যবসাও কোখো। কিন্তু আমি প্রোডাকশনটা বুঝি। আপনি আনেন না যে আমি কিছু ইন্যেডেশন করার ফলে আমাদের প্রোডাক্টের কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়েছে এবং বিদেশেও যাকেট পাচ্ছে। শুধু এই কারণেই বাবা আমাকে অড়িয়ে সেননি। যাতে আমি শুধরে যাই সেইজন্যই শিবাজীর মতো সুন্দরী মেয়ে খুঁজে আমর বিয়ে দেন। ইট ওয়জ আান আবেজড ম্যারেজ স্যার। বুঝলাম। আপনার স্ত্রী সে সুন্দরী তা আমরা জানি। কিন্তু শিবাজীও আপনাকে শোধরাতে পারেনি, ভাই তো বেলঘরিয়ায় আপনাদের বিশাল বাড়ি থাকতেও আপনি এই যাইথ ক্যালকাটায় ফ্লাটে কিনে বাস করছেন কেন? বিশেষ কারণ আছে কি। আইডিয়া আমার বাবার। কেন তা বলতে পারব না। বাবা অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ। যা করেন ভেবেচিন্তেই করেন। আমায় মা আপত্তি করেছিলেন বটে, কিছু বারা বলেছিলেন, শিষসীর বঙ্গে আদার থাকলেই নাকি আমার ভালো হবে। এই ফ্লাট বাবাই কিনে দিয়েছেন। কিন্তু এই ব্যবস্থায় আপনার ভালো হয়েছে কি? না স্যার। আমি ইনকনিলিবল। স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কিরকম। লুকওয়ার্ম। অলমেন্টে কোল্ড। তার জন্য আপনি কবে নারী আমাকে। শিবাজী ভালো মেয়ে। আপনার এই মার্কামারা পাঁচজন বন্ধুকে কি আপনার স্ত্রী চেনেন? ওরা আমার বাড়িতে বড় একটি আসে না। আমাদের বন্ধুত্বটি যাইবে। তবে শিবাজী গুদের দু- চারবার দেখেছে। বিয়ের সময়ে ওরা ইনভাইটেড ছিল। দু-তিনবার বিভিন্ন অকেশনে এসেছে। শিবাদী ওসের খুব ফর্ম্যালি চেনে। ঘনিষ্ঠভাবে না। সত্যি কথা বলতে কি ওদের সঙ্গে আমারও বিশের যোগায়েগ থাকে না। যখন আমার ঘাড়ে অস্থিরতার ভূতটা চাপে প্রথনই শুদের ফোন করি, আর ওরা চলে আসে। না স্যার। তা কি হয়। সকলেই নানা রাস্তায় ব্যস্ত। কখনও দুজন ব্য সবাই একসঙ্গেই চলে আসে?
পৃষ্ঠা:০৩
তিনজন ছুটে যায়। আজকাল পাঁচগুন জোটে খুব কম। এই বন্ধুরা কি সবাই ওয়েল অফ। স্যার। কারও মানিটারি কোনও প্রবলেম নেই। কিন্তু স্যার, আপনি আমার চাইছেন বন্ধুদের সম্পর্কে জানতে কেন? এ ম্যান ইজ নেন বষ্টি দি কমপ্যানি হি কিপস। দে তো ঠিকই। আমরা সবাই ক্যালকাটা বয়েজ-এ পড়তাম। আকাডেমিক রেকর্ড বারওই খুব খারাপ নয়। তবে হাঁ, আমাদের সবাই বদমাশ বলে জানত। আহত এবার বলুন জুন মাসের পাঁচ তারিখে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা রাত বারোটার সময় কোমায় বন্ধুরা গলতে সবাই নয়। আমি, রাজু আর পররাপ জুনেয় এক তারিখে গাড়ি নিয়ে বেরোই। কার? রাজুর। রাজুর গাড়িরই খুসসা। অন্তত তিনটে বড় গড় কম্প্যানিকে আরওয়ারি চুক্তিতে গাড়ি দের। সব কোয়ালিটি বার। তাই আমরা যখনই বাইরে যাই তখনই রাজুর কাছ থেকে গাড়ি নিই। বুঝলাম। একজ বলুন, কোথায় গিয়েছিলেন। সোবাগুলি। যেথানে কেন।শতরূপের এখানে একটা কার্ম হাউস মতো আছে। হাঁস, মুগি, শুয়োরের খামার। সেইখানে। পাঁচ তারিখ রাতেও আমরা শতররূপের ফার্ম হাউসেই ছিলাম স্যার। ফার্ম হাউসের কর্মর্য্যারয়া সাক্ষী দেবে তোগ কেন দেবে না স্যার? তবে বাচ্চু না স্যার। আমার হোয়ার- ছিল না। ওর জরুরি কাজ থাকায় দুই ভারিখেই ফিরে এসেছিল। আমরা ফিরি হয় তারিখের সকালে। ফার্ম হাউসের ডেলিভারি জ্যান-এ। কলকাতার কখন পৌঁছোন? ভোর সাড়ে পাঁচটায়। সামনে নামিয়ে দেয়। অমি ট্যাক্সি হয়ে বাড়ি চলে আসি। এসব কথা আমি গোকাল পুলিশকে বলেছি নাম। একাধিকবার বলতে হয়েছে। ভানি। হয়তো আরও কয়েকবার বলতে হবে। ঠিক আছে। যতবার বলতে বলবেন, বলবো-কড়িতে ফিরে আমি বেল নিই। কেউ দরজা খুলল না। হঠাৎ মনে হল, দরজাটা লক করা নেই, শুধু আধাভেজানো আছে। আমি সরজা খুলে ঢুকি। সামনের হলঘরেই নন্দিনী উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। পাঁ অফ ব্লাড। ব্লট হয়ে ছিল।খুব নার্ভাস হয়ে, হাত-পা কেঁপে মেঝেতেই বসে পড়ি। কাউকে ডাকাডাকি করার মতো অবস্থা ছিল না। বোধহয় আরও আধঘণ্টা পর আমি শিবাদীকে ডাকতে ডাকতে হামাগুড়ি দিয়ে বেডরুমে যাই। অ্যান্ড শী ওয়াজ লায়িং.. শিবাসীর সঙ্গে আপনি বাইরে গেলে ফোনে কথা-টথা বলতেন না। আবাউটস সম্পর্কে ওর কোনও ইন্টারেস্ট ছিল না। আপনার কোনও গার্লফ্রেন্ড আছে? না স্যার। কখনও ছিল। না। আমার অনেক নেয় আছে, কিন্তু উওম্যানাইিলার भी। নারী-পুরুষের আকর্ষণ কোনও শেষের ব্যাণার কি? আমি তা জানি না সার। আমি ম্যালিন্ট নই। কিন্তু আমার কোনও মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্টতা ছিল না। নন্দিনী এ বাড়িতে কী করতঃ হাউস-মেইড। মানে কাজের লোক? ঠিক তা নয়। নন্দিনীকে প্রড়িতে এনেছিল শিবাসী। এ বাড়িতে অনেক কাজের লোক আছে। বুক, দাস্টিং-এর দোল, (ডামেস্টিক হেলপ মিলিয়ে অন্তত অন্য চার-পাঁয় তো হবেই। নন্দিনী হাউসমাদারের মতো ছিল। প্রতারগুল সুপারভিশন করত। কিন্তু এর আসল কাজ ছিল শিবাসীকে সঙ্গ দেওয়া। শিবাসীর একটা মোটে ব্যবসা আছে। বিদেশ থেকে নানারকমের সুগন্ধের কনসেনট্রেট আনিয়ে তা দিয়ে পারফিউম তৈরি নয়। এর একটা ল্যাবও আছে। পাত্র স্কেলে করত না। লিমিটেড কিছু ক্লায়েন্টের জন করত। কিন্তু ব্যবসাটা খুব ভালোই চলত। নন্দিনী ওকে ব্যবসার কাজেও নন্দিনীকে কি স্যালারি দেওয়া হ্যাঁ স্যার। আমার ধারণা, মোর প্রান ফিফটিন সাটস্যান্ড।নন্দিনীর বয়স পঁচিশ-ছাব্বিশের বেশি ছিল না, কোয়াইট ওড় লুকিং। মারেড। জানি না স্যার: নন্দিনীর সঙ্গে আমার বিশেষ কথাবার্তা হত না। শী
পৃষ্ঠা:০৪
ওয়াজ এ প্রাইভেট পারমন, যের্থে বেডরুমটায় থাকত। আমার সঙ্গে ফিশেষ দেখাও হত না। আসে না। আটটার আগে কারও আদবার হুকুম নেই। তখন কঠি রজে? তার মানে আপনার সঙ্গে নন্দিনীর কোনও আংফেয়ার ছিল না। না স্যার। কী বলছেন? নন্দিনীর সঙ্গে আফেয়ার? আমার তো মান হয় নন্দিনী আমাকে শিবাস্টের মতোই ঘেন্ন করত। আর সেটাই তো স্বাভাবিক। কি করে বুঝতেন যে নন্দিনী আপনাকে যেমা করত? আমার তেমন সুক্ষ্ম অনুভূতি নেই। তবু দেখা হলে নন্দিনীর মুখে-চোখে রিপালশনের ভাব লক্ষ করেছি। রেকর্ডে দেখছি আপনি একসময়ে খেলাধুলো করতেন। হয় স্যার। মাই ওরাজ এ শুভ আাগটি। কিন্টার ছিলাম। পরে আই টুক আপ টেনিস। নেশাভাও করেন। কবে থেকে গুরু পার্ট-ফার্টিতে যেতে হত। সেই থেকেই শুরু।আর বোহেমিয়ানিজন? এটি আগে থেকেই ছিল। স্কুলে পড়ার সময় দু’ষ্ণর পালিয়ে দেরাদুন আর লালাখ চলে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে মাঝে মাঝে কেমন যেন পাগলাটে ইচ্ছে হয় পালানোর। আপনি একজন বিচিত্র মানুষ। হ্যাঁ ন্যার। অনেকে বলে, আমি আপনর স্ট্রীকে সেদিন সকলে আপনি স্ত্রী অবস্থায় দেখেছিলেন? বিছানায় উপুড় হয়ে শোওয়া। হাফ নেকেড। মাথা থেকে রক্ত পড়ে বিছানা ভেসে যাচ্ছিল। গ্যাস্টলি দিন। ভেবেছিলাম মরে গেছে।আপনার কাজের লোকেরা কোথায় হিল? ওরা ফ্লাটের ভিতরে থাকে না। সারভেন্টস কোয়ার্টারে থাকে কৃষ্ণ আর একজন সবসময়ের লোক। বাকিরা ঠিকে। অত সকালে কেউ তো হার্ডলি ছট ব নেয়া টা। তী করলেন। প্রথমে সিকিউরিটিকে ডাকি। তারপর আাম্বুলেন্স আর পুলিশ। কিন্তু সখটাই করেছি একটা ঘোরের মধ্যে। এরকম সাঙ্ঘাতিক ঘটনা তো আপনার কাউকে সন্দেহ হয়। না স্টার। তবে শুনছি, পুলিশ আমাকেই সন্দেহ করছে। এখনও কেন অ্যারেস্ট করেনি জানি না। তার কারণ অপেনার আলিবাই। ঘটনাটা ঘটে পাঁচ তারিখে রাত বারোটার কাছাকাছি। হ্যাঁ স্যার জানি। কিন্তু পুলিশের সম্পের আমি সুপারি কিলার লাগিয়ে গাওটা করেছি। সেটা খুবই সম্ভব। হ্যাঁ স্যার, এরকম ঘটনা আবছার ঘটছে। আর আমার তো মোটিভও আছে, কী বলেন? করছেন যে কান্ডটা অপনারই। না স্যার। আমি শিবজী বা নন্দিনীকে খুন করার কথা কখনও ভাবিনি। কারণ, খুন করার শিয়নে কোনও একটা উদ্দেশ্য তো থাকবে। আমার তো কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। শিবাঙ্গীর জ্ঞান ফিরলে এবং কথা বলার মতো অবস্থা হলে এর কাছ থেকেই জানতে পারবেন যে, আমি স্বামী হিসেবে অযোগ্য হলেও ভিনডিকটিক নই। আমাকে ও কিছুদিন আগে মিউচুয়াল ডিভোর্সের কথা বলেছিল। আমি খুব অপরাধবোধের সঙ্গেই বলেছিলাম, আমি তো অপদার্থ, আমার সঙ্গে কোনও মহিলারই বসবাস। ডিভোর্সে আপনার মত ছিল? ছিল। না থাকলেও ডিভোর্স ও পেয়ে যেত। দেড় কোটি টাকার একটা সেটলমেন্টের কথাও হয়েছিল। দম। এটাই তো মোটিভ: শিবাদী মারা গেলে আপনার দেড় কোটি টাকা বেঁচে বেয়। তাই না? হ্যাঁ স্যার। আমি তো বলেইছি আমার মোটিফের অজাগ নেই। পুলিশ আমাকে অনয়াসে বুলিয়ে দিতে প্যার। কিন্তু এন্দিনীকে খুন করার পিছনে আমার কী মোটিভ থাকতে পারে তা আমি ভেবে পাচ্ছি না। নেমাটিভ আছে বিসাশবাবু। আছে। তাহলে তো হয়েই গেল। কিছু নন্দিনীর সঙ্গে আমার তো সম্পর্কই হিল না স্যার। আপনি কখনও নন্দিনীর ফেসবুক আকাউন্ট চেক করেছেন কি? ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। না স্যার, ফেসবুকের কথা লোকের মুখে শুনি বটে, কিন্তু আমি কখনও ফেসবুক চেক করি না। কথনও ইন্টারেস্টই হরনি। কেন স্যার, ফেসবুকে কি নন্দিনী আমার সম্পর্কে কিছু বলেছে? আটেগোরিক্যালি নয়, তবে কিছু হিন্ট আছে। নন্দিনী একজন রহস্যময় পুরুষের কথা লিখেছে। প্রায় পুরো নাম বা ছবি লোড করেনি। শুধু ইনিশিয়াল দেওয়া আছে। আর ইনিশিয়াল হল বি. পি। অপনায় নামের আদ্যক্ষর। আপনি কি জানেন। নন্দিনী ছবি আঁকতে জানত কিনা? না স্যার, নন্দিনী সম্পর্কে আমি বেশি কিছুই জানি না। শুধু জানি সে ছিল শিবাদীর ডান হাত। আলে জাড়া শিবাঙ্গীর এক মুহূর্তও চলত না। দুজনের খুব ‘ভাব ছিল, বন্ধুর মতো। এমপ্লয়ার-এমপ্লযির মতো নয়। এতে কি আপনি বিরক্ত হতেন। না স্যার, বিরক্ত হব কেন? বরং শিবাঙ্গী যে মনের মতো একরুন সঙ্গিনী পেয়েছে তাতে আমি নন্দিনী কখনও আপনাদের স্বমী স্ত্রীর মধ্যে ইন্টারকিয়ান ক্যাত।না স্টার। কারণ শিবাসীর সঙ্গে মধ্যে একটা নীরবতাই ছিল। কেন্দ্রে আমার ঝগড়া হত না। বরং দুজনের
