৫০০ হাদিস ও ইমানের ৭০ শাখাঁ
পৃষ্ঠা ১ থেকে ২০
পৃষ্ঠা:০১
ঈমান
১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়া মুসলমান হইয়াছে যে ব্যক্তি, কেবলমাত্র সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেহই বেহেস্তে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহর শপথ করিয়া বলিতেছি, মুমিন না হওয়া পর্য্যন্ত তোমরা কেহই বেহেস্তে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ঈমানের বলেই মানুষ শক্তি পাইয়া থাকে।
৪’। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জন্মভূমির উপর মহব্বত রাখা ঈমানের চিহ্ন।
৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- লজ্জা ঈমানের অংশ।
৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ছবর ঈমানের অর্ধেক।
৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক এবং ইহাই বেহেস্তের পথ প্রদর্শন করে।
৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদিও তোমাকে কেহ হত্যা করে অথবা দঞ্চিভূত করে তথাপি আল্লাহর সহিত শরিক করিওনা।
১০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: সরলতা ঈমানের অংশ।
১১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নিশ্চই আল্লাহ ধর্মভীরু স্বাধীনচেতা ও আড়ম্বর বিহীন বান্দাকে ভালবাসেন।
১২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যেরূপ তিক্ত ফল মধুকে নষ্ট করে সেরূপ ক্রোধ ঈমান কে নষ্ট করে।
১৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- মুসলমান ঐ ব্যক্তি যাহার জিহবা ও হস্ত হইতে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে এবং ঈমানদার ঐ ব্যক্তি যাহার হাতে সকল লোকের জান মাল নিরাপদ থাকে।
১৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ঈমানদার বেহেস্তে না পৌঁছা পর্য্যন্ত সৎকথা শুনিয়া তৃপ্তি হয় না।
১৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ঈমানদার সরল ও সম্মানিত এবং পাপী ধূর্ত ও ভীরু।
১৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ ঈমানদার ব্যক্তি পবিত্র কাবা শরীফ হইতেও অধিকতর সম্মানের পাত্র।
পৃষ্ঠা:০২
১৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ঈমান বাঁচাইয়া রাখিতে চায় সে যেন পাড়া প্রতি বেশীর সহিত সদ্ব্যবহার করে এবং তাহাদিগকে কষ্ট না দেয়।
১৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আমানতদারী যাহার মধ্যে নাই তাহার ঈমান নাই। (অর্থাৎ ঈমান পূর্ণাঙ্গ না)।
১৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ঈমানদার অনেক ফেরস্তা হইতে আল্লাহর নিকট অধিকতর সম্মানিত।
২০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ঈমানদার পর নিন্দুক নহে, বড় লানতকারী নহে, অশ্লীল নহে এবং বেয়াদব নহে।
২১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ঈমানদারের জন্য দুনিয়া কারাগার স্বরূপ এবং কাফেরের জন্য স্বর্গ তুল্য।
২২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আমাকে দেখিয়াছে সে ধন্য আর সাতবার ধন্য ঐ ব্যক্তি যে আমাকে না দেখিয়া আমার প্রতি ঈমান আনিয়াছে।
২৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- দুনিয়াতে ইমানদারের উপহার দরিদ্রতা।
২৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে স্বভাব চরিত্রের সর্বাপেক্ষা উত্তম সে মুমেনদের ভিতর কামেল ঈমানদার।
২৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে পর্য্যন্ত কোনও ব্যক্তির অন্তরে তার পিতামাতা, সন্তান সন্ততি এবং সমস্ত মানব সমাজ হতে আমি অধিকতর প্রিয় না হই সে
পর্য্যন্ত সেই ব্যক্তি পূর্ন ঈমানদার হইত পারিবেনা। (বোখারী / মুসলীম শরীফ)। ২৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আল্লাহকে প্রভু; ইসলামকে ধর্ম ও মুহাম্মদ (দঃ) কে রাসূল গ্রহণ করিয়া সন্তুষ্ট হইতে পারিয়াছে সে ঈমানের স্বাদ পাইয়াছে।
২৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার হাতে আমার জীবন তাহার শপথ, কোন বান্দা পূর্ণ ঈমানদার হইতে পারে না যে পর্য্যন্ত সে নিজের জন্য যাহা ভাল বাসে তাহার অন্য ভ্রাতা জন্য তাহা ভাল না বাসে (বোখারী)
২৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- মানব কেবলই অনুসন্ধানে ব্যস্ত থাকিবে। এমনকি সে বলিবে আল্লাহর সৃষ্টি কিভাবে হয়েছে?
যাহার মনে এরূপ ভাবের উদয় হয় সে যেন বলে আমি আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূলের (দঃ) উপর ঈমান আনিলাম। তারপর অন্য দিকে মনোনিবেশ করে।
২৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি অন্য জাতিকে অনুসরণ করে সে তাহাদেরই দলভুক্ত।
৩০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে ভয় দেখাইবে না।
৩১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুসলমানকে নিন্দা করা কবিরা গুনাহ্। এবং হত্যা করা কুফরী।
৩২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি তাস, পাশা খেলে সে আল্লাহ্ এবং রাসূলকে অমান্য করে।
৩৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখার দাবীদার হইবে তাহার কর্তব্য হইবে অতিথীর সেবা করা।
৩৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত ঐ ব্যক্তি যে অধিক ঝগড়া বিবাদ কারী হয়।
৩৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি মুসলমানের কষ্ট দিবার জন্য খাদ্যসহ যাবতীয় জিনিষপত্র বেশী দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুদামজাত করিয়া রাখে আল্লাহ তায়ালা তাহাকে কষ্ট, রোগ এবং দারিদ্রতার রোগে আক্রান্ত করিবেন।
৩৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের লোকসান করে (ক্ষতি পৌঁছায়) অথবা প্রবঞ্চনা করে সে অভিশপ্ত।
৩৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে কষ্ট দেয় সে যেন আমাকে কষ্ট দেয়। যে আমাকে কষ্ট দেয় সে যেন আল্লাহ কে কষ্ট দিবার জন্য এরাধা করে।
৩৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সতকাজ করিয়া যদি কেহ আনন্দ পায় আর অসৎ কাজ করিয়া অনুতপ্ত হয় তবে সেই ব্যক্তিই মুমিন।
৩৯ । হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি আমার ৪০টি হাদীছ আমার উম্মৎকে পৌছাইয়া দিবে কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য খাছ ভাবে সুপারিশ করিব।
অযু
৪০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুমিনের অলংকার অযুর স্থানে পরান হইবে।
৪১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে এক অযুর পর অন্য অযু করে তাহার জন্য দশ নেকী লিখা হয়।
৪২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- নামায বেহেস্তের চাবী এবং অযু নামাযের চাবী।
পৃষ্ঠা:০৩
৪৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে উত্তম রূপে অযু করে তাহার সমস্ত গুনাহ্ শরীর হইতে বাহির হইয়া যায়। এমনকি নখর হইতেও তাহা বাহির হইয়া যায়।
৪৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে মুসলমান উত্তমরূপে অযু করিয়া তাহার মন ও মুখ কেবলার দিক রাখিয়া দুই রাকয়াত নামায পড়ে তাহার জন্য জান্নাত নিশ্চিত।
৪৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মেছওয়াক মুখ পরিষ্কার করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি কারক।
৪৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে অবস্থায় নফছের কষ্ট হয় সেই অবস্থায় ভাল করিয়া অযু করিলে গুনাহ্ ঝরিয়া যায়।
৪৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বিচারের দিন মুয়াযযিন গণের সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ গলা হইবে।
৪৮। হুবুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে নেকের আশা করিয়া সাত বৎসর পর্য্যন্ত আযান দেয় দোযখের আগুন হইতে মুক্ত বলিয়া তাহার নাম লিখা হয়।
৪৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আযান ও ইকামতের ভিতর যে দোয়া চাওয়া হয় তাহা রদ হয় না।
৫০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন শয়তান নামাযের আযান শুনে সে রাওহা (৩৬ মাইল) স্থান পর্য্যন্ত চলিয়া যায়।
৫১। হুযুর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে ব্যক্তি আযানের জওয়াব দেয় সে ব্যক্তি জান্নাতে দাখেল হইবে।
৫২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি আযানের পর ‘আল্লাহুম্মা রাব্বি হাযিহি দোয়াটি পড়ে তাহার জন্য শাফায়াৎ ওয়াজেব হইবে।
৫৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের সাথে সাথে
আযানের বাক্যগুলি আওড়াইতে থাকে সে ব্যক্তিও মুয়াযযিনের সমান নেক পাইবে।
নামায
৫৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নামাযই মোমেনদের মেরাজ।
৫৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নামায দীনের খুঁটা। ৫৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- নামাযের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো
হইয়া যায়।
৫৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নামায মোমেনদের জন্য নূর। ৫৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নামাযই শ্রেষ্ঠ জেহাদ।
৫৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ওয়াক্ত হাওয়া মাত্র নামায আদায় করা শ্রেষ্ঠ জেহাদ।
৬০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার নামায দুরস্ত থাকিবে কেয়ামতের দিন তাহার সমস্ত আমলই দুরন্ত থাকিবে।
৬১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আল্লাহ তায়ালার নিকট জামায়াতের নামায খুবই পছন্দনীয়।
৬২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ঈমাম যখন ছামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলিয়া মাথা উত্তোলন করে তখন তোমরা রাব্বানা লাকাল হামদ বলিও। যে বান্দা এই বাক্যটি উচ্চারণ করে তাহার পূব্বর্তী গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হয়।
৬৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ইকামতের সময় আসমানের দরজা খুলিয়া দেওয়া হয় এবং তখন সকল মুনাজাত কারীর দোয়াই কবুল হয়।
৬৪ । হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কোনও ব্যক্তি অযুর পরে দুই রাকায়াত তাহিয়াতুল অযু নফল নামায আদায় করিলে তাহার জন্য বেহেস্ত অবধারিত।
৬৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- গৃহে নামায পড়িয়া গৃহকে ফযিলৎ দান করিও।
৬৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি একটি ফরয নামায আদায় করে আল্লাহর দরবারে তাহার একটি দু’য়া কবুল হইয়া যায়।
৬৭ । হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে নামায মন্দ এবং অসংযত কাজ থেকে বিরত না রাখে সেই নামায বান্দাকে আল্লার নিকটবর্তি না করিয়া বরং অধিকতর দূরবর্তি করিয়া দেয়।
৬৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ঠিক ওয়াক্তে যে নামায আদায় করা হয় উহা আল্লাহর নিকট অধিকতর প্রিয়।
৬৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে জামাতে এশার নামায পড়ে সে যেন অর্ধেক রাত্রি নামাযের মধ্যে দাঁড়াইয়া থাকিল এবং যে জামাতে ফজরের নামায পড়ে সে যেন সমস্ত রাত্রি নামায পড়িল।
৭০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আছরের নামায খোয়াইয়াছে সে যেন তাহার মাল ও পরিবার হারাইয়াছে।
৭১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আছরের নামায ত্যাগ করে সে যেন তার আমলকে অকার্য্যকরী করে।
পৃষ্ঠা:০৪
৭২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কবর, গোসল খানা ব্যতীত সমস্ত পৃথিবী নামায পড়িবার স্থান।
৭৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে পর্যন্ত কোনও লোক রুকু, সেজদাতে তাহার পৃষ্টকে সোজা না করে সে পর্য্যন্ত তাহার নামায সম্পূর্ণ হয় না।
৭৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন তোমাদের কেহ মসজিদে প্রবেশ করে সে বসিবার পূর্বে যেন দুই রাকায়াত নামায পড়ে।
৭৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহারা অন্ধকারে মসজিদে পায়ে হাটিয়া যায় তাহাদিগকে কেয়ামতের দিনের পূর্ণ আলোর সুসংবাদ দাও।
৭৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি (সূর্যোদয়ে) সূর্য উদয়ের পূর্বে এবং সূর্য অন্তের পূর্বে ফজর অর্থাৎ ফজর ও আছরের নামায আদায় করে সে কখনো দোযখে যাইবে না।
৭৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের মধ্যে উত্তম ঐ লোকগণ বাহারা নামাযের ভিতর কাঁধে কাঁধ মিলাইয়া রাখে।
৭৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নিশ্চই আল্লাহ এবং তাঁহার ফেরেস্তাগণ যাহারা চফের ডান দিকে থাকে তাহাদের উপর দরূদ পাঠান।
৭৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- তোমাদের (নামাযের) লাইন সোজা কর কেননা লাইন সোজা কর। নামাযের পরিপূর্ণ হওয়ার অন্তর্ভুক্ত।
