মুখ দাঁত চোখ চুল ও হাড়ের যত্ন নিয়ম
দাঁত সুস্থ রাখবেন কীভাবে
গাজর, শসা, আপেল ও পেয়ারা ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে অনেকটা টুথব্রাশের মতোই কাজ করে, যা দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিষ্কারেও সহায়তা করে।আমাদের দাঁত সমতল গঠনের নয়। দাঁতে আছে ভাঁজ, ফাঁকা স্থান। এসব ফাঁকায় খাবার গিয়ে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। স্তরটি চটচটে ও আঠালো এবং দাঁতের গায়ে তা পরতের মতো আটকে থাকে।নিয়ম মেনে ব্রাশ না করলে ওই স্তর সরে না। সেখান থেকে অ্যাসিড তৈরি হয়ে দাঁতের ক্ষতি করে। উল্লিখিত অবস্থা থেকে দাঁতকে রক্ষা করতে মানতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন সেগুলো দেখে নিই।
দিনে দুই বার ব্রাশ
আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দিনে দুই বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এতে দাঁত ভালো থাকবে। সকালে নাশতার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই দাঁত মাজাটা যেন দুই মিনিটের কম সময়ে না হয়, আবার বেশি সময় ধরেও না চলে। দাঁত ও মাড়ি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে, ব্যাকটেরিয়া ও দাঁতের প্লাক দূর করতে এ সময়টা দরকার।দিনে চারবারের বেশি অথবা মোট চার মিনিটের বেশি সময় ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। যখন দাঁতে অ্যানামেল না থাকে, তখন দাঁত ডেন্টিনের একটি স্তর প্রকাশ করে।ডেন্টিনের ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে যা স্নায়ুর গোড়ায় দিকে নিয়ে যায়। এগুলো ট্রিগার করা হলে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
আলতো করে দাঁত ব্রাশ করুন
দাঁত মাজার সময় জোরে জোরে ব্রাশ ঘষলেই বেশি পরিষ্কার হবে, বিষয়টা তেমন নয়; বরং জোরে জোরে ব্রাশ করলে দাঁতের অ্যানামেলের ক্ষতি হতে পারে। কেবল সামনে-পেছনে ব্রাশ না টেনে ব্রাশটা মাড়ির সাপেক্ষে ৪৫ ডিগ্রি কোণে রেখে দাঁত মাজতে হবে আলতো করে।
ছাড়ুন কোমল পানীয়
কার্বোনেটেড ড্রিংকস বা কোমল পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি ও সোডা থাকে। এ সোডায় থাকে ফসফরিক অ্যাসিড, যেটা পানীয়গুলোকে অ্যাসিডযুক্ত স্বাদ দেয়। সোডা দাঁতের ক্ষতি করে। সোডায় থাকা অ্যাসিড দাঁতে আক্রমণ করে অ্যানামেল নষ্ট করে দেয়।
প্রতিদিন এক কাপ চা
চায়ে এমন কিছু উপাদান আছে, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে এবং মাড়ির রোগ সারাতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সেটা দুধ-চিনি মেশানো চা না হওয়া ভালো। ভারী খাবার দাবারের পর বা বিকেল-সন্ধ্যার অবসরে প্রতিদিন এক কাপ চা দাঁত সুস্থ রাখতে পারে।
অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ
এমন একটা মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে, যা অ্যালকোহলমুক্ত। বাজারের বেশির ভাগ মাউথওয়াশেই বেশ খানিকটা অ্যালকোহল থাকে বলে এসব ব্যবহারে সাময়িকভাবে মুখের টিস্যু শুষ্ক হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া যেনতেন মাউথওয়াশ বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলেও ধারণা করা হয়েছে কোনো কোনো গবেষণায়। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন
কিছু খাবার আছে শুধু শরীরেরই ক্ষতি করে না, দাঁতেরও যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতি করে। সিগারেট, জর্দা ও তামাক জাতীয় খাবার দাঁতের রং নষ্ট করে ফেলে; দাঁত হলদে ভাব হয়ে যায়।
খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার
মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত শাক-সবজি ও ফল (যেমন: লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, গাজর, টমেটো, শসা ও লেবু) খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, শসা, আপেল ও পেয়ারা ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে অনেকটা টুথব্রাশের মতোই কাজ করে, যা দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিষ্কারেও সহায়তা করে।
সতর্কতা
খাবার চিবানো আর কামড়ে খাওয়ার জন্যই দাঁত। বোতলের মুখ খোলা কিংবা চিপসের প্যাকেট ছেঁড়ার হাতিয়ার হিসাবে দাঁত ব্যবহার করা যাবে না।অতিরিক্ত শক্ত খাবার, শক্ত হাড় কামড়ানো যাবে না। এতে দাঁতের বাইরের আবরণ বা অ্যানামেল নষ্ট হতে পারে। দাঁতে সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দিতে পারে।আইসক্রিম, চকলেট কামড়ে খাওয়া যাবে না। এতেও দাঁতের ক্ষতি হয়।
মুঠো মুঠো চুল উঠে মাথা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে? আসলে এই ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে না তো!