পৃষ্ঠা:০৫
ডিসট্যান্স। তবে কখনও-সখনও শিবলী গায়ের খান খাছত। একতরফা। অমি কখনও জবাব নিয়াম না। কারণ আমি সর্বদাই পাপবোরে ভূগলাম। আমি যে অন্যায় করছি তা তো আমি জানি পালী। হ্যাঁ স্যার, আমাকে এটা বলাই যায়। কিন্তু নন্দিনীর ছবি আঁকা নিয়ে আপনি কিছু আনতে চাইছিলেন। হ্যাঁ। তার কা নন্দিনীর মোবাইলে আমরা আপনার কয়েকনি ছবি পেয়েছি। মাই গড। আমার হবি। নন্দিনীর মোবাইলে? অসভ্য ছবি নয় তো সারা কেন, সেরকম সস্তাবনা আছে আজবাল মণ্ডার্ন টেকনোলজি নিয়ে কর বী কর খায় না, অসভ্য ছবি নয়। আর হবিগুলো কোনও আলনাম থেকে তোলা হয়েছে বলেই মনে হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, নন্দিনীর ফেসবুক আকাউন্টে আপনার ছবি থেকে কর পাশে লেখা মিস্টিরিয়াস বি, পি. ইজ তার মানে কি সাট। আমার ডিডাকশন হল, মদিনী আপনার প্রেমে পড়েছিল। এতে কি আমার খুশি হওয়া উচিত। কিন্তু সরা, আমার তো অনে কোনও খুশি হচ্ছে না। খুশি না হওয়াই ভালো। কারণ এই মেসেজটা আগরকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। নন্দিনীর দিকে আপনি কখনও কোনও ইশারা-ইংগিত পামনি। দেখুন। কখনও না। ভালো করে ভেবে ইশারা-ইংগিত: বিশ্বাস করুন সার, নন্দিনী ওয়াজ এ ভেরি সিরিয়াস টাইপ অফ এ উত্তমান। সবসময়ে সিমাখায় উপুড় যাতে গম্ভীর, সবসময়ে এনগেজড ইন সাম ওয়ার্ক। ওর গলার স্বরও আমি বিশেষ শুনতে পেতাম নন। আর আমি বাড়িতে থাকতামই বা কতক্ষণ বলুন। সকলে একফাস্ট দেয়ে ন’টায় নব্যে বেরিয়ে যেতাম। ফিরতে রাত। বেশিরহাগা সময়েই ডিনায় বাইরে গেয়ে আগভান। আয় শিবাদী যা দক্ষিনীও তো বাড়িতে কবে থাকার লোক নয়। শিবাঙ্গীয় যাবসা ছাড়াও নানা সোশ্যাল এনগেজমেন্ট আছে। সুতরাং নন্দিনী কি করে ইশারা-ইংগিত করতে পারে। বরং আমার মনে হয় ণী হেটেড মি। আমি আপনাকে হরর একটু কনসেনট্রেট আনতে বলছি। আর একটু আসুন। কোনওদিন ফোনও ছোট থাটো ইনসিগনিফিক্যান্ট কিছু মনে পড়ে কি? স্যার, শিবার্থ আমাকে যেন্না করে ঠিকই, কিন্তু কোনও মহিলা আমার প্রতি ইন্টারেস্টেড হলে শী উইল নো ইট ইমিডিয়েটর্টলি। এবং সে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়। আর ইউ শিওর? হয় স্যার। আমাদের বিয়ের পরই রেখা। হাত নেকেড ওর এক বান্ধবী আমার সঙ্গে একটু রোডলি করার চেষ্টা করেছিল। শিবলী তাকে এমন অপমান করে যে সে আর কখনও মুখ দেখায়নি। গুনুন মশাই, নন্দিনী সম্পর্কে আপনার ধারণা খুব নির্ভরযোগও নয়। আপনার ই-মেলের পাসওয়ার্ড নন্দিনী কি করে জানলা আমার পানওয়ার্ড। ইম্পসিবল। নন্দিনীর ঘরের চেখের দুয়ারের মধ্যে পুলিশ অন্তত ছয়-সারাটা ই- মেল-এর প্রিন্ট আউট পেয়েছে যেগুলো আপনার অ্যাড্রেসে এসেছিল। WR 1981 47 Herse pace আপনি খুব ভালো অভিনেতা নন বিষাণবাবু। না স্যার, আমি অ্যাকটিংটো পারি না। নেভার ইন মাই লাইফ। এখনও অ্যাকটিং করছি না। আমি সত্যিই বিস্মিয়। অনি প্রমান হয় যে নন্দিনীর যঙ্গে আপনার একজন গোপন সম্পর্ক ছিল তাহলে কিন্তু আপনি অগাধ বুঝতে পারছি স্যার। আমার
পৃষ্ঠা ৬ থেকে ১০
পৃষ্ঠা:০৬
ভবিষ্যৎ খুব ভালো দিকে টান করছে না। ই-মেল-এ কি কিছু গেছে স্যার?আপনার স্থাপটপ আছে? করছে।অবলাই। দেন আহি ত্যান ডুমূ ভাপনি কি রেগুলার আপনার ই-মেল ঢেক করেন? না স্যার, আমার ই-মেলের যোগাযোগ বেশি মানুষের সঙ্গে নেই। মাঝে মাঝে খুলে দেখি: জয় মেল-ই বেশি থাকে। আমাকে কম্পিউটারে অনেক কাজ কাতে জয় ঘটে, কিন্তু ই-মেল বড় একটা দেখা হয় না। কি আছে সার আমার ই-মেল-এ। একটা মেদেন ছিল, ডু ইউ নো হ ওয়াজ হোল্ডিং ইওর হেড হোয়েন ইউ ওয়্যার ৬মিটিং লাল্ট নাইট। ডিও ইই হিয়ার মাই হার্টবিট হোয়েন আই অয়াজ হোল্ডিং ইউ ক্লোজ নই রেস্ট। ইউ পুযোর রেটেড ম্যান। এই মেসেজের মাধগমুণ্ডু আমি কিছুই বুঝতে পারছি না সার। আপনি বাড়িতে মাতাল অবস্থায় ফিরলে কেউ কি আপনাকে অ্যাটেন্ড করে রেগুলার! আগে মাঝে মাঝে শিবাসী এসে বরত। বনি-টমি করলে সব পরিষ্কার কেদার। সিমপ্যাথি ছিল স্যার। কিন্তু সেটা আমিই নষ্ট করে দিয়েছি। মনে করে দেখুন, ইনান স্যার, মাতান অবস্থায় ঘা ঘটে তা পরে আর মনে পড়ে না। তবে হাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। আনছা মনে পড়ছে, কিছুদিন আগে মাতাল অবস্থায় আমাকে কেউ দু-তায়বার আটেড করেছে। আমি ভেবেছিলাম, কাজের লোকজনই হয়তো হবে।মহিলা না পুরুবর মনে হয় নাহলা।ভালো করে ভেবে দেখুন, মহিলাটি নন্দিনী দিনা। হলেও হতে পারে স্যার। মাতালের অবজার্ভেশন খুব একটা নির্ভরযোগঃ তো নয়। কিন্তু কাপারটা একটা ধাঁধার মরো। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। নিয়ে আসুন। এক মিনিট সার। বলে বিষষণ ইঠে প্রায় পাঁতি থেকে ল্যাপটপটা নিয়ে এল। তারপর ল্যাপটপ খুলে মন দিয়ে তার ই-মেল খুলে ভালো করে পরীক্ষা করে বলল, বেখুন স্যার, এরকম কোনও মেল আমর আাকউিন্টে নেই। এখন নেই, কিন্তু ছিল। কোনও কারণে আপনার আ্যাকাউন্ট থেকে তা ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা করার আগে নন্দিনী একশী প্রিন্ট আউট বের করে নিয়েছে। মোট চারটি মেল। এবং মেলগুলো বেশ প্যাশন্টে অ্যাড রোম্যান্টিক। ব্যাপারটা খুলে বললে ভালো হয় না? মান থাকলে আরাম স্যার। কিন্তু রোম্যান্টিক সম্পর্কই যদি হবে তাহলে নন্দিনীকে খুন করব কেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। হ্যাঁ, সেটা একটা চিন্তার বিষয়। স্যার, গুবু নন্দিনী কেন, আমর মতো একজন কইনড ম্যানের সঙ্গে দুনিয়ার কোনও মেয়েই কি রিলেশন তৈরি করতে চাইবে। দুনিয়াটা বড় অদ্ভুত জায়গা, কত কী যে হয় বা হতে পারে তার কোনও প্রজিক বা মথামৃদ্ধ নেই।সার, আমি আইনকানুন জানি না। আমাদের কি খুনি বলে নবে না, এখনও নয়। আমরা শিবাসীর ওপর নির্ভর করছি। উনি এখনও কোনায়। ডাকারার কোনও ভরসার কথা বলছেন না। শুবে এখুনি ফ্যাটাল কিছু হয়তো হবে না। উনি চেতনায় ফিরলে আইটাল উইটনেস হয়ে দাঁড়াবেন। এখন আপনার ভাগ্য। আমার ভাগ্য ভালো নয় সার। আমাদেলা বাড়িতে প্রচুর জ্যোতিষীর চর্চা হয়। আমার মা আর কাবা দুজনেই খুব জ্যোতিয়ে বিশ্বাস করেন। আমাদের বাড়িতে বড় বড় ভোতিদর যাতাগ্রত আছে। তারাই বলেছে, আমার কুষ্টিতে। নাকি অনেক খারাপ ব্যাপার আছে। কিরকম। তা আমি জানি না স্মার, আমার না ভাবে। এক সময়ে আমাকে মায়ের চাপড়াপিতে অনেক আংটি আর তাবিচ-কবজ পরতে হয়েছিল। বড় হয়ে সেগুলো অ্যাগ করেছি। আপনি জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন। না স্যার। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে জ্যোতিদীর আমার ভাগ্য নিয়ে নিধ্যে হয়তো বলেনি। আপনার কি মনে হয় শিনার্থী আপনার ফোরে সাক্ষী দেবে? না স্যার। তা কি করে সম্ভব? পুলিশ বলছে খুন করতে এসেছিল ভাড়াটে খুনিরা। শিবাজী গড় মোর বলবে আততায়ীদের দে চেনে না। দেক্ষেত্রে তো আমার রেহাই পাওয়ার কথা নয়। একজ্যাক্টলি। শিখানীর সংজ্ঞা ফিরলেও আপনার গাছ নেই। না স্টার। গত পাঁচদিন ধরে আমিও নানা অ্যাঙ্গেল থেকে ভেবেছি। মনে হচ্ছে আমার রেহাই পাওয়ার কোনও রাস্তা নেই। বাই দি বাই, আমি শুনলাম, আপনি হয় সাতদিন একফোটাও জন্যপান করেননি। সত্যি নাকি। সত্যি স্যার। ইন খ্যাত আমার মস খাওয়ার কথা মনেই হয়নি। একটা শকড় যে, আমার ইচ্ছে-অনিচ্ছেরুলো সব হাওয়া হয়ে গেছে। সেই জায়গায় আমার মনের মধ্যে ওয়ার মতো ভয় জিনিসটা কি ওহাব মতো? আমায় যেন ওরষদই মনে হল। গত পাঁচদিন কি আপনি বাড়িতেই কমে আছেন?হ্যাঁ স্যার। প্রথম তিন-চারদিন তো: সারাদিন ধরে পুলিশের জেরা চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই থানায় টেনে নিয়ে গেছে। হান-খাওয়ার সময়ও পাইনি। আমি এত টায়ার্ড যে মনে হচ্ছে, বুড়ো যায় গেছি। স্যার, আমি তো