৮০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আবহেলা করিয়া তিন জুমআ নামায ত্যাগ করে আল্লাহ্ তাহার হৃদয়ের উপর মোহর করিয়া দেন।
৮১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে ওজর ব্যতীত জুমুয়ার নামায ত্যাগ করে তাহাকে মোনাফেক বলিয়া এমন বইতে লিখা হয় যাহা মুছিয়া যাইবেনা পরিবর্তন ও হইবেনা।
৮২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মাগরিবের নামাযের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামায মন্দ কথা না বলিয়া পড়ে তাহাকে ১২ বৎসর এবাদতের ছোয়াব দেওয়া
হয়। ৮৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সে কি ভয়ংকর, যে ইমামের আগে মাথা উঠায়? আল্লাহ্ তাহার মাথাকে গাধার মাথার ন্যায় পরিণত করিতে পারেন।
৮৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আছরের নামাযের পূর্বে যে চারি রাকয়াত নামায পড়ে আল্লাহ্ তাহার উপর রহম করেন।
৮৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ফজরের দুই রাকাত নামায দুনিয়া এবং ইহার ভিতর যাহা আছে তাহা হইতে অতি উত্তম।
৮৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন কোন বান্দা মসজিদের ভিতর নামাযের অপেক্ষা করিতে থাকে তখন সে নামাযের হালাতেই থাকে যতক্ষণ পর্য্যন্ত তাহার অযু নষ্ট না হয়।
৮৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সর্ব নিকৃষ্ট মানব ঐ ব্যক্তি যে নামায চুরি করে। সাহাবা কেরাম জিজ্ঞাসা করিলেন হে খোদার রসূল (দঃ) কিরূপে সে নামায চুরি করে? যে তাহার রুকু সিজদা সম্পূর্ণ করে না।
৮৮ । হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নামাযের মধ্যে কাতার সোজা করিয়া দাঁড়াও কারণ উহার উপরই নামাযের সৌন্দর্য নির্ভর করে।
৮৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কোন ব্যক্তি উত্তম রূপে অযু করিয়া নামায পড়িবে ঐ নামায তাহার পূর্বের সমস্ত গুণাহ্ মাফ করিয়া দিবে।
৯০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুমেন ব্যক্তিই অযুর হেফাযত করিয়া থাকে।
৯১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার সন্তান-সন্ততি আছে তাহার দুই রাকাত নামায সন্তান বিহীন লোকের বিরাশী রাকাত নামায অপেক্ষা ভাল।
এলেম
৯২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- একজন লোকের পক্ষে এলেমের একটি অধ্যায় শিক্ষা করা দুনিয়া ও দুনিয়ার যাবতীয় বস্তু অপেক্ষা উত্তম।
৯৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আলেমের মজলিসে হাজের হওয়া এক হাজার রাকাত নামায পড়া, এক হাজার রোগীকে দেখিতে যাওয়া, এক হাজার জানাযায় হাযির হওয়া অপেক্ষা ভাল।
৯৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি এলেমের একটি অধ্যায় এই মতলবে শিক্ষা করিল যে তদ্বারা লোক দিগকে শিক্ষা দিবে তবে তাহাকে ৭০ জনশহীদের নেক দান করা হইবে। ৯৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তিকে কোন দীনের কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে গোপন করে কেয়ামতে তাহাকে আগুনের লাগাম পরান হইবে।
৯৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি দীনের এলেম দুনিয়া কামাইর উদ্দেশ্যে হাসিল করে কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি জান্নাতের গন্ধ ও পাই
পৃষ্ঠা:০৫
৯৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি এলমে দীনের সহিত এবং আলেমগণের সহিত ভালবাসা রাখিবে তাহার জীবনের ছগীরা গুণাহগুলি লিখা হইবে না।
৯৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- কেয়ামতের দিন আলেম গণ নূরের মিম্বারের উপর বসিবার স্থান পাইবে।
৯৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি একজন আলেমকে তাযীম করিল এবং যে ব্যক্তি একজন তালেবে এমের তাযীম করিল সে যেন ৭০ জন শহীদের তাযীম করিল।
১০০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আলেমদের মুখ দর্শন করাও নেকের কাজ।
১০১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কেয়ামতের দিন হাফোকে বলা হইবে পড়িতে থাক এবং চলিতে থাক, অতঃপর সে পড়িতে থাকিবে এবং এক একটি দরজা অতিক্রম করিতে থাকিবে।
১০২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ্ নিজে আলেম এবং তিনি ইল্ম ও নম্রতাকে পছন্দ করেন।
কুরআন
১০৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি তাহার ছেলেকে কুরআন শিক্ষা অথব্য এলমে দীন শিক্ষা দিবে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাহাকে এমন একটি হার দান করিবেন যে তাহা দেখিয়া পূর্ববর্তী সমস্ত লোকই আশ্চর্যান্বিত হইয়া যাইবে।
১০৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার বুকে কুরয়ানের কিছুই নাই সে যেন ধ্বংশ হওয়া ঘরের ন্যায়।
১০৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে প্রতিদিন ছুরা এখলাছ ২০০ বার পড়ে তাহার ৫০ বৎসরের গুনাহ মাফ হইয়া যায়। শুধু তাহার ঋণ মাফ হয় না।
১০৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ছুরা ফাতেহায় প্রত্যেক রোগের ঔষধ আছে।
১০৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের স্বর দ্বারা কুরআনকে সুশোভিত কর।
১০৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কুরআন পড়িয়া ভুলিয়া যায় কেয়ামতের দিন সে আল্লাহর সহিত কান ও নাক কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে।
১০৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে লোকের নিকট হইতে রিযিক পাওয়ার জন্য কুরআন পড়ে সে কেয়ামতের দিন মাংস শূন্য হাড়ের মুখ লইয়া আসিবে।
১১০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কুরআন পড়ে সে যেন তদ্বারা
আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে শীঘ্রই এমন লোক বাহির হইবে যাহারা লোকের নিকট
হইতে ভিক্ষা করার জন্য কুরআন পড়িবে।
১১১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- হাজার আবেদ হইতে একজন ফকীহ্ বেশী শক্তিশালী।
১১২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ যাহার মঙ্গল কামনা করেন তাহাকে ধর্ম জ্ঞান দান করেন।
১১৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বসিয়া থাকার মধ্যে সবচেয়ে ভাল কেবলা মুখী হইয়া বসা।
১১৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুমিনকে জানিবার উপায়, এই, যে সে হবে দাতা ও সাদা সিধা ধরনের লোক।
১১৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কাজ আল্লাহর প্রশংসা ব্যতীত আরম্ভ করা হয় তাহা বরকত হইতে বঞ্চিত।
১১৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- এক ঘন্টা আল্লাহতায়ালার জন্য চিন্তা করা ৭০ বৎসর এবাদৎ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
যিকির
১১৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে গৃহে আল্লাহর যিকির হয় আকাশ হইতে ফেরেস্তারা তাহাকে এতই উজ্জল দেখেন আমরা দুনিয়া বাসীরা আকাশের তারকা রাশি যেমন উজ্জল দেখি।
১১৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহর যিকির আন্তরিক ব্যাধি সমূহের শেফা বা আরোগ্য।
১১৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- শয়তান মানুষের অন্তরে আসন পাতিয়া
বসিয়া থাকে। মানুষ যখন আল্লাহর যিকির করে তখন সে অপমানিত ও লাঞ্চিত অবস্থায়
সরিয়া যায়। কিন্তু মানুষ যখন গাফেল থাকে তখন সে কুমন্ত্রণা দিতে আরম্ভ করে।
১২০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহর যিকির কর কেননা ইহা তোমার উদ্দেশ্য পূরণের সহায়তা করিবে।
১২১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ্ তায়ালা বলেন বান্দা যতক্ষণ আমার যিকির করে ততক্ষণ আমি তাহার সাথে থাকি।
পৃষ্ঠা:০৬
১২২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ছোবাহানাল্লাহি ওয়া বেহামদিহী ছোবহানাল্লাহিল আজীম যে ৭ বার পড়ে তাহার জন্য বেহেস্তে একটি গুম্বজ তৈয়ার হয়।
১২৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহাদের চেহারা দেখিলেই আল্লাহর কথা স্মরণ হয় তাহারা আল্লাহর ওলী।
১২৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ােখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদিতেছে,
যে চোখ আল্লার জন্য জাগিয়াছে, যে চোখ অবৈধ দৃষ্টিতে বিরত রহিয়াছে যে চোখ আল্লার
পথে নষ্ট হইয়াছে জাহান্নামের আগুন তাহাদের প্রত্যেকের উপর হারাম।
১২৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যতদিন ধরাপৃষ্ঠে লাইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলিবার কেছু থাকিবে ততদিন কেয়ামত উপস্থিত হইবেনা।
১২৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- শয়তান রক্ত চলাচলের ন্যায় মানুষের ভিতর চলাচল করে।
১২৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ফজর ও আছরে যে এই দোয়া তিনবার পাঠ করিবে সমুদ্রের পানির ন্যায় অসীম ও অগাধ পাপ হইলেও তাহার পাপ মার্জনা হইবে। “আস্তাগ ফেরুল্লাহাললাজি লাইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াআতুবু ইলাইহি।
১২৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রি ছুরা ওয়াকেয়া পড়িতে থাকিবে তাহাকে কখনো অনাহারে কাটাইতে হইবে না।
১২৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ছোবেহ ছাদেকের পরে সকাল বেলার নিদ্রার কারণে লোকের রুজির বেবরকর্তী আসে।
১৩০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ তা’য়ালা বলেন যখন আমার
বান্দা আমাকে স্মরণ করে এবং তাহার অন্তর আমার স্মরণে পড়িতে থাকে তখন আমি
তাহার সঙ্গে থাকি।
১৩১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আল্লাহর ৯৯টি নাম আছে। যে উহা মুখস্ত করিবে সে বেহেস্তে যাইবে।
১৩২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- অনেকবার বল, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহে কেননা ইহা জান্নাতের রত্ন।
১৩৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আল্লার কছম আমি নিশ্চই আল্লার কাছে ক্ষমা চাই এবং আমি প্রত্যেকদিন ৭০ বারের ও বেশী তাঁহার নিকট তওবা করি।
দরূদ ও দু’য়া
১৩৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আমার উপর একবার দরূদ পাঠান আল্লাহ তাহার নিকট দশবার দরূদ পাঠান।
১৩৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- কিয়ামতের দিন আমার নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় ঐ ব্যক্তি যে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক দরূদ আমার উপর পাঠান।
১৩৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বখিল ঐ ব্যক্তি যাহার নিকট আমার নাম স্মরণ করা হইয়াছে কিন্তু তবুও সে আমার প্রতি দরূদ পাঠায় নাই।
১৩৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে পর্যন্ত তুমি তোমার নবীর উপর দরূদ না পাঠাও সেপর্যন্ত দোয়া আসমান ও জমিনের ভিতর অবস্থান করে এবং কিছুতেই আকাশে উঠেনা।
১৩৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন কোন বান্দা সেজদাতে থাকে তখন সে আল্লাহর অতি নিকটে থাকে। সুতরাং বেশী করিয়া দোয়া চাও।
১৩৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদি কোন মুসলমান সন্ধ্যায় ও সকালে তিনবার বলে আল্লাহ কে প্রভু, ইসলামকে ধর্ম এবং মুহম্মদ (দঃ) কে নবী পাইয়া আমি সন্তুষ্ট তখন কেয়মতের দিন তাহাকে সন্তুষ্ট করিবার আল্লাহর নিকট কর্তব্য হইয়া দাঁড়ায়।
১৪০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আমার নিকট দোয়া ব্যতীত এত সম্মানীত জিনিস আর নাই।
১৪১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আল্লার নিকট কিছু চায় না আল্লাহ তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট (বেজার) থাকেন।
১৪২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তিনটি দোয়া বিনা সন্দেহে কবুল হয় পিতা, মুসাফিরের এবং মাযলুমের।
১৪৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা প্রত্যেকে যার যার অভাব অভিযোগের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া চাও। এমনকি যখন জুতার ফিতা ছিড়িয়া যায় তাহার জন্যও লবণের জন্য ও।
১৪৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করিয়া বাজারের দোয়া পড়ে আল্লাহ তাহার জন্য দশ লক্ষ ছোয়াব লিখেন। দশ লক্ষ গুণাহ মাফ করিয়া দেন এবং তাহার পদ মর্যাদা দশ লক্ষ গুণ বাড়াইয়া ে একটি দালান করিয়া রাখেন। দেন এবং জান্নাতে তাহার জানা। Activate ১৪৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- ত্রিশ আয়াত কুরআন শরীফের একটি act
পৃষ্ঠা:০৭
জুরা আছে, যাহা লোকের জন্য গুণা মাফ না হওয়া পর্যান্ত সাফায়াত করে তাহা তাবালরাকাল্লাজি বেয়াদিহীনল মুলুক।
১৪৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লার যিকির ব্যতীত কোন বান্দার এমন কোন কাজ নাই যাহা আল্লাহর আযাব হইতে তাহাকে মুক্তি দিতে পারে।
