আব্দুল বারী
পৃষ্ঠা ০১ থেকে ০৪
পৃষ্ঠা:০১
ডঃ মুহাম্মাদ আব্দুল বারী আর নেই
‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলেহাদীস’-এর সভাপতি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আব্দুল বারী গত ৪ঠা জুন বুধবার ভোর ৩-টায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লা-হে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি দুই পুত্র, দুই কন্যা সহ অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এবং গুণগ্রাহী রেখে যান। বুধবার বাদ যোহর বংশাল আহলেহাদীছ জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার ছালাতে ইমামতি করেন উক্ত মসজিদের খতীব ও ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলেহাদীস’-এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মাওলানা যিহুল বাসেত। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সম্মানিত নায়েবে আমীর শায়খ আব্দুছ ছামাদ সালাফী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা-র অন্যতম সদস্য আলহাজ্জ আব্দুর রহমান (সাতক্ষীরা), মাসিক ‘আত-তাহরীক’-এর সম্পাদক মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘জমঈয়তে আহলেহাদীস’-এর সহ-সভাপতি প্রফেসর এ,কে,এম শামসুল আলম, সহযোগী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মুহাম্মাদ হাসানুযযামান সহ জমঈয়ত নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজুদ্দীন আহমাদ প্রামাণিক, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন-এর সাবেক মেয়র, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জমঈয়তে আহলেহাদীস-এর কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য জনাব মুহাম্মাদ হানীফ, ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’-এর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসের রিলিজিয়াস এ্যাটাশে শায়খ আলী আর-রুমী, রিভাইভ্যাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি কুয়েত-এর ঢাকা অফিসের সহকারী ডাইরেক্টর শায়খ শাযেলী রাফ’আত, সউদী দাতাসংস্থা ‘ইদারাতুল মাসাজিদ’-এর ঢাকা অফিসের ডাইরেক্টর আবু আব্দুল্লাহ শরীফ ও ঢাকাস্থ অন্যান্য বিদেশী ইসলামী সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা’আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ৪ঠা জুন সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছে মোবাইল ফোনে মরহুমের মৃত্যু সংবাদ অবগত হন। ফলে বংশালে বাদ যোহর অনুষ্ঠিত জানাযায় তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তবে তাঁর নির্দেশক্রমে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর শায়খ আব্দুছ ছামাদ সালাফী সংগঠনের পক্ষে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। এতদ্ব্যতীত ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আযীয, ঢাকা
পৃষ্ঠা:০২
যেলা ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র সভাপতি হাফেয আব্দুছ ছামাদ, গাযীপুর বেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব আলাউদ্দীন সরকার, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কফীলুদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফীকুল ইসলাম, গাযীপুর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আমীনুল ইসলাম, নরসিংদী যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আমীনুদ্দীন সহ নিকটবর্তী যেলা সমূহ থেকে ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর বিপুল সংখ্যক নেতা ও কর্মী উক্ত জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
নূরুল হুদায় সর্বশেষ জানাযা ও দাফনঃ
ছোট মেয়ে ও জামাই নিউজিল্যান্ড থেকে আসার সুযোগ দানের জন্য প্রফেসর এম,এ, বারী-র লাশ ঢাকার বারডেমে ফ্রিজে রাখা হয় এবং মেয়ে আসার পর ৫ তারিখ দিবাগত রাত ৪-টায় তার লাশ ফ্রিজড অবস্থায় নূরুল হুদায় গ্রামের বাড়ীতে পৌছানো হয়। অতঃপর ৬ জুন শুক্রবার সকাল ৯-টা ৪৫ মিনিটে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপযেলাধীন খোলাহাটি নূরুল হুদা হাইস্কুল মাঠে তাঁর সর্বশেষ ছালাতে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের ছোট ভাই নূরুল হুদা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব হাদী মুহাম্মাদ আনোয়ার উক্ত জানাযায় ইমামতি করেন। উক্ত জানাযায় জমঈয়ত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ডঃ সিকন্দর আলী ইবরাহীমী, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ডঃ মোখলেছুর রহমান, জনাব আবদুল লতীফ ও জনাব সোহরাব হোসাইন, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ দিনাজপুর (পশ্চিম) সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব আউযুব হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব ইদ্রীস আলী, গাইবান্ধা (পশ্চিম) সাংগঠনিক যেলার সভাপতি জনাব ডাঃ আউনুল মা’বুদ সহ নিকটবর্তী যেলা সমূহ থেকে ‘আন্দোলন’ ও যুবসংঘে’র বিপুল সংখ্যক নেতা ও কর্মী শরীক হন। এতদ্ব্যতীত জয়পুরহাট থেকে ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র বহু নেতা ও কর্মী জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপযেলার খোলাহাটির পারিবারিক গোরস্থানে।। তাঁকে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে অবস্থানকালে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা’আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ৬ জুন দিনাজপুরে মরহুমের সর্বশেষ জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠিত হবে জানতে পেরে রাজশাহীর ফিরতি টিকেট বাতিল করে দিনাজপুরের টিকিট করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। কিন্তু রাস্তায় গাড়ী খারাপ হয়ে যাওয়ায় অনেক বিলম্ব হয়। ফলে রাত ব্যাপী কষ্টকর ভ্রমণ শেষে সকাল ৯-টায় তিনি জয়পুরহাটে পৌঁছেন। অতঃপর সেখানে অপেক্ষারত ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা হাফীযুর রহমান ও জয়পুরহাট যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র নেতৃবৃন্দ তাঁকে মাইক্রোতে নিয়ে দ্রুত দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং জানাযার কিছুক্ষণ