পৃষ্ঠা:০৭
পুলিশকে বলেছি যে, আমি ফেঁসে গেছি। আমার আর বেশি কিছু বলার নেই। কলার অনেক কিছু আছে। আপনি ঠিকমতো চেষ্টা করলে হয়তো ভাইদিল কোনও ক্রু পাওয়া যেত। বিশেষ করে নন্দিনী সম্পর্কে। নন্দিনী সম্পর্কে আমি তো প্রায় কিছুই জানি না স্যার। যেটুকু জানা হিল বলেছি। আপনার পাসওয়ার্ড কি আপনি কাউকে জানিয়েছেন, বা বোগাও লিখে তেখেছিলেন। নব সার। অমি সঙ্গানে অন্তত করিনি।কিন্তু পাসনায়ার্ড নন্দিনী বানয়। সেটা কিভাবে সম্ভব? আমার কথা যে কেউ বিশ্বাস করছে না তা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু আমার তো কিছুই করার নেই। আপনার গেমচন্দ আর শিবাঙ্গীর সেডরুম কি আলল হ্যা স্যাং। পাশাপাশি। আলয় কি এরকমই বন্দোবস্ত ছিল? দুজন দুই গরে? না। আগে আমরা এররী গেডাম। সম্পর্ক খারাপ হতে থাকায় এই দুই খরের মধ্যে একটটা লিংকিন দরজা আছে। স্টেট কি বন্ধ থাকত? খ্যা স্যার। শিবাসীর দিক থেকে আর হলঘরের দিকেরা সাইটটা শিবাজীর কথা জানি না। তবে আমার বেডরুমের ভলগরের ফরয়াটা নত করা থাকত না। কারণ, আমার ঘরে তেমন কোনও ভালুয়েবলস নেই। মানর হতিখড়িটা বেশ রহি আর মোবাইল ফোনটিও। মার হাঁ ল্যাপটপ। এগুলোর অন্য দরজা লক করার দরকার ছিল না। বাইরে নিভিটারটি আছে, ফ্ল্যাটের নয়নাও রাতে বন্ধ থাকে। আমি চুরির কথা ভালছি না।একটা সেনসিটিভ গ্রন্থ করছি। জবাবটা এড়িয়ে যাবেন না। আমার লুকোনোর কিছু নেই। শিবাষ্টীয় যঙ্গে আপনার সেচ্যুয়াল রিলেশন কি একদম ছিল না? সেই অর্থে ছিল না বললেই হয়। তার মানে কখনও-সখনও আপনারা মিলিত হতেন কি? স্যার সত্যি কথা বলতে কি আমায় দিক থেকে কোনও উদ্যোগ ছিল না। আপনাকে তো আগেই বলেছি, আমি শিবাজীকে খুব ভয় শোভাম। ওর সামনে খুব পাপবোধে ভূগতাম। নিজেকে ছোটো মনে হত। কিন্তু শিবাজী কখনও সখনও চলে আসত গভীর প্রতে। আজ দ্যাট কিন্তু আপনি তো রোজই মদ্যপান করে ঘুমোতেন। কম বা বেশি এবং গ্রাঃ রোগই। কিন্তু কখনও-সখনও বলও গেছে। আমার দাদু গত বছর অনেক বাসে নারা যান। হি ওয়ান নাই মেন্টর। বাদুর মুক্তার পর আমি দিন পনেরো এক ফোঁটাও মদ খাইনি। আমি খুব একটা প্রিলিজিাসে লেক নই, তবু পুজো-টুজোর দিনে আমি আপনার কাজের লোকেরা অবশ্য তাই বালমে। কিন্তু এগায় আমি আপনাকে এক্টা অস্বস্তিকর প্রশ্ন করতে ভর্তি।শিবাজীর সঙ্গে লাস্ট কবে আপনার ফিজিক্সাল রিলেশন হয়েছে?একটু ভেবে বলতে হবে স্যার। দুমিনিট। মে মাসের শেষ দিকে। বোধহয় চবিশ বা পাশি তারিখে। ভেবে আছেন য়ে। খুব আকুরেস্ট না হলেও দুটোর মধ্যে যে কোনও একটা দিন। আর তার আগে, মে মাসের যোগে তারিখে। মোটামুটি দিওর। আপনি কি ড্রাংকেন অবস্থায় এনগেজড হয়েয়িলেন। অন্তত খুব একটা সচেতনও ছিলাম না। আপনি আপনার স্ত্রীর হোয়ার অ্যাবাউটস সম্পর্কে কতটা খবর খুষ একটা নয়। উই লেড সেপারেট লাইভস।উনি কি এসে আপনাকে ডেকে ঘুম থেকে ভুলতেন? না। কখন আসত আমি টের পেতাম না। মহেস করত, চুমু বুঝেছি। আপনার কথনও সন্দেহ হয়নি যে মহিলাটি শিবাদী নাও হতে পারেY বী বলছেন সায়? ইমপসিবল। শিবাজী ছাড়ল অন্য কেউ হতেই উত্তেজিত হবেন না বিশ্বশবার। এই ক্লাটে আপনি, শিষঙ্গী হবে নন্দিনী ছাড়া আর কেউ কি রাত্রিধাম করে। জাহণী। ও মেয়েটা শিবাঙ্গীর খুব নাওটা। অল্প বয়স থেকে আছে। শুনছিলাম, শিবাজী তায় বিয়ের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু এলেই জে পুলিশ হ্যাঁ। তবু জানার তো শেষ নেই বিষাষণাণু। ফর ইন্ডর ইনফর্মেশন মে মাসের চব্বিশ আর পচিশ তারিখে শিবাজী কলকাতায় ছিল না। বাঙ্গালোর গিয়েছিল। জাহনী গাড়ি চালাতে শিখে বিয়েছিল মাত্র পানরে বছর বয়সে। রঘুবীর সিং শিখিয়েছিল ম্যাডামের একদিন ম্যাডাম নিয়ে গেল তার ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে। বরুনের গড়বড় তো ছিলই, কিছু ব্যায়াম
পৃষ্ঠা:০৮
কলকাঠি নেড়ে রয়াদ বাড়িয়ে লাইসেন্স বের করে দিয়ে বললেন, এখন থেকে তুই আমার গাড়ি চালাবি। আহনীর বুক ধড়ফড়, ওরে বাবা। কলকাতার রাস্তায় আমি চালাব ভয় পেলে থাক। কিন্তু সরস করলে শেরে খবি। আমি তোর চেয়েও অল্প বয়সে গাড়ি চালিয়েই। জাহনীর সাহসের অভাব ছিল না। প্রথম কয়েকদিন ম্যাডাম সামনের সিটে তার পাশে বসে একটু-আধটু গাইড করত। মাসখানেকের মধ্যে হাত-পা সব সেট হয়ে গেল। সেই থেকে সে ম্যাডামের ড্রাইভার। ওখানেই থেমে থাকতে দেয়নি ম্যাডাম। বাড়িতে ম্যাডামের যে সব বিউটিশিয়ান আসত তাদের সঙ্গে ভিড়িয়ে দিয়ে ৮ প্লাক, মানিকিওর, পেডিকিওর, মাস্ক তৈরি করা এবং কয়েক রকমের চুলের ভাঁট দিতেও শিখেছে সে। ম্যাডামের একটরী কথা ছিল, ট্রেনিং থাকলে কি পেটে জরতে হবে না, বুঝলি? ভাহনীর এখন সতেরো বছর বয়স। ছিপছিপে বোরালো চেহারা। ম্যাডাম নিজের সঙ্গেই তাকে ডিম কলাত, ওয়েট ট্রেনিং কার যোগা। লাহণী বুঝতে পারছিল, ম্যাডাম তাকে তৈরি করে দিচ্ছেন। ম্যাডামের পারফিউম প্যাবেও সে কাজ করে। তারী মজার কাজ। কনসেনট্রেটেড নির্বাদ থেকে ব্যবহারযোগ্য পারফিউম তৈরি করা, খুব বড় ব্যাবসা নয়। মাত্র কয়েকজন বাঁধা বন্দের। তৈরি হতে না হতে বিচি হয়ে যায়। সতেরোতে এসে সব উল্টেপাল্টে গেল। ম্যাডাম হাসপাতালে আই সি ইউতে। বাঁচেন বিনা সন্দেহ। নন্দিনী ম্যাডাম খুন। পুলিশের ফেরায় কেরায় উঝরা হয়ে দে এখন বাধ্য হয়ে আদের হাজরার বস্তিতে নিজের সংসারে এসে উঠেছে। হাতে তার অ্যাকাউন্টে টাকা কম নেই। মাসের বেতন ব্যাঙ্কে জমা হয়ে যেত। কিন্তু এখন তার ভবিষ্যৎ কিছুটা অনিশ্চিত। কি হবে কে জানে। তবে জাহনীর ভয়-ডর বিশেষ নেই। তার মোটামুটি অবহীন জীবনে অনেকদিন বাসে হঠাৎ একটু যেন ভরের ব্যাপার ঘটল। খুন-জখম হয়ে বাওয়ার পর পুলিশের বদ্ধতে হয়রান হয়েও ভয়-উর বিশেষ হয়নি তার। কিন্তু সোমবার সকালে জিনস-এর প্যান্টি আর মাল হাওয়াই শার্ট পরা যে লোকটা তার সঙ্গে কথা বলতে এল তার চোগের দিকে এক পলক্ষ তাকিয়েই বুকটা ধড়গড় করে উঠল তায়। অথচ লোকটা তেমন হচ্ছে- চওড়া নয়। বরং এনাটু মোটোখাটো চেমারছি। পাদোয়ানি শরীরও নয়। তবে গড়নটা মজবুত। কিন্তু তোম দুটোই হাড় ত্রিম করা। কাল রাতে মোবাইলে বড়বাবু তাকে ফোন করে বলে দিয়েছিলেন, সঙ্গলে সে যেন কোথাও না যায়, একজন গোয়েন্দা তাকে প্রশ্ন করতে আনবে।যে এল তায় নাম শবা সশগুপ্ত। জিপ থেকে নেমে গলির রাস্তায় পা দিতেই বন্ধু ছুটে এসে খবর দিল অহনীকে, কে এসেছে জানিস? শবর বাশগুপ্ত। সুপার কপ। শখর দাশগুপ্তকে একটা ঢেয়র বোকা-বোকা হানিও নেই মুখে। সরদিকে চেয়ে স্নানের ঘরদোর একটু দেখল, ভারপর তার দিকে চেয়ে বলল, এখানে কানে এসেছো। ছয় তারিখে। দেওয়া হল। গোমরামুখো নয়। আবার শিবাজীর বাড়িতে কতদিন আছে? তেরো বছর বয়স থেকে। তেরো বছর ফাংসের কাউকে কাজে রাখা বে-আইনি তা জানো? বাঃ রে। আমি যখন আমার মায়ের কাছে থাকতাম তখনও তো হরের কাজ করতে হত। সাত-আট বছর বয়াস থেকেই জল আনা, বাসন মামা, ঘর ক্যাঁটরানো, ছোটো ভাই- বোনদের দেখাশোনা করা, সব। সেটা বে-আইনি নয়। শবর এবার হাসল। ককককে সাদা দাঁত। তাকে আর একবার ভালো করে দেখে নিয়ে বলল, অনেছি তুমি যোলো বছর বয়স থেকেই গাড়ি চালাও। । মাডাম আমাকে না কাজে হ্যাঁ পাকা করতে চেয়েছিলেন। আমি এক বছর যাবৎ গাড়ি চালাচ্ছি। কখনও কোনও অ্যাকসিডেন্ট করিনি। কোনও হয়। আমি তোমার রেকর্ড চেক করেছি। আপনি কি আমার লাইসেন্স ক্যানসেল করে দেবেন। না। ওটা মেটির ভেহিকলস ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার। আর তুমি যখন গাড়ি ভালোই চালাও তখন অমোর গরজ কিসেরা গায় ইই। তুমি পুলিশের জেরায় বলেছ, ঘটনার সময়ে তুমি গড়িতে ছিলে না। না। পুলিশকে আমি তো বলেইছি যে সেই রাতে আমি ম্যাডামের বোন শ্যামার্সীকে রিসিভ করতে এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম বড় গাড়িটা নিয়ে। রাম প্ররোটায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ল্যান্ড করার কথা ছিল। রাতের ফ্লাইটে রিসিভ করতে তোমাকে পাঠানো হয়েছিল কেন? ওটা ইমার্জেন্সি ছিল। রমুখীর সিং-এর মায়ের দয়া হয়েছিল সেদিনই সালে। তাই ম্যাডাম আমাকে পাঠান। না। সঙ্গে বুদ্ধ ছিল। মানে ইস্তিরিওয়ালা। নচে ফর গুমটি আছে! হ্যাঁ। শ্যামালী ম্যাডামের ফ্লাইট আধঘন্টা লেট ছিল। রাত একটায় আমি ওকে নিক অপ করি। তারপর সোজা বারুইপুর। ফেরার সময় অবশ্য বুমা বাইপাসে সরেন্স নিটির কাছে নেমে ফিরে আসে। তুমি রাতে বারুইপুরে শ্যামাঙ্গীদের খড়িতেই ছিলে?