১৪৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে দিনে ১০০ বার ছুবহা নাল্লাহি ওয়া বেহামদিহি পড়ে তাহার দোষ ত্রুটি সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় অসংখ্য হইলেও মাফ করা হয়।
১৪৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- প্রত্যেক আদম সন্তান গুণাহগার এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম ঐ ব্যক্তি গণ যাহারা অনবরত তওবা করে।
১৪৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৰলিয়াছেনঃ- লা হাওলা ওয়ালা কুও ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ৯৯ রোগের ঔষধ তার মধ্যে সহজতম রোগ দুশ্চিন্তা।
১৫০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- যখন কোন বান্দা গুনাহ স্বীকার করিয়া তওবা করে আল্লাহ তাহার তওবা কবুল করেন।
১৫১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে তাহার গুনার জন্য অনুতপ্ত সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যাহার গুনাহ নাই।
১৫২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহতায়ালার বান্দাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাহারা কোন কথা বলিলে আল্লাহ তায়ালা পূরণ করিয়া দিয়া থাকেন।
১৫৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সদা সর্বদাই আল্লাহর খেয়াল রাখিতে হইবে। তাহা হইলে তুমি তাঁকাকে নিজের কাছেই পাইবে।
১৫৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসিয়াছেনঃ- যখন কোন বান্দা নামাযে দাঁড়ায় তখন তাহার দিকে আল্লাহর রহমত ধাবিত হয়।
১৫৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি নির্জনে দুই রাকাত নামায আদায় করে আল্লাহ এবং তাহার ফিরেস্তাগণ ব্যতীত অপর কেহই টের পায় না। জাহান্নামের আগুন হইতে মুক্তির পরোয়ানা সে লাভ করিতে থাকে।
১৫৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দেহের জন্য যেরূপ মস্তক দীনের জন্য সেরূপ নামায়।
১৫৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুয়াযযিনের আযান শুনিবার পরও কেহ নামাযে গমন করিল না নেই ব্যক্তির বদনছিব এবং বদনছিবের জন্য এই একটি কার্যই মুথেষ্ট।
১৫৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে মদ পান করে আল্লাহ্ তাহার ৪০ দিনের নামায কবুল করেন না।
১৫৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন কোন বান্দা প্রকাশ্যে উত্তমরূপে নামায পড়ে এবং দরূদ পড়ে তখন মহান আল্লাহ্ বলেন এই আমার সৎ বান্দা।
১৬০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে লোক দেখানোর জন্য নামায পরে
সে শিরিক করে এবং যে লোক দেখানোর জন্য রোযা রাখে সে শিরিক করে, যে লোক দেখানোর জন্য দান কের সে শিরিক কড়ে।
১৬১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সৎ চরিত্র একটি উৎকৃষ্ট নেক আমল। ১৬২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কেয়ামতের দিন আদল, নামায নেকি গুলির মধ্যে সতচরিত্রই বেশী ভারী হইবে।
১৬৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সততা অন্তরের শান্তি আনয়ন করে।
১৬৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে নির্দয় সেই বস্তু বদ নছীব।
১৬৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে অনাহুত চিন্তা করে তাহার সহিত আমার সংশ্রব নাই।
১৬৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে পরের মন্দ চায় তাহার সহিত আমার কোনই সংশ্রব নাই।
১৬৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কুধারণা পোষন করা হইতে নিজকে বাঁচাও কেননা কুধারণা পোষন করা সবচেয়ে মিথ্যা।
১৬৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মানব দেহে এমন একটি টুকরা আছে যে উহা ভাল হইলে সব ভাল এবং উহা নষ্ট হইয়া গেলে সব নষ্ট হইয়া যায়। সে টুকরা মানুষের দিল।
১৬৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে গাইরুল্লার কছম খাইবে সে মুশরিক হইয়া যাইবে।
১৭০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহর কছম খাইওনা। উহা যদি খাঁটি, সত্য হয় তবে খাইতে পার।
১৭১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আত্মীয় বর্গের সহিত অসৎ ব্যবহার করিবে সে বেহেস্তে যাইতে পারিবেনা।
১৭২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- প্রতিবেশী ভুকা থা ভরিয়া খাওয়া হালাল নয়। থাকিলে নিজে
পৃষ্ঠা:০৮
১৭৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- দীনার ও দেরহামের গোলাম লানতের পাত্র।
১৭৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি কছম করিয়া মুসলমান ভাইয়ের হক নষ্ট করে আল্লাহ তাহার জন্য বেহেস্ত হারাম করিয়া দিবেন।
১৭৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার দুই বিবি অথচ উভয়ের মধ্যে ন্যায় বিচার করে নাই কেয়ামতের দিন তাহার বাহু বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে।
১৭৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে মেয়েলোক বিলাপ করিয়া কাঁদে এবং যে মেয়েলোক শুনিতে আসে তাহাদের উভয়ের উপর আল্লাহর লানত। ১৭৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন স্বামী স্ত্রীর দিকে এবং স্ত্রী স্বামীর দিকে মুহব্বতের সহিত নযর করে আল্লাহ্ উভয়ের সহিত মহব্বতের সহিত নজর করেন। ১৭৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- গরীব লোক ধনবান ব্যক্তির ৫০০ বৎসর আগে বেহেস্তে যাইবে আর ৫০০ বৎসর কেয়ামতের অর্ধ দিবসের সমান হইবে।
১৭৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ চোগল খোর বেহেস্তে যাইতে পারিবেনা।
১৮০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন :- ঐ আমল আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সর্বোত্তম যাহা সর্বদা করা যায় যদি তাহা কম ও হয়।
১৮১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি রাত্রির কোন অংশে বিমার হইয়া ছবর করে এক আল্লাহর প্রতি রাযী থাকে তবে সে ব্যক্তি যেন নবজাত সন্তানের ন্যায় গুনাহ হইতে পাক হইয়া যায়। ১৮২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নিকট সওয়াল করেনা আল্লাহ তায়ালা তাহার উপর রাগান্বিত হন।
১৮৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- অবশ্য আল্লাহ তায়ালা জালেমকে অবসর দেব কিন্তু যখন তাহাকে ধরেন তখন তাহাকে আর ছাড়েন না।
১৮৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তিনটি কাজ দ্বারা মানুষে ধ্বংস সাধিত হয় বর্ষীলী, নফছের পায়রবি ও আত্মগরীমা।
১৮৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বাপের দোস্তের সাথে দোস্তী রাখা উত্তম কাজ।
১৮৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির দোষ অবগত হইয়া তাহা গোপন করে সে ব্যক্তি যেন মৃত কবরস্থ ব্যক্তিকে জীবিত করিল।
১৮৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সব নেশার বন্ধু হারাম।
রিযিক
১৮৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- হালাল রুজী তলবকারী আল্লাহর দোস্ত।
১৮৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- এবাদতে ১০টি ভাগ আছে তন্মধ্যে নয় ভাগ হালাল বস্তু তালাস করার মধ্যে।
১৯০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- হারামের গন্ধ নাই এমন হালাল বস্তু ৪০ দিন যে ব্যক্তি খায় আল্লাহ্ তায়ালা তাহার দিলকে দীনের নুরে নূরানী করিয়া দেন এবং তাহার দিলে হেকমতের (জ্ঞানের) ঝরনা যারী করিয়া দেন।
১৯১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ পড়েনা শয়তান তাহার সাথে খাইতে থাকে।
১৯২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- রিযিক মানুষকে এমন ভাবে খুঁজিয়া বেড়ায় যেমন মণ্ডত তাহাকে খোঁজ করে।
১৯৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নিশ্চই মানুষ পাপ কার্যের দরুন রিযিক হইতে মাহরুম হইয়া থাকে।
১৯৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা রিযিককে দূরে মনে করিওনা মানুষ এপর্যন্ত মরিবেনা যে পর্যন্ত তার তকদীরের লিখা রিযিক না পায়।
১৯৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদিগকে এমন স্থান হইতে রিযিক দান করেন যে সে ধারনাও করিতে পারিবে না।
১৯৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমার ডেকুর সংক্ষেপ কর কেননা কেয়ামতের দিন অধিক ক্ষুধার্ত ঐ ব্যক্তি হইবে যে এ দুনিয়াতে অধিক ভক্ষণকারী হইবে।
১৯৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- একত্রে আহার গ্রহণ কর ভিন্ন ২ ভাবে আহার গ্রহণ করিওনা কেননা বরকত জামাতেই নিহিত।
১৯৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কৃতজ্ঞ ভক্ষণকারী সহিষ্ণু রোযাদার সাদৃশ্য।
১৯৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি বাসনে খাইয়া তাহা চাটে বাসন খানা তাহার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।
২০০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দুই জনের খাদ্য তিন জনের জন্য যথেষ্ট। তিনজনের খাদ্য পাঁচজনের জন্য যথেষ্ট।
পৃষ্ঠা:০৯
২০১। হুযুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- পাঁচটি কাজ করণীয় (১) খতনা করা, (২) গুপ্ত অঙ্গের কেশ মুন্ডন করা (৩) গোঁপ খাট করা (৪) নখ কাটা (৫) বগলের কেশ
মুচন করা।
২০২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কাফেরদের বিপরীত কর দাঁড়ী বৃদ্ধি কর এবং গোঁপ কর্তন কর।
২০৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে তাহার গোপ ছোট করে না সে আমাদের দলভুক্ত নহে।
২০৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ইসলামে বৃদ্ধ হয় তাহার জন্য বিচারের দিন একটি নূর সৃষ্টি হয়।
২০৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- পায়ের গোড়ালীর নিম্নে পায়জামা যে অংশে ঝুলিতে থাকে তাহা দোযখের অগ্নিতে জ্বলিবে।
২০৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- স্বর্ণ এবং রেশম আমার উম্মতে নারীর জন্য হালাল এবং পুরুষের জন্য হারাম।
২০৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ঘরে কুকুর বা জীবজন্তু থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেস্তা প্রবেশ করে না।
২০৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ছবি প্রস্তুতকারী গণ আল্লাহর নিকট কঠিন শাস্তি ভোগ করিবে।
২০৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ঘাম শুকাইবার আগেই মজদুরের মজুরী দিয়া দাও।
২১০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- তোমাদের মধ্যে যাহার স্বভাব উত্তম সেই উত্তম।
২১১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে মানবের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে না আল্লাহ তাহার প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন না।
২১২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আল্লাহর সাথে শরীক করা আর মিথ্যাসাক্ষ্য দেওয়া একই কথা।
২১৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন :- তিন দেরহাম মূল্যের একটি ঢালের জন্য নবী করিম (দঃ) এক চোরের হাত কাটিয়া ছিলেন।
২১৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা যেরূপ তোমাদের শাসনকর্তা ও তদ্রুপ হইবে।
২১৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- স্রষ্টার অবাধ্য হইয়া সৃষ্ট জীবকে মানিতে নাই।
২১৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- শান্তি দিবে কষ্ট নয় সুখ দিবে দুঃখ নয়।
২১৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি তাহার ভ্রাতার দিকে এমন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে যাহাতে সে ভয় পায় আল্লাহ বিচারের দিন তাহাকে ভয় দেখাইবেন।
২১৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে মুসলমান কোনও স্ত্রীলোকের
সৌন্দর্যের দিকে একবার দৃষ্টি পাত করিয়া চক্ষুবন্ধ করে আল্লাহ তাহার জন্য এমন এবাদত সৃষ্টি করেন যাহার স্বাদ সে অনুভব করে।
২১৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- প্রত্যেক ন “মের জন্য একটি পরীক্ষা আছে এবং আমার উম্মতের জন্য পরীক্ষা ধন সম্পত্তি।
২২০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- গৃহ নির্মানে হারাম জিনিসকে ভয় করিবে কেননা ইহাই মন্দের ভিত্তি হইবে।
২২১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: নশ্বর জীবন অর্জন করিওনা তাহা হইলে দুনিযার প্রতি আকৃষ্ট হইয়া যাইবে।
২২২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দুনিয়া যদি আল্লাহর নিকট একটি মাছির ডানার সমান মূল্য হইত তবে তিনি কোন কাফেরকে এক গোঁট পানিও পান করিতে দিতেন না।
২২৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ইসলামে সন্ন্যাস নাই।
২২৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে বিবাহে সর্বাপেক্ষা কম কষ্ট হয়, তাহাতে সর্বাপেক্ষা বরকত আছে।
মাতাপিতা