চুল আঁচড়ানোর সময় বা চুলে হাত দিলেই মুঠো মুঠো করে উঠে আসছে! আর আপনি ভয় পাচ্ছেন, এভাবেই বুঝি একদিন আপনার মাথা ফাঁকা হয়ে যাবে! একটু একটু করে চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে আপনার। আপনি নিয়মিত চুলের যত্ন(Hair Care) নেওয়ার পরেও সমস্যা মিটছে না। চুলে তেল লাগাচ্ছেন। শ্যাম্পুও করছেন। কন্ডিশনার, সিরাম লাগিয়ে চুলকে প্রোটেক্ট করার চেষ্টাও করছেন। তারপরেও দেখছেন প্রতিদিন মুঠো মুঠো চুল উঠে যাচ্ছে। কিন্তু এমন কেন হয় তা কি জানেন?
আসলে শুধুই চুলের যত্ন নিলে আপনার কাজ শেষ হয়ে যায় না। বরং, আপনার ডায়েটেও নজর দেওয়া উচিত। ডায়েটে যদি আপনি প্রোটিন ও ভিটামিন যোগ করতে পারেন, তাহলে তার প্রভাব আপনার চুলে ও ত্বকেও পড়বে। আর সেটাই স্বাভাবিক। এই কথাই বারবার বলে এসেছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তাই সেদিকে নজর দিন। জেনে নিন আসলে কোন ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাবে চুল পড়ে(Hair Fall) যায়।
বায়োটিন
বায়োটিন বা ভিটামিন B7-এর অভাবে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। কারণ, এই ভিটামিন আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি কোষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটিনের অভাবে চুল পড়তে পারে। এছাড়াও ত্বকে অ্যাকনের সমস্যা বাড়তে পারে। নখ সহজেই ভেঙে যেতে পারে। এই উপসর্গ দেখে বুঝতে পারেন যে, আপনার শরীরে বায়োটিনের ঘাটতি হয়েছে।
আসলে বায়োটিনের ঘাটতি মেটাতে পারে আপনার দৈনন্দিন ডায়েটই। তার জন্য় আপনাকে আলাদা করে বায়োটিন গ্রহণ করতে হবে না। কিন্তু একান্ত প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। পালং শাক, মাশরুমের মতো খাবারে আপনি বায়োটিন পাবেন। তাই এই জাতীয় খাবার আপনার ডায়েটে রাখার চেষ্টা করুন।
আয়রন
আপনার শরীর ভালো রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে আয়রন প্রয়োজন। আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলেই তার প্রভাব চুলে ও ত্বকে দেখতে পাবেন। আপনার চোখের চারপাশে কালো ছোপ পড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, বাড়তে পারে ডার্ক সার্কল। রক্তে আয়রনের মাত্রা কমতে থাকলেই ত্বক ও স্ক্যাল্প প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাবে না। তাই রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতেই হবে। আয়রন কমলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
আপনার প্রতিদিন ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখুন। বেদানার মতো ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এছাড়াও পালং শাকে আপনি আয়রন পাবেন।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের ও চুলের জন্য খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন সি যে ত্বক ভালো রাখতে ঠিক কতটা প্রয়োজন, তা আমাদের বুঝতে হবে। আর সেই জন্যই বছরের পর বছর ধরে এই ভিটামিন সি বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভিটামিন সি সিরাম ত্বক ভালো রাখতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আপনার চুলের জন্যেও প্রয়োজনীয় ভিটামিন এটি। আপনি নানা টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি পাবেন। যা আপনার স্ক্যাল্পকে ভালো রাখতে কাজে দেবে। ভিটামিন সি আপনি লেবুতে পাবেন। এছাড়াও ক্যাপসিকামের মতো সবজিতেও ভিটামিন সি পাবেন। শাকসবজিতেও পাবেন এই ভিটামিন সি।
ভিটামিন ডি