পৃষ্ঠা:০৯
হ্যাঁ। অত রাতে এঁরা ফিরতে দিলেন না।তুমি কখন যবর পাও? খবর পাইনি। শ্যামাদী ম্যাডাম অনেকবার আমাদের ম্যাডামকে ফোন করেন। নন্দিনী ম্যাডামের নক্ষয়েও ফোন কর হয়। নো রিপ্লাই। আমরা ভাবলাম ন্যাডামরা বোধহয় খুমিয়ে পড়েছেন। শোওয়ার সময় ম্যাডাম ফোন সাইলেন্ট মোডে রেখে শুতেন। এর ঘুমো প্রবলেম ছিল। ওখান থেকে কখন ফিয়ে এসেছিলে। সালে রেকফাস্টের পর। প্রতেই আমি ম্যাডামকে একটি মেসেজ করে রেখেছিলাম যে, সকালে ফিরব। আমি সাড়ে আটটায় পৌঁছাই এসে। তখন পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। বাইরেও খুব ভিড়।তুমি কি শিবাঙ্গীর সঙ্গে ক্লাংটর মধ্যেই থাকো? সবসময়ে নয়। সারড্যান্টস কোয়াডারে আমার ঘর আছে। তবে অনেক সময়েই ম্যাডাম রেখে দিতেন। নন্দিনী ম্যাডাম সম্পর্কে কিছু বলবে? সব বলা হয়ে গেছে। তিন-চারবার করে। আর কী শুনবেন। যা বলা হয়নি। বরো যদি ভিগোস করি বিষাণ রয়ের সঙ্গে নন্দিনীয় সম্পর্কটা কেমন ছিল। বা তুমি এই দুজনের মধ্যে কিছু করেছো কিনা। না. কিছু ছিল না। সাদা তীষণ ভালো লোক। ভীষণ ভালো।বিষাণ গারকে কি তুমি দালাহ্যাঁ। তাহলে শিবাসীকে বউদি নয় কেন? উনি বউদি ডাক পছন্দ করেন না। না। তুমি বিষাণ রায়কে পছন্স করো? কেন করব না? নানা খুব ভালো। বিষাশ মদ খায়, জানো তো। ধুম্। আজকাল কে না খামো। ম্যাডাম যেতেন, নন্দিনী ম্যাডাম যেতেন, আমিও কতদিন খেয়েছি। বুঝলাম। বিষাণের কি কি গুণ আমি রো অত জানি না। কবে দাপ্য কখনও মিথ্যে কথা বলে না, কথনও চেঁচামেচি করে না, কখনও কটিকে অপমান করে না, মানাম সাকে যা খুশি বললেও দাদা কখনও উল্টো কিছু বলে না। মদ খাওয়া ছাড়া বাধার মধ্যে আমি কখনও কোনও বেয়াল দেখিনি। আর ম্যাডাম ইচ্ছে করলেই মালাকে মদ কিরকম। দাদ্য ডো ম্যাডামকে ভীষণ ভয় পায় কেন? ন্যাজানের সণ ভালো, কিন্তু বড্ড রগচটা। খুব দামান্য কারণেই ভীষণ রেগে যান। পালা এই রাগকেই বোধহয় শিবাজীর সঙ্গে নন্দিনীয় কিরকম ভাব ছিল? সুজন তো বন্ধু। ভাব তো ভালোই ছিল। দুজনের কথাত এখাড়া হত নায় ম্যাডামের সঙ্গে ফগড়া। পাপন। কখন বনের আমি টের পেতাম না। নাকি? ম্যাডামের চোখে চোখ রেখে কেউই কথা বলতে পারত নন। তুমিও কি ম্যাডামকে ভয় পাও। ও বাবা। সাঙ্ঘাতিক। তবে হাঁ, ম্যাডাম আমাকে খুবই ভালোবাসেন। অথ্য ম্যাডামের চেয়ে বিষাণ রায়ের প্রতিই তোমার পক্ষপাত বেশি। তাই না? জাহ্নবী হেসে ফেলল। তারপর বলল, কি করব, দালা যে বড্ড বোয়া মানুষ। দেখলেই মারা হয়। যদি প্রমাণ হয় যে বিষাশ রায়ই নন্দিনী আয় শিবালীকে খুন করায় পিছনে রয়েছে।মরে গেলেও বিশ্বাস করি না। আপনি তো দাদাকে চেনেন না। একসিন সকালে ট্রেকফাস্টের সময় একটা বড় নীল মাছি চলে এসেছিল টেবিলের ওপর। রাঁধুনি নিরাইল সেটাকে একটা ফ্রাই হাটার দিয়ে মারে। দানা তো প্রায় কেঁদেই ফেলেছিল, কেন মারলি? কেন নারলি? বলে চোখ ছলছল। ভালো করে খেলই না সেকিন। তুমি তো দেখছি বিজ্ঞান রুয়ের ডাই হার্ড ফ্যান। হ্যাঁ তো। দাদাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি।
পৃষ্ঠা:১০
দাদাও কি কোনাকে ইকোয়ালি ভালোবাসে? দনা। নয়, দানা ভো বাড়িতে কারো সঙ্গে কথাই বলে না। কারও সিকে তাকিয়েও দেখে না। খুব চুপচাপ খাকে। আমার তো মনে হয় রাস্তায়- ঘটে আমাকে মুখোমুখি দেখলে সালা চিনতেও পারবে না। বিষণ রায় কি এতনিই অন্যমনস্ক? ভীষণ। কিন্তু পত্নীর মানুষ নয়। রাশভারী মানুষকে দেখলে চো ভয়-ভয় করে, বালাকে দেখলে তেমনটা হয় না। তোমার সঙ্গে কখনও কথা-টলা খুব কম। দাদা ফাইফরমাশ করতে গরুদ করে না। তবে আমি নামে মাঝে গিয়ে হরনি একটু গুছিয়ে দিতাম।ট্রাংক অবস্থায় বমি করলে তুমি কি কখনও এঁকে অ্যাটেন্ড করেছো?ববি-টমি খুব একটা করে না কো। একবার বা দু’বার দিছে বরেছিলাম। অনেকদিন আগে। আর একবার জ্বর হয়েছিল, প্রথন জোর করেই মামা বুইয়ে দিয়েছিলাম।জোর করে কেন? তখন ওর একশো ার ডিগ্রি জ্বর। বিছানা থেকে ওঠার শক্তি নেই। আমি মাথা থোয়াতে চাইলে খুব আপত্তি করতে লাগলেন। কিন্তু আমি দেখলাম, মাথা না যেখানে জ্বর হয়তো কারও বাড়বে। তাই নিভাইসাকে ডেকে এনে অয়েগ ক্লথ বিছিয়ে একরকম জোর করে অনেকক্ষণ ঘরে মাথা দুইয়ে সিয়েছিলাম। তাতে খুব খুশি ছিলেন। জ্বর ছাড়বার পর একদিন আমাকে জেকে দুশো টাকা দিয়ে বললেন, শাড়ি-টাড়ি কিছু কিনে নিও। আমি টাকা নিলাম না। বললাম, অড়ির লোক দেবা করলে কি বখশিশ দিতে হয়। কথাটা এঁর ভালো লেগেছিল। বিষাণের সঙ্গে তোমার শেষ কবে দেখা হয়েছে বোজই তো হয়। কালও গিয়েছিলাম। আজও যাব। নার্সিংহোমে ম্যাডামকে দেখতেও বাই দু’বেলা। তোমার তো ও বাড়িতেই থাকার সেটা তো ভালো দেখাবে না। শত হলেও আমি তো বালের মেয়ে, বাধার সঙ্গে একা বাড়িতে খালি কি করে? সকালে গিয়ে গাড়িটায় শ্যাট নিই। ডাল্টিং করি। দাদার হয়, ম্যাডামের ঘরও ডাস্টিং করতে হয়। বিষাণবাবুর সঙ্গে মাত্রার নিয়ে কোনও কথা হয়েছে। মার্ডার নিয়ে এত কথা হচ্ছে যে আর ওসব নিয়ে কথা কইতে ইচ্ছে করে না। দেখছি দাশ আজকাল ড্রিংক করছেন না, ঠিকমতো খাওয়া- পাওয়ও করছেন না। সারাদিন চুপচাপ বসে থাকেন, না হলে কম্পিউটারে কাজ করেন। পড়ি বড় হয়ে গেছে। এর খেয়াল রাখার তো কেউ নেই। আমার খুব কষ্ট হয়, কিন্তু কিছু বলতে সাহস হয় না। শুনছি পুলিশ দকি এঁকে অ্যারেস্ট করবে? হয়, তা পারে। কিন্তু সেটা খুব ভুল হবে। দাদ্যতাহলে খুনটা শে করেছে বলে তোমার মনে হয়?আমি জানি না তো। তোমার মালফের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল জানেন? না। নন্দিনী ম্যাডাম তো দারাদিন কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আর কাজের লোকনের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়াটাও ওঁর কাজ ছিল। কুরটিটা ছয় হাজার স্কোয়ার ফুটের। টুইন ফ্লাট। গামা ফ্লাইটটা তো ফাঁকাই পড়ে থাকে। তবু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হয়। তোমার কোনও বয়ফ্রেন্ড নেই। বয়ফ্রেন্ড। নয়, আনার কোনও কেন নেই। কেন থাকবে। আজকালকার ছেলেগুলোকে দেখেছেন? সারাদিন ছোঁক ছোঁক করে মেয়ে খুঁে যখন একা গাড়ি চালাই গ্রার সময়েই কিছু পয়সাওলা ছেলেছোকরা গাড়ি করে পিছু নেয়। পাশাপাশি এনে জানলা দিয়ে খাপ খারাপ কথা বলে। আপনিই বলুন, এদের কামকে ব্যায়েও বলে ভাব যয়? তুমি তো খুব চুজি দেখছি। একটু আছি। বলতে পারো নন্দিনী ম্যাডামের কোনও অ্যাফেয়ার ছিল কিনা। ঠিক জানি না, উনি তো খুব অঁর বয়স সাতাশ-আঠাশ, চেহারা ভালো। এর তো কোনও বয়ফ্রেন্ড থাকারই কথা। কখনও কারও সঙ্গে ওকে দেখেছো। না। দশিনী ম্যাডামের সঙ্গে তোমার কেমন ভাব ছিল? ছিল না স্থায়। উনি পামাকে পহণ করতেন কলে আমার মনে হয় না। কেন, তুমি কি করেছো? কিছুই তো করিনি। অপহপটা কিভাবে বুঝতে পারতে? ওসব বোঝা যায়। আমাকে সেথলেই মুখটা আঁশটে হয়ে যেত। বাস। ওটুকুই। না। আরও অনেক ব্যাপার ছিল। মোরেখাটো ব্যপার। তবে আমাকে ন্যাতাম তো বইিয়ের কাজেই বেশি পাঠাতেন, তাই আমাকে নন্দিনী ম্যাডামের মুখোমুখি বেশি হতে চাই। গুনে হারো তোমায় ভালে লাগবে না। তোমাকে একটা কথা বলতে কি কথা। আমার সন্দেহ নন্দিনী মাকামের ডলছিল। সঙ্গে বিষাণ রানের একটা আফেয়ার
পৃষ্ঠা ১১ থেকে ১৫
পৃষ্ঠা:১১
অসম্ভব কেন। বিষাণণাগুর সঙ্গে শিবাজীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। বিষয়ণবাবু একজন আট্রাকটিভ মানুষ এবং প্রচুর টাকায় মালিক। সঙ্গিনী যথেষ্ট সুন্দরী, স্মার্ট, বুদ্ধিমতী। আফেয়ার তো হওয়াই স্বাভাবিক। থাল নন্দিনী ম্যাডামকে পাত্তাই কি করে বুঝলে? বুঝবো না কেন? আমার কি জাভারে দুটে গ্রোথ নেই? আছেই তো। এবং চোখ দুটো বুধ সুন্দর। কথাটা নিশ্চয়ই তোমাকে অনেকেই বলেছে। জলহনী লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে একটু হাসল। তারপর বলল, জানতে চাইছি, এই দুটো সুন্দর চোখ দিয়ে তুমি ঠিক কি কি দেখেছো যাতে মনে হতে পারে যে বিধান রার নন্দী মাডামকে পাড়া দিতেন না। সকালের দিকে প্রায়ই দাদার ব্রেকফাস্টের নড়ায় এযে উল্টো দিকে বসতেন। বেগ দেজেগুজে। মানে ঠিক খুব বেশি সাজ নয়। হয়য়ো একটা বেশ চটকবর কিমোনো পরলেন, চুলটা একটু কারবা করলেন, অন্ধ মেক-আপ, হাচ্ছা লিপস্টিক। এমন আপনি সুক্ষবেন না। মেয়ের তা তো ঠিকই। কিছু উনি হাঙ্গে এই সময়ে ব্রেকফাস্ট করতেই এসে নোটেই না। ম্যারাম বা নন্দিনী ন্যাড়ান লে ব্রেকফাস্ট জরেনই না। শশা, দৈ আর কয়েক টুকরো ফল। ভবে এসে বসতেন কেন? দুঃখ নিন। দুজনে কথাবার্তী হত না। নন্দিনী ম্যাডাম বা বাঁধা কেউই খুব একটা বলিয়ে-কইয়ে মানুষ নয়। নন্দিনী ম্যাডামকে দেখেছি টোস্টে বাটার লাগিয়ে নিতে। দরদ দেখানো আর কি। দানা তো অাদিয়েও দেখত না। তার মানে নন্দিনীয় বিষাখ্যের কপর দুর্বলতা ছিলা মিল। কখনও বাড়ানাড়ি কিছু দেখনি? বললাম-তো দাদা পাত্তা দিত না। ব্যাপারটা তোমার মাদামকে জানিয়েছিলে? বাপ রে। ম্যাডামকে কে বলতে তুমি কি জানতে যে তোমার ন্যাপ্রামো একটা পিজল ছিল? না। তবে ওই ঘটনায় পর পুলিশের কাছে গুনেছি। তুমি তো শিবানীর ঘা গৌঁছায়ছ করতে, কথাও দেখোনি। লকায় গোলার শুরুম নেই। না। আমার তো ক্যাবিনেট বা শিবাদী তো মাঝে মাকে কলকাতার বাহিরে যেত, তাই না? হ্যাঁ। ওর ব্যবসার কাজে যেতে হক। নিম্নি, রেখে, বাদালোর, সিঙ্গাপুর, বঃফক। ঘটনার আগে করে শেষন্তর বহিরে গেছে বলতে পারো। পারি। ম্যাডামের টুর আমার মনে রাখতে হদ। মে মাসের যেখানো আর সতেরো তারিখে উনি বোম্বে গিয়েছিলেন। চবিবশ আর পটিশ তারিখে দিল্লি। নেই সময়ে কি নন্দিনী আর বিবাণ এরা ফ্ল্যাটে ছিল।