২২৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- তোমাদের পিতার নিকট হইতে ফিরিয়া যাইওনা যে পিতার নিকট হইতে ফিরিয়া যায় সে কাফেরে গন্য।
২২৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- নিশ্চয়ই তোমাদের বেহেস্ত তোমাদের মাতাপিতার পদতলে।
২২৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদি কোন সন্তান তাহার মাতাপিতার প্রতি দয়াকৃষ্ট হইয়া একবার নষর করে তাহা হইলে আল্লাহ তায়ালাও তাহার প্রতি সদয় হইয়া এক হজ্জ মাকবুলের ছোয়াব দিবেন। ইয়া শুনিয়া সাহাবাগণ বলিলেন হুযুর যদি দিনের মধ্যে একশতবার নজর করে হুজুর (দঃ) বলিলেন তাহা হইলে একশতবার হজ্জের ছোয়াব দেওয়া ইবে।
পৃষ্ঠা:১০
২২৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুসলমানের উপর মুসলমানের পাঁচটি হক আছে তন্মধ্যে একটি ছালামের জওয়াব দেওয়া আর একটি হাঁচি দাতার জওয়াব দেওয়া।।
২২৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: সে পলোয়ান নয়, যে কুত্তির সময় • অন্যকে ফালাইয়া দেয়, পলোয়ান সেই যে রাগের সময় নিজের নফছকে পাছড়াইয়া ফেলিতে পারে। অর্থাৎ রাগ দমন করিতে পারে।
২৩০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি রাগকে ফিরাইয়া রাখিবে আল্লাহ তায়ালা কেয়মতের দিন তাহার আযাবকে ফিরাইয়া রাখিবেন।
২৩১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন তোমাদের কের রাগ আসে তখন খাড়া থাকিলে বসিয়া পড়িবে। তাহাতে যদি রাগ পড়িয়া যায় তবে ভালই নতুবা শুইয়া পড়িবে।
২৩২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নরমে যে কাজ হয় গরমে সে কাজ হয়না। কৌশলে যত কাজ উদ্ধার হয় বলে তদ্বারা হয়না।
২৩৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- সত্যবাদী মুমেন ব্যবসায়ীগণ নবী, সিদ্দীক ও শহীদগণের সঙ্গে থাকিবে।
২৩৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের নামে এবং তোমাদের পিতার নামে বিচারের দিন তোমাদিগকে ডাকা হইবে। সুতরাং উত্তম নাম রাখ।
২৩৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের নামের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় নাম আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান।
২৩৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জ্ঞান মতে এক দেরহাম সুদ খাওয়া ৩৬টি যিনা হইতে অধিকতর পাপ।
‘২৩৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সুদখোর, সুদ দাতা, ইহার লেখক এবং ইহার সাক্ষীকে লানত করা হইয়াছে। তিনি বলিয়াছেন তাহারা সকলেই সমান।
২৩৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার মাংস হারাম খাদ্য দ্বারা বর্ধিত হইয়াছে তাহার জন্য নরকেরঅগ্নি উপযুক্ত।
২৩৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে শরীর হারাম রুযীর দ্বারা বর্ধিত হইয়াছে। তাহা জান্নাতে যাইবেনা।
২৪০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে ব্যক্তি খ্যাতির জন্য দুনিয়াতে বস্ত্র – পরিধান করে কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাহাকে অপমানের বস্ত্র পরিধান করাইবেন।
২৪১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ক্রোধ শয়তান হইতে উৎপন্ন হয় এবং
শয়তান অগ্নি দ্বারা তৈরী। অগ্নি পানি দ্বারা নিবান যায় যখন তোমাদের কাহারো ক্রোধ উপস্থিত হয় তখন সে যেন অযু করে।
১৪২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তিনটি বিষয়ের জন্য আরবরাসী দিগকে ভালবাস। কেননা আমি আরববাসী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাত বাসীগণের ভাষা আরবী।
২৪৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- লোভ হইতে আল্লাহর নিকট পানা চাওয়া কেননা ইহা ধ্বংশের দিকে চালনা করে।
২৪৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- প্রচুর ধন সম্পত্তির ভিতর সুখ নাই। কিন্তু মনের সুখই সুখ।
২৪৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি বিধবা ও গরীবের সাহায্যের জন্য দৌড়ায় সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আল্লার রাস্তায় জিহাদের জন্য দৌড়ায়।
২৪৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা ভাইয়ের দুঃখে খুশী হইওনা। হয়তো আল্লাহ্ তাহার উপর দয়া করিতে এবং তোমাকে কষ্টে ফেলিতে পারেন।
২৪৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ যাহার মঙ্গল ইচ্ছা করেন, তিনি তাহাকে বিপদ আপদ দেন।
২৪৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে মানবের প্রতি দয়ালু নহে আল্লাহ। তাহার প্রতি দয়ালু নহে।
২৪৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে দয়া গুনে বঞ্চিত সে সমস্ত মঙ্গল হইতে বঞ্চিত।
২৫০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জালেম নিজেরই অনিষ্ট করিয়া থাকে।
২৫১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- হালাল রুজি অন্নেষণ করা ফরয সমূহের মধ্যে একটি ফরয।
২৫২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে পর নিন্দা শ্রবণ করে সে পর নিন্দুকের মধ্যে অন্যতম।
২৫৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন চাটুকারদের সহিত তোমাদের সাক্ষাৎ হয় তাহাদের মুখে ধুলি নিক্ষেপ কর।
২৫৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন কোন লোক মিথ্যা কথা বলে ফেরেস্তাগণ তাহার নিকট হইতে মিথ্যার দুর্গন্ধে এক মাইল দূরে চলিয়া যায়।
২৫৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- পরের যে অনিষ্ট করে আল্লাহ্ তাহার অনিষ্ট করেন। যে শত্রুতা করে আল্লাহ্ তাহার শত্রুতা করেন।
পৃষ্ঠা:১১
২৫৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে লোকের নিকট কৃতজ্ঞ সে আল্লাহর নিকট ও কৃতজ্ঞ নয়।
২৫৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- রোগী দেখিতে যাইয়া তথায় স্বল্প উপবেশন এবং স্বল্প কথোপকথন করা একটি সুন্নত।
২৫৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে প্রথম সালাম দেয় আল্লাহর নিকট লোকের মধ্যে সেই উত্তম।
২৫৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কথোপকথনের পূর্বে সালাম দিও।
২৬০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে প্রথমে সালাম দেয় সে অহংক হইতে মুক্ত।
২৬১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদি কোন মুমেন জানিত যে আল্লার নিকট শান্তি আছে তবে কেহই জান্নাতের আশা কতিনা। যদি কোন মুশরেক জানিত যে আল্লার নিকট কত দয়া তবে কেহই জান্নাতের আশা হইতে বিরূপ হইতনা।
২৬২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের কেহ যেন সময়কে ভর্ৎসনা না করে। কেননা আল্লাহই সময়।
২৬৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আল্লাহ্ এমন ব্যাধি পাঠান নাই যাহার ঔষধ নাই।
২৬৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- প্রত্যেক রোগের ঔষধ আছে। যে ঔষধ যখন প্রয়োগ করা হয় আল্লাহর হুকুমে সে রোগ তখন আরোগ্য হয়।
২৬৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কাল জিরায় মৃত্যু ব্যতিত প্রত্যেক রোগের ঔষধ আছে।
২৬৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে প্রত্যেক মাসে প্রাতঃকালে তিন দিন মধু পান কের তাহাকে বড় ব্যারাম আক্রমণ করিবেনা।
২৬৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি স্বর্ণ মুদ্রা মওজুদ করে তাহার উপর অভিসম্পাত এবং যে ব্যক্তি রৌপ্য মুদ্রা মওজুদ করে তাহার উপর অভিসম্পাত।
২৬৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- তোমরা দুইটি ঔষধ ব্যবহার করিবে মধু ও কোরআন।
২৬৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জীবিত অবস্থায় কোন ব্যক্তির এক দেরহাম দান তাহার মৃত্যুর সময় একশত দেরহাম দান হইতে অধিকতর উত্তম।
২৭০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- প্রত্যেক সৎকাজই ছদকা।
২৭১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বিচারের দিন ঈমানদারের দানই তাহার ছায়া হইবে।
২৭২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মহান আল্লাহ্ বলেছেন যে হে আদম সন্তান খরচ কর তাহা হইলে তোমার জন্য খরচ করা হইবে।
২৭৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি আশুরার দিন পরিজন বর্গের
জন্য মুক্ত হস্তে ব্যয় করে আল্লাহ্ তাহাকে সারা বৎসর মুক্ত হস্তে দান করিবেন।
২৭৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা দান করিতে সতর্কতা অবলম্বন কর; কেননা বিপদ আপদ ইহার কাছে আসেনা।
২৭৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ক্ষুধিত জনের ভোজন করা সবচেয়ে ভাল ছদকা।
২৭৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- পরিজনের অভাব মোচনের জন্য খরচ করাই মালের সর্বোৎকৃষ্ট সৎব্যবহার।
২৭৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- উপরের হস্ত নীচের হন্ত অপেক্ষা উত্তম।
২৭৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মানুষের পাপী হওয়ার জন্য ইহাই যথেষ্ট যে যাহাদের ভরণ পোষনের ভার তাহার উপর তাহাদিগকে কষ্ট দেয়।
২৭৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- জানিয়া রাখিও দানে ধন তখনও কমেনা।
২৮০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- এক মুষ্টি দ্বারাই তোমরা বেহেস্তের উত্তম হুর খরিদ করিতে পার।
যাকাত
২৮১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে কেহ মালের যাকাত না দিবে; কেয়ামতে দিন তাহার মালকে সাপরূপে তাহার গলায় নিক্ষেপ করা হইবে।
২৮২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের মধ্যে যে আল্লাহ এবং
আল্লার, রাসুল (সাঃ) কে মানে তাহার যাকাৎ দেওয়া আবশ্যক।
২৮৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে যাকাত না দিবে কেয়ামতের দিন সে দোযখে যাইবে।
২৮৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কওম যাকাত দেয়না আল্লাহ তায়ালা তাহাদিগকে অনাবৃষ্টি এবং দুর্ভিক্ষের মধ্যে মোকাবেলা করেন।
পৃষ্ঠা:১২
২৮৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আল্লাহ্ তায়ালা ফরমাইতেছেন হে আদম সন্তান তুমি আমার রাস্তায় নেক কাজ সমূহে দান কর, আমি তোমাকে দান করিব।
২৮৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- প্রত্যেক কাজের ফল নিয়ত অনুসারে হইয়া থাকে।
২৮৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ছদকা দ্বারা তোমরা আপন আপন মাল পবিত্র কর। চিন্তা দূর কর এবং বালা মছিবত হইতে নিজকে রক্ষা কর।
২৮৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ “আল্লাহর কছম ঐ ব্যক্তি মুমিন নয়।” জনৈক সাহাবী আরজ করিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ ব্যক্তি কে? তিনি বলিলেন, যে প্রতিবেশীর বিপদ আপদে সাহায্য করেনা।
২৮৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি কোন সৎকার্য করিতে ইচ্ছা করে সে তাহা কার্যে পরিণত করিতে না পারিলেও তাহার জন্য একটি ছওয়াব লিখিত হয়।
২৯০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার নিয়ত দুনিয়া অর্জন আল্লাহ তাহার নয়ন যুগলের সামনে অভাব করিয়া রাখে।
২৯১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে মোহরানা আদায়ের সর্তে বিবাহ করিয়া তাহা আদায় না করিবার নিয়ত করে সে ব্যভিচারী এবং যে ঋণ করিয়া তাহা
আদায় না করিবার ইচ্ছা পোষণ করে সে চোর। ২৯২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: সামর্থবান ব্যক্তির পক্ষে ঋণ পরিশোধের টাকা বাহনা করা অতি বড় অন্যায়।
২৯৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন তুমি কিছু চাও এক আল্লাহর কাছেই চাও, যখন সাহায্য প্রার্থনা কর এক আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর।
২৯৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মানুষের জন্য আল্লার যাহা কিছু নির্ধারিত করিয়া দিয়াছে তাহাতে সন্তুষ্টি থাকাই মানুষের সৌভাগ্যশীল ও নেকবখত হওয়ার আলামত।
২৯৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- রিয়া করিয়া সামান্য হইলেও তাহা এক প্রকার শিরিক।
২৯৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তিনটি দোয়ে মানুষ ধ্বংস হয় ৪১।
নিজ মনে যাহা চায় তাহাই করা। ২। শুধু নিজের স্বার্থ টানিয়া চলা। ৩। শুধু নিজের
কাজ ও নিজের কথা ভাল মনে করা।
২৯৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দোয়া ব্যতিত তকদিরের লেখা
মসজিদ
২৯৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মান করে তাহার স্থান জান্নাতে হইবে।
২৯৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার দিলে ভয় থাকে সে আগে আগে কাজ করে এবং কাজে কৃতকার্য হয়। হে আমার উম্মতগণ তোমরা সকলে দুনিয়া রাখ যে আল্লাহ্ যে জিনিস তোমাদিগকে দিবেন তাহা অতি মূল্যবান। অতএব তাহার জন্য কিছু কষ্ট ও পরিশ্রম করিতে কাতর হইগুনা।
৩০০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মসজিদ নির্মান কারীর জন্য জান্নাতে মসজিদের ন্যায় গৃহ নির্মান করা হয়।