পৃষ্ঠা:০৩
পর খোলাহাটি পৌছেন। সেখানে পৌঁছলে পূর্ব থেকেই অপেক্ষমান বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীদের নিয়ে করবস্থানে গিয়ে পুনরায় জানাযার ছালাত আদায় করেন। উল্লেখ্য যে, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলা ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করেছেন। শিক্ষা জীবনঃ ডঃ এম, এ, বারী ১৯৩০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর নানা বাড়ী বগুড়ার সৈয়দপুরে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামের জুনিয়র মাদরাসা থেকে ১৯৪০ সালে জুনিয়র এবং নওগাঁ কো-অপারেটিভ হাই মাদরাসা থেকে ১৯৪৪ সালে তিনি হাই মাদরাসা পাশ করেন। হাই মাদরাসা পরীক্ষায় অবিভক্ত বাংলায় একাদশ স্থান অধিকার করেন। ১৯৪৬ সালে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ১ম বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে তিনি আই,এ পাশ করেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে ১৯৪৯ সালে অনার্স এবং ১৯৫০ সালে এম,এ ডিগ্রী লাভ করেন। উভয় পরীক্ষাতেই তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার জন্য নীলকান্ত মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক এবং এম,এ-তে রেকর্ড নম্বর পেয়ে বাহরুল উলুম সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। উল্লেখ্য যে, অনার্সে আরবীর ছাত্র হয়েও তিনি ইংরেজী সাহিত্য সাবসিডিয়ারী হিসাবে পাঠ করে ‘ডিসটিংশন’ পেয়েছিলেন। অতঃপর বৃত্তি নিয়ে ১৯৫১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন করেন এবং ১৯৫৪ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে ডি, ফিল ডিগ্রী লাভ করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সুপারভাইজর ছিলেন প্রফেসর এইচ,এ, আর, গীব (H.A.R.Gibb) এবং প্রফেসর জোসেফ শাখত (Joseph Schacht)। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিলঃ AComparative study of the Early Wahhabi Doctrines and the Contemporary Reform Movements in Indian Islam. “প্রথম যুগের ওয়াহহাবী মতবাদ সমূহ এবং সমসাময়িক যুগে ভারতীয় ইসলামে সংস্কার আন্দোলন সমূহের একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা”। কর্মজীবনঃ ইংল্যান্ড থেকে ফিরে এসে ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সার্ভিসে সরাসরি ‘অধ্যাপক’ পদে নিযুক্তি লাভ করে প্রায় এক বছর ঢাকা কলেজে এবং পরে কয়েক মাস রাজশাহী কলেজে আরবী বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ‘রীডার’ পদে যোগদান করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৩-৭৭ সাল পর্যন্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের প্রধান, ১৯৬২-৬৪ সাল পর্যন্ত কলা অনুষদের
পৃষ্ঠা:০৪
ডীন, ১৯৬৯-৭১ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন জিন্নাহ হলের (বর্তমান শেরে বাংলা হল) প্রভোষ্ট এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ১৯৬১ সালে নাফিল্ড ফাউণ্ডেশন ফেলোশিপ লাভ করে তিনি লণ্ডনে পোষ্ট ডক্টরাল রিসার্চ করেন। ১৯৬৯ সালে শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসাবে তিনি প্রেসিডেন্টের স্বর্ণপদক (Pride of Performance) লাভ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পদ অলংকৃত করেন। ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট অনুযায়ী তিনিই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নির্বাচিত ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ঐ বছরেই ১৮ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ লাভ করেন। পরপর দুই টার্মে সুদীর্ঘ ৮ বছর ধরে তিনি উক্ত পদে সমাসীন ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি এবং সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির চেয়ারম্যানের সম্মানিত পদও তিনি অলংকৃত করেন। তাঁর রিপোর্ট অনুযায়ী এ দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তাঁরই উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে সরকারের কাছে প্রথম প্রস্তাব পেশ করা হয়। মাদরাসা শিক্ষা সংস্কার কমিটি ১৯৯০-এর তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অবসর গ্রহণের পর কলেজ সমূহের উন্নতিকল্পে অনুমোদনকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পে তিনি ১৯৮৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ‘উপদেষ্টা’ হিসাবে কাজ করেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় এবং ১৯৯২ সালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বর্তমান সরকারের শিক্ষা সংস্কার সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। গত বছর জুলাই মাসে তাঁর নেতৃত্বে সরকারের কাছে শিক্ষা সংস্কার রিপোর্ট পেশ করা হয়। তিনি ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি বহু দেশ ভ্রমণ করেন এবং ১৭টি আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৬০ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলেহাদীস’-এর সভাপতি ছিলেন।