ফ্ল্যাটের ভিতরে থাকতে হয়। ম্যাডামের খরে। আনেক দামি জিনিস আছে তো, তাই। না। ম্যাডাম যাইতে গেলে আমাকে অর্থাৎ তোনাকে পাহারা দিতে ন্যাতামের বিছানাতেই কি শোও। বাপ যে। মায়ামো বিছানায় কে শোবে। ম্যাডাম কেটে ফেলবে তাহলে। আমার একটা ফোল্ডিং খাই আছে, সেটা পেতে শুই। তার মানে মে মাসের বোলো, সতেরো, চফিংশ আর পটিশ তুমি ম্যাডামের ঘরেই রাতে গুরেছিলে? হা। কিন্তু এসব নিজ্জেস করছেন কেন? পুলিশ তো জিয়েন করেনি। আমিও তো পুলিশ। ৩। বিশ্ব আপনি একটু অন্যরকম। ঠিক পুলিশ-পুলিশ মনে হয় না। বন্ধু বলছিল আপনি নাকি সুপার রূপ। তা তো আমার জান নেই। শুধু এটুকু জানি যে, আমি একজন পুলিশ কর্মচারী। তুমি বোধহয় জানো সেদিন রাতে শিবাঙ্গী নিজেকে বাঁচাতে তার পিস্তল থেকে এক রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। গুপিটা শুনিলো একজনের গায়েও লাগে। ঘবেগ মেঝেতে আর রক্তের দাগ পাওয় গেছে। জানি। সং গুনেছি। ম্যাডামের চেডি সাহস। আমি শুনেছি তুমিও ফুলন সাহসী মেয়ে। গাজলী কাবার একটু ঝাঁকিয়ে একটা বখাটে হাসি হাসস। তারগয় আমাদের ক্লাসের মেয়েদের কি চলে? মারপিট করো নাকি। না, শুধু শুধু মারপিট করবো কেন? তবে দরকার হলে হাত-পা চালিয়ে নিই। এরকম কোনে ঘটনা কি ঘটেছো জাহ্নবী আবার হাসল, কেন দেবেন নন য়ে সার আয়রে না। মেয়েরা মারপিট করলে তিন-চারবার মারপিট হয়েছে। বদমাশ ছেলেদের সঙ্গে। তুমি তো সাদাতিক মেয়ে। মেরেছে, না মারপিট করলে মার খেতেও হয়। কোনও হিরো তো আর আমাদের বাঁচাতে আসে না, সিনেমার মতো। ঠিক কথা। মেয়েরা হিরোর জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকবেই বা
পৃষ্ঠা:১২
কেন। প্রত্যেকটা মেরেয় নিজেরই হিরো হয়ে ওঠা উচিত। থ্যাংক ইট দ্বার। একটা কথা জিগেস করবো? গলকে কি আপনারা অ্যারেস্ট করবেন?সেটা তদন্তের ওপর নির্ভর করছে। খুনির ধরা পড়ে গেলে এবং তোমার দাদার নাম বললে খারেস্ট হো না স্যারগ, দাদার নাম বলবে কেন? বলবে না, তুমি কি করে জানো? গাল ও কাজ করতেই পারে না। বাইরে থেকে দেখে মানুষকে আর কতটুকু চেনা যায়। তবে এখনই অ্যারেস্ট করা হচ্ছে না, এটুকু বলতে পারি। কিন্তু তোমার দাদার চেয়েও তোমার ম্যাডামের বিপদ বেশি। তার হেড ইনজুরি, কোমায় আছেন। বাঁচার সম্ভাবন মাত্র ত্রিশ পারসেন্ট। তার জন্য তোমার টেনশন হচ্ছে নায় ভাজার সেন দাদাকে বলেছেন, ম্যাডামের প্রাণের ভয় নেই। আমি নিয়ে শুনেছি। হচ্ছে। খুব হচ্ছে। কিন্তু কাল তাই বুঝি? হ্যাঁ স্যার। কাল বলকে আমিই তো গাড়ি ডালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। তুমি কেন? বিষাণের তো আলাদা আছে। কিছু ওঁর মনের যা অবস্থা গাড়ি চালাতে গেলে আনসিডেন্ট করে বসবেন।খ। সে কথা ঠিক। উনি খুব নার্ভাসনেনে ভুগছেন। খেতে চাইছেন না, ঘুমোচ্ছেন না ভালো করে। ওজন কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। গালে বড় বড় পড়ি। আমি গিয়ে হাতে-পায়ে ধরে খাওয়াই।তুমি বললে খান? খুব বিরক্ত হন। তবে সামান্য একটু মুখে তোলেন। কতক্ষণ থাকো ওর কাছে তোত্র। কাছে থাকা তো সম্ভব নয়। উনি কম্পিউটারে কাজ করেন, কাগজ বা বই পড়েন, টেলিফোনে কথা বলেন। আজ তো পুলিশের পারমিশন নিয়ে অফিসেও যাবেন শুনেছি। হাঁ, এঁকে পারমিশন দেওয়া এঁকে ছেড়ে দিন সাং। উনি কিছু করেননি। কিন্তু কেউ হো করেছে। সেটা না জানা অবধি শুঁকে তো সন্ধেহের বাহিরে রাখতে পারি না। প্ররকম ভালো একটা লোককে সন্দেহ করা কি হিল। আছেন ম্যাডাম। কেমন আপনি কে বলুন তো। আপনাকে কি আমি চিনি? না, আমাদের পূর্ব পরিচয় নেই। আমার নাম শবর দাশগুপ্ত। আমি পুলিশের গোরেখা। এর। হ্যাঁ, এয়া বলে রেখেছিল যে, পুলিশ থেকে কেউ আমাকে জেরা করতে আসবে। ন দাতাম, জেরা নয়। ভান্ট একটু কনভারসেশন। কিন্তু আপনি এখন কেমন আে ‘ভালো নেই। মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, তাকাতে কষ্ট হয়। তার চেয়েও বেশি কষ্ট মনের মধ্যে। আচ্ছা, আমি কি একটা লেককে খুন করেছি। সবাই বলছে আমি খুল করিনি। কিন্তু ভরা বোধহয় সত্যি কথাটা আমাকে বলতে চায় না। আপনি তো পুলিশ। আপনি তো জানেন আমি গুলি চালিয়ে একটা লোককে মেরে ফেলেছি। না। আপনার গুলিতে সমান্য জখম হলেও কেউ মরেনি। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি যজ্ঞ পাপবোধে ভুগছি। অনুশোচনায় বুক পুড়ে যাচ্ছে। অনুশোচনার কী আছে? আপনার ধরে একজন ইনট্রিউডার ঢুকলে তার বিরুদ্ধে আপনি অ্যাকশন নিতেই পারেন। আমার মরে আপনি ঠিক কাজই করেছেন এবং যাহসের সঙ্গে। পিগুলটা জীবনে কখনও ব্যবহার করতে হবে বলে অবিনি। তাছাড়া কাউকে লক্ষ করেও গুলি চালাইনি। ভেবেছিলাম দেরলের দিকে তাক করে ফায়ার করবে, আর ওরা ক্ষয় পেয়ে পালিয়ে যাবে। ভয় পাওয়ার ওরা কারা বলুন তো। সুপারি কিলার বললে বুঝতে এসব আজকাল সবাই বোঝে। আমি যাকে গুলি করেছি সে তাহলে বেঁচে আছে কো আছে বলেই মনে হয়। তবে দে ধরা পড়েনি, পালিয়ে গেছে। লুটপাট করতে এসেছিল তো। মনে হয় না। আপনার ঘর থেকে কিছু চুরি গিয়ে থাকলে আপনি ছাড়া আর কেউ ভালো করে বুঝতে পারবে না। তবে চুরি বা আজাতিটা উদ্দেশ্য ছিল না। সুপারি কিলার বললেন না। তার মানে কন্ট্রাক্ট কিলার তো? আমাকে মারতে এসেছিল। তাই তো মনে হয় কিন্তু কেন। সেটাই তো এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, কেন? ভারী আশ্চর্য ব্যাপার তো। আমাকে কেন থুন করবে কেউ। আমি তো কারও কোনও ক্ষয়ি করিনি। ভাষতেই যে আমার মাথা ঘুরে যাচ্ছে। উত্তেজিত হবেন না। আমি তো শুনেছি আপনি একজন তেজগিনী মহলা। কে বলেছে? সবাই তো বলছে।তেজস্কিনী-গ্রটনি নই। তবে সাহসী বলতে পারেন। কিন্তু এই ঘটনার পর সব উল্টে-পাল্টে গেছে। খুব ভয় ভয় করছে এখন।
পৃষ্ঠা:১৩
মাত্র গতকাল জ্ঞান ফিরেছে। এখনও আপনি খুব দুর্বল। আর শরীর দুর্বল থাকলে মনটাও ওরকমই হয়ে যায়। বোধহয় তাই। সংক্ষেপে ঘটনাটা একটু বলতে পারেন? ঘটনা। ঘটনাটার তো মাথামুন্ডুই নেই। সেইটেই বলুন। আমরা একটু আরলি শুতে যাই রাতে। ধরুন দশটা নাগাদ। খুব প্রয়োজন ছাড়া কখনও লেট-নাইট করি না। টিভি সিরিয়াল দেখার নেশা আমার নেই। তবে নন্দিনী বেশ রাত অবধি দেখে থাকে। ‘ওয়ার্কহোলিক’। কাজ ছাড়া থাকতে পারে না। আচ্ছা একটা কথা বলবেন? কি কথা। গতকাল থেকে আজ অবধি নন্দিনী তো আমাকে দেখতে এল না? এরা এই হাসপাতালে পেশেন্টদের মোবাইল ফোন অ্যালাউ করে না। তবু আজ সকালে এক সিস্টারকে ধরে করে ফোন করিয়েছিলাম। কিন্তু নন্দিনীর ফোন সুইচ অফ আসছে। কী ব্যাপার বলুন তো। কিছু না ম্যাডাম। আসলে ঘটনার ফলে উনি ভীষণ শকড়। ওর নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়েছে। এখন নার্সিংহোমে ভর্তি। ওঃ গড! নন্দিনীও হাসপাতালে? হ্যাঁ। আপনি কি ওকে খুব ভীষণ। ও তো আমার মেন্টর। মিস করছেন? আমার জমিং তো ও-ই করে। হ্যাঁ, যা বলছিলেন- সেদিন আমি রাত দশটায় শুয়ে পড়েছিলাম। আমার ঘুমের প্রবলেম আছে বলে সেডেটিভ খেতে হয়। কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না। ঘুম ভেঙে ডিম লাইটে দেখি ঘরের মধ্যে দুটো লোক। তাদের মুখ বোঝা যাচ্ছিল না, কিন্তু হাতে কিছু ছিল। কী ছিল? পিস্তল বা ওরকম কিছু। কথা বলেছিল? আমি চেঁচিয়ে উঠেছিলাম কে?’ বলে। তখন সামনের লোকটার হাতে একটা ছোরাও দেখতে পাই। আমার বালিশের পাশেই আমার পিস্তলটা থাকে। কোনওদিন কাজে লাগবে বলে ভাবিনি। ওই বিপদের মুখে পিস্তলটার কথা মনেও পড়েনি। কিন্তু হাতে ভর দিয়ে উঠে বসতে গিয়ে হঠাৎ ডান হাতে পিস্তলটা পেয়ে যাই। একটুও ভাবনাচিন্তা না করে গুলি চালিয়ে দিতেই লোকটা ‘যাঃ শালা।’ বলে একটা আর্তনাদ করে পড়ে গেল। তারপর। তার পরের ব্যাপারটা ব্ল্যাংক অ্যান্ড ব্ল্যাক আউট। পরে শুনেছি আমার মাথায় গুলি করা হয়েছে। কিন্তু মাথায় গুলি লাগলে তো আমার বেঁচে থাকার কথা নয়। আবার বলছি, আপনি তেজস্বী মহিলা। আর হ্যাঁ, গুলিটা মাথায় লাগলেও ভাইটাল পার্টে লাগেনি। ফ্যাটাল ইনজুরি নয়। তবে সিরিয়াস শিবাজীর বাড়িতে কতদিন আছো? ইনজুরি। আপনি প্রায় পনেরো দিন কনশাস ছিলেন না। আমার গুলিতে সত্যিই কেউ মরেনি তো। না। আর মরলেও ভারতের সংবিধান অনুযায়ী তাতে আপনি অপরাধী সাব্যস্ত হন না। আত্মরক্ষার জন্য খুন করা অপরাধ নয়। সংবিধান নিয়ে কি আমাদের জীবন চলে? আমার হাতে কেউ খুন হয়ে থাকলে-সে গুন্ডা-বদমাশ যা-ই হোক, আমার নিজেকে বরাবর অপরাধী মনে হবে। আপনি ওদের কারও মুখ দেখতে পেয়েছিলেন। আমার ঘরে জোরালো আলো থাকে না। আর ঘুমের সময় আমি আলো সহ্য করতে পারি না বলে খুব কম পাওয়ারের একটা আলো জ্বালানো থাকে। ফলে ঘরটা একরকম আবছা অন্ধকার ছিল। দুটো লোককে দেখেছিলাম, আবছা ভাবে। তবে তারা পুরুষ, আর মনে হয় বয়স খুব বেশি নয়। লম্বা না বেঁটে?