৩০১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মসজিদ নির্মান সদকায়ে জারীয়ার অন্তর্ভুক্ত। ৩০২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জান্নাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন
কারীর প্রতি পদক্ষেপ একটি করিয়া নেকী লিখিত হয় এবং তাহার একটি করিয়া গুনাহ মুছিয়া দেওয়া হয়। ৩০৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কেয়ামতের দিন সাত ব্যক্তি আরশে
এলাহির ছায়ার স্থান লাভ করিবে তাহাদের মধ্যে অন্যতম হইল সে ব্যক্তি যাহার মন
মসজিদে পড়িয়া থাকে।
৩০৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সব স্থানাপেক্ষা
মসজিদ অধিক প্রিয়। তাহার পরই তার সকল স্থান হইতে বাজার সমধিক অপ্রিয়।
৩০৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মসজিদ সমূহ জান্নাতের বাগান।
রোযা
৩০৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- রোধা ছবরের অর্ধেক এবং ছবর ইসলামের অর্ধেক।
৩০৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- রোযার মধ্যে অনাবশ্যক কথা বার্তার দরুন অযথা বাক্যালাপ ও দরিদ্রের খাদ্যের জন্য ফেতরাকে বাধ্যতামূলক করা হইয়াছে।
৩০৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- রমযানের প্রতি রাত্রিতে ছয় লক্ষ মানুষ দোযখ হইতে মুক্তি পাইয়া থাকে।
৩০৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি ইফতারের জন্য করে সে আল্লাহর খুব পেয়ারা বান্দা। তাড়াতাড়ি
৩১০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন রমযান মাস আরছ হয় তখন to
পৃষ্ঠা:১৩
হইতে আসমানের রহমতের দরজা সমূহ খুলিয়া দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের সমুদয় দরজা বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়, শয়তান গুলিকে শৃংখলে আবদ্ধ করিয়া দেওয়া হয়।
৩১১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও মিথ্যার বশবর্তী (মিথ্যা বলার অভ্যাস) পরিত্যাগ না করিবে ঐ ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করাকে আল্লাহতায়ালা কোন মূল্য দিবেন না।
৩১২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ছাহরী খাও; ছাহরীতে বরকত আছে।
৩১৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- রমযানের শেষ রাত্রির ভিতর যে কোন বেজোড় রাত্রে শবে কদর তালাস কর।
হজ্জ
৩১৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে হজ্জের এরাদা করে সে যেন তাড়াতাড়ি হজ্জ করে।
৩১৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- রমযানের ওমরাহ এক হজ্জের সমান। ৩১৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- হাজী এবং ওমরাহ্ কারী আল্লাহ তায়ালার অতিথি যদি তাহাকে ডাকে তিনি তাহাদের উত্তর দেন। যদি তাহারা মাফ চায় তিনি তাহাদিগকে মাফ করেন।
৩১৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহর অতিথি তিনজনঃ (১) ধর্মযোদ্ধা, (২) হাজী এবং (৩) ওমরাহকারী।
৩১৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- প্রত্যেক জিনিসেরই যাকাত আছে এবং শরীরের যাতাত রোযা।
৩১৯। হুযুর সাল্লাল্ল। গলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে পর্যন্ত লোকজন কাবার যোগ্য সনম্মান সহকারে ইহার সম্মান দেখাইবে ততদিন ঐ উম্মতের উন্নতি হইবে এবং যখন তাহারা ইহাকে অবজ্ঞা করিবে তখন তাহারা ধ্বংস হইবে।
৩২০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে একদিন এ’তেকাফ করিবে আল্লাহ তায়ালার তাহাকে দোযখ হইতে তিনটি পরিখা পরিমিত স্থান দূরে রাখিবেন।
৩২১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোযা রাখে আল্লাহ্ তাহাকে দোযখ হইতে ৭০ বৎসরের পথ দূরে রাখেন।
৩২২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কোন মুসলমান ভ্রাতার কোন অভাব পূরণ করিয়া দেওয়া বা পূরণ করিবার চেষ্টা করা দশ বৎসর এ’তেকাফ করা অপেক্ষা ও অধিক ছওয়াব।
মৃত্যু
। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর জন্য তৈয়ার হও।
৩২৩ ৩২৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মৃত্যু যন্ত্রনা অতিভীষণ। সর্বনিম্ন যন্ত্রনা সহস্র তরবারীর আঘাতের ন্যায় কষ্টদায়ক।
৩২৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুমিনকে তাহার প্রত্যেকটি কথার
পুরষ্কার দেওয়া হইবে। এমনকি মৃত্যুকালে যে বমি বা হিক্কা হয় তাহার ছওয়াব ও দেওয়া
হইবে।
৩২৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুমূর্ষ ব্যক্তি যখন মালাকুল মণ্ডতকে দেখিতে পায়। তখন হইতে আর কাহাকেও চিনিতে পারেনা।
৩২৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কেহ জুময়ার দিন এক হাজার বার দরূদ শরীফ পাঠ করিবে সে মৃত্যুর পূর্বে তাহার বাসস্থান বেহেস্ত দেখিয়া লইবে।
৩২৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন কোন লোকের মৃত্যু হয় ফেরেস্তাগণ জিজ্ঞাসা করে সে কোন জিনিস আগে পাঠাইয়াছে কিন্তু আদম সন্তানগণ জিজ্ঞাসা করে সে পশ্চাতে কি রাখিয়া গিয়াছে।
৩২৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে অবস্থায় যে বান্দার মৃত্যু হয় সে অবস্থার উপরেই তাহার হাশর হইবে।
৩৩০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জুময়ার রাত্রি বা জুমার দিনে যে মুমিনের মৃত্যু হয় আল্লাহ তায়ালা তাহাকে কবরের আযাব হইতে নাজাত দিবেন।
৩৩১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আমোদপ্রমোদ ধ্বংশকারী মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে।
৩৩২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- মুমিন ললাটে ঘাম লইয়া মারা যায়। ৩৩৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুমিনের উপহার মৃত্যু।
৩৩৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- মুমূর্ষ ব্যক্তিকে এই কথা বলিয়া দাও এক আল্লাহ্ ব্যতিত অন্য উপাস্য নাই।
৩৩৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ৪- তোমরা ২দুর্ষ ব্যক্তির উপর সুরা ইয়াসিন পড়।
৩৩৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- স্বীয় পরিবার বর্গের ক্রন্দনের দরুণ মৃত ব্যক্তি আযাৰ ভোগ করিয়া থাকে।
পৃষ্ঠা:১৪
৩৩৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি স্বীয় ধন রক্ষা করিতে যাইয়া ক্ষুন্ন (মৃত্যু) হইবে সে শহীদ বলিয়া গণ্য হইবে।
৩৩৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন কোন ব্যক্তি জানাযা আসিতে দেখে তখন যদি সে উহার সঙ্গে যাইতে না পারে তবে তাহার কর্তব্য হবে দাঁড়াইয়া থাকা যতক্ষণ উহা অতিক্রম করিয়া না যায় বা নামাইয়া রাখা না হয়।
৩৩৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে জানাযার নামাযে উপস্থিত হইবে সে এক কিরাত ছওয়াব পাইবে এবং যে দাফন কার্যেও যোগদান করিবে সে দুই কিরাত ছওয়াব পাইবে। জিজ্ঞাসা করা হইল কিরাত কত বড় উত্তর এক কিরাত একটি বড় পাহাড় সমতুল্য।
৩৪০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা কবর যিয়ারত করিও কারণ ইহা মানুষকে মৃত্যু স্মরণ করাইয়া দেয়।
৩৪১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ধোকার জায়গা অর্থাৎ দুনিয়া হইতে মনকে আগা রাখ।
৩৪২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- নিশ্চয় জানিবে তোমাদের নিকট এই মৃত বকরিটি যেরূপ ঘৃণা ও তুচ্ছের বন্ধু আল্লাহর নিকট দুনিয়া এর চেয়ে ও অধিক ঘৃণা’ও তুচ্ছের বিষয়।
৩৪৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দুনিয়ার মহব্বত সমস্ত গুনাহের মূল। ৩৪৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আমি তোমাদিগকে আসল রোগ ও
খাঁটি ঔষধ শিক্ষা দিতেছি। তোমাদের আসল রোগ গুনাহ এবং উহার খাটি ঔষধ তৌবা করা ও অনুনয় বিনয় করিয়া এনাহ মাফ চাওয়া।
৩৪৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দুনিয়ার কোন জিনিসের অভাবে তোমার কোন দুঃখ থাকিবেনা যদি ৪টি জিনিস তোমার মধ্যে থাকে। ১। আমানতের হেফাযত। ২। কথার মধ্যে সততা। ৩। উত্তম স্বভাব ও ৪। পবিত্র রিযিক।
৩৪৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনিয়াছেনঃ- এক মাত্র দুনিয়াই যাহার মাকছুদ আল্লাহ্ তাহার অন্তরে তিনটি বস্তু মিলাইয়া দেন। অনন্তহীন চিন্তা, বিরামহীন কাজ ও চির দরিদ্রতা।
৩৪৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ১- আল্লাহ্ তায়ালা আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করিবেন কিন্তু যে সার ব্যক্তি বাহাদুরীর সহিত প্রকাশ্যে পাপ করে তাহাদিগকে ক্ষমা করিবেন না।
৩৪৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন :- যে ব্যক্তি দুনিয়াকে ভালবাসে সে
আখেরাতকে ভাল বাসিতে পারেনা। আর যে আখেরাতকে ভালবাসে সে আদৌ দুনিয়াকে পছন্ত করে না।
৩৪৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- শরাব সকল পাপের মূল। মেয়েলোক শয়তানের রশী এবং দুনিয়ার মহব্বত সকল দোষের মূল।
৩৫০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ তায়ালা তাহার সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে দুনিয়াকেই সব চাইতে বেশী ঘৃণা করেন এবং দুনিয়ার সৃষ্টি হইতে আজ পর্যন্ত কোন দিন তিনি উহার প্রতি ভালবাসার দৃষ্টিতে তাকান নাই।
৩৫১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুসলমান ব্যতীত অপর কোন লোকের সহিত মেলামেশা করিওনা এবং পরহেযগার ব্যক্তি ছাড়া যেন তোমার খানার মধ্যে কেহ শরীক হইতে না পারে।
৩৫২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- দুনিয়ার মধ্যে তুমি একজন মুছাফিরের ন্যায় বাস কর এবং নিজকে কবরবাসীদের মধ্যে গন্য কর।
৩৫৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ছোট ছোট গুনাহ হইতে বাঁচিয়া থাক কেননা এই গুলিও ধরা হইবে।
৩৫৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদি কোন মুসলমানের উপর দুঃখ ও রোগ শোক আসে এবং তার জন্য কিছুটা অশান্তি হয় আল্লাহ্ তায়ালা গুনাহ মাফ করিয়া
দেন।
৩৫৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আনছারদিগকে ভালবাসা ঈমানের লক্ষণ এবং আনছারদিগকে ঘৃণা করা মোনাফিকের চিহ্ন।
৩৫৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে মদীনাতে মরিতে পারে সে যেন মদীনাতে মরে কেনানা যাহার এই স্থানে মৃত্যু হয় তাহার জন্য আমি শাফায়াত করিব।
৩৫৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মদীনার অধিবাসীদের যে শঠতা করে, লবণ যেরূপ পানিতে গলিয়া যায় তদ্রুপ সে গলিয়া যাইবে।
৩৫৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন তোমরা মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযা পড় তাহার জন্য খাছ হৃদয়ে দু’য়া কর।
৩৫৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের গুনাবলী আলোচনা কর এবং তাহাদের মন্দের আলোচনা হইতে বিরত হও।
৩৬০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কবরে উপর বসিওনা বা তাহার দিকে মুখ করিয়া নামায পড়িওনা।
পৃষ্ঠা:১৫
৪৬১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা কবরকে পাকা করিওনা, তাহার উপর দালান করিওনা ও বসিওনা।
৩৬২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার কেহ মারা গিয়াছে তাহাকে যে ব্যক্তি সান্তনা দেয় সে তাহারই ন্যায় ছওয়াব পাইবে।
৩৬৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- যে স্ত্রীলোকের কেহ মারা গিয়াছে তাহাকে যে ব্যক্তি সান্তনা দেয় তাহাকে জান্নাতের জুব্বা পরান হইবে।
৩৬৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির জন্য নিজের চেহারায় আঘাত করে বা জামা ছিড়িযা ফেলে এবং অসভ্য যুগের কথা আওড়াইয়া বিলাপ করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
৩৬৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি তাহার পিতামাতার বা অন্য একজনের কবর সপ্তাহে একবার যিয়ারত করে তাহার গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হয় এবং বাধ্য সন্তান বলিয়া তাহার নাম লিখা হয়।
৩৬৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কবর হয় বেহস্তের বাগিচা অথবা দোযখের গর্ত।
৩৬৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কাফনে অতিরিক্ত ব্যয় করিওনা কেননা ইহা শীগ্রই নষ্ট হইয়া যাইবে।
৩৬৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ হে মানবগণ তোমরা সর্বদা কবরের নিকট যাইতে অভ্যন্ত হও কেননা উহা মৃত্যুকে স্মরণ করাইয়া দেয়।
৩৬৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মসজিদের ভিতর যখন লোকগণ অহংকার করিবে তখন তাহা হইবে কেয়ামতের একটি চিহ্ন।
৩৭০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন অযোগ্য পাত্রে কার্যের ভার ন্যস্ত
করা হইবে তখন জাতি ধ্বংশ হইবে। কেয়ামত আসিয়া পড়িবে। কেয়ামতের জন্য
তখন অপেক্ষা করা উচিত হবে।