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য ঠিক কতটা প্রয়োজনীয়! সেই কথা আর নতুন করে বলে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তাই না? আসলে আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য় ভালো রাখার পাশাপাশি চুল ভালো রাখতেও খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া চুল পড়ার সমস্য়াও বাড়তে থাকে। ভিটামিন ডি আপনি পাবেন সূর্যালোক থেকে। তাই বলে সানস্ক্রিন না মেখেই রোদে বেরিয়ে পড়বেন না। এতে রোদের ক্ষতিকারক রশ্মিও আপনার ত্বক গ্রহণ করবে।
আপনার হাড়ে যদি ব্যথা হয় কিংবা আপনি যদি দেখেন যে, অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠছে তাহলে অবশ্যই আপনি এই ভিটামিন ডি পরীক্ষা করাতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই পরীক্ষা করান। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে আপনার চিকিৎসকই পরামর্শ দেবেন।
জিঙ্ক
শরীর ভালো রাখতে এই উপাদান খুবই প্রয়োজন। শরীরের নানা সমস্যা মেটাতে খুবই কাজে আসবে এই উপাদান। আপনি এই উপাদান কাজে লাগাতে পারেন। জিঙ্কের অভাবে আপনার শরীরে নানা সমস্যা শুরু হতে পারে। পাশাপাশি আপনার চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। আপনার যদি অতিরিক্ত চুল উঠতে থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও আপনার ডায়েটে জিঙ্ক যোগ করুন। যা আপনার শরীরকে ভালো রাখতে পারে। আপনার চুল পড়ার সমস্যা কম হতে পারে। সামুদ্রিক মাছ, ডিম, বাদাম, শিম, মাশরুম থেকে আপনি জিঙ্ক পাবেন। তবে কোনও অসুবিধা থাকলে বা চিকিৎসা চললে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে, আপনার চুলের কোনও চিকিৎসা চললে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যে কোনও হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধরণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও ওষুধ ও চিকিৎসার অঙ্গ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
কিভাবে আপনার হাড় রক্ষা করবেন এবং তাদের যত্ন নিন: টিপস, প্রতিকার এবং ব্যায়াম
হাড়গুলি শরীরের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান যা শরীরকে একটি কাঠামোগত কাঠামো প্রদান করে, অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এবং চলাচলে সহায়তা করে। যাইহোক, বয়স, রোগ, ঘাটতি, ট্রমা এবং আঘাত সহ বিভিন্ন কারণের কারণে হাড়গুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার একটি ধ্রুবক ঝুঁকিতে রয়েছে। অস্টিওপোরোসিস এমন একটি রোগ যেখানে হাড় ক্ষয় হয়ে যায় বা ভঙ্গুর ও ভঙ্গুর হয়ে যায়, যা হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ায়। অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণগুলি ব্যাপকভাবে পরিচিত নয়। আপনার শরীরের হাড় দ্বারা পরিচালিত মূল ফাংশনগুলির কারণে, এটি আপনার হাড়কে রক্ষা করা এবং অস্টিওপোরোসিস সহ রোগগুলি থেকে তাদের প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে, অস্টিওপরোসিস হাড়গুলিকে দুর্বল এবং ভঙ্গুর করে তোলে। সৌভাগ্যবশত, বেশ কিছু জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন আপনাকে শক্তিশালী হাড় তৈরি করতে এবং আপনার বয়স অনুযায়ী তাদের বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। এখানে আপনার হাড় রক্ষা এবং তাদের যত্নের কিছু উপায় আছে।
- পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পান।
ক্যালসিয়াম শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা প্রধানত দাঁত এবং হাড় পাওয়া যায়। এটি একটি খনিজ যা হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে এবং কঙ্কালকে সমর্থন করার জন্য প্রয়োজনীয় হাড়ের ভর বজায় রাখে। একটি ভাল হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে- দুগ্ধজাত দ্রব্য, সয়া দুধ, কমলার রস, স্যামন এবং শাকসবজি যেমন পালং শাক, কালে এবং ব্রকলি।
- ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি কারণ এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করে। এটি একটি সুস্থ ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখার জন্য এবং সুস্থ কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হল সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা। কিছু খাবারে ভিটামিন ডিও থাকে অল্প পরিমাণে যেমন ফ্যাটি মাছ যেমন টুনা, কমলালেবু, দুগ্ধজাত খাবার, সয়া দুধ, পনির এবং ডিমের কুসুম। ভিটামিন ডি এর অভাবের ক্ষেত্রে, ডাক্তার ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলি লিখে দিতে পারেন।
- অস্টিওপরোসিসের জন্য ব্যায়াম করুন
সুস্থ হাড় বজায় রাখার আদর্শ ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে মেরুদণ্ড এবং নিতম্বের জন্য ওজন বহন করার ব্যায়াম। এর মধ্যে দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং নাচ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। নিয়মিত 30 থেকে 60 মিনিটের ব্যায়াম শুধুমাত্র হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, আপনার কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
- একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
আপনার খাদ্যের উন্নতি এবং একটি স্বাস্থ্যকর ওয়ার্কআউট শাসন বজায় রাখার পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সুস্থ হাড়ের চাবিকাঠি। 21 বছরের কম বডি মাস ইনডেক্স থাকা অস্টিওপরোসিসের জন্য একটি ঝুঁকির কারণ। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ওজন হাড়ের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং হাড়ের গুণমান নষ্ট করতে পারে। আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি স্থিতিশীল এবং স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা আপনার সেরা বাজি।
- নিয়মিত হাড় পরীক্ষা
কিছু লোকের হাড়-সম্পর্কিত অবস্থার বিকাশের ঝুঁকি বেড়ে যায় যেমন যাদের হাড়ের রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, বয়স্ক ব্যক্তিরা এবং যাদের হাইপারথাইরয়েডিজম, লিভারের সিরোসিস এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের ব্যাধি রয়েছে। আপনি যদি জানেন যে আপনি একটি বর্ধিত ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারেন, তাহলে যে কোনো অন্তর্নিহিত অবস্থাকে বাতিল করতে হাড়-চেক-আপগুলিকে আপনার রুটিন চেক-আপের একটি অংশ করুন।
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড তাদের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। তারা হাড়ের ক্ষয় থেকেও রক্ষা করে যা বার্ধক্য প্রক্রিয়ার সাথে থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কিছু ভালো উৎসের মধ্যে রয়েছে- ফ্যাটি মাছ যেমন স্যামন, টুনা; বাদাম এবং বীজ যেমন ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ, আখরোট ইত্যাদি।
- অ্যালকোহল, ক্যাফিন এবং লবণ গ্রহণ সীমিত করুন
অ্যালকোহল এবং লবণ কমানো আপনার হাড়কে যে কোনও ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। আপনার অ্যালকোহল গ্রহণ দিনে 2টির বেশি পানীয় এবং ক্যাফেইন দিনে 3টির বেশি পানীয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করুন। ক্যাফেইন এবং ফিজি পানীয় হাড়ের ভর কমায় এবং তাই এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
নিরীক্ষণহীন পরিমাণে লবণ (সোডিয়াম) গ্রহণ করলে আপনার শরীর ক্যালসিয়াম হারাতে পারে এবং হাড়ের ক্ষয় হতে পারে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে আপনার লবণ এবং উচ্চ লবণাক্ত খাবারের ব্যবহার সীমিত করুন।