পৃষ্ঠা:১৪
লম্বাও নয়, বেঁটেও নয়। গড়পরতা হাইট।পোশাক?এই তো, আপনি তো আমাকে শেষ অবধি জেরাই করছেন। তাই না? অথচ বললেন কনভার্স করতে চান।শবর হেসে ফেলল। তারপর বলল, মাপ করবেন। কেসটা এমন ঘাড়ে চেপে আছে যে, বে-খেয়ালে আপনার ওপর প্রেশার ক্রিয়েট করে ফেলেছি হয়তো।আপনার হাসিটা কিন্তু ভারী সুন্দর। আচ্ছা আপনি কি একটু শক্ত ধাতুর লোক?ওকথা বলছেন কেন?আপনার চোখ দুটো কিন্তু ভীষণ পেনিট্রেটিং। তাকালে যে কেউ একটু ভয় পাবে।দয়া করে আপনি যেন ভয় পাবেন না। কারণ আমি ইতিমধ্যেই আপনাকে সাহসী বলে মনে করতে শুরু করেছি।আপনাকে দেখে মনে হয় না যে, আপনি মহিলাদের কমপ্লিমেন্ট দিতে পারেন।ফাঁকা কমপ্লিমেন্ট নয় ম্যাডাম। যাক গে, আর কিছু যদি মনে পড়ে তাহলে বলুন। খুব বেশি স্ট্রেস-এর দরকার নেই। জাস্ট চোখ বুজে একটু ভেবে দেখুন সেই রাতের আর কোনও ডিটেলস মনে পড়ে কিনা।নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো। কিন্তু আমি যখন মারা যাইনি আর ডাকাতরাও তেমন কিছু নিতে পারেনি তখন তদন্তের কি আর খুব একটা দরকার আছে? এখন থেকে একটু অ্যালার্ট থাকলেই তো হবে।কিন্তু পুলিশকে তো শেষ পর্যন্ত তদন্ত করে দেখতেই হবে। আমরা তো এইজনাই বেতন পাই।তা অবিশ্যি ঠিক। আপনি যখন বলছেন তখন আমি নিশ্চয়ই সেই রাতের ডিটেলস মনে করার চেষ্টা করবো। এখানে আমার একটুও ভালো লাগছে না। কবে যে এরা ছাড়বে।আপনার কামব্যাকটা খুব অ্যামেজিং। ডাক্তাররা আশাই করেনি যে আপনার এত কুইক রিকভারি হবে। মনে হয় আর দু-চারদিনের মধ্যেই আপনি ছাড়া পেয়ে যাবেন। বাই দি বাই, আপনার হাজব্যান্ডের সঙ্গে দেখা হয়েছে?একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল শিবাঙ্গী। তারপর সম্মতিসূচক মাথা নেড়ে বলল, হয়েছে। বেশ রোগা হয়ে গেছে, মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ। চিনতেই পারিনি প্রথমে।কখন দেখা হল? আমার কনশাসনেস ফিরেছে শুনে কাল রাতেই এসেছিল। সঙ্গে জাহ্নবী।তখন তো ভিজিটিং আওয়ার্স নয়। আপনি জাহ্নবীকে চেনেন না, একটা বিচ্ছু। ও কয়েকদিন এসেই হাসপাতালের সকলকে পটিয়ে নিয়েছে। ও তো যখন-তখন আসে- যায় বলে শুনেছি।হ্যাঁ, মেয়েটা বেশ বুদ্ধিমতী। আপনার খুব প্রিয়পাত্রী বুঝি?আমার তো ছেলেপুলে নেই। ওর ওপর একটু মায়া পড়ে গেছে। আপনি ওকে অল্পবয়সেই গাড়ি চালানো শিখিয়ে লাইসেন্স বার দিয়েছেন, শুনলাম। মাই গড। কী বোকা। পুলিশের কাছে ওসব বলতে হয়? ভয় নেই। আমরা আইনের পথ ধরে আর ক’জন চলি। তবে মাইনরের গাড়ি চালানো তার নিজের এবংঅন্যদের পক্ষে বিপজ্জনক।সরি শবরবাবু, কাজটা অন্যায় হয়ে গেছে। কিন্তু ওকে আমি একটু তাড়াতাড়ি পাকিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম। পড়াশোনাটা হয়নি, আর সব কাজে পাকা। ওর বোধহয় নন্দিনী ম্যাডামের সঙ্গে একটু ইগো প্রবলেম আছে! কি করে বুঝলেন? কিছু বলেছে বুঝি?ভেঙে বলেনি। তবে বুঝিয়ে দিয়েছে। ওই তো প্রবলেম। অথচ নন্দিনীকে যে ও কেন পছন্দ করে না তাও বুঝি না বাবা।নন্দিনীও কি ওকে অপছন্দ করে? না না। নন্দিনী সেরকম মেয়েরাই নয়। ভীষণ বুদ্ধিমতী। আপনি নিশ্চয়ই নন্দিনীকে মিট করেছেন? করেছি। চার্মিং না? উনি সুস্থ নন বলে আমার সঙ্গে বিশেষ কথা হয়নি। নন্দিনীর সঙ্গে আপনার কবে, কোথায় পরিচয়। পরিচয় তো অনেক দিনের। আমার যখন ধোলো-সতেরো, ওর তখন চৌদ্দ-পনেরো। ওই সময়েই ওরা আমাদের পণ্ডিতিয়া টেরাসে ফ্ল্যাট ভাড়া করে এল। অর্থাৎ যখন আপনার বয়স যোলো-সতেরো আর নন্দিনীর চৌদ্দ-পনেরো? একজ্যাক্টলি।ওঁর ব্যাকগ্রাউন্ড! খুব সাদামাটা। বাবা পোস্টাল ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন। ওরা দুই ভাই-বোন। ভাই ছোটো। আমাদের বেশ ভাব হয়ে গেল। নন্দিনী বিয়ে করেননি কেন? বিয়ে করেনি মানে করবে না তো নয়। মাত্র তো পচিশ বছর বয়স। কোনও বয়ফ্রেন্ড? না। একটু চুজি। আচ্ছা নন্দিনীকে নিয়ে আমরা কথা বলছি কেন? কৌতূহল। যাক গে। আপনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন। এ জায়গাটা বড্ড বিচ্ছিরি। ঘরে টিভি নেই, খবরের কাগজ দেওয়া হয় না, মোবাইল বা ল্যাপটপ কিছুই অ্যালাউ করে না এরা। শুনছি নাকি বাইরে পুলিশও চব্বিশ ঘণ্টা পাহারা দেয়। সত্যি নাকি? হ্যাঁ। সাবধানের মার নেই। আর আপনি আছেন আই সি ইউ-তে। এখানে খবরের কাগজ, টিভি, মোবাইল সব নিষিদ্ধ।
পৃষ্ঠা:১৫
সারাদিন কথা না বলে বা কাজ না করে কি থাকা যায়?এখন বিশ্রাম নিন। কাজের জন্য সামনে লম্বা সময় পড়ে আছে। আজ তো কথাও অনেক বলেছেন। আমিই বকিয়েছি আপনাকে। এবার আসি। চলে যাচ্ছেন? আবার আসবেন কিন্তু। হাসালেন ম্যাডাম। পুলিশকে কেউ আবার আসতে বলে না। পুলিশ মানেই বিপদ। তা হতে পারে। কিন্তু আপনার সঙ্গে কথা বলে আমার তো বেশ লাগল। আমি বাড়ি ফিরে গেলে একদিন চা খেতে আসবেন। আপনি এখন বোর হচ্ছেন বলে আমার সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগছে। নইলে আই অ্যাম অ্যান আনকমফোর্টেবল কোম্পানি। একদম নয়। আবার এসে দেখুন না আমি আনকমফোর্টেবল ফিল করি কি না। ঠিক আছে ম্যাডাম। বাই।দাঁড়ান, দাঁড়ান। একটা কথা হঠাৎ মনে পড়ল।কি কথা?একটা নাম। কার নাম? তা জানি না। তবে ব্ল্যাক আউট হওয়ার সময় কে যেন বলল, বাচ্চু, আর চালাস না….বাচ্চু!হ্যাঁ।আর কিছু মনে পড়ছে? না। থ্যাংক ইউ ফর দি লিড। ফের বলছি। আবার আসবেন। ।। চার।। দু-দিন পর এক ভোরবেলা পুলিশ বাদু মণ্ডলকে তুলে নিল তিলজলা থেকে। তার দু’দিন পর ভিক্টর ধরা পড়ল পার্ক সার্কাসে। দুজনেরই প্রাথমিক স্টেটমেন্ট, তারা ডাকাতি করতে ঢুকেছিল। খুন করার উদ্দেশ্য ছিল না। কেউ সুপারি দেয়নি। বাধা পড়ায় গুলি চালিয়ে দিতে হয়। একই বিবরণ বার চারেক চার পুলিশ অফিসারকে দেওয়ার পর অবশেষে একদিন শবর দাশগুপ্তের মুখোমুখি হতে হল তাদের। এবং সঙ্গে সঙ্গে তারা বুঝতে পারল, বিপদ। এই সাদা পোশাকের, সাদামাটা চেহারার লোকটা উঁচু গলায় কথা অবধি বলে না। ভারী মোলায়েম ভাষায় কথা কয়। গালাগাল দেয় না। ফালতু গরমও খায় না। একবার দুটো বাঘা চোখে দুজনের দিকে চেয়ে নিয়ে চোখ নামিয়ে টেবিলের ওপর একটা পেপারওয়েট এক হাত থেকে অন্য হাতে এবং অন্য হাত থেকে ফের আগের হাতে গড়াতে গড়াতে বলল, টারগেট একজন না দুজন? মাইরি স্যার, খুনখারাপি আমাদের লাইন নয়। ধরা পড়ার ভয়ে মেরে দিতে হল স্যার। শবর প্রশ্ন না করে অনেকক্ষণ দুজনের দিকে চুপ করে চেয়ে বসে রইল। যেন গভীরভাবে কিছু ভাবছে। মিনিট দুয়েক পর একটা বড় শ্বাস ফেলে বলল, একটা প্রশ্নের জবাব না পেলে আমার অঙ্কটা মিলছে না। তোদের টারগেট ক’জন ছিল, একজন না দুজন? দুজনেই মুখ তাকাতাকি করে চুপ করে রইল অধোবদন হয়ে। ভিক্টর। তুই বলবি? আমার যতদূর মনে হয় সেই রাতে তুই অপারেশনটা লিড কয়েছিলি। বাচ্চু নয়। কাউকে মারার ইচ্ছে ছিল না স্যার, বিশ্বাস করুন। গোলেমালে হয়ে গেল। আমাদের আফশোস হচ্ছে স্যার। তুই যাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিস সে একজন মাইনর। যদি ধরা পড়ে তাহলে জুভেনাইল কোর্টে ট্রায়াল হবে। বড় জোর দু-তিন বছর কারেকশনাল হোমে সাজা কেটে বেরিয়ে আসবে। তাকে বাঁচানোর চেয়ে তোর নিজের গর্দান বাঁচানো অনেক ইম্পর্ট্যান্ট।
পৃষ্ঠা ১৬ থেকে ১৯
পৃষ্ঠা:১৬