৩৭১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে মুসলমান শুক্রবার দিনে বা রাত্রে মারা যায় আল্লাহ্ তাহাকে কবরের আযাব হইতে বাঁচান।
৩৭২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মোনাফেকের নিদর্শন তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে উহা ভঙ্গ করে এবং যখন তাহার নিকট কোন কিছু আমানত রাখা হয় সে উহা খেয়ানত করে।
৩৭৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সর্বোত্তম কাজ আল্লার জন্য ভালবাসা এবং আল্লার জন্য ঘৃণা করা।
৩৭৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বেহেস্তের চাবি আমার হাতে থাকিবে এবং বেহেস্তীগণের মধ্যে আমি সর্বপ্রথম তালা খুলিব।
৩৮৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মিথ্যাই সকল পাপের মূল।
৩৭৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- তওবা কারী পাপী তাহার তওবার উছিলায় নিষ্পাপ হইয়া যায়।
৩৭৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি কোন একদল লোককে হাসাইবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা বলে তাহার সর্বনাশ।
৩৭৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যদি কেহ কোন ব্যক্তিকে কষ্ট দেয় সে যেন তাহার নিকট হইতে কোন হাদিয়া গ্রহণ না করে।
৩৭৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- পেশাব সম্বন্ধে খুব সতর্কতা অবলম্বন কর। কেন না অধিকতর কবরের আযাব ইহার জন্যই হইবে।
৩৮০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি আমার উপর দরূদ পড়িতে ভুলিয়া গিয়াছে সে বেহেস্তের পথ ভুলিয়া গিয়াছে।
৩৮১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- চোগলখুরী এবং কিনা মানুষকে দোযখে নিয়া ফেলে। অতএব কোন মুমিনের দেলেই এহেন গর্হিত খাছলত থাকা চাইনা।
৩৮২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। কোন প্রকার শেরেকী গুনাহ লইয়া যাহার মৃত্যু হইবে সে দোযখবাসী হইবে।
৩৮৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহারা স্ত্রী লোককে পর্দায় রাখেনা বা পর্দায় রাখিতে শাসন করে না এবং তাহাদিগকে কোন কুকার্য করিতে দেখিলেও মানা করেনা তাহারাই দাইউছ।
৩৮৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দাইউছ বেহেস্তের সুগন্ধি কিছুই পাইবেনা। তাহাকে ৫০০ বৎসর দূর হইতে দোযখে ফেলিয়া দিবে। তাহাদের জন্য বেহেস্ত হারাম।
৩৮৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহাদিগকে আল্লাহ্ তায়ালা হজ্জ করিবার ক্ষমতা দিয়াছেন তাহারা যদি হজ্জ না করিয়া ঐ অবস্থায় মরিয়া যায় তাহার দোযখের ভীষন অগ্নিকুন্ডে পতিত হইবে।
৩৮৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- গীবত যিনা থেকেও শক্ত পাপ।
পৃষ্ঠা:১৬
৩৮৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে ব্যক্তি অত্যাচারিত হইয়া ক্ষমা প্রদর্শন করিবে আল্লাহ তায়ালা তাহাকে সম্মানিত সাহায্য দান করিবেন।
৩৮৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- ঐব্যক্তি মিছকিন নহে যে এক দুই লোকমা পাইয়া দ্বারে দ্বাকে ঘুরিয়া বেড়ায় এবং প্রকৃত মিছকিন ঐ ব্যক্তি যাহার অভাব আছে কিন্তু মানুষের নিকট হাত পাতিতে লজ্জা বোধ করিয়া উহা হইতে বিরত থাকে।
৩৮৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কিয়ামতের অতি নিকটবর্তী সময়ে ইয়াজুজ মাজুজ দলের আবির্ভাব হওয়ার পরেও বাইতুল্লাহ শরীফের হজ্জ ও ওমরা অনুষ্ঠিত হইবে। বাইতুল্লার শরীফের হজ্জব্রত সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত না হওয়া পর্যন্ত কেয়ামতের তথা মহাপ্রলয় আসিবেনা।
৩৯০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করিতে থাক কেননা যাহার। কুরআন শরীফ পড়িবে কিয়ামতের দিন স্বয়ং কুরআন শরীফ তাহাদের জন্য শাফায়াত করিবে।
৩৯১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তির তিনটি মেয়ে হইবে এবং তাহাদের যত্নের সহিত ধর্মবিষয় ও ইসলামী আদব কায়দা আখলাকে শিক্ষা দিবে এবং তাহাদের স্নেহের সহিত লালন পালন করিবে সে নিশ্চয় বেহেস্তে যাইবে।
৩৯২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আমি সেই ব্যক্তির জন্য আল্লার খাছ রহমতের দোয়া করি যে স্ত্রী পুত্রের আদব শিক্ষা দিবার জন্যে কোড়া ঘরে লটকাইয়া রাখে।
৩৯৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের হাত পা এবং চেহারা অযু ও সিজদা করার দরুন উজ্জল হইবে এবং এই আলামতের দ্বারাই আমি আমার উম্মতকে চিনিতে পারিব।
৩৯৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কেহই আমলের দ্বারা বেহেস্তে যাইবেনা। সাহাবায়ে কেরাম বলিলেন আয় আল্লাহর রাসুল আপনি ও কি নহেন। হুযুর (দঃ) ফরমাইলেন যদি আল্লাহ তায়ালার রহমত আমাকে ঢাকিয়া না নেয় তবে আমিও
নহে। ৩৯৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার অন্তঃকরনের মধ্যে এক সরিষা পরিমান অহংকার থাকিবে সে বেহেস্তে যাইবে না। (মুসলিম শরীফ)
৩৯৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি ইচ্ছা পূর্বক আমার উপর মিথ্যা কথা লাগাইবে সে তাহার স্থান দোযখে ঠিক করিয়া রাখুক।
কোরবানী
৩৯৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট চিত্তে খাছ নিয়তে কোরবানী করিবে সেই কোরবানী তাহার জন্য দোযখের আগুন হইতে রক্ষক হইবে।
৩৯৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কোরবানীর জানোয়ারকে তোমরা খাওয়াইয়া যত্ন করিয়া খুব মোটা তাজা করিও কেননা উহা তোমাদের পুলছেরাত পার হওয়ার ছওয়ারী।
৩৯৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার হাতে একজন লোক ও মুসলমান হয় সে নিশ্চয়ই বেহেস্তি হইবে।
৪০০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহর নামায পড়, দরিদ্রকে অন্ন দান কর, মুসলমান মাত্র দেখা হইলে ছালাম কর, চাই পরিচিত চাই অপরিচিত হউক, চাই বড় হউক চাই ছোট হউক, এই ভাবে জীবন যাপন করিতে পারিলে নির্বিগ্নে বেহেস্তে যাইতে পারিবে।
৪০১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: কেয়ামতের দিন যে ব্যক্তির হিসাব নেওয়া হইবে সে ধ্বংশ হইয়া যাইবে। ৪০২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- মৃত্যুর পর তুমি যে অবস্থার সম্মুখীন
হইবে তাহা অবগত হইতে পারিলে তৃপ্তির সহিত কোন দিন খানা ও খাইতে না। এমন
কি সুস্বাধু পানীয়ও গ্রহণ করিতেনা।
৪০৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কবরে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি এত কঠিন আযাব হয় যে উক্ত আযাবের আওয়ায চতুষ্পদ জন্তুদের কান পর্যন্ত পৌঁছে।
৪০৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যেরূপ পানিরা শষ্য উৎপাদিত হয় তদ্রূপ গান বাজনা দ্বারা মানুষের মনে মুনাফেকী ও কপটতার বীজ অংকুরীত হয়।
৪০৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি নাচ গান করে এবং যে উহার দর্শক হিসাবে যোগদান করে উভয়ের উপর আল্লাহ্ তায়ালার লানত।
৪০৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদি কেহ কোন ক্ষুধার্ত প্রানীকে পেট ভরিয়া ভোজন করান তবে আল্লাহ্ তা’য়ালা হাশরের দিন ঐ ব্যক্তিকে বেহেস্তের সব চাইতে উৎকৃষ্ঠতম খাদ্য ভোজন করাইবেন।
৪০৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি খাওয়ার শেষে এই দোয়া বলে তাহার আগের ও পাছের গুনাহ মাফ হইয়া যাইবে। “আলহামদু লিল্লাহিল লাজি আতয়ামানি হাজাত ভোয়ামা ওয়ারাযা কানিহি মিনগাইরে হাওলিম মিন্নি-তায়ালা কুওয়াতিস।
পৃষ্ঠা:১৭
৪০৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। যে ব্যক্তি দুঃখে সুখে আলহামদুলিল্লাহ্ বেশী পরিমানে বলে তাহাকে সর্ব প্রথম বেহেস্তের দিকে আহবান করা হইবে।
৪০৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি সকালে দশবার ও সন্ধায় দশবার দরূদশরীফ পড়িবে সে আমার শাফায়াত পাইবে।
৪১০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করিবে সে আমোদ প্রমোদে থাকিবে, তাহার কোন অভাব হইবে না, তাহার বস্ত্র পুরাতন হইবেনা এবং তাহার যৌবন শেষ হইবেনা।
৪১১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার হৃদয় পাখীর মত হইবে তাহারা জান্নাতে যাইবে।
৪১২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার স্বভাব মন্দ এবং কর্কশ সে বেহেস্তে যাইবে না।
৪১৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- অত্যাচারি পিতা মাতার স্বভাবতঃ ব্যক্তি এবং মদ্যপায়ী লোক বেহেস্তে যাইবেনা।
৪১৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দোযখের আবর্জনার একটি বালতি যদি দুনিয়াতে প্রবাহিত করিয়া দেওয়া হইত তাহা হইলে পৃথিবী বাসী গণ নিশ্চয়ই (দুর্গন্ধে) ধ্বংশ হইত।
বেহেস্ত
৪১৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জান্নাতে এমন কোন বৃক্ষ নাই যাহার মূল স্বর্ণের নহে।
৪১৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জান্নাতে এক শত দরজা আছে এবং প্রত্যেক দুই দরজার দূরত্ব এক শত বৎসরের পথ।
৪১৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- জান্নাতবাসীগণ কেশহীন দাঁতহীন সুরমা যুক্ত চক্ষু বিশিষ্ট ৩০ কি ৩৩ বৎসর বয়স্ক যুবক হইয়া জান্নাতে প্রবেশ করিবে।
৪১৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- জান্নাতবাসিগণের একশত বিশ লাইন হইবে। তন্মধ্যে ৮০ লাইন এই উম্মতের এবং ৪০ লাইন বাকী সকল উন্মতের হইবে।
৪১৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আমি বেহেস্তের দিকে একটু তাকাইয়া দেখিলাম যে ইহার অধিকাংশ অধিবাসিই দরিদ্র লোক আমি দোযখের দিকে তাকাইয়া দেখিলাম যে ইহার অধিকাংশ অধিবাসিই স্ত্রীলোক।
৪২০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। তোমাদের কাহারও আমল আল্লার
রহমত ব্যতিত তাহাকে জান্নাতে লইয়া যাইবেনা। তাহাকে বা আমাকে দোযখ হইতে বাঁচাইবেনা।
৪২১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে মুসলমানকে ধোকা দিবে সে মুসলমান নয়। চালাকী, ধোকা এবং আমানতের খেয়ানত দোযখীদের খাছলত।
৪২২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বলিয়াছেনঃ- যে ওয়ারিশকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তাহাকে জান্নাতের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করবেন।
৪২৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- শান্তি ভঙ্গকারী জান্নাতে যাইবেনা।
৪২৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- অধীনস্থ লোকের প্রতি অসৎ ব্যবহার কারী বেহেস্তে যাইবে না।
৪২৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কেয়ামতের দিন বান্দাকে সর্বপ্রথম যাহা জিজ্ঞাসা করা হইবে তাহা নেয়ামত সম্বন্ধে। তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইবে আমি
তোমার দেহে সাস্থ্য দেই নাই। এবং শীত-পানি দ্বারা তোমাকে তৃপ্ত করি নাই। ৪২৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দুর্ভাগা ব্যতিত আর কেহই দোযখে প্রবেশ করিবেনা। জিজ্ঞাসা করা হইল হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) দুর্ভাগা কে? তিনি বলিলেন ঐ ব্যক্তি যে আল্লার কাজ করে নাই এবং আল্লাহর জন্য গুনাহকে ত্যাগ করে নাই।
৩২৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহার সর্বশেষ বাক্য লাইলাহা ইল্লাহ্ হয় সে জান্নাতে প্রবেশ কিরবে।
৩২৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে পূর্ণিমার চাঁদের মত দেখিতে পাইবে।
৪২৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদি আদম সন্তানের দুই পর্বত পূর্ণ ধন সম্পত্তি থাকিত সে নিশ্চয়ই তৃতীয় পর্বত চাহিত। আদম সন্তানের উদর মাটি ব্যতীত অন্য কিছুই পূর্ণ করিতে পারেনা, যে তৌবা করে আল্লাহ্ তাহার তৌবা কবুল করেন।
৪৩০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ফেরদাউস জান্নাতের শ্রেষ্ঠ স্থান। ঐ স্থান হইতেই নহর সমূহ যারী হইয়াছে উহারই উপর আল্লার আরশ হইবে তোমরা যখন জান্নাতের জন্য দোয়া করিবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউস প্রার্থনা করিবে।
৪৩১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করিবেনা
স্বভাবতঃ মদ্যপায়ী, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী এবং যাদুতে বিশ্বাসী।
৪৩২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কেয়ামত লোকের পাপের জন্যই
হইবে।
৪৩৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যদি কেহ কাহাকে পাগ কাজ করিতে দেখে গবে শক্তি থাকিলে হাতে ফিরাইবে নতুবা মুখে নিষেধ করিবে। তা না হলে মনে মনে বেজার থাকিবে। মনে মনে বেজার থাকা দুর্বল ঈমানের চিহ্ন।
পৃষ্ঠা:১৮
৪৩৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সৎকার্যে যে ব্যক্তি অনুপ্রানিত করে সে ব্যক্তি সৎকর্ম কারীর সম পরিমান পূর্ণ হাছিল করিবে।