ভিক্টর শুকনো মুখে বলে, আমাদের গর্দান তো যাবেই স্যার। আপনি কেস নিলে কি আমরা বাঁচবো? কেস নেওয়ার আমার কি দায়? চার্জশিট দেবে লোকাল পুলিশ। কেস স্ট্রং হলে ঘষে যাবি। আর যদি দাদা-ফাদা থাকে তো চার্জশিটে জল ঢুকে যাবে। কোর্টে কত ক্রিমিনাল কেস ঝুলে আছে জানিস? শুনলাম, তোদের হয়ে একজন ঝানু উকিল মাঠে নেমেছে।দুজনেই একটু অধোবদন। তারপর ভিক্টর মুখ তুলে বলল, কথাটা কি কোর্টেও বলতে হবে? জিগ্যেস করলে বলবি, তোর যদি ইচ্ছে হয়। আমাদের টারগেট একজন ছিল স্যার। নন্দিনী।তাহলে শিবাঙ্গীর ঘরে ঢুকেছিলি কেন? কাজটা তো গ্র্যাটিসের ছিল স্যার। আরা কন্ডিশন করেই নিয়েছিলাম। ল্যান্ডলেডির ঘর থেকে কিছু মাল্গু কামিয়ে নেবো। কিন্তু ঘুমপাড়ানি রুমাল বের করারই সময় পাইনি, উনি গুলি চালিয়ে দিলেন। মরেও যেতে পারতাম স্যার। তারপর? বাবু ভয় পেয়ে পাল্টা ফায়ার করে। আমি বারণ না করলে আবার গুলি চালিয়ে দিত। কাজটা অন্যায় হয়েছে স্যার। ব্রিচ অফ ট্রাস্ট। শিবাঙ্গীকে আমাদের মারার কথা নয়। শবর চিন্তিত মুখে বলে, আমার অঙ্কটা তবু মিলছে না। কিসের অন্ত স্যার?তোদের হয়ে যে উকিল মাঠে নেমেছে তার নাম জানিস?না স্যার। একজন সেপহি বলছিল আমাদের জামিনের জন্য নাকি একজন উকিল চেষ্টা করছে। কথাটা বিশ্বাস হয়নি। আমাদের মা- বাবারাও চায় যে, আমরা জেলে বন্ধ থাকি। হুঁ। কিন্তু ওখানেই তো গণ্ডগোল। তোদের উকিলের নাম ব্রজবাসী দত্ত। কখনও নাম শুনেছিস? দুজনেই একসঙ্গে বলে, না স্যার। কলকাতা টপ ক্রিমিন্যাল ল- ইয়ারদের মধ্যে একজন। অনেক টাকা ফী। টাকাটা কে দিয়েছে জানিস? না স্যার। আর ওখানেই অঙ্কটা মিলছে না। শবর আবার কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইল। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়াল। বলল, ঠিক আছে। আজ এই পর্যন্ত। দরকার হলে আবার আসবো। সকালে আজ অনেকদিন বাদে আয়নায় মুখ দেখল বিষাণ। নিজের দাড়িগোঁফওলা এই মুখটা তার চেনা নয়। যেন একটা অচেনা লোক তার সামনে। অনভ্যস্ত দাড়িতে গাল কুটকুট করছে। একবার ভাবল কেটে ফেলবে কিনা। তারপর ভাবল, থাক। তার বেশ কিছু দাড়ি পেকে গেছে, এটা সে এতদিন টের পায়নি। তাকে বোধহয় এখন একটু বয়স্ক দেখাচ্ছে। বয়স্কই। সে অনেকদিন জগিং করেনি। কোনওরকম ব্যায়াম করেনি। ফলে এখন তার শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা। বেশি পরিশ্রম করতে পারে না। সে যে একসময়ে দারুণ স্প্রিন্টার ছিল, এ তার নিজেরই বিশ্বাস হয় না। গত পচিশ দিন সে মদ খায়নি। অসম্ভব টেনশনে মদ ভালো কাজ করে। কিন্তু তার তেমন ইচ্ছে হয়নি। প্রথম চার-পাঁচদিন মদ পেটে না থাকায় ঘুম হচ্ছিল না। এখন হচ্ছে। খুব গাঢ় ঘুম নয়, তবু হচ্ছে তো। আজ রবিবার। একা একটা ছুটির দিন কিভাবে কাটাবে সেটাই চিন্তার বিষয়। দিনটাও ভালো নয়। রাত থেকে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। কে যেন বলছিল, নিম্নচাপ। তবে এটা বর্ষাকাল, বৃষ্টি তো হওয়ারই কথা। লিভিং রুমে এসে খবরের কাগজটা তুলে নিয়ে চেয়ারে বসতেই চমকে উঠল সে। মুখোমুখি আর একটা চেয়ারে একটা পাথরের মূর্তির মতো বসে আছে শবর দাশগুপ্ত। আরে আপনি। কখন এসেছেন? মিনিট পাঁচেক।খবর দেননি তো। দরজায় নক করেছিলাম, আপনার কাজের লোকদের মধ্যে একজন দরজা খুলে দিয়েছে। আমার তাড়া নেই বলে আপনাকে খবর দিতে বারণ করেছিলাম। বাঃ। আমার তো বোধহয় সময় হয়ে এল, তাই না? কিসের সময়? শুনেছি খুনিরা ধরা পড়েছে এবং তদন্তও শেষের মুখে। আমার স্ত্রীও নিশ্চয়ই তার ভারশন পুলিশকে বলেছেন। আমি তো এখন দিন শুনছি। কেন। খুনটা কি আপনি করিয়েছেন। না। কিন্তু সে কথা কে বিশ্বাস করবে বলুন। পুলিশ যে আপনাকেই সাসপেক্ট ভাবছে তা কি করে বুঝলেন?গাট ফিলিং। আপনার ফিলিং নির্ভুল নয়। আপনি কি কিছু বলতে এসেছেন শবরবাবু। সিরিয়াস কিছু? আপনাকে খুব গম্ভীর দেখাচ্ছে। আমি আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করতে চাই। বিরক্ত হবেন না তো। আরে না। আমার লুকোনোর কিছু নেই। আমি চাই তদন্তটা তাড়াতাড়ি শেষ হোক। আপনি কি কখনোই টের পাননি যে, নন্দিনী আপনার প্রতি আসক্ত? এ প্রশ্নের জবাব তো দিয়েছি। না দেননি। আপনি এড়িয়ে গেছেন। কিছুক্ষণ চুপ করে চিন্তিত মুখে রইল বিষাণ। তারপর বলল, আমার তেমন সূক্ষ্ম অনুভূতি নেই।
পৃষ্ঠা:১৭
তার মানে কি? একটু এক্সপ্যাক করবেন? শুনলে আমার ওপর আপনার হয়তো খেয়া হবে। আমি ক্রিমিন্যাল ঘেঁটে বুড়ো হলাম, আমায় বি-অ্যাকশন যাত্ত সহজে হয় না। এটাও হয়তো ক্রাইম। পনেরো- যোলো বছর বয়সেই আই ওয়াজ সিডিউসড বাই এ উওমান। আমার দূরসম্পর্কের এক বইনি, বরনে সাত- আট বছরের বড়। সিডাকশনটা চার-পাঁচ বছর ধরে চলেছিল। প্রেম নায়, জাস্ট সেক্স। সেক্স অ্যান্ড সেক্স। কোনও অদ্ভুত কারণে আমি মেয়েদের ইজি টারগেট। ওই শুরু। তারণয় আরও ঘটনা। কী বলং, আই ওয়াজ অলমোস্ট ড্রেইনড আউট বাই উইমেন ইন দ্যাট আরলি এস। কাউকেই রিফিউজ করতাম না, একটা আডভেঞ্চারের আনন্দও তো ছিল। তারপর? গো অ্যাহেড। এর ফলে আমার রোমান্টিক। দেশটাই দৌতা হয়ে গেল। আপনাকে তো বলেইছি আমরা বন্ধুর অনেক সময়েই পারসা দিয়ে মহিলা জুটিয়ে নিয়াম। এখন বোধহয় আমার বেত্রিশ বছর বয়স। এখন টের পাই মহিলাদের প্রতি আমার কোনও লাগামছাড়া আকর্ষণ নেই। বড্ড বেশি ব্যবহৃত হলে বোধহয় এরকমই হয়। আপনার নিশ্চয়ই আমাকে লম্পট বলে মনে হচ্ছে। লম্পট নন, বা বলছি না। তবে লাম্পট্য প্রকলেও আপনি বোধহয়। কোনও মহিলাকে কখনও সিডিউস জাননি। না। তার দরকার হয়নি। সরাবর আমিই সিডিউসড হয়েছি। তার কারণ আপনার ভালো চেহরা এবং সুইট পারসোনালিটি। কে জানে কী। তবে মেয়েদের কাছে আট্রাকটিম হওয়ার জন্য আমি কোনওদিনই কোনও চেষ্টা করিনি। যা হয়েছে এমনিতেই হয়েছে। তবে ইদানীং আমি মাকে মাকে রিমোর্সও ফিল করি। আমার ভীষণ প্রিয় এক বন্ধু আছে, ইন্দ্রনীল। সে সম্ভর বাজায় এবং নান্য জায়গার প্রোগ্রাম করে। সে বিয়ে করার পর তার নতুন বউটি শুরু কাল এবং টেলিফোনে নানা সংকেতিক কথা বলতে এবং মেসেজ পাঠাতে শুরু করল, তখন হঠাৎ খুব আয়মানি হল আমার। মনে হল ইন্দ্রনীদের স্ত্রীকে ভোগ করলে আমি আর আয়নায় নিজের মুখের দিকে তাকাতে পারব না। জোর করে সব কমিউনিকেশন বন্ধ করে দিলাম। মেয়েটা মরিয়া হয়ে অনেক পাগলামি করেছিল। ফলে শিবাসীর সঙ্গেও আমার ভুল বোঝাবুঝি হয়। যখন আমাকে ইশার-হাদত করতে তার মানে, আপনি কখনও তেমন কয়ে কারও প্রেমে পড়ার সময় পাননি। প্রবলেমটা অ্যাটিচুয়ের। সময়ের ন্যয়। কিন্তু আপনি আমাকে বোধহয় নন্দিনীর বিষয়ে কিছু জিগ্যেস করেছিলেন। যদি আপড়ি না থাকে তাহলে প্রথমেই ক্ষমা চাইছি যে, আমি আপনাকে একটু মিথ্যে কথা বলেছিলাম। আসলে মেয়েটি মারা গেছে, তার সম্পর্কে তাই কথার বলতে ইচ্ছে করেনি আমার। এখন ভাবছি দ্য গোপন করলে হয়তো পুলিশের কাতের অসুবিধে হবে। তাই বলছি যে, হ্যাঁ, নন্দিনীও আমাকে সিডিউস করেছে। কয়েকবার।শিবাসী পাশের ঘরেই আছে, মেনেও? হ্যাঁ। বেলহয় মেয়েলো এলব ব্যাপারে সাহস একটু বেশিই। আর যক্ষিনী বোধহয় চাইত বা পড়তেই। তাতে শিবাঙ্গীন সঙ্গে আমার দূরত্ব শিবাসী কি টের পেয়েছিলেন? না। ও ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোয়। আপনার ধারণাটা বোধহয় স্কুল। কেন ওকথা বলছেন। সেটা পরে বলছি। এবার আরও একটা সেনসিটিভ প্রশ্ন। বলুন। নন্দিনী ছাড়া আর কেউ কি আপনার সঙ্গে উপগত হতে চেয়েছে এ বাড়িতে? না না, আর কে।
পৃষ্ঠা:১৮
একটু ভেবে বলুন।এসব কি আর ভেবে বলতে হয়।আপনি বলতে চাইছেন না, কিন্তু আমি যে জানি।হঠাৎ বিধানের মুখটা লাল হয়ে উঠল। টেবিলের ওপর রাগা একটা জলের বোতল থেকে খানিকটা জল খেল। তারপর কেজন যেন কুঁকড়ে গিয়ে দু-হাতে মুখার ঢেকে চাপা গলায় বলল, প্লিজ, চিজ নিস্টার দূশগুপ্ত, লিভ হার আলোন। শী ইজ এ বিড কননি। এ মাইনর।শুনুন বিবাগবাবু, ভারতের সংবিধান মতে একটি মেয়ে আঠারো বছরের আগে অ্যাডাল্ট বলে গণ্য হয় না। কিন্তু মানুষের যৌবন তো সংবিধান মেনে আসে না। তেরো-চৌদ্দ বছর বয়সে একটা মেয়ো ঋতুচক্র শুরু হয়, দেহবোন আসে। সংবিধানের নিয়মে আঠেরো বছর বাহসের আগে মেয়েদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ। কিন্তু সংবিধান তো বলেনি আঠারোর আগে প্রেমেও পড়া চলবে ন্যাকিছুক্ষণ ঝুম হয়ে চোখ বুজে বসে রইল বিষাণ। তারপর বলল, আপনি জানেন না, আমার মেয়ের বয়সও এখন সতেরো।আপনার মেয়ে?হ্যাঁ। দানার যে বউদির কথা আপনাকে বলেছিলাম, মই ফার্স্ট অ্যাডভেঞ্চার, ভার ফলেই মেয়ের জন্ম। যদিও অবৈধ।কি করে সিওর হলেন যে, আপনারই মেয়ে। ডি এন এ টেন্ট করিয়েছেন?তার দ্যাকার হয়নি। সেই মেয়েকে দেখলেই আপনিও বুঝাতে পারবেন। তার মুখে হনছ আমার মুখের হাল। পাছে কেউ মিলটা ধরে ফেলে সেই জয়ে আমি ওদের বাড়ির ত্রিসীমানারেও যাই না। আরও একটা ভয়। মেয়ে তো জানে না যে, আমি অর বাবা। তাই যদি বাবা হিসেবে না দেখে পুরুষ হিসেবে দেখতে শুরু করে তাহলেই সর্বনাশ।শবর একটু হাসল, আপনার ট্রাজেডিটা আমি বুঝতে পারছি।লম্পট হলেও বর্বর তো মই। তাই এই মেয়েটা যেদিন আমার বিছানায় ঢুকেছিল সেদিন আমায় নিজের ওপরেই খুষ যেন্ন হল (অকে ঘর থেকে বের করে দিলাম। খুব রাগারাগিও করেছিলাম, মনে আছে। পরদিন এসে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইল। বলল, আর ওরকম করবো না। আমাকে তাড়িয়ে দেবেন না। আমি শুধু আপনার দোশোনা করবো। মিস্টার দাশগুপ্ত, আপনি কি প্রাগারটিরপাছি। কিন্তু একটা মুস্কিল কি জানেন?এই পুরো এণইনত্রির পিছনেই আপনি যঃ ছেন। অথচ আপনি কিছুই করেননি। কিন্তু রয়েছেন অনুর্ঘটকের মতো। গোটা ব্যাপারটাই ঘটেছে অপনকে কেন্দ্র করে এবং আপনার জন্যই। কিন্তু আপনি কাটালিস্ট মাত্র। আমি বুঝতে পারছি না। ব্যাপারটা একটু জটিল। তবে একটু কনসেনট্রেট করলে বুঝতে পারবেন। আপনি যে চেহারা এবং স্বভাব নিয়ে জন্মেছেন তাতেই আপনার চারদিকে কিছু সমস্তা তৈরি হয়ে গেছে। ভায়ে আপনার কিছু কররও নেই। শক্ত মানুষ হলে আত্মরক্ষার কিছু পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি তেমন শক্ত মানুষ নন, তাই ভেসে গেছেন। এই বাড়িতেই দু-দুট অসমবয়সী মহিলা আপনার হতি আসক্ত হয়েছে। একজন নন্দিনী। নন্দিনীর সঙ্গে আপনার গোপন অভিসার প্রণয় টের পায় জাহ্নবী। কারণ জাহ্নবীও আপনার অনুরাগনী। তার বরন অল্প, তাই হিংসের জ্বালাপোড়াও বেশি। সে বংপরটা শিবাদীকে বলে দেয়। লক্ষ করলে দেখতে পেতেন, আপনার আর শিবাদীর ঘরের বন্ধ দরজায় খুব সূক্ষ্ম ইলেকট্রনিক আই বলানোর জন্য একটা ছলে করা আছে। চালাকি করে সেটা মোম দিয়ে আটকানো। দরকার মতো যন্ত্রটা বসিয়ে নিয়ে আপনার ঘরের সব দৃশ্যই দেখা সম্ভব। পুলিশ যন্ত্রটা শিখাঙ্গীর গ্যাবিনেটে খুঁজেও গেয়েছে। আই গড। মুতয়রা আপনার আর নন্দিনীর ব্যাপারনি শিবাঙ্গীর কাছে গোপন ছিল নব। নন্দিনী শিবাঙ্গীর বন্ধু হরেও ওকে অ্যাসেসমেন্ট করতে ভুল করেছিল। ভেগেছিল, বয়রা পড়লেও শিবাজী বড়জোর রাগারাগি করবে, তাড়াতাড়ি ডিভোর্সের নামলা করবে আয় বড়জোর নন্দিনীকে তাড়িয়ে দেবে। শিবাজী তা করেনি। নন্দিনী যে তার বিশ্বাসের মর্যাদা দিল না এটাতেই শিবাজী বোধহয় ফিউরিয়াস হয়ে ওঠে। আমি শুনেছি শিবাঙ্গী খুবই রাগী। ঠিকই শুনেছেন। রাগলে ওর কান্ডজ্ঞান থাকে না। শিবাদী আর বাহ্নবী দিলে ঠিক করে নন্দিনীকে সবক শেখাতে হবে। জাহনী ভিক্টরকে ঠিক করে দেয়া। ভিক্টর ছোটোখাটো উঠতি মন্তান। বোধহয় ভূ’লাম টাকার কন্ট্রাস্টে রাজি হয়ে যায়। পুলিশ শিবাঙ্গীর বান্ধে জুন মানের এক তারিখে এক লাখ টাকা করাশ যোগায়া। আশ উইদড্রয়াল চেক করে দেখেছে, কাহিনিটা একটু অটিদ। কথা ছিল খুনটা করবে একা ভিক্টর। সিকিউরিটিকে এড়িয়ে বাড়ি ঢোকার পথ সম্ভণত ছক করে দিয়েছিল জাহণী। ভিক্টর পেছনের বেওয়াল টপকে ােনকে, গ্যারাজের প্রড়িয় আড়ালে গা-ঢাকা দিয়ে ওপরে ওঠে। ওর ফ্লাটে ঢোকার অবস্থা শিবাঙ্গীই করে দেয়। কিন্তু একটা মন্ত গন্ডগোল হয়েছিল।কিসের গগুগোল! শিবাঙ্গী শত্রুর শেষ রাখতে চারনি। ভিক্টরকে বলা ছিল যে একা আনবে, নন্দিনীকে খুন করবে, তারপর শিবাঙ্গীর কাছ থেকে বাকি এক লাখ টাকা নিয়ে
পৃষ্ঠা:১৯
সরে পড়বে। শিবাল্টের চ্যান ছিল, ভিক্টর টাকা নিতে ঢুকলেই আাগে থেকে প্রস্তুত শিখার্থী তাকে গুলি করে মেয়ে দেয়ে। সর্বনাশ। শিবাজী কি এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে? পারে। এবং তার পিছনে আপনি। এবং শিবাসীর ইগো। কার প্ল্যান মতো ঘটনাটা ঘটলে শিষার্থী হয়তো উত্তরেও যেত। কিন্তু গন্ডগোল হল ভিক্টর এব্য খুন করতে আসেনি। লঙ্গে বাদুকেও এনেছিল। হয়তো একা আসতে সাহস পায়নি। আর এই জনাই প্লানটা ভেস্তে লিয়েছিল। নন্দিনী অনেক রাত অবসি জেগে তার ঘরে কাজ করে। সম্ভবত বাইরের দরজা খুলে কেউ ঢুকেছে টের পেয়ে সে ব্যাপারটা দেখতে আসে এবং খুন হয়ে যায়। তারণায় বাকি টাকা নিতে ভিক্টর শিবাঙ্গীর গয়ে যার। শিবাসী তৈরি হয়েই ছিল। ভিক্টর কাছাকাছি হতেই যে গুলি চালায়। কিন্তু প্রবলেম হল, ম্যাডামের শুটিং প্র্যাকটিস ছিল না। আর হ্যান্ডগানগুলোর ব্যারেল ঘোটের বলে বেশিরভাগ সময়েই তা হয়ে বর এরাটিক। গুলি লাগে ভিক্টরের বী অবে। সে সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যায়। অ্যাডাম হয়তো তাকে ফিনিশ করতে পারত, কিন্তু বাদ সারল বাদু। সে গুলির আওয়াজ পেরেই ছুটে এলে আাড়ামের হাতে পিস্তল দেখেই ফায়ার করে। আমি কি একটু জল খেতে পারি। অবশ্বই। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। এবার অল বেতে গিয়ে কাঁপা হাতে জল চলকে পড়ল বিষাণের বুকে। জল খেয়ে দম ধরে বসে রইল একটু। তারপর ধরা গলায় বলল, এবার বাড়িটা বলুন মিস্টার সশগুপ্ত। মাডাম আগুন নিয়ে খেলছিলেন, বুঝতে পারেননি। বাবুর গুলিতে ওঁর বেঁচে গেছেন। মারা যাওয়ার তথ্য। কপালজোরে হাঁ, ডাক্তাররাও বলছিলেন, উনি খুব অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। স্কালে ঢুকলেও শুলি ভাইটাল জায়গা গুলোকে উচ করেনি।জ্ঞান ফেরার পর শিবাজীর নতুন প্রবলেম সেখা দিয়েছে। উনি জানেন না, নন্দিনী সত্যিই মাত্র গিয়েছে কিনা বা খুনিরা বরা পড়েছে কিনা। ওর কাছে খবরের কাগজ, মোবাইল বা টিডি নেই। ডাক্তাররা সবাইকে যলে নিয়েছে এঁকে কোনও খবর নেওয়া চলবে না। আমাকে উনি বারকর নন্দিনীর কথা জিগ্যেস করছিলেন। শুনে মনে হায় তিন-চারদিন আগে উনি সত্যটা জানতে পেরেছেন যে, নন্দিনী মারা গেছে এবং খুনিরা বরা পড়েছে। কি করে বোঝা গেল। উনি এখন আ্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিভাবে? তিনদিন আগে উনি ভাংনীংক দিয়ে ওঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ টাকা কাশ তুলে ডিক্টরের কাছে পরিয়ে দিয়েছেন। আর ভিক্টরের পক্ষে ব্রজবাসী দত্তকে দাঁড় করিয়েছেন। ব্রজবাসী একজন যুদ্ধের ফিমিন্যাল কিছু কবুল না করে। আমার কাছে ও যা বলেছে তার রেকর্ড নেই। সুতরাং আদলতে ও বরন পাল্টাবে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিশ্বাশ বলল, অ্যাডভোকেট ব্রজবাসী লড়কে কণ্ট্যাই করার জন্য শিয্যাঙ্গীই আমাকে বলেছিল। ওকে আমিই কন্ট্যাক্ট করি। আমি কি কোনও অনায় করেই মিস্টার দাশগুপ্ত। না। উনি এখনও আপনার স্ত্রী। যার স্ত্রী অন্যায় করে থাকলেও আপনার কাজ হল যতদূর সম্ভব তাকে প্রোটেকশন দেওয়া। শিবাদী সম্পর্কে যা বললেন তাতে মনে হয় ওর বিরুদ্ধে কেসটা খুবই স্ট্রা। গুদে যদি অ্যারেন্ট করা হয় তবে আমাদের কেন লন হবে। দুটো পরিবারই মর্যাদা হারাবে। দেখুন, আপনাকে একটা ব্যাপারে নিশ্চিন্ত করতে চাই। এই কেসটা অফিসিয়ালি সি করি ঢিকে দেওয়া হয়নি। আপনাদের থানার ওসি বিকলর গুপ্ত আমার বাদর মতো। উনি কেনটায় একটু অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছিলেন। ঢাকার এবং ডাকাতি করতে গিয়ে খুন বলে গর বিশ্বাস হছিল না। আপনার ওপর ওয় সবচেয়ে বেশি সন্দেহ ছিল, অথচ আপনার সঙ্গে কথা বলে এয় দ্বিধাও হচ্ছিল। ফলে উনি আমাকে বলেন সাহায্য করতে। আমি আমার হানচ এবং ইনফর্মেশন এঁকে জানিয়ে দিয়েছি। এখন উনি কি অ্যাকশন দেবেন তা অতি জানি না। তবে সম্ভবত শিখালী আরে ভাবীর গ্রেফতার এড়ানো যাবে না। হতাশা মাখা মুখে করুণ গলায় নিষাগ বলল, এর চেয়ে খুনের দায়টা আমার ঘাড়ে চাপলেই বোনহয় ভালো ছিল। আমি তো একজন চইনড ম্যান, বাজে লোক, মাতাল, লম্পট: প্রতি মুহূর্তেই তো পুলিশের জনর অপেক্ষা করছিলাম। শবর হেসে বলল, এ ঘাত্রার মেরি বোধহয় হচ্ছে না। তবে আপনি যতই দাড়ি-গোঁত রেখে বিষন্ন মুখে থাকুন চেহারা একটু বেটার হয়েছে। মনটা আর খবেন না। না কেন আমার মনে হচ্ছে আপনার বাছি ব। কিন্তু যজ্ঞ একা হয়ে গেলাম মিন্টার বশগুপ্ত। একাই তো ছিলেন। কিন্তু আপনি তো নাকি মায়ের আদুরে ছেলে। কয়েকদিন মায়ের কাছ থেকে গিয়ে কোন মুখে যাবো? একমাত্র মায়ের কাছেই সব মুখ নিয়ে যাওয়া বার।