৪৩৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কেহ তাহার কোন অভাবের কথা যদি মানুষের নিকট ব্যক্ত করে এবং তাহাদের সাহায্য কামনা করে তবে তাহার অভাব কোনদিনই মিটবেনা। কিন্তু যদি ইহা আল্লাহর নিকট ব্যক্ত করিয়া তাহার সাহায্য কামনা করে তবে আল্লাহ্ অচিরে তাহাকে রুযী দান করিবেন।
৪৩৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহারা নিয়মিতভাবে মালের ছদকা
আদায় করে আল্লাহ্ তাহাদের মৃত্যুর পরও তাহাদের পরিত্যক্ত মালের হেফাযত করিয়া
থাকেন।
৪৩৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- ইসলামের মধ্যে মানুষের সুন্দর নিয়ম এই যে অনাবশ্যক বাক্যালাপ ও কাজকর্ম বর্জন করা।
৪৩৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লার রাস্তায় একবার মাথা ধরা হইলে বার বৎসরের গুনাহ মাফ হয়।
৪৩৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন। একদিন কি অর্ধদিন আল্লার রাস্তায় অসুখ থাকিলে সারা জীবনের গুনাহ মাফ হইয়া যায়।
৪৪০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যখন সফরে তিনজন থাক তন্যধ্যে এক জনকে আমীর কর।
৪৪১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: রাত্রিতে ভ্রমণে বাহির হইও কেননা মাটি রাত্রিতে সঙ্কুচিত থাকে।
৪৪২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা সহজপথ গ্রহণ কর। কঠিন পথ অবলম্বন করিওনা। মানুষকে খোশ খবরী দিয়েই আহ্বান জানাও ভয় দেখিয়ে বিতাড়িত করিওনা।
স্ত্রীর হক
৪৪৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম ব্যক্তি যে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। তোমাদের সকলের চেয়ে আমি আমার স্ত্রীদের সহিত ভাল ব্যবহার করি।
৪৪৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সৎ কাজের আদেশ কর এবং মন্দ কাজের নিষেধ কর নচেৎ আল্লার যিকির ব্যতিত প্রত্যেক আদম সন্তানের কথোপকথন তাহার বিপক্ষে যায় তাহার পক্ষে নহে।
৪৪৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে নীরবতা অবলম্বন করে সে নাজাত প্রায়।
৪৪৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- আল্লাহর পথে একদিন পাহারা দেওয়া দুনিয়া এবং দুনিয়ার মেধ্য যাহা আছে তাহার চেয়ে অধিকতর উত্তম।
৪৪৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমাদের জান ও মাল রসনা দ্বারা মুশরিকদের সঙ্গে জিহাদ কর।
৪৪৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বৃথা কাজ বা কথা পরিহার করা মুসলমানদের একটা সৌন্দর্য।
৪৪৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আমোদ প্রমোদ হইতে দূরে থাক কেননা আল্লাহর বান্দাগণ আমোদ প্রমোদ প্রিয় নহে।
৪৫০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- তুমি যে কাজে লিপ্ত থাক চাই বসিয়া থাক, চাই দোকানে বা বাজারে থাক, চাই রাজনৈতিক, সামাজিক বিচার ব্যবস্থার সভায় থাক তখন তুমি আল্লার নাম স্মরণ রাখিবে এবং আল্লাহর হুকুম পালন করিবে তখন তোমাকে নামাযের মধ্যে এবং এবাদতের মধ্যেই গন্য করা হবে।
৪৫১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লার যিকির ব্যতীত বেশী কথা বলিওনা। কেননা আল্লার যিকির ব্যতীত বেশী কথা বলিলে দিল শক্ত হইয়া যায়। শক্ত দিল আল্লাহর রহমত হইতে সবচেয়ে দূরে থাকে।
৪৫২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আপন পর হক কায়েম কর। কে মন্দ বলে তাহার পরওয়া করিওনা।
৪৫৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এবং তাহার ফেরেস্তাগণ আকাশ ও পৃথিবীবাসী এমন কি গর্তের পিপিলিকা এবং মৎস ছাত্রের জন্য দোয়া করে।
৪৫৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে কুরবানী করিতে’ সক্ষম অথচ উহা আদায় করে না সে যেন আমার ঈদগাহের নিকট ও না আসে।
৪৫৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- দুনিয়ায় একজন মুছাফিরের ন্যায় জীবন যাপন করিও। যখন সন্ধা আসে তখন সকালের জন্য অপেক্ষা করিওনা আর যখন সকাল আসে তখন সন্ধার জন্য অপেক্ষা করিওনা। অটুট স্বাস্থ্যের সময় রোগাবস্থার কথা স্মরণ করিয়া এবাদত জমা করিয়া লও। রোগাবস্থায় ও মৃত্যুর জন্য কিছু করিয়া লও।
৪৫৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কুরবানীর দিনে আল্লাহ্ তায়ালার নিকট কোরবানী ব্যতীত অধিক প্রিয় কোন এবাদত নাই। কোরবানীর দিনে ইহাই সফল এবাদত হইতে উত্তম এবং কুরবানীর সময় রক্ত মাটিতে পড়িবার পূর্বেই উহ্য আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে কবুল হইয়া যায়।
৪৫৭। হাদিছ শরীফে উক্ত আছে হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম হযরত নুহ (আঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলেন আপনার এত দীর্ঘ জীবনে দুনিয়াকে আপনি কিরূপ পাইলেন। তিনি বলিলেন দুনিয়া যেন একটি দুই দ্বার বিশিষ্ট গৃহ। ইহার একদ্বার দিয়া প্রবেশ করিয়া অপর দ্বার দিয়া বাহির হইয়া আসিলাম।
পৃষ্ঠা:১৯
৪৫৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কোন প্রকারেই দুনিয়ার চিন্তায় লিপ্ত হইও না।
৪৫৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সিরকা যেমন মধূ বিনষ্ট করে কুস্বভাব সেইরূপ মানুষের এবাদত সমূহ বিনষ্ট করে।
৪৬০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- বরফ যেমন সূর্যের উত্তাপে গলিয়া যায় সৎত্ত্বভাব সেইরূপ গোনাহ সমূহ নষ্ট করিয়া ফেলে।
৪৬১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মনের খুশী ও আনন্দের সহিত আল্লাহর আদেশ পালন কর। তাহা যদি না পার তবে বল প্রয়োগে কষ্টে ক্লিষ্টই উহা পালন কর। এই ভাবে পালন করিলেও বহু সওয়াব পাইবে।
৪৬২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মুমিনদের জীবনের লক্ষ্য নামায রোযা এবং এবাদত আর মুনাফেকদের জীবনের লক্ষ্য পশুর মত পানাহার।
৪৬৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- সৎ স্বভাবের ফলে ছায়েমুদ্দাহার ও কায়েমুল্লাইলের মর্যাদা লাভ করিতে পারে অর্থাৎ সারা বৎসর রোজা রাখিলে ও সমস্ত রজনী জাগ্রত থাকিয়া নামায পড়িলে যে মর্যাদা লাভ করা যায়। এবাদত কম করিলেও
সেই ব্যক্তি পরকালে বড় বড় আসন লাভ করিবে। ৪৬৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- প্রবৃত্তির সাথে লড়াই করাকে বৃহৎ জেহাদ বলে।
৪৬৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- পুরাতন কাপড় পরিধান কর এবং অর্ধপেট পুরিয়া পানাহার কর। উহা নবীগণের আচরণের এক অংশ।
৪৬৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মু’মেন এক আতুড়ি পূর্ণ করিয়া আহার করে আর মুনাফেক সাত আতুড়ি পূর্ণ করিয়া আহার করে।
৪৬৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- অল্প ভোজনে স্বীয় হৃদয়কে জীবন্ত কর এবং ক্ষুধা দ্বারা উহাকে পবিত্র কর। তাহা হইলে হৃদয় নির্মল, সুস্থ ও কার্যদক্ষ হইবে।
৪৬৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- উদর পূর্ণ করিয়া ভোজন করিও না। তাহা হইলে তোমার অন্তরে আল্লাহ্ পরিচয়ের আলো নিষ্প্রভ হইয়া যাইবে।
৪৬৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা ক্ষুধা দ্বারা সর্বদা বেহেস্তের দরজায় ধাক্কা দিতে থাক।
৪৭০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- উদরের একতৃতীয়াংশ পানি দ্বারা এবং এক তৃতীয়াংশ যিকেরের জন্য খালী রাখিবে।
৪৭১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কোন দ্রব্য ভোজনের কাহার ও ইচ্ছা হইলে আল্লার উদ্দেশ্যে সে যদি ইহা ভোজনে বিরত থাকে তবে আল্লাহ তাহার সমস্ত গোনাহ মাফ করিয়া দেন।
৪৭২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে পর্য্যন্ত অন্তর ঠিক না হয় সে পৰ্য্যন্ত ঈমান ঠিক হইতে পারে না। আর যে পর্য্যন্ত রসনা ঠিক না হয় সে পর্য্যন্ত অন্তর ঠিক হইতে পারে না।
৪৭৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহারা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর ঈমান আনিয়াছে তাহাদিগকে বলিয়া দাও তাহারা যেন ভাল কথা ব্যতীত আর কিছু না বলে অথবা নীরব থাকে।
৪৭৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি অতিরিক্ত কথা বলে তাহার কথায় অধিক অপরাধ ও ভুল থাকে। যাহার কথা অধিক অপরাধ ও ভূল হয় সে বড় পাপী। দোযখের অগ্নিই তাহার জন্য প্রকৃত স্থান।.
৪৭৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- স্বীয় মত সত্য হইলেও এক স্থলে যে ব্যক্তি বাদানুবাদে নিরস্থ থাকে না তাহার ঈমান পূর্নতা লাভ করে নাই।
৪৭৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- কাহারও সাথে ঝগড়া বিবাদ হইলে দুই রাকাত নামায ইহার প্রায়শ্চিত।
৪৭৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি ক্রোধ দমন করে আল্লাহ তাহার উপর হইতে স্বীয় আযাব বিদূরিত করেন। যে ব্যক্তি আল্লার প্রতি কর্তব্য পালনে স্বীয় ত্রুটি স্বীকার করে, তিনি তাহার ত্রুটি মাফ করেন। যে ব্যক্তি রসনা সংযত রাখে আল্লাহ তাহার গোপনীয় দোষ লুক্কায়িত রাখেন।
৪৭৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহাকে আল্লাহ নম্রতা প্রদান করিয়াছেন, তাহাকে তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে ভাগ্যবান করিয়াছেন আর যাহাকে তিনি
নম্রতা গুনে বঞ্চিত করিয়াছেন সে ইহ ও পর কালের মঙ্গল হইতে বঞ্চিত রহিয়াছে। ৪৭৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে অত্যাচারীর উপর অভিশাপ দিল, সে তাহার প্রাপ্য অংশ গ্রহণ করিল।
৪৮০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কেয়ামতের দিন সমস্ত লোক উপস্থিত হইলে এক ঘোষণাকরী ঘোষণা করিবে যাহাদের পুরস্কার আল্লার নিকট রহিয়াছে তাহারা উঠ। কয়েক শহস্র লোক উঠিবে এবং বিনা হিসাবে বেহেস্তে চলিয়া যাইবে। কারণ তাহারা দুনিয়াতে আল্লার বান্দাদের অপরাধ মাফ করিয়া দিত।
৪৮১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি সংসার কে ভালবাসে সে তাহার পরকালের অনিষ্ট (করিল) করে। আর যে ব্যক্তি পরকালকে ভালবাসে সে সংসারের অনিষ্ট করে।
৪৮২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- দুনিয়া বর্জন কর। ইহা হারুত মারুত ফেরেস্তাদ্বয় অপেক্ষা যাদুকর।
৪৮৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: সমস্ত জগৎ মিলিয়াও যদি তোমার উপকার করিতে চায় তবুও তোমার তাকদিরে যতুটুকু লেখা আছে তাহা ব্যতীত অন্য
পৃষ্ঠা:২০
কিছু করিতে পারিবেনা। এইরূপ সমস্ত জগৎ মিলিয়াও যদি তোমার কোন অনিষ্ট করিতে চায় তবু তোমার তকদিরে যতটুকু লেখা আছে তাহা ব্যতীত অন্য কিছু করিতে পারিবেনা।
৪৮৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যে আল্লার দিদার হাছিল করিতে চায় আল্লাহ তায়ালা তাহাকে ভালবাসেন এবং যে আল্লার দিদার চায় না আল্লাহ তা’য়ালা
তাহাকে ভালবাসেন না।
৪৮৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- তোমরা ক্ষনস্থায়ী ধ্বংসশীল না ধরিয়া চিরস্থায়ীটা ধর।
৪৮৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মানুষ ক্রমশঃ বৃদ্ধ হইতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাহার অর্থের লালসা এবং জীবনের লালসা এই দুইটি কুপ্রবৃত্তি ও বৃদ্ধি পাইতে থাকে।
৪৮৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যাহারা তাকাব্বর (অহংকার) করে আল্লাহ তাদের ভালবাসেন না।
৪৮৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- কোন মুসলমান ভাইয়ের সহিৎ তিনদিনের অধিক কথাবার্তা বন্ধ করিয়া থাকা সংগত নহে। তাহাদের মধ্যে যে ব্যক্তি প্রথমে আলাপ আরম্ভ করেন তিনি উভয়ের মাধ্যে উৎকৃষ্ট।
৪৮৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ- যে ব্যক্তি বয়জ্যেষ্ঠদের প্রতি সম্মান এবং কনিষ্টদের প্রতি স্নেহ ভাব প্রদর্শন না করিবে সে ব্যক্তি আমার উম্মত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত নহে।
৪৯০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ১- যে যুবক বৃদ্ধ লোকদের প্রতি সম্মান করে আল্লাহ তাহাকে তাহার বার্ধ্যকের সময় অন্য লোক, কর্তৃক তাহার প্রতি সম্মান দেখাইয়া থাকেন অর্থাৎ তাহাকে বৃদ্ধ কাল পর্য্যন্ত জীবিত রাখেন।
৪৯১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- হে মানুষগণ তোমরা কেবল মুখেই কলেমা পড়িয়াছ। এখনও তোমাদের অন্তরে ঈমানের নির্মল জ্যোতি প্রবেশ করে নাই। কোন মানুষের পশ্চাতে তাহার নিন্দাবাদ করিওনা। মানুষের গুপ্ত দোষ ত্রুটি অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইও না। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ ত্রুটি ব্যক্ত করে আল্লাহ তায়ালা তাহার দোষ ত্রুটি ব্যক্ত করিয়া দেন। যাহার ফলে সে লজ্জিত ও অপদস্ত হয়। যদি তাহার নিজ গৃহে হউক।
৪৯২। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে ব্যক্তি কান পাতিয়া কাহারও এমন কথা শ্রবন করে যাহা তাহাকে বাদ দিয়া অপরের সহিত বলা হইয়াছে, তবে কেয়ামতেরদিন সীসা গলাইয়া তাহার কানে ঢালিয়া দেওয়া হইবে। ৪৯৩। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের অভাব মোচন করিয়াছে সে যেন আজীবন আল্লাহর সেবা করিয়াছে।
৪৯৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- কোন মুসলমানের মন সন্তুষ্ট করা অপেক্ষা আর কোন এবাদতই আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় নহে।
৪৯৫। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- মাতার হক পিতার অপেক্ষা দ্বিগুন। ৪৯৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন:- যে পুরুষ স্ত্রীর গোলাম হইয়া থাকে
সে হতভাগ্য।
৪৯৭। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- আল্লাহ তা’য়ালা বলিয়াছেন যে ব্যক্তি হারাম ভক্ষন হইতে নিবৃত্ত থাকে, তাহার হিসাব গ্রহণ করিতে আমার লজ্জা বোধ হয়।
৪৯৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- যাহারা নিঃস্বার্থভাবে কেবল আল্লার ওয়াস্তে একে অন্যের সহিত বন্ধুরূপে দেখা সাক্ষাৎ করে একজন ফেরেস্তা তাহাদিগকে সম্বোধন পূর্বক সুসংবাদ প্রদান করেন তোমাদের জন্য বেহেস্ত প্রস্তুত রহিয়াছে।
৪৯৯। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যে বন্ধুত্ব বা শত্রুতা কেবল আল্লাহ তায়ালার ওয়াস্তে হইয়া থাকে, তাহা ঈমানের দৃঢ়তম দলিল বটে।
৫০০। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ- বন্ধুগণ আল্লার ওয়াস্তে পরস্পর মিলিত হইয়া যখন হাস্য মুখে কথাবার্তা বলিতে আরম্ভ করেন তখন বৃক্ষের শুষ্ক পত্রের ন্যায়
তাহাদের অন্তর হইতে (ছগিরা) গুনাহ সমূহ ঝরিয়া পড়িতে থাকে।
এক নযরে ঈমানের ৭৭টি শাখা
নবী করীম (সঃ) ফরমাইয়াছেন, ঈমানের শাখা-প্রশাখা ৭০ এর চেয়ে বেশী, তন্মধ্যে প্রধান শাখা কালিমা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর সবচেয়ে ছোট শাখা, রাস্তা হ’তে কষ্টদায়ক বন্ধু (ইট, পাটকেল, কাঁটা, নাপাক ইত্যাদি) সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি প্রধান শাখা (বুখারী ও মুসলিম)। ঈমানের আভিধানিক অর্থ নিরাপত্তা প্রদান করা, মু’মিন অর্থ নিরাপত্তা প্রদানকারী। মু’মিন ঈমান এনে নিজেকে জাহান্নাম হতে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। শরীয়তের পরিভাষায় ঈমান বলা হয়, নবী করীম (সঃ) থেকে যে সব বিষয় অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে, সে সব বিষয় দিলের দ্বারা বিশ্বাস করা ও মান্য করা। দ্বীনের মূল হল ঈমান। এ ঈমানের ফযিলতের ওয়ায সর্বদাই চলছে। অথচ কিসে কিসে ঈমান আনতে হবে তা অনেকেরই জানা নেই, শুধু ফাযায়েলের বয়ানেই ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। এ ঈমানের শাখা প্রশাখা কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন স্থানে চড়িয়ে রয়েছে। সীমাহীন চেষ্টা মাধ্যমে মুহাদ্দিছীনে কেরাম সেগুলো একত্রিত করেছেন। তাঁদের হিসেব মত এর শাখা প্রশাখার সংখ্যা ৭৭। ছহী হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, ঈমানের সমস্ত শাখাগুলো যার মধ্যে পাওয়া যাবে তিনিই পূর্ণ ঈমানদার হবেন। আর যার মধ্যে এক বা একাধিক শাখা থাকবে না, সে পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। তার ঈমান অপূর্ণ রয়ে যাবে যার ঈমান আছে-আখেরাতে তিনি হবেন সর্বশ্রেষ্ঠ সফলকাম মানুষ এবং আল্লার সন্তুষ্টি ও মহান দৌলত জান্নাতের অধিকারী। এক বিন্দু পরিমাণ ঈমান যদিও কারো থাকে, একদিন না একদিন সে বেহেস্তে যাবেই। বান্দার উপর সর্ব প্রথম
পৃষ্ঠা ২১ থেকে ৪০
পৃষ্ঠা:২১
ফরয হল ঈমান আনা। আখেরাতে নাজাত পাওয়ার সর্ব প্রধান এবং সর্বশেষ সম্বল হল ঈমান কাজেই সকলেরই প্রাণপণে চেষ্ট করা দরকার যাতে ঈমানের একটি শাখাও কারো মধ্যে অনুপস্থিত না থাকে; বরং সবগুলো শাখাই তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে। সর্বদা আমাদের নযরেথাকবে এ আশায় ও এ নিয়েতে অগ্র শাখাগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলো :-ঈমানের ৭৭টি শাখার মধ্যে ৩০টি দিলের সাথে, ৭টি যবানের সাথে এবং ৪০টি হাত-পা ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সংশ্লিষ্ট।
ঈমানের ৩০টি শাখা যা দিলের সাথে সংশ্লিষ্টঃ
১। আল্লাহ তায়ালার উপর ঈমান আনা অর্থাৎ আল্লাহ সর্ব শক্তিমান, সবকিছুর স্রষ্টা, অনাদি অনন্ত তাঁর সত্ত্বা, চিরকাল আছেন ও চিরকাল থাকবেন। তাঁর কোন সৃষ্টি কর্তা নেই। তিনি সকলেরই সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং সম্পূর্ণ। ২। সৃষ্টিকুলের ক্ষণস্থায়িত্বে বিশ্বাস করা যে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সব জিনিসের কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না। এক আল্লাহ সব কিছুই সৃষ্টিকরেছেন এবং অস্তিত্ব দান করেছেন। ৩। তাঁর ফিরিস্তাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করা। ৪। আসমানী কিতাব সমূহে বিশ্বাস করা (অবশ্য বর্তমানে আলকুরআন ছাড়া অন্যান্য কিতাবের হুকুম বিদ্যমান নেই)। ৫। সকল নবী এবং রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস করা যে, তাঁরা সবাই সত্য, আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রেরিত। কুরআন এবং ছহী হাদীসে তাঁদের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই সুতরাং কোন নির্দিষ্ট সংখ্যার উপর ঈমান আনা যরুরী নয়। অবশ্য এখন শুধু হুযুর (সাঃ) এর তরিকায় চলার আদেশ বিদ্যমান আছে। কারণ তিনিই খাতামুননাবীয়্যীন বা শেষ নবী-তাঁর পরে কোন নবী আসবেন না। ৬। তাকদীরে বিশ্বাস যে, জগতে যা কিছু হয়েছে, হচ্ছে বা হবে সবই আল্লাহ তায়ালা আদিকাল হতেই জানেন এবং সে হিসেবে নির্ধারিত। তাঁর জানার বা ইচ্ছের বিপরীত কোন কিছুই হয় না। ৭। কিয়ামত ও পুনরুত্থান নিশ্চয়ই হবে। পুনরায় সকলকে জীবিত হয়ে সমস্ত জীবনের পাপ পুণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব দিতে হবে। ৮। বেহেস্ত আছে, নেকের পুরস্কার স্বরূপ বেহেস্ত হবে। ৯। দোযখ আছে, পাপের শাস্তি স্বরূপ দোযখ হবে। ১০। আল্লাহ তায়ালার প্রতি প্রগাঢ় ভক্তি এবং অকৃত্রিম ভালবাসা রাখা। ১১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি মহব্বত রাখা। ১২। কারও সাথে দোস্তী বা দুশমনি রাখলে শুধু আল্লাহ তায়ালার জন্যই রাখা। ১৩। ইখলাছঃ প্রত্যেক কাজ শুধু আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে এবং সন্তুষ্টির জন্য করা। ১৪। ‘তওবা’ কোন গুনাহের কাজ হয়ে গেলে তার জন্য অন্তরে কষ্ট অনুভব করে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। ১৫। আল্লাহকে ভয় করা (আল্লাহর আজাবের ভয় করা)। ১৬। সর্বদা আল্লাহ তায়ালার রহমতের আশা করা আল্লাহ রহমত হতে নিরাশ হওয়া কুফরীর শামিল। ১৭। লজ্জা করাঃ আল্লাহ ও রাসূলের নীতির বিরুদ্ধ কাজে সংকোচবোধ করে তা পরিত্যাগ করা। ১৮। আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতের শোকর আদায় করা। ১৯। বৈধ ওয়াদা পালন করা। ২০। আল্লাহ তায়ালার তরফ হতে কোন বালা-মুছিবত, রোগ-শোক আসলে ধৈর্য্য ধারণ করা। ২১। বিনয়ী হওয়াঃ নিজেকে অপর হতে ছোট মনে করা। ২২। সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করা। ১৩। আল্লাহ তায়ালার তরফ হতে যা কিছু হয় তাতে সন্তুষ্ট থাকা। ২৪। তাওয়াক্কুল করাঃপ্রত্যেক কাজের ফলাফল যে, আল্লাহ তায়ালার হাতে তা বিশ্বাস করে তার ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভরসা করা। ২৫। আত্মগরিমা না করাঃ নিজের গুণে গর্বিত না হয়ে নিজের গুণগুলি আল্লাহর দান মনে করা। ২৬। কারো সাথে মনোমালিন্য না রাখা। ২৭। হিংসা-বিদ্বেষ বর্জন করাঃ অন্যের ভাল সহ্য করতে না পারা, মনের এভাব বর্জন করা। ২৮। রাগ দমন করা। ২৯। কারও অমঙ্গল কামনা না করা। ৩০। দুনিয়ার ধন দৌলত ও প্রভুত্ব ইত্যাদির প্রতি মহব্বত না রাখা।
ঈমানের ৭টি শাখা যা যবানের সাতে সংশ্লিষ্টঃ
৩১। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) এ কথা মুখে স্বীকার করা। ৩২। আল-কুরআন তিলাওয়াৎ করা। আমরা যারা কুরআন তিলাওয়াৎ করি না ঈমানের একটা শাখায় আমাদের আমল হয় না। তাহলে যারা মোটেই কুরআন শিখল না তাদের অবস্থা কেমন হবে? ৩৩। ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা; আমরা যারা নিজেরা ইলমে দ্বীন শিখছিলাম। নিজেদের সন্তানদেরকেও শিখাচ্ছি না তাদের কি অবস্থা? ৩৪। দ্বীনি এল্ম শিক্ষা দেয়া। ৩৫। দু’য়া করাঃ আল্লাহ তায়ালার কাছে দুনিয়া এবং আখেরাতের মাছুদগুলির জন্য ফরিয়াদ করা। ৩৬। আল্লাহ তায়ালার যিকির করা। ৩৭। বেহুদা কথা বা গুণাহের কাজ হতে বেঁচে থাকা যেমন মিথ্যা পরনিন্দা, গালি, বদদু’য়া লানত করা ইত্যাদি।
৪০টি শাখা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সংশ্লিষ্টঃ
৩৮। পাক পবিত্রতা অর্জন করা; ওযু করা, ফরয গোসল করা, কাপড় পাকছাফ রাখা ইত্যাদি। ৩৯। নামাযের পাবন্দ থাকা। ৪০। মালের যাকাত ও ছদকা ফিয়া আদায় করা। ৪১। রমযানের রোযা রাখা। ৪২। হজ্ব পালন করা (ওমরা হজ্বেরই অন্তর্গত)। ৪৩। রমযানের শেষ দশ দিন এ’তেকাফ্ করা (শবে কদর তালাশ করা এতেকাফের ঔর্গত)। ৪৪। হিজরত করা; যে পরিবেশ বা যে দেশে থেকে ঈমান রক্ষা করা ও দ্বীন ইসলাম পালন করা সম্ভব হয় না, সে পরিবেশ এবং সে দেশ ত্যাগ কের উপযুক্ত স্থানে চলে যাওয়া। ৪৫। আল্লাহ তায়ালার নামে মান্নত করলে তা পূরণ করা। ৪৬। আল্লাহর নাম নিয়ে কোন জায়েয কাজে কসম করলে তা যদি তৃণাহের কাজ না হয়তবে তা পুরণ করা। ৪৭। আল্লাহ তায়ালার নামে কসম করে ভংগ করলে তার কাফ্ফারা আদায় করা। ৪৮। ছতর ঢাকা পুরুষের ছতর নাভী হতে হাঁটু পর্যন্ত এবং স্ত্রীলোকের ছতর মাথা হতে পা পর্যন্ত অথচ ঈমানদার দাবী করে আমাদের নারীগণ কিভাবে পেট, পিঠ, মাথা এমন কি হাটু পর্যন্ত খোলা রেখে চলতে পারে? ৪৯। ঈদুল আযহার কুরবানী করা। ৫০। মৃত ব্যক্তির কাফন দাফন করা। ৫১। ঋণ পরিশোধ করার দৃঢ় ইচ্ছা রাখা। ৫২। ব্যবসা-বাণিজ্যে, কাজকারবারের ধোকা না দেয়া, শরীয়াতের খেলাপ কাজ হতে বেঁচে থাকা যেমন দিবার সময় মাপে কম দেয়া ও নিবার সময় বেশি নেওয়া, ভেজাল দেওয়া, সুদ, ঘুষ খাওয়া ইত্যাদি। ৫৩। সত্য সাক্ষ্য গোপন না করা। ৫৪। কাম রিপু প্রবল হলে বিয়ে করা।
পৃষ্ঠা:২২
৫৫। অধিনস্থ পরিবার-পরিজন, চাকর-নওকর প্রভৃতির হক আদায় করা, মেয়েদের সম্পত্তি অংশ হতে বঞ্চিত না করা, স্ত্রীর মুহরের টাকায় ফাঁকি না দেয়া এর মধ্যে গণ্য। ৫৬। মাতা- পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা, কোমল আচরণ করা। ৫৭। সন্তানের লালন পালন করা (ইসলামী জ্ঞান, আদব-কায়দা হালাল গ্রহণ ও হারাম বর্জন ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া)। ৫৮। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা (ফুফু, খালা, বোন, ভাগ্নেয়, শ্বশুর শাশুড়ীর ইত্যাদির সাথ সদাচার করা)। ৫৯। মনীবের আনুগত্য করা (চাকর-নওকর হলে)। ৬০। ন্যায় বিচার করা। ৬১। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুস্বরণ করা। ৬২। মুসলিম বাদশাহ বা নেতার আদেশের (যতক্ষণ তা শরীয়ত বিরোধ না হয়) আনুগত্য করা। ৬৩। ঝগড়া-বিবাদ মীমাংসা করে দেয়া। ৬৪। নেক কাজে সহায়তা করা। ৬৫। সাধ্যমত সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান করা। ৬৬। ইসলামী হুকুমত কায়েম করে “হদ” অর্থাৎ শরিয়ত অনুযায়ী শান্তির বিধান যারী করা; যেমন অপবাদ দিলে ও মদ পান করলে আশি কোড়া, চুরি করলে হাত কেটে দেয়া, ডাকাতি করলে হাত-পা কেটে দেয়া। খুনের বদলে খুন-কেসাস, মিথ্যা সাক্ষ্য, সুদ ঘুষ বন্ধ করা, যিনা করলে এক’শ কোড়া মারা অথবা ছাঙ্গেছার করা। ৬৭। জিহাদ করা (আল্লার যমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার জন্য এবং ইসলামের দুশমনদের প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালান)। ৬৮। আমানত যথাযথভাবে আদায় করা। ৬৯। অভাবী বা ঋণগ্রস্তকে ঋণ দেয়া (সচ্ছল ব্যক্তির জন্য)। ৭০। পাড়া প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করা, বিপদে সাহায্য ও সমবেদান প্রকাশ করা। ৭১। হালাল উপায়ে রুজি অর্জন করা। ৭২। শরীয়তের বিধান অনুযায়ী খরচ করা। হালাল উপায়ে আয় করে ও হারাম স্থানে ব্যয় করলে ঈমানের এ শাখাটির সর্বনাশ করা হয়। ৭৩। সালামের উত্তর শুনায়ে দেয়া (মুসলমান ভাইকে দেখলে চেনা হোক বা অচেনা হোক তাকে আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম দেওয়া, কোন মুসলমান সালাম দিলে ওয়াআলাইকুমুস সালাম বলে তার উত্তর দেওয়া)। ৭৪। কেহ হাঁচি দিয়ে আলহাম দুলিল্লাহ বললে ইয়ার হামুকাল্লাহ বলে উত্তর দেওয়া। ৭৫। অনর্থক কাউকে কষ্ট না দেয়া বা কারও ক্ষতি না করা। ৭৬। অবৈধ খেলা ধূলা, রং তামাশা, তাস কেরাম বোর্ড, পাশা, হকি, সিনেমা, নাটক, থিয়েটার, ভিসিআর, ব্লুফিল্ম, ফুটবল, দাবা ইত্যাদি হতে বেঁচে থাকা। ৭৭। রাস্তা হতে কোন কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা (ইট, পাটকেল, পাথর, নাপাক বস্তু, কলার ছোলা, তরমুজের খোসা ইত্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত)। এই ৭৭ প্রকার কাজ সম্পূর্ণ করতে পারলে “ইনশাআল্লাহ” ঈমান পূর্ণ হবে। আর একটি বাকি থাকলে ঈমান অসম্পূর্ণ থাকবে আখেরাতে এর জন্য বড় রকমের খেসারত দিতে হবে।